২০১৪-র ক্যালেন্ডারে ফিরে
আসছে ১৯৪৭-এর প্রতিরূপ
কথায় বলে ‘হিস্ট্রি রিপিটস ইটসেল্ফ’, অর্থাৎ ইতিহাস তার পুনরাবৃত্তি ঘটায়৷ কিন্তু সেই প্রবচন যদি সংখ্যায় সংখ্যায় মিলে যায়? ২০১৪-এর ইংরেজি ক্যালেন্ডার তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে৷ ১৯৪৭ থেকে ২০১৪– দীর্ঘ ৬৭ বছরের ব্যবধান মুছে যাচ্ছে সংখ্যাতত্ত্বের হাত ধরে৷ উপমহাদেশে ১৯৪৭-এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব তো রয়েইছে, তার সঙ্গে জুড়ছে আসন্ন ২০১৪ বছরটিও৷ কারণ মাস, দিন ও বারের হিসেবে দু’বছরের ইংরেজি ক্যালেন্ডার হুবহু এক৷
এই মিলের কথা সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগেনি৷ সঙ্গে ছড়িয়েছে হাজার গুজব আর জল্পনা৷ ১৯৪৭-এর প্রতিটি দিন, তারিখ, বার মিলে যাচ্ছে, তবে কি আসন্ন ২০১৪-তেও ঘটতে চলেছে ১৯৪৭ সালের মতোই চমকপ্রদ কোনো ঘটনা? এমন প্রশ্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের ওয়াল জুড়ে৷ ১৯৪৭-এ স্বাধীনতা লাভের মতো ২০১৪ সালেও কি ভারতের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ঘটতে চলেছে বড়সড় কোনো রদবদল? ২০১৪-এর লোকসভা নির্বাচন সেই জল্পনাকে আরও উস্কে দিচ্ছে৷
জ্যোতির্বিদরা অবশ্য এ ধরনের মির্যাকলের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন৷ ক্যালেন্ডারের এই মিলের ক্ষেত্রে তারা গাণিতিক ব্যাখ্যা ছাড়া কিছুই খুঁজে পাচ্ছেন না৷ তাদের কথায়, প্রত্যেক বছরেরই প্রথম ও শেষ দিন একই বারে হয়৷ যেমন ২০১৩ সাল শুরু হয়েছিল মঙ্গলবারে, শেষও হবে মঙ্গলবারে৷ সেক্ষেত্রে পরের বছর ২০১৪ শুরু হবে বুধবার৷ এ ভাবে প্রতিটি বছরের ক্ষেত্রে শুরুর দিন বার অনুযায়ী এক দিন করে এগিয়ে যায়৷ কিন্ত্ত মাঝখানে যদি লিপ-ইয়ার (যে বছরে ফেব্রুয়ারি মাস ২৯ দিনের) থাকে, তবে সে বছরের প্রথম দিনটি আগের বছরের প্রথম দিনের তুলনায় বার হিসেবে এক দিনের বদলে দু’দিন এগিয়ে যায়৷ এই হিসেবের ভিত্তিতেই কোনও নন-লিপ ইয়ারের (ফেব্রুয়ারি মাস ২৮ দিনের) ক্যালেন্ডার ১১ বছর, ১১ বছর ও ৬ বছরের ব্যবধানে হুবহু এক হয়ে থাকে৷ লিপ ইয়ারের ক্ষেত্রে ক্যালেন্ডারের এই মিল খুঁজে পাওয়া যায় ২৮ বছর অন্তর৷
সঞ্জীববাবুর ব্যাখ্যা, ১৯৪৭ সাল যেহেতু নন-লিপ ইয়ার, তাই এই বছরের ক্যালেন্ডার ১১ বছর পর ১৯৫৮ সালে, তারও ১১ বছর পর ১৯৬৯ সালে এবং আরও ৬ বছর পর ১৯৭৫ সালে হুবহু এক হয়েছিল৷ একই যুক্তিতে এর আগের ২০০৩ সালের ক্যালেন্ডারও ১৯৪৭ সালের ক্যালেন্ডারের প্রতিরূপ৷ এর ১১ বছর পর ২০১৪-তেও একই ঘটনা ঘটবে৷ আর তার ১১ বছর পর অর্থাত্ ২০২৫ সালে সেই একই ক্যালেন্ডারের পুনরাবৃত্তি ঘটবে৷
নির্দিষ্ট গাণিতিক হিসেব নিকেশের ভিত্তিতে ইংরেজি ক্যালেন্ডারের তারিখ বা বার আগের কোনো বছরের সঙ্গে মিলতেই পারে৷ এমনকি অনেকক্ষেত্রে ইংরেজি ক্যালেন্ডারের সঙ্গে বাংলা ক্যালেন্ডারের তারিখ বা বারও মিলে যায়, কিন্ত্ত তিথির ক্ষেত্রে এই মিল কোনও ভাবেই সম্ভব নয়৷’
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানান, লিপ ইয়ারের সংখ্যার ওপর নির্ভর করেই ঘুরে ফিরে আসে একই ক্যালেন্ডার৷ আর সেভাবে দেখতে গেলে প্রতিটি বছরের ক্যালেন্ডারই আগের কোনো না কোনো বছরের ক্যালেন্ডারের পুনরাবৃত্তি৷
১৯৪৭ সালের সঙ্গে ২০১৪ সালের এই মিল নিয়ে মানুষের এই জল্পনার কোনো মানেই হয় না৷ এই গুজব অনেকটাই মায়া ক্যালেন্ডার অনুযায়ী পৃথিবীর ধ্বংস হয়ে যাওয়ার গুজবের মতোই৷
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা যাই বলুন না কেন, এ নিয়ে মানুষের উৎসাহের অন্ত নেই৷ আসন্ন ২০১৪-এর ১৫ আগস্ট-এ দাঁড়িয়ে হয়তো এভাবেই ১৯৪৭ সালের অনুভূতি খোঁজার চেষ্টা করবেন তারা৷ প্রতিরূপ ক্যালেন্ডারের হাত ধরে ৬৭ বছরের আগের ইতিহাসকে ছুঁয়ে দেখার চেষ্টা৷ সূত্র: ওয়েবসাইট।
১৪টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
দারুন তো , আগে কোনদিন এভাবে জানিনি
ধন্যবাদ আপনাকে -{@
বাংলার কথা
ভাইয়া ধন্যবাদ , আমি ও জানতাম না , অনলাইনের কল্যাণে জানলাম \|/
মোঃ মজিবর রহমান
ধন্যবাদ ভাই, অনেক কিছুই জানলাম। -{@
বাংলার কথা
আপনাকে ও ধন্যবাদ
খসড়া
অনেক কিছু জানলাম
বাংলার কথা
শুনে ভালো লাগলো -{@
বনলতা সেন
সত্যি বলছি , জানার শেষ থাকলে ভাল হত ।
বাংলার কথা
অন্তহীন পথে চলাই জীবন >>>> নচিকেতার একটি জ্ঞান মনে হয় এমন ই
হলুদ পরী সাদা নাকফুল
দারুণ কিছু জানতে পেরে অনেক ভালো লাগছে……… ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটা বিষয় জানানোর জন্য……… আশা করি অদূর ভবিষ্যতে আপনার কাছ থেকে আরও অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারবো -{@
বাংলার কথা
আপু আপনার আপনার কাছ থেকেও অনেক কিছু আমাদের শিখার আছে , ধন্যবাদ
নীলকন্ঠ জয়
ইংরেজি ২০১৪ বাংলা ১৪২০ এর ঠিক উল্ট। -{@
বাংলার কথা
ও তাই নাকিভাইয়া ভালো একটা খবর দিলেন তো -{@ \|/
মা মাটি দেশ
🙁 :c
শুন্য শুন্যালয়
দারুণ মজার তথ্য জানলাম ..দেখা যাক কি হয় কি হয় 🙂