ঘুম
মৌ মৌ গন্ধে ঘুমই ভেঙ্গে গেলো। নাহ, আমিতো আমার প্রিয় বিছানাতেই আছি। তবে বিছানার অবস্থানটা পরিচিত নয়। চারিদিকে গাছপাতার দেয়াল যাতে ফুলও আছে হরেক রকমের। এ-যেনো বেশ পরিচিত ঘ্রাণ। এরকম কিছু চেনা ফুল আমাকে কে-যেন দিয়েছিল যা এখন আর তা মনে নেই। মাথার উপরে বড় বড় পাতা ওয়ালা একটা গাছ বাতাসে দোল খাচ্ছে। নীচে দেখি ঘাসের কার্পেটও আছে। আমার প্রিয় বিছানা মায়ের কোলটা বসে আছে ইয়ে বড় একটা কাঠের গুড়ির উপড়ে। বাবা ইট নিয়ে কিসব যেনো বলছে মামা দুজনের সাথে। তারাও দেখি কাঠের গুড়ির উপরেই বসে আছে। এরকম বসার ঘর আগে কখনো দেখেছি বলে মনে পরছেনা। আর যাইই হোক, এটা কিন্তু আমার বেশ পছন্দ হয়েছে। ফ্যান ছাড়াও হিমেল সুগন্ধ বাতাস। আরও একটু ঘুমাই…।। (পরে জেনেছি ওটা নাকি বাদাম গাছ। বাবা বলেছিল বাদাম নাকি মাটির নীচে হয়। তাহলে এটা কোন বাদাম গাছ!)
কাঠের গুড়ির সোফা
এমন সুন্দর মায়া-ছায়া একটা দুপুর, আহা! একটু ঘুরে ফিরে দেখবো অথচ দুপুরের খাবার সময় ঘনিয়েছে। তবে যাবার আগে আমার দাবী মঞ্জুর হলো যা ছিল কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি। এদেখি বিশাল ব্যাপার, চারিদিকে শুধু ইট আর ইট। এতো ইট দিয়ে মামা কি করবে। একটা বাড়ি কেনো, রাজপ্রাসাদের জন্যেও এতো ইটের দরকার নাই। কে জানে কোন জেলার সাথে অন্য জেলার আবার সীমানা রেখা বেঁধে দেবে কিনা।
ইটের পাহাড়
এই ইটের পাহাড় ঘেঁসে কত খোলা জায়গা, কত নাম না জানা গাছ। যে-গুলো হরেক রকমের ফল এবং সবজীতে ভরা। একজন-তো সব গাছ থেকে কিছু কিছু এনে একটা ছোটখাটো পর্বত বানিয়ে ফেললো যা আমাদের নিয়ে যেতে হবে। সে হয়তো মন খারাপ করবে যখন দেখবে একটা গাড়িতে সব যাচ্ছে না। আমি বেশ উপভোগ করছি এসব। এতো আনন্দের মাঝেও আমার চোখ ঘুরছে ফুল গাছের দিকে। হরেক রকমের ফুল, সুন্দর বাহাড়ী রঙ, আর আছে তার সুঘ্রাণ যা মনের মাঝে গেঁথে যাচ্ছে। ফুলেরা কী যেনো বলে যা আমি বুঝিনা। একজন টুপ করে একটা লাল ফুল ছিঁড়ে আমাকে দিলো। খুশী হবার চাইতে কষ্টই লাগলো বেশী। ফুলটির মা নিশ্চয়ই ব্যাথা পেয়েছে। আচ্ছা ফুল সবজী নাকি ফল! এই ফুল দিয়ে কি হয়!! এগুলো এতো সুন্দর কেনো!!
একদিকে পাথরের মত শক্ত ইট আর ইট, আর পাশে আছে এই কোমল সুন্দর ফুল আর ফুল। কেমন যেনো বেখাপ্পা লাগে।
প্রকৃতির এই সৌন্দর্য মেলা, আমি কি বুঝি তার খেলা,
না বোঝাতেই থাকুক পড়ে এমন মেলা মেলা,
আমিও গেলাম খেলতে ফেলে রেখে ম্যালা ঝামেলা!
৩৯টি মন্তব্য
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
শিশুর মনে হরেক রকম প্রশ্ন আসে যা দেখে তাই প্রশ্ন করে বসে যার উত্তর আমরা অনেক সময় জানি না বা দিতে পারি না।খুব ভাল একটি প্লট বেছে নিয়েছেন।শুভ কামনা আপনার জন্য আর বাবুর জন্য রইল অনেক অনেক আদর। -{@
নাসির সারওয়ার
শিশুদের প্রশ্নের উত্তর না দিলে তারা যে আমাদের বকাসকা দেয়, তাও হয়তো বুঝিনা। ভালোই লাগে শিশুদের মন পড়তে যদিও তা বেশ কঠিন কাজ। আপনার আদর পাঠিয়ে দেবো বাবুকে।
ভালো থাকুন।
নিহারীকা জান্নাত
গাছের গুড়ির সোফাগুলো সত্যিই খুব সুন্দর। কখনো ওখানে বসে একটু বাতাস খেয়ে আসতে পারলে হতো। স্বপ্নের আবার ছবিও হয়, এই প্রথম দেখলাম।
ভালো লাগলো।
নাসির সারওয়ার
ওখানে বসে বাতাস খাওয়া বেশ সহজ। আমাকে বললেই আমি ওখানে নিয়ে যাবো। বারে, সপ্নে আমি কত ছবি আঁকি। তবে আমার সে ছবিগুলো রঙ্গিন হয়না। সপ্নগুলো কি সাদাকালো হয়?
ধন্যবাদ।
নিহারীকা জান্নাত
স্বপ্ন আসলে রঙিন হয়। আর সেই সোফায় বসতেই হবে। অবশ্যই আপনার সহযোগিতা দরকার 🙂
নাসির সারওয়ার
রঙিন সপ্নের একটা ভিডিও ক্লিপ পাঠান। সত্যতা যাচাই করতে হবে আর জানতে হবে আমি কেনো রঙিন সপ্ন দেখিনা।
সন্ধ্যা বেলা জোনাকিরা ঐ জায়গাটা আরও অনেক সৌন্দর্য নিয়ে আসে। আপনি চাইলেই যেতে পারেন।
নিহারীকা জান্নাত
আর লোভ দেখিয়েন না। পরে কিন্ত সত্যি সত্যি রওনা হয়ে যাবো। তখন কিন্ত বিপদে পড়ে যাবেন।
নাসির সারওয়ার
আরে না! কি বলেন!!
কবে যাচ্ছেন সেটুকু বললেই হোল।
আমার সেই ছোটবেলার বন্ধু আছেনা! সব গিয়ে তার মাথায় পরবে…।।
নিহারীকা জান্নাত
ভাই, আপনার বন্ধুর অনুমতি আগে থেকে নিয়ে নেয়া যায় না? পরে যদি আপনার বন্ধু থান ইট নিয়ে দৌড়ানি দেন তখন আপনি কোথায় পালাবেন আর আমরা কোথায় পালাবো? চিন্তার বিষয় ;?
নাসির সারওয়ার
বন্ধুর কাছে অনুমতি! এ কেমন কথা!!
কোন ভাবেই এটা চিন্তার বিষয় নয়। শুধু জানলেই হোল সে ওখানে আছে কি না।
আর ইটের কথা বলছেন, একটা ইটও এদিক ওদিক হবেনা। তাতেযে তারই লস! হে হে হে …
নিহারীকা জান্নাত
মনে বেশ বল পেলাম। এবার তাহলে ব্যাগ গুছাই গিয়ে \|/
নাসির সারওয়ার
গুছানোর হলে আওয়াজ দেবেন।
ছাইরাছ হেলাল
অনেক দিন পরে হলে লিখে আমাদের ওষ্ঠাগত প্রাণ ফিরিয়ে দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ,
চাতকপ্রাণ যায় যায় থেকে এক লম্ফে সটান, এমন লিখলে প্রাণ দড়ি দিয়ে বেঁধে খিলের আওতায় নেয়ে রাখব,
এতো জীবনেরই প্রতিচ্ছবি ইষ্টক ও ফুল, আমরা পাশাপাশিই বহন করি।
গুগল মামা আজকাল দেশ সুন্দর ছবি অকৃপণ ভাবেই দেয় দেখছি,
নাসির সারওয়ার
এমন মন্তব্যের প্রতিমন্তব্য লেখার ভয়েইতো লিখিনা (আসলে লেখতেইতো পারিনা)। আর যাইই করেন, প্রান দড়ি নয়। প্রানটা এখনই খোয়াতে চাইনা। কিছুইতো দেখা হলোনা এই সুন্দর ভুবনে।
আমারও তাই মনে হয়। কত কঠিন এবং কত সহজ অঙ্কের মাঝে আমাদের বসবাস। ভিন্ন ভিন্ন পথ, অথচ সমান্তরাল রেখায় চলার চেষ্টার কমতি কোথায়।
গুগল মামা আমাকে শুধু পচা পচা ছবিই দেয়। ভালো ছবি পেতে হলে কি কি করতে হয়!!!
মোঃ মজিবর রহমান
নাসির ভাই, এলেন অনেক দিন পরে সুন্দর শিশু মনের কৈতুহোল প্রশ্ন জা সবায় যদি অবসরে ভাবে এমন রসিক বেরসিক ভাললাগা গল্প উঠে আসবে। আপনাকে ধন্যবাদ।
নাসির সারওয়ার
আমার মনে হয়, শিশুদের সাথে নিঃস্বার্থ আড্ডা জমে যাতে কিছু হারাবার থাকেনা। অনেক ভালো একজন নিঃস্বার্থ বন্ধু ওরা। তবে তাই হোক, রসের দোকানে বেরসিক খদ্দেরই হই।
ভালো থাকুন।
নীলাঞ্জনা নীলা
এতোদিন পর! যাক তবু তো এলেন। নতুন বছরের শুভেচ্ছা।
বাবুর এতো প্রশ্ন-ভাবনা বড়ো আদুরে। তা পিচ্চির পাশে ঢাকা দেয়া ছবিটায় কে? ;?
নাসির সারওয়ার
লিখতে পারলে তো রোজই আসতাম! শুভ ২০১৭!
কতযে প্রশ্ন-ভাবনা চলছে, সে তো সব বলছেনা। বললেই লিখে ফেলবো …।
ঐ পিচ্চির পাশে কে আছে তা আমি কি জানি!!!! পিচ্চিকে জিজ্ঞেস করে জানাবোক্ষন।
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাইয়ূ পিচ্চি ঠিকই বলবে, কিন্তু খবরটা আপনি কি জানাবেন, সে নিয়ে সন্দেহ আছে। 😀
লিখতে পারেন বলেই বলি লেখার কথা। যারা লিখতে পারেনা, তাদের বলতে যাইওনা।
নাসির সারওয়ার
জানাবো, আমি শিশুদের সাথে মিশতে পারি। বুঝতে চেষ্টা করি ওরা কি বলতে চায়।
লিখতে পারলেতো লাফ-দাপ শুরু করতাম। লেখাতো এতো সহজ না! লিখতে চাইলে অনেক পড়তে হয়, এতো বেশ কঠিন আজকালের সময়…..
মৌনতা রিতু
গাছের গুড়ির সোফি সেট পছন্দ হইছে। দেওন যাইবে।
তাই তো! এতো ইট দিয়ে যদি এক শহর থেকে অন্য শহরে দেওয়াল হয় তাইলে তো মুশকিল।
ছোট মনে কতো যে প্রশ্ন।
ইট কাঠের যান্ত্রিক জীবনের পাশে একটুখানি ফুলের ছোয়া থাকলে বা দোষ কি
যাক, অনেকদিন পর লেখার সাথে কুবিতাও ফ্রি পাইলাম।
নাসির সারওয়ার
দেয়া যাবে, তবে নেবেন কি করে! হামযাকে ডাকতে হবেতো!!
মানুশজন আজকাল এক দেশ থেকে অন্য দেশকে দেয়াল দিয়ে আলাদা করছে আর আমরাতো শুধু জেলা ভাগ করতে চাচ্ছি।
এই যেমন আধার আলো, তেমনি শক্ত নরম এই ইট আর ফুল। ভালো।
আপনি ভালো খাদক তাই আপনি এই কোবতেও খেতে চাচ্ছেন, বাহ।
ভাল থাকুন।
ইঞ্জা
গাছের গুড়ির সোফা আর ফুল গাছ আমাকে টানছে ভাইজান, ঠিকানা দেন আইসসা পড়ি নাকি আপনি নিজেই মেহমান ছিলেন সেই বরিশাইল্লা ভাইজানের বাড়ীতে?
নাসির সারওয়ার
বেশী টানাটানি ভা্লু না। ছিঁড়রা যাইবো সবকিছু। তার চাইতে লাইনে থাহেন, দেহি কি করন যায়।
ইঞ্জা
অক্কে ভাইজান।
নাসির সারওয়ার
অপেক্ষায় থাকুন যা বেশ কঠিন বলেই জানি।
জিসান শা ইকরাম
জায়গা, গাছের গুড়ির সোফা, বাদাম গাছ, ফুল, ফল সবজী, ইষ্টক সবই কেন জানি চেনা চেনা লাগছে।
আমারও ইচ্ছে হয় এমন স্থানে যেতে, বাগানের মাঝে সোফায় বসে গাছের পাতার পাখার বাতাস খেতে
ফুলের পাপড়িতে হাত বুলিয়ে আদর করতে
তাজা সবজী, ফল তুলে নিয়ে রান্না করে খেতে,
তা ভাইসাব একখান প্রশ্ন জাগে মনে,
এই যে কঠিনের মাঝে সবুজের মিশ্রন, প্রানের স্পন্দন, এইটা কইর্যা লাভ টা কি?
নাসির সারওয়ার
আপনার চেনার কোনই সম্ভাবনা দেকছি না। এটা আমার গেদা কালের এক বন্ধু খুব যত্ন নিয়ে বানিয়েছে যেখানে পাথর শক্ত ইট আর মোলায়েম ফুল ফলের ছোঁয়া আছে। আছে উপচে পরা প্রকৃতির রূপ যা বেশ সাজানো গোছানো।
নিয়ে যাবো একদিন।
কঠিন প্রশ্ন যা আমাকেও খোঁচায়। কি হবে এসব দিয়ে, কেনই বা করছি এসব!!! তারপরও যা আছে তা থেকে যেনো ভালো লাগাটাই নিতে পারি। তবে সেই চেস্টাই থাক।
মৌনতা রিতু
মনে পড়ছে মনে পড়ছে, মুই না এখানে বইসা শব্দমালা গাঁথছিলাম একদিন। এইডা জিসান ভাইয়ার বাড়ি। আর সাদা দিয়ে ল্যাপটাইয়া দেছেন জিসান ভাইকে।
মুই পাস পাস মুই পাস পাস \|/ \|/ \|/
ইঞ্জা
মুই তো আগেই পাশ করছি গো আফা, উফরে দেহেন। :p \|/ \|/
নাসির সারওয়ার
@মৌনতা রিতু – আস্ত একখান ফেল। কারো বাড়িতে কি ইটের পাহাড় থাকে! আপনি ভুল জায়গায় ঢিল মেরেছেন।
নাসির সারওয়ার
@ ইঞ্জা – পাশ আর পাস, ফেল ফেল রব।
মৌনতা রিতু
;( ;( ;( ;( :@
নাসির সারওয়ার
চিল্লাইতেছেন নাকি হুদাই লাফাইতেছেন, বুঝলাম না!!
শুন্য শুন্যালয়
বাব্বাহ এট্টুকুন শিশুর মনে এত্তো এত্তো ভাবনা? তাইতো ইটের এই পাহাড়ের পাশে এতো এতো ফুলগাছ, এতো হিমেল হাওয়া, প্রকৃতির কেদারা এসব কী মানায়! কি জানি এই জায়গার মালিক মনে হয় নারকেলের মতো, উপরে শক্ত, ভেতরে নরম।
এতো এতো কি পেলো মামনি যে এক গাড়িতেও ধরেনা। আমায় নিয়ে গেলেই পারতে। লেখাটি কএকবার করে পড়ার মতোই কোমল।
থামা চলবেনা। আদর মামনিকে অনেক।
নাসির সারওয়ার
আমিও তাই বলি – কেউতো ইটের আঘাত খেতে চায়না, তবে ফুলের আঘাতের জন্য কত আকুলতা। ইট আর ফুল, দুটো একসাথে যায়ই না। আমিতো প্রকৃতির এই রূপ দেখে লেখায় আনতে পারিনা। তবে এই জায়গার মালিককে বলে কয়ে দেখি সে কি বলে।
আর বলোনা, আমরা, কচুর লতি, হরেক রকম শাঁখ, বেগুন, লেবু, চিরচিঙ্গা, আরো কত যার নামই আমি জানিনা। সত্যি সত্যি এক গাড়িতেও ধরেনি যা আলাদা ভাবে সব পাঠিয়ে দিয়েছিলো। মা আবার বেছে বেছে তার পছন্দ মত সব কিছু লঞ্চে উঠিয়েছে। সে এক দেখার মত ব্যাপার। কাউকে বোলনা, ওগুলো লঞ্চ থেকে নামাতে বাবাকে কিন্তু বেশ ভুগতে হয়েছে।
আমি থামবার মানুষই নই। আমিতো জাস্ট শুরু করলাম। হে হে হে …।
নাসির সারওয়ার
আমিও তাই বলি – কেউতো ইটের আঘাত খেতে চায়না, তবে ফুলের আঘাতের জন্য কত আকুলতা। ইট আর ফুল, দুটো একসাথে যায়ই না। আমিতো প্রকৃতির এই রূপ দেখে লেখায় আনতে পারিনা। তবে এই জায়গার মালিককে বলে কয়ে দেখি সে কি বলে।
আর বলোনা, আমরা, কচুর লতি, হরেক রকম শাঁখ, বেগুন, লেবু, চিরচিঙ্গা, আরো কত যার নামই আমি জানিনা। সত্যি সত্যি এক গাড়িতেও ধরেনি যা আলাদা ভাবে সব পাঠিয়ে দিয়েছিলো। মা আবার বেছে বেছে তার পছন্দ মত সব কিছু লঞ্চে উঠিয়েছে। সে এক দেখার মত ব্যাপার। কাউকে বোলনা, ওগুলো লঞ্চ থেকে নামাতে বাবাকে কিন্তু বেশ ভুগতে হয়েছে।
আমি থামবার মানুষই নই। আমিতো জাস্ট শুরু করলাম। হে হে হে …।
সাবিনা ইয়াসমিন
বন্যেরা বনে সুন্দর শিশু সুন্দর মায়ের কোলে..
এই পর্বে এসে এই কথাটি আবারও স্বরণ হলো। পৃথিবীর সব আরামদায়ক বিছানা অবহেলিত মায়ের কোল-বিছানার কাছে। তাইতো ঘুম ভেঙেই আগে নিজের বিছানাটির খোঁজ নেয়া হয়েছে!
ফুল ছিড়ে ফেলার পর ওর মা (গাছ) নিশ্চয়ই কষ্ট পেয়েছে! আহা, এমন করে যদি সবাই ভাবতো তাহলে হয়তো কোন ফুলকেই ফুলদানির শোভাবর্ধক হতে হতো না, নিজ নিজ মাতৃকোলেই (গাছে) সবাই মাটির আকাশে নক্ষত্র হয়ে হাসতো।
নাসির সারওয়ার
এভাবে সবাই বুজতে পারেনা বা বুজতে চায়না। আপনার দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন মাত্রার। ভালো থাকুন।
নোটঃ এতো পুরানো লেখা পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।