হাউই হয়ে উড়বে বলে, হাউই ওড়াবে বলে
দিগ্বিজয়ই দিগ্বজ দিগম্বরের বেশে ভুঁড়ি বাগিয়ে হাউই হয়ে
তেড়েফুঁড়ে উড়ে যাবে ঐ নীলাকাশে!
সে কী এক আহ্লাদি আয়োজন!
বেহিসাবি উদয়-অস্ত, নিদহীন দিবারাত্রি,
তুড়ি মেরে ক্ষুৎ-পিপাসা সে এক এলাহী দক্ষ-যজ্ঞ;
কোথায় সলতে, কতটুকু ভিতরে, কতটুকুই বা ঝুলবে বাহিরে
হিসেবি বারুদ কখন কোথায় কতক্ষণ পুড়বে!
অপেক্ষা, এই তো শেষের শেষ হলো বলে,
অথচ কেউ জানেনা শেষ ঠিকানা, হাউই’র;
পৌঁছুবে তো লক্ষ্যে? নাকি গোত্তা খেয়ে শুরুর
মুখেই শেষে পৌঁছুবে!
৩৪টি মন্তব্য
নীলাঞ্জনা নীলা
জীবনকে আতশবাজি হিসেবে চিহ্নিত করলেন কুবিরাজ ভাই? শুরু থেকে শেষ, এর মধ্যে মহাযজ্ঞ এবং ধ্যান-মন্ত্র, খাদ্যদ্রব্য, ভুঁরিভোজ, “কে লড়বি আয়” ইত্যাদি আরও কতো কি!
উড়বে, সে ছোঁবে আকাশ, আরও উপরের আকাশ পাড়ি দেবে,
গর্ভ থেকে মাটিকে ছুঁয়ে জল-বাতাস-দৃষ্টি সবকিছু নিয়েই পাখী ফুড়ুৎ;
যেতে দেবোনা, আটকে রাখার কি আপ্রাণ চেষ্টা!
তুবড়ি হাউই জীবন নিঃশ্বাসের ফাঁক গলিয়ে ফুড়ুৎ, পাখীটা গেলো কই?——শুনুন হাসা যাবেনা, বিদ্রূপ করাও যাবেনা কিন্তু। আগেই বলে রাখলাম কুবিরাজ ভাই। 😀
ছাইরাছ হেলাল
এমন প্রাণ-মন্তব্যে হাসাহাসির প্রশ্নই আসে না,
আসলেই আপনি ধরে ফেলেছেন, আতশময়তাই জীবনের আরেক নাম,
যেখানে আমরা সত্যি সত্যি কপর্দকহীন,
শক্ত নোঙর ফেলে আমি চাই,
চাই, চাওয়াদের, না-চাওয়াদের-ও
অবিস্মিত উদারতায়;………………
উহ্, পোস্ট হয়ে যাচ্ছে তো!!
নীলাঞ্জনা নীলা
সাবধানে আতশবাজি করবেন। এরপরে না শব্দের চোটে বোমা ভেবে নিয়ে মামুরা ছুটে আসে,
হলোটা কি! কুবিরাজ ভাইকে আমরা বন্দী হতে দেখতে চাইনা। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আতশবাজী তো আপনি করে ফেলছেন!!
বন্দী হতে চাইলেই বা কে আর বন্দী করে!!
ভরসা লেডিজি!!
নীলাঞ্জনা নীলা
এখানে আতশবাজী হয় গ্রীষ্মকালে। এখন আতশবাজীর সময় না।
ভরসা করা উচিৎ না, খুব সাবধান!
ছাইরাছ হেলাল
হৃদয়ের আতশবাজী মানে না
গ্রীষ্ম কিম্বা বর্ষা,
আচ্ছা আচ্ছা, খুপ সাবধান ভরসা- না-ভরসায়;
নীলাঞ্জনা নীলা
হৃদয়? চারদিকে ভেজাল, খাঁটি পাইবেন কই?
গ্রীষ্ম-বর্ষাও ধরা খাইছে। দেখেন না চৈত্র মাসরে লাগে শ্রাবণ মাস?
খুব সাবধান! 😀
ছাইরাছ হেলাল
জোয়ারের টাইমে সব কাল-ই এক কাল,
ভেজাল আর খাঁটি সবই সমান।
খুব সাবধান, আপনি ও আপনার দাঁত।
নীলাঞ্জনা নীলা
“শক্ত নোঙর ফেলে আমি চাই,
চাই, চাওয়াদের, না-চাওয়াদের-ও
অবিস্মিত উদারতায়;………………”—–এমন লেখা লিখতে পারতেন? আমি যদি না শেখাতাম? :p
ছাইরাছ হেলাল
আপনি আমার শিক্ষা-গুরু!!,
কত্ত-কিছু যে শিখেছি, ভাবতেই কেমুন কেমুন জানি লাগে।
আরও কিছু শেখার বাকী আছে,
তাও সেরে ফেলুন!!
নীলাঞ্জনা নীলা
অবশ্যই কুবিরাজ ভাই বৎস! :p
সব তো একসাথে শেখানো যাবেনা। আপনার মতো একজন ছাত্র আছে যার, তার মতো কাঠকপাইল্যা আর কেউ নেই। 😀
ছাইরাছ হেলাল
তাও ভাল, পোড়াকপালী বলেন-নি নিজেকে!!
সময় থাকতে থাকতে ধীরে সুস্থে শেখালেই হবে,
কব্বর পর্যন্ত টাইম আছে!!
এমুন ছাত্রু আর পাইবেন্না, পর-জনমেও।
শুন্য শুন্যালয়
হাউই এর ঠিকানা জেনে কেউ হাউই ওড়ায় না।
এতো যে কবিতা লিখছেন, কী হবে এতো কবিতা লিখে?
ছাইরাছ হেলাল
লেখাটিতে হাউই এর দু’টি রূপ, প্রকাশ্যে, আসলে তিনটি,
এক—–হাউই
দুই—-কেউ হাউই হতে চায়
তিন—- কেউ এটি ওড়াবে,
এবার একটু ভেবে দেখুন।
——————————————————————–
অস্ট্রেলিয় কবি Les Murray এর দু’টি কবিতা
মহাবিস্ফোরণ
যদি সবাই সবার থেকে
দূরে সরে যায়, যেতেই থাকে
আমরা নক্ষত্রদের কেবল পিঠ দেখতে পাব।
অতিথি
দরজায় টোকা দিয়ে সে শুনতে পায়
তার এগিয়ে-আসা হৃদয়ের পদশব্দ।
——————————————-
এলোমেলো উদ্ধৃতি দেইনি, মাথা ঠিক আছে,
তবে কেন লিখি (নুপেল প্রাপ্তির আশাটুকু বাদে) সে প্রশ্নের উত্তর মন্তব্যে দিচ্ছি না, অপেক্ষা কাল পর্যন্ত,
অনেক উত্তরের একটি;
————————————-
সহজ-সরল স্বীকারোক্তি!!
মন্তব্য বা উত্তর দিতে গেলেই পোস্টমত হয়ে যাচ্ছে,
আর পোস্ট মানেই সামান্য হলেও বেশি কিছু
বেশি কিছু মায়া-মমতার সুখ-দুঃখের ব্যঞ্জনা!!
ইস্সিরে আবার শুরু…………………
মোঃ মজিবর রহমান
উদ্দেশ্য যদ্বি নাহি হয় সঠিক কিংবা দক্ষ নাবিক যদি নাহি ধরে হাল তবে হাউউ আবার হবে ভুপতিত।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
ভাইয়া, হাউউ কি মাটি দিয়ে তৈরী ভিতরে পাটের খড়ি ছায় বানিয়ে মাটির তৈরি হাউউ ের ভিতর দিয়ে সুতার মাথায় আটকিয়ে ঘুরাতে ঘুরাতে আকাশ পানে ছুড়ে দিতাম সেই খেলা। সেখান থেকে বাহির হত ঘুরানোর জোরে ছায় আগুনের ফুল্কি হয়ে বের হত দেখতে অনেক সুন্দর লাগত।
ছাইরাছ হেলাল
হাউই আতশবাজি বিশেষ,
ভেতরে বারুদ থাকে, সলতে-তে আগুন লাগালে আকাশে উড়ে যায়।
অনেক দিন লেখা দিচ্ছেন না, কিন্তু।
মোঃ মজিবর রহমান
হ্যা ভাই, এখন ডিজিটাল আতশবাজি কিন্তু একসময় মানে ছোট থাকতে আমাদের গ্রামে কুসংস্কার ছিল একটি তা হল কলেরা, জল্বসন্ত হওয়ার পূর্বে এক বছরের নির্দিষ্টদিস্ট সন্ধ্যায় খিচুড়ি, পায়েশ রান্না করে খেয়ে কিছু পরিমান একটি জংগলে দিত। আর আমরা ছেলেরা এই অনুস্টহান হওয়ার পূর্বে প্রায় মাস খানেক আগে থেকে হাউউ বানাতাম। সেটা হল মাটি দিয়ে দুই খন্ড তৈরি করতাম। দুইখন্ড একত্রে জোড়া দেওয়ার পূর্বে একটি শক্ত সুতা ভিতরে দিতাম কিন্তু ভিতরের মাথায় একটি গিঠঠু দিতাম জাতে বাহির না হয়। তারপর জোড়া দিয়ে শুকাতাম। আর পাটের খড়ি আগুনে পুড়িয়ে কয়লা করে রাখতাম। ঐদিন কয়া ঐ হাউউ পুরে আগুন দিতাম জাতে আসতে আসতে পোড়ে আর সুতুলি ধরে জোরে জোরে ঘুরাতাম আগুনের ফুল্কি বেরুত। ঘুরাতে ঘুরাতে ছেড়ে দিতাম দেখা জেত হাফ কিলো বাঁ তারচেয়ে বেশি দূরে যেয়ে পড়ত। এটাও একটি আতশবাজি।
ছাইরাছ হেলাল
বাহ্, এটি কিন্তু আমাদের জানা নেই,
অবশ্যই আতশবাজি।
মোঃ মজিবর রহমান
ঠিক আছে এইটা নিয়া একটি পোষ্ট দেওয়া যাবে। শুভেচ্ছা রইল।
ছাইরাছ হেলাল
অপেক্ষায় থাকলাম।
মৌনতা রিতু
হিসেবের বারুদ জলে তবু সময়হলেই। কিন্তু অহিসেবের বারুদ জলে জলতেই থাকে।
হাউরে উড়ুক সব। উড়তে থাক। ততোক্ষণ ঘুরে আসি। মাটিতে একটু।
ছাইরাছ হেলাল
উড়ুক উড়ুক, উড়ুক্কু হয়ে। ঘুরতেই থাকুন আনন্দ ধামে।
নীহারিকা
হাউই উড়ে উড়ে পৌছে যাক তার নির্দিষ্ট লক্ষ্যে।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই দুয়া লাগবে সবার!!
ইঞ্জা
আসলেই জীবন্টা হাউউইর মতো, ভূড়ি ফুলিয়ে উড়ে যাবে, যতক্ষণ সলতে জ্বলবে, ততক্ষণ তার আয়ু, কেউ বলতে পারেনা সেকি আকাশ ছুঁবে না গোত্তা খেয়ে পড়ে যাবে, বাহ!!
ছাইরাছ হেলাল
ঠিকই বলেছেন,
অজানা ঠিকানার হাউই।
ইঞ্জা
ভালো থাকুন ভাইজান।
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা, অবশ্যই ভাল থাকব,
আপনিও ভাল থাকবেন।
গাজী বুরহান
শেষ ঠিকানা জানে কজনে?
যারা জানে তাদেরই “শুরুতেই শেষ”।
ছাইরাছ হেলাল
ঠিকানা আমাদের অজানাই থেকে যায়।
মেহেরী তাজ
ভুঁড়ি বাগিয়ে ওড়ার কথা পড়ে আমার সর্বপ্রথম “হ্যারি পটার ” মুভির একটা মুহূর্ত মনে পড়ে। একটা মহিলা বেলুনের মত ফুলতে ফুলতে আকাশে উড়ে যায়। হা হা হা
হাউই এর কি তাহলে আবার ভুঁড়ি হইলো? ;?
আমি তো জানতাম যেখানে শেষ সেখান থেকেই শুরু। এখন কি তবে শেষের শেষ তার পর শুরু?
ঠিকানা মিকানা,সময়, টময়, এসবের কি দরকার। উড়তে মন চাইলে ওড়ার চেষ্টা করা উচিৎ।
ছাইরাছ হেলাল
ভুঁড়ি আমাদের হয়-ই, সময়ের হের-ফের মাত্র!!
আবার ফেটে বা চুপসে-ও যায়, ফাটাফাটি হয়-ই না।
শেষ-ফেষ বলে কিচ্ছু নেই, সবই চলমান!!
মন চায় মনের ঠিকানা,
তাই
ওড়া-উড়ি হয়-না!!
চাটিগাঁ থেকে বাহার
ভালো লাগা রেখে গেলাম।
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ,