মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবময় অধ্যায়। মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসী যুদ্ধ , ৩০ লক্ষ শহীদের রক্ত , ২ লক্ষ মা-বোনের আত্মত্যাগ , এক কোটি জনতার শরণার্থী জীবন এবং বিপুল ক্ষয়ক্ষতির মাঝ দিয়ে আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন দেশ। এই যুদ্ধে কিছু রাজাকার , আলবদর , আলশামস ব্যতীত সমগ্র বাঙালী জাতি একপ্রান এক আত্মা হয়ে লড়াই করেছে। আমাদের এই মুক্তিযুদ্ধে আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন বিদেশী কিছু মানুষ । জন্মগত ভাবে বিদেশী হয়েও তাঁরা অপার মমতায় আমাদের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।
আর এদেশে জন্মনিয়ে , এদেশের আলো বাতসে বড় হয়ে কিছু মানুষ নামের পশু রাজাকার , আলবদর , আল সামস হয়ে দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। দেশের শ্ত্রু এই সব কুসন্তানদের বিচার চাই ।
যে সমস্ত বিদেশী বন্ধু আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আমাদের পাশে এসে দাড়িয়েছিলেন , তাঁদেরকে জানাই আন্তরিক শ্রদ্ধা । এমন কিছু বিদেশী বন্ধুদের এবং দেশী শত্রুদের কথা জানাবো ধারাবাহিক ভাবে ।
উইলিয়াম এ . এস ওডারল্যান্ড ( বীর প্রতীক )
জন্ম : ৬ ডিসেম্বর ১৯১৭ , মৃত্যু : ১৮ মে , ২০০১ ।
বাংলাদেশের স্বাধিকার আদায়ের সংগ্রামে অবদান রাখা বিদেশীদের মধ্যে অন্যতম ব্যতিক্রম হলেন উইলিয়াম এ এস ওডারল্যান্ড। সামনা-সামনি যুদ্ধক্ষেত্রে সাহসী ভূমিকা রাখার জন্য তাঁকে বাংলাদেশ সরকার বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করেন। তিনি এই খেতাব-প্রাপ্ত একমাত্র বিদেশী ।
বাটা সু কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে চাকরীর সুবাদে বাংলাদেশের যে কোন স্থানে তাঁর ছিল অবাধ যাতায়াত। পাকিস্থান সেনাবাহিনির ২২ বেংগল রেজিমেন্টের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট ক্রনেল সুলতানের সাথে প্রথমে এবং এরপর একে একে সেনাবাহিনীর আরো কয়েকজনের সাথে সখ্য জমিয়ে ফেলেন তিনি। এ সুযোগে পাকিস্থান সেনাবাহিনীর সব ধরনের নিরাপত্তা পাস পেয়ে যান । অবাধ মেলামেশার সুযোগে সব ধরনের তথ্য , সেনাবাহিনীর তৎপরতা ও পরিকল্পনা গোপনে পাঠাতে থাকেন মুক্তিযুদ্ধের ২ নম্বর সেক্টর হেডকোয়ার্টারে । একই সাথে বাটা সু কোম্পানীর কারখানা প্রাংগ্নে স্থাপন করেন মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য গোপন ক্যাম্প।
মুক্তিযোদ্ধারা তাঁর কারখানায় আশ্রয় নিয়ে আশেপাশে গেরিলা অপারেশন চালাতে থাকেন । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সাবেক এই অস্ট্রেলিয়ান যোদ্ধা মুক্তিযোদ্ধাদের অস্র সংগ্রহ , চিকিৎসা সামগ্রী , আর্থিক ও প্রশিক্ষণ সাহায্য দিয়ে সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করেন ।
সৌজন্যে : মার্কেন্টাইল ব্যাংক।
১১টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
স্যালুট বিদেশী এই বীর প্রতীককে ।
এই বিদেশী বন্ধুদের সাথে , দেশী শত্রুদের এক সাথে পোস্ট দিলে কই ভালো দেখাবে ? শত্রুদের জন্য আলাদা পোস্ট হলে মনে হয় ভালো হয়। এটি শুধুই পরামর্শ ।
ধন্যবাদ পোস্টের জন্য।
সৌজন্যে : মার্কেন্টাইল ব্যাংক। এটার মানে কি ? চাকরী ?
শিশির কনা
বন্ধু এবং শত্রু এক সাথেই দেখুক সবাই । যে যুদ্ধে বিদেশী বন্ধুরা আমাদের পাশে দাড়ান আর সে যুদ্ধে এদেশী কিছু শত্রু দেশের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়।
মারকেন্টাইল ব্যাংকের ক্যালেন্ডার থেকে এসব ছবি এবং লেখা নিচ্ছিঃঐ ব্যাংকে চাকুরিও তো করতে পারি আমি 🙂
লীলাবতী
কত মানুষ আমাদেরকে যুদ্ধের সময় সহযোগিতা করেছেন। শ্রদ্ধা এই বিদেশী বীর প্রতীককে ।
শিশির কনা
আমরা যেন ভুলে না যাই এই সব বন্ধুদের।
প্রজন্ম ৭১
স্যালুট এই বিদেশী বন্ধু বীর প্রতীক উইলিয়াম এ . এস ওডারল্যান্ড কে ।
শিশির কনা
বিদেশী বন্ধুরাও আমাদের জন্য ছিল আশীর্বাদ ।
জিসান শা ইকরাম
আচ্ছা , একত্রেই দেখুক ।
শিশির কনা
🙂
শিশির কনা
জিসান ভাই , বিদেশী বন্ধু আর দেশী শত্রু আলাদা আলাদা ভাবেই দেই 🙂
যাযাবর
স্যালুট আমাদের বিদেশী এই বন্ধুকে।
শিশির কনা
কত বিদেশি বন্ধু ছিলেন ঐ সময়ে আমাদের। স্যালুট তাঁদেরকে ।