উদাসী সন্ধ্যা নামছে গড়াইয়ের বুকে কুয়াশার ডানায় ভর করে ধীরে ধীরে।
দাড়িয়ে আছি মাকে নিয়ে,এই সন্ধ্যায়,মাকে নৌকায় চড়াব বলে।
মাঝি, ও…… ও…… ও…… ও মাঝি ভাই,নৌকা ভেরাও,
আমি একাত্ম,ডাকছি তোমাকে।
জলদি এসো,মাকে নিয়ে অপেক্ষা করছি যে;
আমার মা নৌকার গলুইয়ে বসবে নদীজলে পা ভিজিয়ে,কোমল জলের ঘ্রাণ নিয়ে
হাত দিয়ে খেলবে কাটাকুটি খেলা এই ঘোলা জলে,আমিও বৈঠা নেব শক্ত হাতে।
এসো এসো,এসো বলছি।
মাঝিটা দেখছি অন্ধ,কালা-বোবা। দেখে না বোঝে না,শোনেও না।
মা,মা আমার,কেঁদো না।
দেখে নিও,স্যাঁতস্যাঁতে পাতাল খুঁড়ে হলেও একদিন আমি বড় হবো,অনেক বড়।
তোমাকে নিয়ে ভাসব নৌকায়,রঙিন পাল তুলে।
নৌকা হয়ে ভেসে বেড়াব তোমাকে নিয়ে,এই গড়াইয়ের বুকে,অনেক ভালোবেসে,
ছুঁয়ে ঐ সবুজের দিগন্ত রাজহাঁসের বেশে।
৩৪টি মন্তব্য
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
মা কে নিয়ে অনুভূতি সবার মনে হয় একই।ভাল লাগল যেনে যে এখনও মায়ের আদরেঁ আছেন।
ছাইরাছ হেলাল
এক সন্তান তার মাকে ভালোবাসা জানাচ্ছে। মায়ের আদর অনন্য।
অরণ্য
“একদিন আমি বড় হবো,অনেক বড়” – সব মায়েরাই তাই বলে। আমার মাকে মনে পড়ল। অডিও অপশন থাকলে আরও ভাল লাগতো। আপনার মাকে সালাম। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
সালাম সব মাকে।মাকে সন্তানেরা অশেষ উচ্চতায় দেখে।
সোনিয়া হক
একাত্মর স্বপ্ন পুরন হোক, সে যেন জীবন নৌকার সফল মাঝি হতে পারে। যে নৌকায় মাকে নিয়ে যাবে বহু দূর।
ছাইরাছ হেলাল
একাত্ম তার স্বপ্নের নৌকা খুঁজে পাক, মাকে নিয়ে আনন্দে ভেসে বেড়াক গড়াইয়ের বুকে
এই কামনাই করি ।
নুসরাত মৌরিন
“দেখে নিও,স্যাঁতস্যাঁতে পাতাল খুঁড়ে হলেও একদিন আমি বড় হবো,অনেক বড়।
তোমাকে নিয়ে ভাসব নৌকায়,রঙিন পাল তুলে”।
সেদিন যেন একদিন আসে-এই শুভকামনা রইলো।
ছাইরাছ হেলাল
স্বপ্ন সফলতায় বিশ্বাস করি। এই স্বপ্ন দিনের অপেক্ষায় থাকি ।
শুন্য শুন্যালয়
একাত্মর মা দেখছি অনেক ভাগ্যবতী। নদীর ঘোলা জলে কাটাকুটি খেলতে দেখছি এলোকেশী মা কে, আর ছোট্ট একাত্ম নৌকা হয়ে ভেসে বেড়াচ্ছে।
লেখায় আপনাকেও ঠিক অই ছোট্ট একাত্মর মতো মনে হচ্ছে।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার মত দেখার চোখ হলে আরও কত কিছুইনা দেখতে পেতাম।
এই আবার পিচ্ছি -পাচ্চা হলাম কখন!
শুন্য শুন্যালয়
আপনি হচ্ছেন বুড়ো পিচ্চি।
ছাইরাছ হেলাল
জ্বী,ম্যাম।
শুন্য শুন্যালয়
ভাইয়া অবেশেসে সফলতার দেখা মিললো, জানি দোয়া করেছিলেন। ধন্যবাদ দিয়ে আরো পিচ্চি বানালাম না। ভালো থাকবেন।
ছাইরাছ হেলাল
সাফল্য ,তা যদি হয় স্বজনের ,আনন্দ বেড়ে যায় বহুগুণ।
ইট্টু চা খাইয়ে দিয়েন স্যার।
শুন্য শুন্যালয়
ইট্টু চা তেই চলবে? চা এর সাথে টাও হবে, আপনার জানু রাত্রিকেও দাওয়াত, তবে আগে ফাইনাল টা উৎরাতে দিন জনাব। এতো তারাতারি দোয়া বন্ধ করে দিলে হবেনা।
ছাইরাছ হেলাল
ইস্ জানুর কথা মনে করালেন, সে তো ভেগেছে। দড়ি নিয়ে খুঁজছি।
ইট্টু চা চাইলাম তা আবার ফাইনালের কথা বলে ঝুলিয়ে দিলেন!
দুয়া চালু থাকপে।তবে শুকনো মুখের দুয়া কিন্তু সেরাম হপে না।
শুন্য শুন্যালয়
দড়ি নিয়ে ভালো করেছেন, এরপর খুঁজে পেলে সোজা খোঁয়াড়ে।
আপনি এতো চা চা করছেন কেনো? ঘুটা মেশিনের চা খেয়ে পুরাই কাত হয়ে আছেন বুঝতে পারছি।
দুয়া সেরাম না হলে কিন্তু সব দোষ কিন্তু আপনার উপরও যাবে। চা চড়িয়েছি চুলায়, তবে কবে রান্না শেষ হবে জানিনা। অপেক্ষা করুন।
জিসান শা ইকরাম
লেখাটি পড়ে একাত্মর সাথে একাত্ম হয়ে গেলাম।
মাকে নিয়ে একাত্মর স্বপ্ন বাস্তব হোক।
ছাইরাছ হেলাল
প্রতিটি সন্তান থাকুক দুধে-ভাতে, একজন মা ও তা চায় মনে প্রাণে।
একাত্ম’র স্বপ্ন পুরন হোক ,আমিও তা চাই।
মোঃ মজিবর রহমান
মা মা মা
অসাধারণ।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই মায়েরা অসাধারণ।
খেয়ালী মেয়ে
একাত্ম আপনার মায়ের সাথে আমারও যাবার লোভ হচ্ছে রঙিন পালতোলা নৌকায় চড়ার জন্য..
ছাইরাছ হেলাল
শুধু আপনার না,আমার ও ঐ নৌকায় চড়তে ইচ্ছে হচ্ছে খুউব।
খেয়ালী মেয়ে
আমাকে নিবেন কিনা সেটাতো বললেন না 🙁
ছাইরাছ হেলাল
দাঁড়ান, দাঁড়ান ,একাত্ম কে একটু জিজ্ঞেস করে আসি।
সায়ন্তনু
আগে বুঝতাম কঠিন লেখা পড়ে মন্তব্য করা কঠিন। এখন দেখছি সহজে লেখা পড়ে মন্তব্য করা ও কঠিন।কোথায় যেন হৃদয় ছুঁয়ে যায়।
ছাইরাছ হেলাল
কঠিন বলে কিছু নাই।যা মনে হবে তাই লিখে দেবেন।
স্বপ্ন নীলা
যখন লেখাটি পড়ছিলাম তখন আমি সম্পূর্ণরূপে লেখার ভিতর ডুবে গিয়েছিলাম –অসাধারণ সাজানো গোছানো,,, সুন্দর সাবলীল –মায়ায় ভরে আছে সারাটি লেখার গায়ে —মাকে নিয়ে এত সুন্দর করে লিখেছেন যে মনের ভেতর শ্রদ্ধা আর ভালবাসা জেগে উঠছে মার জন্য ———
ছাইরাছ হেলাল
ভুলে গেলেও আবার মনে করেছেন তাতেই আনন্দিত।
মায়েরা চিরকালীন মায়ের মতই হয়।
ওয়ালিনা চৌধুরী অভি
আমার চোখে জল। কী করে লেখেন! একাত্ম আমার একাত্ম।
ছাইরাছ হেলাল
আহারে,আপনি জানেন আমি যেমন করে ভাবি তাই ই লিখি।
একাত্ম কে অনেক আদর জানাচ্ছি।
শিশির কনা
একাত্মর স্বপ্ন পুরন হোক। অনেক দিন পরে এসে এমন লেখা পড়ে মন ভালো হয়ে গেলো।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার মন ভাল হয়ে গেছে জেনে আমার ও ভাল লাগছে।
এভাবে আমাদের ভুলে থাকা কিন্তু ঠিক না।
ইয়াগনিন সুলতানা
মা কে মিস করছি এখন খুব বেশি 🙁 অনেক সুন্দর