ঝট করে একজন মহামতি কামেল লোক আকস্মিক/অকস্মাৎ একটি লিঙ্ক পাঠালেন, সাথে ছয় ছোট্ট মেসেজ, এই কিন্তু সেই, সেইইইইইই! যুগপৎ আনন্দ-বিস্ময়ে বিস্মিত। না কোন কবি না কবি কুলের ন্যায় ইনিয়ে বিনিয়ে ত্যানা ত্যানা কুচিকুচি করে এধার কা মাল ওধারে নেয়ার কোন ইচ্ছে নেই, তবে সঙ্গ দোষে লোহা ডুবে যায়, যাহা বলিতে তাহাই বলিব, যাহা বলি তাহাই, বলি, বলিব-ও।
যা বলছিলাম, এখন থেকে প্রায় যুগাধিকাল আগে বন্ধুদের সমভিব্যাহারে, এক নৈশভোজে উপস্থিত হওয়ার বিরল সৌভাগ্য (এখন মনে করি) অর্জন করেছিলাম। সেখানেই ছবির এই শিশুটির সাথে দেখা হয়। খাওয়া দাওয়া হেব্বি ছিল, খুব ট্যাঁস!! এহ্, বানিয়ে বলে ফেলেছি!! অভ্যাস সঙ্গদের সাথের। দেখুন যুগান্তরের খাবার!! কী কী খেয়েছি তা কিন্তু মনে নেই, ট্যাঁস কিন্তু বলে ফেলেছি। যাদের টি খেয়েছি তাদের কওম/গোত্র গোত্রপতি গোত্র-পত্নী কিচ্ছু জানিনা, আবছায়া, খাচ্ছি কিন্তু। এই শিশুটিকে দেখে ছবি-মন আচানক অস্থির হয়ে গেল। কী যেন আছে এই শিশুটির ছবিতে। উসখুস করে করে খাবার-সাথিদের জানালাম, তারা অবশ্য এই সব উদ্ভট মন-বস্তুর সাথে পরিচিত, হ্যাপা তাদের অনেক পোহাতে হয়েছে। দুঃখের বিষয়, ছবি তোলার টিনের বাক্সটি সাথে ছিল না। অগত্যা আবার প্রায় জোর করে পরের দিনের দাওয়াত নেয়া, যাদের খাচ্ছি তারা কিচ্ছুটি জানে না। শিশুদের ছবি তোলার বাতিক নিয়ে একটি ঘটনা মনে পড়ে গেল, টাইট হয়ে বসুন, শুনতে/ পড়তে ইচ্ছে না হলেও ভাব নিন, ভান করুন, কবিদের মত, খুব মন দিয়ে পড়ে উল্টিয়ে ফেলতেছেন!!
নানা বাড়ি যেতাম, এখন ও যাই, বুড়ো হওয়ার কারণে একটু কম। সেখানে প্রায় ছিন্নমূল একটি ছোট্ট মেয়ে শিশুটিকে ছবির সাবজেক্ট হিশেবে পছন্দ হয়ে যায় (ছবি দেখান যাবে না), খালি গায়ে খালি পায়ে ছিন্ন একটি প্যান্ট পড়া কালো কুচকুচে, গলায় একটি বড় পুতি জাতীয় কিছুর একটি মালা, আমি ওর পিছু নিয়েছি, সে ও আমার পিছু। অনেক ছবি তুললাম, মন ডুবিয়ে। এই শুরু, প্রতি বছর দুতিন বার নানা বাড়ী গেলেই অকে খুঁজে বের করতাম, কাছাকাছিই ছিল ওদের বাড়ি। বছর তিন চারেক এম ই চলছিল, খবর পেলেই/খবর দিলেই চিলে আসত, তার পর বছর দুয়েক আর যাওয়া হয়নি, কোথায় না কোথায় ছিলাম। এর হঠাৎ গিয়ে আবার খোঁজ নিয়ে জানলাম, বিয়ে হিয়এ গেছে, দূরে চলে গেছে, সেই কুট্টি শিশুটির ছবি আজও বয়ে বেড়াচ্ছি।
যাই হোক পরের দিন আবার গেলাম, বিধি বাম, সব কিছু ঠিক আছে, আমার ছবি-চোখ যে ছবির জন্য দ্বিতীয়বার ছুটে এসেছে তাকে আর খুঁজে পাচ্ছে না। ট্রাজেডি আপনার শোনেন, আমি বহন করলাম। খুব কাকতালিয় ভাবে কয়েকদিন আগে হঠাৎ একটি ছবি পেয়ে গেলাম। সময়ের চোরা স্রোতে যা হারিয়েই ছিল।
উহ্ , দেখলেন! কবিদের সোহবতে কী সব কু-অভ্যাস তৈরি হয়য়!! ছুঁয়ে থাকবেই। আসল কথা বাদ দিয়ে শুধুই ত্যানা পেঁচানো।
কবিদের দুঃখের কথা বলি, বাজার সুবিধের না, অনন্যোপায় হয়ে এখন হরিপদের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে, আরও কোথায় কোথায় যেতে হবে কে জানে!! একজন আবার জংশন-ট্রেন চালাচ্ছে!! দেখবেন এখুনি তেড়ে আসতে চাইবে, জারিজুরি ধরে ফেললে এই ই হয়। একটি মজার কাহিনী বলে, কবি প্রবর বাতাস ভাঁজ করে/ভাঁজ দিয়ে আপনার পকেটে ভড়ে দেবে, গিলিয়ে-ও দিতে পারে চেপে ধরে যুৎ মত পেলে, নিজে কিছু নিচ্ছে না, পাহাড় গলিয়ে, চৌক্ষে গালা লাগিয়ে, আপনার গলায় জড়িয়ে দিতে পারে, একটু পরে পাহাড় জেগে উঠে আড়মোড়া ভেঙ্গে আপনাকে পিষ্ট করলে, প্রাণ ওষ্ঠাগত হতে থাকবে, ত্যাঁদড় কবি দূরে দাঁড়িয়ে হাসি-হাসি কান্না-কান্না ভাব করে কাব্য করে বসতে পারে………
দেখেছিলাম তাকে পর্বত গাত্রে, বরফ শৃঙ্গে,
সমুদ্র-ফেনায়, ডলফিন ও শুশুকের পিঠে,
মহা কালের বেশে, ছিনতাই করে, টুপ করে ডুব সাঁতারে
অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থেকে;
সেই যে ঘুমিয়ে গেল, জেগে উঠে
কিল/চর/থাবড়া আর দিল না।
দেখলেন তো একদম ক্যারাব্যারা অবস্থা!! শিবের গীত আপনাদের শুনতেই হবে। কবিদের সাথে থাকা বলে কথা;
ধরুন, মসজিদ থেকে বের হয়ে আসার পথে, সূর্য দেব প্রতিজ্ঞা রক্ষায় নামে, চক চকে ছিলা চান্দি বরাবর রোদ ছুঁড়ে ফাটিয়ে ফেলতে না পারলেও টগবগ সে করাবেই। করুক, যার যেমন কু-অভ্যাস। হঠাৎ দেখি বোতল ব্রাশের ঝাঁকড়া গাছটি ছত্রিশ দাঁতে হাত মেলে ডাকছে!! আজব!! আশপাশ দ্রুত দেখে নিশ্চিত হলাম, টার্গেট আমি-ই। দ্রুত পা মেলে গা-ঘেঁসে দাঁড়ালাম, ঘটনা কী!! রোজ তো চারে চারে আট বার এ-পথু হই!! না, মানে দেখতে ভাল্লাগে!!
দেখুন দেখুন কবিদের সাথে থেকে কী অভাব্য স্বভাব!! ভাগ্যিস বে-পথু (কবি) হয়নি!! চৈত আর বোশেখে গরমে কবিদের একটু আটক থাকত সময় (পাগল বলিনি কিন্তু)! বৃষ্টি নেমে এলে আবার চেতে উঠে অঝোর ধারায় আবর্জনা ফলিয়ে যাবে, সামান্য অপেক্ষা মাত্র।
গতকাল তার জন্মদিন ছিলো। ভাল থাকুন আম্মাজান, স্ব-মহিমায়।
এই প্রার্থনা-ই করি নিপাট সহ-মানুষের বেশে (কবিদের মত দুষ্ট না হয়ে-ই)
বিস্মৃতির অতল থেকে উঠে আসা সে দিনের শিশুটির পুরো খান্দানের হৃদপিণ্ডের গতি পরিমাপক
মনিটরটি চোখের সামনেই ঝুলে থাকে।
বিদ্রঃ বরেণ্য পাঠককুলের উল্টো-ঠোঁটের তাচ্ছিল্যের বুনুনি হাসিটুকু উপেক্ষায় রাখছি।
জানিতো কবিরা খুব খারাপ হয়।
৩৫টি মন্তব্য
প্রহেলিকা
জন্মদিনের অফুরান শুভেচ্ছা। স্বমহিমায় চির-ভাস্বর হয়ে উঠুক জীবনের প্রতিটি মুহুর্ত!
ছাইরাছ হেলাল
বিধাতা সহায় হবেন।
প্রহেলিকা
কবিদের পেছনে এভাবে কিল্লাই লাগলেন আগে সেটা কন। পাইছেন টা কী! ইনি বিনিয়ে নরম সুরে খালি বদনাম করতাছেন। শিবের গীত আমাগো শুনাতে হবে না। আগে আগে জবাব দেন।
ছাইরাছ হেলাল
এত্ত বড় দুর্নাম শেষে আপনি দিলেন!! এইতো গরমের কয়েকটা দিন মাত্র, আটকা থাকলেই
সব ঠিক হয়ে যাবে। এরপর বৃষ্টি আর বৃষ্টি!
আবার এমুন হতে পারে কবিদের হিংসা করি, কবিতা ল্যাক্তে পারি না!!
অবশ্য আপনি একটি চিক্কন বুদ্ধি দিলেও দিতে পারেন!!
প্রহেলিকা
যত গর্জে তত বর্ষে না জানলেও এখন দেখছি গর্জনের চেয়ে বর্ষণই বেশি৷ কবি হে কবি, আপনি হলেন কবি আর বাকী সবাই করিম আলী নাম পাল্টাইয়া রাখসে “কবি”
বর্ষা কত দূর সবে তো বৈশাখ শুরু!
ছাইরাছ হেলাল
সামান্য একটু মাটি-কামড়ে থাকুন,
বর্ষা এই এলো বলে!!
সাবিনা ইয়াসমিন
মহারাজ !!!!!!!!!!
ছাইরাছ হেলাল
বলুন কবিতা-জি!!
সাবিনা ইয়াসমিন
অসংখ্য শুভেচ্ছা ,শুভ কামনা আর ভালোবাসায় ভরে থাকুক আম্মাজানের জীবনের প্রতিটি দিনক্ষণ-মূহুর্ত গুলো। শুভ জন্মদিন। ❤💚💙💜💛
আপনার লেখার মন্তব্য নিয়ে পরে আসছি 🙂
ছাইরাছ হেলাল
জ্বি, আসুন, সময় করে।
বন্য
স্মৃতির আড়াল থেকে তুলে আনা সহজ নয়। কাল বা সময় খুব নির্মম, যদি নির্মম না হতো তাহলে ছোট্ট ওই শিশুটি কেন কেবল শিশুই থেকে গেলো না। বড় হয়েছে, বিয়েও হয়েছে একদিন আমার মত থুরথুরে বুড়োও হয়ে যাবে। ছবিটাতে আসলেই কি যেন আছে। মমতা নাম দিলাম।
শুভ জন্মদিন।
ছাইরাছ হেলাল
আর একবার পড়তে হবে বলে মনে হচ্ছে,
এখানে দুটো শিশু বিষয় এসেছে, ঐ শিশুর ছবি এটি নয়, তার ছবি দেয়া যাচ্ছে না বলা আছে।
এই ছবিটি ২০০৯ সনে তোলা, এখন তার জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
বন্য
বুঝেছি এবার। কিন্তু লেখক এখানে কবিদের উপর খুব ক্ষেপে আছেন বলে মনে হলো। তার কারন কি? লেখক কিন্তু নিজেও কবি।
ছাইরাছ হেলাল
বলেন কী!! লেখকের ঘাড়ে মাথা তো একটিই!!
কবিরা নমস্য, হিংসে থেকে এত্ত কিছু বলা!!
বন্য
হিংসা করা মন্দ কাজ৷ তবে আমি নিজেও কবিদের পছন্দ করি না।
ছাইরাছ হেলাল
হিংসা মন্দ কাজ, বিধাতা বিশেষ এক প্রজাতিকে না কী হিংসা থেকেই তৈরি করেছেন!!
কবিরা খুব খ্রাপ হয়, শুনি সবার কাছে!!
জিসান শা ইকরাম
শুভ জন্মদিন মা মনি ♥♥♥
আজীবন সুখ আর আনন্দের মাঝে থেকো।
===================================
একদিন খাইলেন, আবার বাহানা কইরা পরের দিনও খাইলেন,
এই না হলে কবি!
কবিয়াল যদি ছবিয়াল ও হয় তাইলে এমন লেখাই বাইর হয়,
না হইতে পার্লাম কবিয়াল , না হইতে পার্লাম ছবিয়াল।
ছাইরাছ হেলাল
থাকুন তিনি আনন্দ সরোবরে,
বিধাতার কৃপায়!
সব কিছুই কামেলদের হাত সাফাই মাত্র।
আপনি গুরু (গরু না) ধরেন, শুধু ধরলেই হবে না, লেগে/লটকে থাকতে হবে।
সবুরে মেওয়া পেলেও পেতে পারেন।
সাবিনা ইয়াসমিন
আপনি মহামতি কামেল লোকদের সাথে উঠাবসা করেন ! শুনে আস্বস্থ হলাম, ডাইনি-প্যাঁচা ছাড়াও বিস্তর সঙ্গী-সাথি আছে তাহলে ☺😊
কি খেয়েছেন তা মনে নেই, কিন্তু খাবার ট্যাঁস ছিলো এটা মনে আছে ! আপনার উচিৎ সেইইইই ট্যাঁস রাধুনীকে একটা রাজকীয় অভিনন্দন জানানো। যার রন্ধনকৃত ট্যাঁস খাবার এতোদিন মনে রেখেছেন তাকে না জানানো মহারাজদের শোভা পায়না। হতে পারে আপনার রিভিউ পাবার পরে সেইইই গৃহে আবার টেস্টি খাবার খাওয়ার ডাক আসবে 😉
ছাইরাছ হেলাল
তা বিধাতার কৃপায় কিছু কামেল কিছু এলেমদার ও কিছু অ-কবিতা লেখা কবিদের সাথে
সামান্য জানাশোনা আছে!! ডাইনিরা তো খুবই আপনজন, ইদানিং চোখে চোখে রাখছে, জানাবো আপনাদের ঘটনা, অবশ্যই।
কিছু সাথি অবশ্যই আছে, থাকেও!!
ঐ যে কবিদের সাথে থাকলে বানিয়ে-ফানিয়ে বলতে হয়, এখন খেলে চোস্ত বর্ণনা দিব, আগাম কথা দিতেই পারি।
তাছাড়া ট্যাঁস লাগলে তাতো বলতেই হয়, খাওয়া বলে কথা।
প্লিজ লাগে দেরি না করে যদি এখুনি ইথারে জানিয়ে দিতেন, বিনিময়ে দু চার অক্ষরে মহাকাব্য আপনি নামাতে পারবেন,
এমুন দুয়া আপনি পাবেন-ই। তবে আপনিও কবি!! তাই ভরসা করা ঠিক হবে কী-না বুঝতে পারছি না।
উহ্ উহহ, ট্যাঁস!! তুমি কুথায়!!
তৌহিদ
নানাবাড়িতে বেড়াতে যাবার নাম করে যে শিশুটিকে খুঁজতে যেতেন তার বিয়ের পরে কি আর দেখা হয়েছিল তার সাথে? আপনার লেখা পড়ে মনে হচ্ছে দেখা হয়নি আর।
আসলে কিছু নিষ্পাপ সম্পর্কের স্মৃতি হৃদয়ে রয়ে যায় সারাজীবন।
জন্মদিনের শুভেচ্ছা রইলো আম্মুর জন্য।
ছাইরাছ হেলাল
উহ্, বেড়াতে যাবার নাম করে না,
ওরা খুব হতদরিদ্র, খালি গায়ে থাকা শিশু, নানা বাড়ীতে প্রায়ই অনুষ্ঠানাদি থাকে, থাকে খবারের ব্যবস্থা,
বাল্যবিবাহ তো সে সময়ে স্বাভাবিক। তাই আর দেখা হয়নি।
এই একটি শিশু নিয়েই সিরিজ ফটোগ্রাফি করেছি। তাই আমার কাছে সেই স্মৃতি খুব মুল্যবান,
আবার লক্ষ্য করুন, শুধু ছবি তোলার জন্য দ্বিতীয়বার সেখানে গিয়েছি, প্যাশন মারাত্মক না হলে এমন হয় না।
ক্যামেরা বালিশের পাশে নিয়ে ঘুমানোর মানুষ!! এ ভালোবাসা অন্য মাত্রার।
অবশ্যই শুভেচ্ছা তার জন্য।
তৌহিদ
আরো তথ্য জানলাম, ধন্যবাদ আপনার প্রাপ্য☺
মোঃ মজিবর রহমান
সব্যসাচীতে ছবি আর লেখা দুই কুলের সমাহার।
মামনির জন্মদিনে শুভেচ্ছা রইল।
ঐ সেই অতীত ছবি আর মনের গহীনে লুকিয়ে থাকা স্রিতি বড়ই একটি স্রিতিময় লেখা দিল। মন দিল মিলে গা। মধুর সময় দিলে গা।
শুভেচ্ছা রইল কবি।
ছাইরাছ হেলাল
দশ বছরের স্মৃতি চারণ বলাই যায়।
ভাল থাকবেন।
মনির হোসেন মমি
গতকাল তার জন্মদিন ছিলো। ভাল থাকুন আম্মাজান, স্ব-মহিমায়।
এই প্রার্থনা-ই করি নিপাট সহ-মানুষের বেশে (কবিদের মত দুষ্ট না হয়ে-ই)
আমীন।
ছাইরাছ হেলাল
আমীন, আমীন।
নীলাঞ্জনা নীলা
মিষ্টি মনি শুভ জন্মদিন 🎉🎉🎁🎁🎊
কুবিরাজ ভাই এই লেখাটা মনে ধরেছে। এই প্রথম একটা মনকাড়া লেখা পেলাম। এবারে নিশ্চয়ই জানতে চাইবেন যে, আগেরগুলো তাহলে কি মন-তেতো কবিতা ছিলো! এর উত্তরে আমি বলবো তেতো কিংবা টক কোনোটাই না, তবে মাথা ঘোরানো টাইপ ছিলো। 😁
ছাইরাছ হেলাল
উহ্, মনকাড়া!! প্রাণকাড়া লিখতে তো পারতেন।
ইচ্ছে গজিয়েছে এত্তদিনে!! ঘোরানোর ব্যাবস্থা নিতে হয় দেখছি।
নীলাঞ্জনা নীলা
নিয়েই ফেলুন ব্যবস্থা। কিন্তু সময়ের কাজ কি আর অসময়ে হয়?
ছাইরাছ হেলাল
টাইম মেশিনের ফরমায়েশ দিচ্ছেন!!
বাহানার আর শেষ নেই!!
রিতু জাহান
কোথা থেকে যে আমি কোথায় কোথায় গেলাম!!
অবশেষে পথ চিনে চিনে ফিরে আসলাম।
শুভ জন্মদিন মা। মা মানেই আশ্রয়। আশ্রয় আমাদের নিরাপদ থাকুক।
ছাইরাছ হেলাল
আসলেই এ এক অদ্ভুত চক্কর! ঘুরে ফিরে একই জায়গায়,
তবে সময় লেগেছে দশ বছর মাত্র।
থাকুক সে নিজ ভূমে, নিরাপত্তার আতিশয্যে।
শুন্য শুন্যালয়
হায়রে বাচাল কবি!
পিচ্চিপাচ্চাদের সমুদ্রের পাড়ে নিয়ে গেলে কী করে দেখেছেন? সেকেন্ডে সেকেন্ডে পাড় থেকে ধরে আনতে হয়, তবুও তারা পানিতে যাবেই যাবে।
জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে কবি রে বারবার কবিতা রোগে ধরছিল, আর টেনে টেনে আনতে হচ্ছিলো। 🙂
লেখাটি একদম মন থেকে উঠে আসা। খুব ভালো একটি জন্মদিনের শুভেচ্ছা, যা হুটহাট দেখা যায়না।
ছবির আদুরে মেয়েটিকে অনেক অনেক আদর আর শুভেচ্ছা জানালাম জন্মদিনের।
আপনি ফটোগ্রাফারও!!!
ছাইরাছ হেলাল
সহি বলেছেন, খুবই বাচাল হয় কবিরা!! কবি হলেই শুধু এমুন করে বোঝা যায়!!
স্বভাব পাল্টানো খুব কঠিন!! ঘুরে-ফিরে আসল জায়গায়ই আসে!!
আ-সমুদ্দুরে কত কত জল দেখা হলো-না!! আপনার জন্মদিনেও অনুমতি পেলে হুটহাটাইতে চাই!!
অবশ্যই তাকে শুভেচ্ছা, অনেক অনেক।
অ্যারে নাহ্ আমি কিচ্ছু না, আপনার দেখাদেখি!!
আর কত অপেক্ষায় রাখবেন!! ট্রেনটি চালু করুন, দেখি।