সবাই তাদের মাকে মা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছে.
আমি জানাইনি তার কারন বলবো না তবে আমার মা বাদ দিয়ে পৃথিবীর সকল মমতাময়ী মায়েদের বাশি মা দিবসের শুভেচ্ছা ভালো থাকুক সব মায়েরা তাদের নিজ নিজ পরিবার নিয়ে……
যে মানুষ মাকে ভালোবাসে না..
মাকে শ্রদ্ধা করে না… মাকে বোঝা মনে করে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দেই তারা আমার কাছে মানুষ বলে মনে হয় না তাদের কি নাম দেওয়া যাই সেইটা ও আমি জানি না….. তবে মানুষ না এইটাই আসল কথা … মানুষ ই যদি হতো তবে মনুষ্যত্ব থাকতো আর মনুষ্যত্ব থাকলে একজন মাকে বৃদ্ধাশ্রমে রাখতো না মাকে বোঝা মনে করতো না…. এই মায়ের কারনে আজ পৃথিবীর আলো দেখেছে সেইটা ভুলে যেতো না.. এই মমতাময়ী মা ১০ ইঞ্চি ২ টা ইটের ওজন সমান সন্তান কে গর্ভ ধারন করে ১০ মাস ১০ দিন অসহ্য বাথা সহ্য করেছে সেইটা ভুলে যেতো না প্রসব যন্ত্রণা সহ্য করে অসুখ হলে রাত জেগে লালন পালন করেছে সেইটা ভুলে যেতে পারতো না…. এই সব সন্তান দের কি নাম দেবো????
অমানুষ
মনুষ্যত্ব হীন
নাকি শিক্ষিত ডিগ্রিধারী বিবেকহীন!!!!
আমাদের এই বাংলাদেশের এখনো গ্রাম অঞ্চলে সবাই ৫১ বতী পরিবার নিয়ে থাকে…
কিন্তুু আমাদের শহর গুলো তে দেখি তার বিপরীত চিত্র … এইখানে পরিবারের মা বাবা কে বোঝা মনে করে পশ্চিমা সমাজের মতো তারা তাদের মাকে বৃদ্ধাশ্রমে দিয়ে আসে… তারা সেই চার দেয়ালের মাঝে নিরবে গুমরে গুমরে চোখের পানি ফেলে কেউ তাদের সেই কান্না শুনে না … চোখের পানি মুছে দেইনা.. তারা তাদের পরিবারের মানুষের মুখখানা দেখার জন্য জানালা ধরে দাড়িয়ে থাকে কেউ আসেনা তাদের দেখতে আর যদিও আসে এক আধ বার তা ও তাদের ঐ কষ্টের কারাগারে থাকার খরচ দিয়ে চলে যাই.. একটু সময় হয়না তাদের সাথে কথা বলার… কিন্তুু সেই মানুষ টার ইচ্ছে হয় তাদের সন্তান নাতি নাতনীদের নিয়ে আনন্দে জীবনের শেষ সময় টা কাটিয়ে দিতে…কিন্তুু তাদের সেই ইচ্ছে টা জোর করে মেরে ফেলে তাদের ই সন্তান … এই ইচ্ছে হত্যা এখন আমাদের সমাজে অহরহ ঘটে যাচ্ছে আর নিত্য নতুন বৃদ্ধাশ্রম নামে কষ্টের কারাগার তৈরী হচ্ছে …. আর আমরা শুশীল সমাজের শুশীল শিক্ষিত মানুষ গুলো তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে আর মনে মনে একটু আফসোস করে আবার নিজের ধান্ধায় ব্যাস্ত হয়ে যাচ্ছে……এইখানে মানবাধিকার লংঘন হচ্ছে না এইখানে মানবাধিকার কর্মী গুলো নিশ্চুপ থাকে… কারো কিছু যাই আসেনা …. আর ঐ বৃদ্ধাশ্রম নামধারী কষ্টের কারাগারের চার দেয়ালে হাজার হাজার চাপা কাঁন্নায় দেয়াল ভারি হচ্ছে ….. আর যে দিন এই মা দিবস বাবা দিবস আসে সেই দিন তাদের তাদের মা বাবার প্রতি ভালোবাসা উতরাই উঠে….প্রতিদিন কি তাদের ভালোবাসা যাই না দিবস দেখে কেন ভালোবাসা দেখাতে হবে?? ধিক্কার এইসব ভালোবাসার …… আর কিছুই বলার ভাষা নেই..
পরিশেষে আর একটা কথার উত্তর আপনাদের কাছে জানতে চাই….. দয়া করে উত্তর দেবেন!
প্রশ্ন টা হলো যে সকল মা বাবা তাদের সন্তান কে জন্ম দিয়ে তাদের ফেলে রেখে চলে যাই তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ঠেলে দেই তাদের কি নাম দেয়া যাই?? তাদের সন্তানরা যে তাদের কারনে নষ্ট হয়ে যাই সমাজ সমাজ তাদের নষ্ট ছেলে উপাধি দেই..তারা হতাশায় ভুগে নেশা সহ আরো খারাপ কাজে জড়িয়ে যাই তাদের কেন সমাজ গ্রহন করে না তাদের কেন ঘৃনা করে সমাজের শুশীল মানুষ গুলো…??? তাদের অপরাধ কি?? কেন আজ তারা নষ্ট খারাপ মানুষ ….. আছে কোন জবাব???
১৫টি মন্তব্য
শুন্য শুন্যালয়
কোন মা বাবাই কি চায় সন্তানকে ফেলে যেতে ? হয়তো কোন কারন থাকে, সব প্রশ্নের উত্তর তো জানা নেই। বাবা-মা র মায়া মমতায় বড় হওয়া সন্তানরাও তো ভুল পথে যায়। নিজের একটাই জীবন তাকে সবার শ্রদ্ধা করা উচিত, ভালো থাকুক সবাই, কেউ যেন নস্ট মানুষ না হয়।।
জিসান শা ইকরাম
যারা সুযোগ থাকা সত্ত্বেও মা বাবাকে দূরে সড়িয়ে রাখে তাদের মত হতভাগা আর নেই ।
তাদের সন্তানরাও শিখছে একটা , এটা অবধারিত যে তাদেরও একদিন বৃদ্ধাশ্রমে যেতে হবে ।
শেষের প্রশ্নের উত্তর দিতে আমি পারবো না আসলে ।
তবে খারাপ লাগে তেমন সন্তানের জন্য
শুভকামনা জানাই আন্তরিক ভাবে এমন সন্তানকে ।
ভালো থাকুক সে ।
ছাইরাছ হেলাল
প্রশ্নের উত্তর দিতে পারব না ।
তবে এটি বলতে পারি জীবন যেহেতু একটাই ,অতএব এটি মূল্যবান ।
তাই এর যত্ন নিতে হবে সকল দুঃখ যন্ত্রণার মাঝেও ।
অনেক কাল পরে দেখেও ভালই লাগে ।
লীলাবতী
পশ্চিমা হাওয়া এসে লেগেছে আমাদের দেশেও । মা বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানোকে ঘৃনা করি খুব। আর যে জবাবটি আপনি চাচ্ছেন , তা আপনার মাঝেই আছে । নইলে এমন প্রশ্ন করতেন না । এমন সন্তান যদিও হতাশার মাঝে থাকা স্বাভাবিক , তারপরেও তাঁর উচিৎ ঘুরে দাঁড়িয়ে নিজকে হতাশা থেকে তুলে আনা ।
অপরাজিতা সারাহ
মা বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানোটা সত্যিই লজ্জাজনক।তারপরেও যে দেশে বায়েজিদ জন্মে সে দেশেই এইরকম কুলাঙ্গারেরাও জন্মে।
আর আপনার শেষ প্রশ্নের উত্তরে বলি,কোন বাবা-মা-ই খারাপ না।আসলে যতক্ষন না আমরা বাবা মা হই ততক্ষন আমরা বুঝি না তার জীবনটা কেমন ছিল,কেন সে সন্তান জন্ম দিয়ে ফেলে গেল।প্রত্যেকটি মানুষেরই একটি ব্যাক্তিগত জীবন থাকে,আমরা ভুলে যাই আমার মা কিংবা বাবা,তারাও কারো না কার প্রেমিক,স্বামী কিংবা স্ত্রী।তাদেরো নিজস্ব অনুভুতি আছে,জীবন আছে।কখনো কখনো সেই কষত থেকেই হয়ত তারা বাধ্য হয় এমন সিদ্ধান্তে আসতে।তাকে ধিক্কার না দিয়ে আসলে তার অক্ষমতাকে বুঝে তাকে জাজ করাটাই আমি সঠিক বলে মনে করি।তবে এটাও ঠিক,যে দেশে রাম,সে দেশেই রাবন…সুতরাং,ব্যাতিক্রম কিছু তো থাকেই।সেক্ষেত্রে আমার বলার কিছু নেই।ব্যাতিক্রম কখনো উদাহরন হতে পারে না।
শুভ কামনা।
খসড়া
সন্তান মা ফেলে দেয় না। সেই মা কুমারী হোক বা বিবাহিত। তাকে বাদ্ধ করে অথবা তার অজ্ঞাতে এটা হয়। একই অপরাধের শাস্তি মেয়েরা পায় ছেলেরা নিঃস্পাপ থাকে। এই বৈষম্যের দায় পুরুষ শাসিত সমাজ ও ধর্মের। এর উত্তর এই ধর্মের /সমাজের ধারক বাহকেরাই দেবে।যারা নারীকে ভোগ করে পৌরষাঙ মুছতে মুছতে সেই নারীর বিচার করে রায় দেয় গণধর্ষনের,হিল্লাবিয়ের,দোররার, একঘরে করার। তাদের ধর্মই তাদের রক্ষা করে।
নিশিথের নিশাচর
সবাই কে অসংখ্য ধন্যবাদ উত্তর দেবার জন্য… ^_^
পুষ্পবতী
যারা বৃদ্ধ বাবা মা কে বোঝা মনে করে তাদের বেচে থাকার কুনো অধিকার নাই,তারা মানুষ না ,
মা বাবা সন্তানের ভালো চায় সবসময় ,কেউই চায়না সন্তান কষ্ট পাক ,মানুষের জীবনটা অনেক জটিল ,পরিবেশ পরিস্থিথি অনেক সময় অনেক কিছু করতে বাধ্য করে ,তাই বলে মা বাবা কে খারাপ ভাবতে নাই।
বনলতা সেন
এতদিন পর লিখলেন তাও আবার উত্তর দিচ্ছেন না ।
নিশিথের নিশাচর
আমি সবার কাছে ক্ষমা চাইছি … আমার পিসি না থাকার কারনে আমি উত্তর দিতে পারছি না…আমাকে সবাই ক্ষমা করবেন … পিসি ঠিক হলে আমি আবার রেগুলার হবো ইনশাআল্লাহ …কেউ রাগ করবেন না…. প্লিজ
ধন্যবাদ সবাইকে লিখাটা পড়ার জন্য আর ভালো থাকবেন ….
নিশিথের নিশাচর
শূণ্য শূন্যালয় আপনি ও প্রশ্ন করলেন আমি একটা প্রশ্ন করি, সন্তান কে ফেলে যাওয়া টাই কি খুবই প্রয়োজন ছিলো? যাইহোক এটাও যেমন সত্যি মায়া মমতায় বড় হওয়া সন্তান খারাপ পথে যায় আর বাবা মা হীন সন্তান আর কি হবে বলুন? বাস্তব বড় কঠিন! !!
নিশিথের নিশাচর
দাদা শেষের উত্তর কেউই দিতে পারে না. … আফসোস তো এখানেই!
নিশিথের নিশাচর
হেলাল ভাই. … কোন সাজানো কথাই বাস্তব জীবনে কাজে আসে না! বাস্তব বড় কঠিন!
দেখে ভালো লাগলো আমার ও জেনে ভালো লাগলো 🙂
নিশিথের নিশাচর
লীলাবতী আপনার শেষের কথা গুলো কেউ কেউ পারে কেউ কেউ পারে না
..
নিশিথের নিশাচর
অপরাজিতা সারাহ্ আপনাকে ধন্যবাদ ..কিন্তুু আপনি যেভাবে বলেছেন তাদের ব্যাক্তিগত জীবন আছে ভালো কথা কিন্তুু তারা তাহলে সন্তান জন্ম দিয়ে যাই কেন? আগে গেলে তো কোন প্রবলেম হয় না….