আমরা ‘ মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব’ বলে আত্মপ্রসাদ লাভ করি সব সময়ই। অথচ আমাদের দেশের মানুষদের প্রতি দৃষ্টি দিলে এ কথাটির অসারতা প্রায়ই অনুভব করি। মানুষে মানুষে বিভেদ, হানাহানি, হিংস্রতা দেখে নিজকে এদের কাতারে দার করতেও কেমন অস্বস্তিবোধ হয়।
কি করছি না আমরা মানুষ হয়ে? রোজার বাজার লক্ষ্য করে সম্প্রতি কিছু মানুষ বিদেশ থেকে অনেক পূর্বের মেয়াদ উত্তীর্ন মহিষ, ভেড়া গোস্ত এবং মাছ আমদানী করেছে কয়েক হাজার মন। যা একটি কোল্ড স্টোরেজ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এবার না হয় উদ্ধার করা হয়েছে, গত বছর বা তার আগের বছর যে এমন মেয়াদ উত্তীর্ন গোস্ত এবং মাছ যে আমাদের খাওয়ানো হয়নি তার নিশ্চয়তা কি?
নকল দুধ প্রস্তুত হচ্ছে পচা গুড়ো দুধ, সেম্পু, সোডা দিয়ে। খাচ্ছিও আমরা এই দুধ। মুরগীকে খাওয়ানো হচ্ছে ট্যানারীর ফেলে দেয়া বর্জ। কিছুদিন পূর্বে একটি পল্ট্রী ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ এ অভিযান চালিয়ে অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পল্ট্রি ফুডের কাঁচামাল এর কথা জেনে মুরগী খাওয়াই বাদ দিয়েছি বলতে গেলে। শুধু গরুর গোবর রোদে শুকিয়ে মেশিনে গুড়ো করে প্যাকেট করা হয় এই পল্ট্রি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ এ। এরা গত কয়েক বছর এই প্রডাক্ট বাজারে বিক্রি করছে।
প্রতারনা, মানুষের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা, খুন, ধর্ষন, আগুনে পুড়িয়ে মারা সহ যাবতীয় অনৈতিক কর্মকাণ্ড আমরা মানুষই করছি।
দেশে দেশে যুদ্ধ, মানুষ হয়ে অন্য মানুষকে নিশ্চিহ্ন করা এখন যেন স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তারপরেও আমরা মানুষের উপর আস্থাশীল থাকি, ভালোবাসি মানুষকে। প্রকৃত মানুষ হয়ে সৃষ্টির সেরা জীব হবার প্রাণপন চেষ্টা আমাদেরই করতে হবে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য মানুষ্য বসবাস উপযোগী একটি নিরাপদ এবং বিশুদ্ধ বিচরণ ভূমি তৈরী করার সর্বাত্মক চেষ্টা আমরাই করবো।
====================================================================
এই ছবিটি দেখলে মনে হয় না এটি প্রাচীন কোন নিখুঁত স্থাপত্য? আমি নিজেও এই ভুলটা করতা্ম যদি না আমি এই ভিডিওটি দেখতাম। একজন অতি প্রিয় বন্ধু একটি ভিডিওর লিংক দিলো গতকাল।একটি মাছের সৃষ্টিকর্ম দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছি। এই শিল্প কর্মটি একটি ছোট মাছের। মাছটি তার দুটো ছোট পাখা দিয়ে বালু সরিয়ে এটি করেছে। কেন মাছ এমন করে? মাছদের মধ্যেও তাহলে শিল্পী আছে? এই শিল্পকর্মের সমঝদার কি কেবল মাছেরা? কতটা চিন্তা শক্তি এবং ক্রিয়েটিভিটি থাকলে মাছটি এমন করে অদ্ভুত সুন্দর নিখুঁত একটি শিল্প তৈরী করতে পারে!
বন্ধুটি আজ আরো কয়েকটি ভিডিওর লিংক দিয়েছে। এই ভিডিওটি দেখুন। একটি কুকুর তার অন্ধ মনিবকে সব কিছু হাতে এনে দিচ্ছে। তোয়ালে, সেন্ডেল, কাপড় শুকানোর হ্যাংগার ইত্যাদি। প্রয়োজনীয় সব কিছুই মুখে কামড়ে এনে মনিবের একদম হাতে এনে দেয়। মানব শিশু সন্তানকে খেলনা এনে দেয়। শেষ অংশে আছে, অন্ধ অসুস্থ একজন নারীকে বলতে গেলে ধরে বাড়ির বাইরে নিয়ে যাচ্ছে। কতটা মমত্ববোধ থাকলে এটি করা সম্ভব তা এই ভিডিওটি না দেখলে অনুধাবন করা সম্ভব নয়।
আর একটি ভিডিও দেখুন। সিংগাপুরের এক অন্ধ নারীর পথ প্রদর্শক একটি কুকুর। কুকুরের গলায় একটি বেল্ট বাঁধা। রাজপথ ধরে হেঁটে যাচ্ছে কুকুরের পিছনে পিছনে সেই নারী। কুকুর তাঁকে শপিং মলে নিয়ে যায়, বাসায় ফিরিয়ে আনে। এই ভিডিও বর্ননায় জানলাম যে নিউ ইয়র্কের নাইন ইলেভেনের টুইন টাওয়ার হামলার সময় একটি কুকুর তার অন্ধ মনিবকে ১৭ তম তলা থেকে নিরাপদে নামিয়ে এনেছে।
আমরা শিখছি কার কাছ থেকে? অন্যান্য জীব কি আমাদের কাছ থেকে শিখছি? নাকি জীবদের কাছে আমরা শিখছি। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব ঠিক আছে, তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অন্য প্রাণীরা মানুষের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। ঝড় বাদল বন্যার আগাম খবরের জন্য কত যন্ত্রপাতি, সফটওয়্যারের উপর নির্ভর করি। অথচ সামান্য এক পিপড়া এই আবহাওয়ার খবর আগেই পেয়েই যায়, যেন মহাকাশে স্থাপিত কৃত্রিম উপগ্রহ, রাডার, কম্পিউটার সবকিছুই পিপড়ার মস্তিস্কে স্থাপিত হয়েছে একদম আপডেট ভার্সনের। মানুষের স্থাপিত যন্ত্রপাতি সমূহে মাঝে মাঝে ভুল বার্তা দিলেও, পিপড়ার বার্তা একশত ভাগ নির্ভুল।
২২টি মন্তব্য
মাহমুদ আল মেহেদী
আমরা আবার মানুষ হব এ আশা মানুষই করতে পারে । আশায়ই তো বেঁচে আছি আমরা । অনেক ভালো লাগলো লেখাটা ।আশাজাগানিয়া ।
জিসান শা ইকরাম
আমরা যেন প্রকৃত মানুষ হতে পারি।
শুভ কামনা।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
মানুষ শ্রেষ্ট জীব এটা কেবলি কথার কথা…আমার কাছে কেন জানি মনে হচ্ছে এ কথাটি আমাদের মনগড়া ধর্মীও কথা।তা না হলে শ্র্রেষ্ট্রত্বের সজ্ঞাই আমরা জানি না।সম্ভবত সময় কথা বলবে কে বা কারা শ্রেষ্ট।বিশাল একটি বিষয় খুব অল্প ভাষায় খুব সুন্দর করে লিখেছেন।ভিডিওগুলোও দেখে ভাবতে বসলে মাথার চুল একটাও থাকবে না।
জিসান শা ইকরাম
মানুষ সৃস্টির সেরা জীব, আমরা যেন এটি প্রমান করে যেতে পারি।
বন্যা লিপি
মনুষত্ব আজ এমন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে যে, সৃস্টির সেরা জীবের উপাধি এখন প্রশ্নবিদ্ধ। সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ শ্রেষ্ঠত্ব প্রমান করছে অমানবিক যত কর্মকান্ডে। অথচ অন্য প্রানীকুল প্রতি নিয়তঃ নিরলস প্রচেষ্টায় প্রমান দিয়ে যাচ্ছে স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা। মাুনষ তুই মানুষ হবি কবে?
জিসান শা ইকরাম
মানুষ যে কবে মানুষ হবে, এর উত্তরও জানা নেই।
রিতু জাহান
মানুষ যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেনি তা আমি ইদানিং খুব উপলব্ধি করতেছি এসব প্রাণীর জীবন চিত্র দেখে।
মেমন সেদিন আমাকে বলেছিলো,’মা জানো প্রানী মানে যারা আটপায়ে প্রাণী এদের শ্রবণ, ঘ্রাণ মোটকথা সার্বিক উপলব্দি ক্ষমতা বেশি।
মেমন আমাকে বলল, মা আমি এটা নিয়ে লিখব। ও এমন সব ভিডিও দেখে খুব।
মানুষের ভাবনার জগৎ বিশাল। কিন্তু আমরা মূলত আবদ্ধ থাকি একটি যায়গাতে।
জীবন বিচিত্র ও বৈচিত্র্যময়। আমার ইদানিংকালের মনের মতো একটি পোষ্ট। যা এখন আমার মস্তিষ্কে আটকে আছে।
জিসান শা ইকরাম
এ বিষয়টি মস্তিস্ক থেকে নামিয়ে এনে সোনেলায় দাও,
আমরা পড়ি।
ছাইরাছ হেলাল
মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব এটি খুবই সত্যি কথা, তবে সে মানুষ এই মানুষ না,
দেখতে এক রকম হলেও। প্রাণী ও প্রকৃতির দিকে গভীর ভাবে তাকালেই অনেক কিছু বোধে আসতে বাধ্য।
জিসান শা ইকরাম
” প্রাণী ও প্রকৃতির দিকে গভীর ভাবে তাকালেই অনেক কিছু বোধে আসতে বাধ্য।” সঠিক বলেছেন, একমত।
শুন্য শুন্যালয়
প্রত্যেকটি প্রানীরই কিছু না কিছু নিজস্ব ক্ষমতা রয়েছে, কারো ঘ্রানের, কারো শব্দের, কারো দৃষ্টির। তবে মানুষই হচ্ছে একমাত্র প্রানী যার হাজার লিমিটেশন সত্বেও সব ধরনের ক্ষমতার অধিকারী। সমুদ্রের তলদেশ থেকে আকাশ কোথাও খুঁড়তে বাকি নেই মানুষের। মানুষই একমাত্র প্রানী যে অন্য প্রানীদের এই গুনাবলী গুলোকে উপলব্ধি করতে পেরেছে, কাজে লাগাতে পেরেছে। পিঁপড়ার গুন কাজে লাগিয়ে মানুষ প্রতি সেকেন্ডের তাপমাত্রা পর্যন্ত নির্ণয় করতে পারে। 🙂
কুকুর আমার ভীষণ প্রিয়। সামর্থ হলে কোনদিন কিনবো।
এতো ভেবে মাথা টাক করার দরকার নেই। পৃথিবীর সব সৃষ্টি সুন্দর।
জিসান শা ইকরাম
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
কিনে ফেলুন একটি কুকুর,
মাথা তো এমনি এমনিই টাক হয়ে যাচ্ছে।
প্রবাসে ভালো থাকুন,
শুভ কামনা।
তৌহিদ
আমরা নামেই মানুষ, কিন্তু রয়ে গেছি সেই আদিম মনুষ্যত্ব নিয়ে। ভাবতে লজ্জা হয় আমরাই নাকি সৃষ্টির সেরা জীব। অথচ যত অনাচার, বিবেকহীন কর্ম সব আমরাই করছি। এর চেয়ে পশুরাই ভালো। অন্ততঃ মানুষের চেয়ে তাদের কর্ম ভালো।
তবে ব্যতিক্রম সবজায়গায় থাকে ভাইসাব। তারা উদাহরণ হতে পারেনা। বাকীদের নিয়েই বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখি আমরা।
কিছু ভিডিও দেখলাম। অসাধারণ।
জিসান শা ইকরাম
মানুষের মধ্যে অনেক খারাপ গুন প্রবেশ করায় মানুষে ভেজাল হয়ে গিয়েছে।
একারনেই মানুষে মানুষে এত বিভেদ, হিংস্রতা, হানাহানি।
মতামতের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
নিতাই বাবু
আমরা মানুষ নামের প্রাণীগুলো সৃষ্টির সেরা জীব শুধু কাগজেকলমেই। বাস্তবে হচ্ছে এর বিপরীত। আমরা নড়ই স্বার্থপর এক প্রাণী, যার নাম মানুষ। আমরা নিজের স্বার্থ ছাড়া আর কিছুই বুঝি না। ক্ষণিকের এই দুনিয়ায় আমরা যে ক্ষণস্থায়ী, তা আমরা একবারও মাথায় রাখি না। শুধু চাই, আরও চাই।
জিসান শা ইকরাম
আমরা প্রকৃত মানুষ হতে চাই,
কেবল মানুষ নামের মানুষ নয়।
আমরা নিজের স্বার্থ খুব ভালভাবেই বুঝি, অন্যের স্বার্থকে উপেক্ষা করি।
আমাদের প্রত্যয় হোক সঠিক মানুষ হওয়া।
সাবিনা ইয়াসমিন
মানুষ সৃষ্টির সেরা এটা প্রমানের দরকার আছে ? মানুষ ব্যতিত অন্য কোনো প্রানী তার বুদ্ধিমত্তা বা জ্ঞান কাজে লাগাতে পেরেছে ? এই গুটি কতক ভিডিও কি মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব অন্যদের থেকে কম বোঝাতে পারে ? বানর কে প্রানী জগতের বুদ্ধিমান প্রানী বলা হয়, আজ পর্যন্ত কোনো বানর কি কিছু আবিষ্কার করে দিখিয়েছে ?
প্রতিটি প্রানীই তার নিজস্ব রীতিতে চলে, একমাত্র মানুষই ধ্যান, জ্ঞান কর্ম ধর্ম নিজেরটা নিজে তৈরি করতে সক্ষম। হাজার খানেক অমানুষিক কর্মকান্ডের কারনে অগুনিত মহৎকাজ বিলুপ্ত হয়ে যায় না। মানুষ ছাড়া অন্য সকল প্রানীই প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল। প্রকৃতিতে জয় করার ক্ষমতা কেবল মানুষের মাঝেই বিদ্যমান।
সমালোচনা / বিতর্কে যেতে চাচ্ছি না। লেখাটা পড়ে নিজের পাঠ প্রতিক্রিয়া সামান্য তুলে ধরলাম।
জিসান শা ইকরাম
মানুষ সৃস্টির সব ক্ষেত্রে সেরা বলে মনে হয়না আমার। সম্মিলিত ভাবে সেরা হতে পারে।
* একটি কচ্ছপ এর জীবনকাল মানুষের চেয়ে বেশী, এক্ষেত্রে কচ্ছপ মানষের চেয়ে সেরা।
* ভিভিন্ন পশু পাখি বন্যা জ্বলোস্যাস অনেক আগেই বুঝতে পারে। মানুষ সেটা পারেনা। যন্ত্রের উপর নির্ভর করতে হয় মানুষকে। পশু পাখি পিপড়ার যন্ত্র লাগেনা। এক্ষেত্রে,মানুষের ভিতরকার অনুভবের ঘাটতি আছে।
* হরিনের শ্রবন শক্তি অনেক বেশি, মানুষ এখানে হরিনের কাছে পরাস্ত।
* বিড়ালের শারীরিক গঠন এমনই যে উপর থেকে পরে গেলেও কিছু হয়না, মানুষ এক্ষেত্রে বিড়ালের কাছে পরাস্ত।
এমনি উদহারন আরো দেয়া যায়।
মানুষ সেরা সামগ্রিক ভাবে, কিন্তু সব ক্ষেত্রে নয়।
মানুষ মানুষের উপর যে হিংশ্রতা দেখায় তা পশুরা নিজেদের প্রতি দেখালে পশু বিলুপ্ত হয়ে যেত জগত থেকে। আমাদের দেশের দিকেই দেখুন, ১৯৭১ সনে ৩০ লাখ মানুষকে খুন, ২-৪ লাখ নারীকে অসন্মান করেছে মানুষই। রোহিংগা এসে আশ্রয় নিয়ে বিতারিত হয়ে, বিতারিত করেছে মানুষ। হিংশ্রতায় অবশ্য মানুষ সেরা।
ভিডিও গুলো সামগ্রিক নয়, দেখানো মাত্র।
সমালোচনা আমি চাই। একজন পাঠক তার নিজস্ব প্রতিক্রিয়া প্রকাশে সম্পুর্নই স্বাধীন।
সাবিনা ইয়াসমিন
একটি কচ্ছপ বেশিদিন বেঁচে কি করে ? কোন কাজ করে সে সেরা হয়েছে ? জীবনের বেশিক্ষন ঘুমিয়ে থাকলেই কি সেরা হওয়া যায় ? মানুষ তার চেয়ে অল্প আয়ু পেয়ে নিজের সীমাবদ্ধতাকে জয় করতে পারে।
বন্যা, জলোচ্ছাস শুধু পিপড়া বোঝে কে বলেছে ? গ্রাম বাংলার অগুনীত অশিক্ষিত চাষীও সহজেই বলে দিতে পারে কখন ঝড় হবে আর কখন ক্ষরা।
শ্রবন শক্তি হরিনের বেশি , কিন্তু জঙ্গলে যারা বসবাস করেন তারা যেকনো শব্দের তারতম্য সহজেই নিরুপন ক্ষমতা রাখেন এবং বাঘের পেটে নিজেকে না ঢুকিয়ে বাঘকে পরাস্ত করেন।
হিংস্রতা পশুদের মাঝে বেশি বলেই অমানুষিক কর্ম কান্ড গুলোকে পাশবিক খেতাব দেয়া হয়
যুদ্ধ এক পক্ষ করেন না, জয়- পরাজয়ের উপর ভিত্তি করে ক্ষয়-ক্ষতি নির্নয় করা হয়। আমাদের দেশের উপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়া হয়নি। অধীনতা থেকে স্বাধীনতা লাভ করার জন্যে আমাদের যুদ্ধ করতে হয়েছে। যুদ্ধ মানে ফুল ছোড়া- ছুড়ি নয়। যুদ্ধে যেমন একদল রক্তের বন্যায় ভাসায় তেমনি বহুদল মানবতার কল্যানে এগিয়ে আসে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময়ও বহু দেশ পরোক্ষ ও প্রতক্ষ ভাবে সাহায্য করেছে। আর এরাও মানুষই ছিলো।
ভিডিও গুলো বা পশু পাখিদের সক্ষমতা / অক্ষমতা মানুষেরই গবেষনার ফল।
পরিশেষে এটাই বলবো , মানুষই সৃষ্টির সেরা এবং সকল প্রানীর মাঝে মানুষ শ্রেষ্ঠ।
জিসান শা ইকরাম
আমি সম্ভবত ঠিক ভাবে উপস্থাপিত করতে পারিনি যা বলতে চেয়েছি।
খুব সহজ একটি উদহারন দেই:
বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়ের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় একজন প্রতিযোগী সর্বোচ্চ ৫ টি বিষয়ে অংশ নিতে পারে। ১00, ২00,৪00 মিটার দৌড় এবং লং জাম্পে একজন প্রতিযোগী প্রথম হলো, উচ্চ লম্ফে সে হলো 2য়। যেহেতু অন্য কেউ ৪ টি বিষয়ে প্রথম হয়নি, একটি বিষয়ে 2 য় হয়েও সে চ্যাম্পিয়ন। সামগ্রীক ভাবে সে চ্যাম্পিয়ন কিন্তু উচ্চ লম্ফে সে সেরা নয়। এটিতে তার গুনাবলীতে ঘাটতি আছে তার।
মানুষ ব্যাতীত অন্য প্রানীর যে গুন আছে তার কিছু কমতি আছে মানুষের। মাছ অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যাতীতই পানিতে থাকতে পারে, মানুষের মাছের মত সেই গুন নাই, এটি তার ঘাটতি।
গিরগিটি শত্রুর আক্রমন থেকে রক্ষা পাবার জন্য তার শরীরের রং পরিবর্তন করে গাছ বা মাটির রং নিতে পারে, মানুষ পারে না , মানুষের মাঝে সেই কেমিকেলস নেই। এখন যদি বলেন, এই রং পাল্টান লাগবে কেন মানুষের, তা বলা যায়, তবে এই গুন বা প্রপারটিজ মানুষের নেই এটি তো সত্য।
শুভ কামনা,
মোঃ মজিবর রহমান
ধর্মে রহিয়াছে মানুষ শ্রেষ্ঠ জীব আমরা পড়িয়া আওড়ায় মানুষ শ্রেষ্ঠ। তাই শ্রেষ্ঠ যেথায় আছে, সেই সৃষ্টিকর্তায় কোন দেশে, কোন সমাজে দুই একজন শ্রেষ্ঠ মানুষ সৃষ্টি করিয়াছেন। তারাই উদাহরন তারাই প্রমান সবাই শ্রেষ্ঠ হইবার মত যোগ্যতা নায়।
মনির ভাইয়ের একটি পোষ্টে রহিয়াছে হয়তো আল্লাহই সকলকে মানে সকল মানুষকে শ্রেষ্ঠ হইবার ইচ্ছা দেন নায়।
জিসান শা ইকরাম
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ মজিবর ভাই।
শুভ কামনা।