পাঁজরের/ব্যাকপেইনের চিনচিনে ব্যথায় কেউ বালিশ এগিয়ে দেবে
উত্তুঙ্গ হয়ে আছড়ে পড়া হৃদয়ে, বিনা হোঁচটে হামাগুড়ি দেবে,
বেঁচে থেকে বেঁচে যাওয়ার প্রশান্তি থেকে, নিরীহ কিন্তু নির্মম
অপেক্ষার হাত বাড়িয়ে দেবে;
ধর্মঘটী পিকেটারের মত
পুলিশের দৌঁড়ানিতে গলি পথ খুঁজতে হবে না;
অমঙ্গলের উত্থিত আস্ফালন ধুলোয় লুটাবে নতজানুর বেশে,
দিনান্তের অচঞ্চল অ-বিষণ্নতা স্থাণু হবে,
ফাগুন-দুপুরগুলো হয়ে উঠবে লাচ্চি পানের বিনম্রতা
ফাঁকিগুলো নিঃশব্দে মিলিয়ে যাবে;
ভালোবাসার বিস্ফোরণ জ্বলনে জ্বলেই পাখিরা হাসির ডানা মেলবে।
প্রীতি-পরবশ নিশুতি-কুটির অপেক্ষা-প্রহরে দাঁড়িয়ে আছে ঐ রাধিকাপুরে।
৩২টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
ভালোবাসারও রাজপথ থাকে তাহলে!
মিছিলে স্লোগানে উচ্চারিত হোক- ভালোবাসা তোমার ভয় নাই, রাজপথ ছারি নাই।
এত প্রশান্তি ভালোবাসায়,
ভালোবাসার জয় হোক,
ভাল্লাগছে খুব
ছাইরাছ হেলাল
শুধু রাজপথ না গলি/গুপচি পথ-ও থাকে।
নীরব স্লোগান চলছে চলবে।
জয় হউক।
ব্যাপারখানা ভালোলাগার-ই মত।
জিসান শা ইকরাম
নীরব স্লোগানই ভালা,
শব্দ দুষন হয় না।
চলুক,
ছাইরাছ হেলাল
স্লোগান চলবে কিন্তু সাউন্ড হবে না।
শুন্য শুন্যালয়
আহারে, ব্যাকপেইনটার কথা ভুলে গেছিলেন বুঝি?
রাধিকা আর কী কী করবে? বালিশ দিলেই হবে নাকি মুভ মালিশ লাগবে?
আমিতো যদ্দুর জানি, রাধিকারা নিজেই তাবড়ানি দিতে ওস্তাদ, তাতে কবি সারাজীবন দৌড়েও কুল পাবেনা, পিকেটারের ভয় তো দুধভাত।
আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি। এক লাচ্চি পানের স্বাদ পাইয়ে আর কী কী জ্বলাইবেনে দেইখ্যেন। অভিশাপ দিচ্ছিনা কিন্তু। 🙂
রাধিকাপুরের রাজপথ সোনায় সোহাগা হোক, আমিন।
ছাইরাছ হেলাল
এতো এতো কঠিন প্রশ্নের উত্তর না চেয়ে (এড়িয়ে যাওয়ার ছলে) হুট করে অভিশাপ দিয়ে লাঠ্যা চুকিয়ে ফেলুন।
ভাগ্যিস রাধিকাপুরের ঠিকানা বলে দেন-নি!!
আমিন!!
শুন্য শুন্যালয়
হাহাহা, একমাত্র ল্যাঠা ছাড়া আপনার আছে কী, এতো জলদি চুকিয়ে দিলে আমাদের থাকবেই বা কি!
ইয়ে, আপনি কি রাধিকাপুরের ঠিকানা আমারে কইছিলেন? জানলে ভাগ্যের দোহাই দিয়েও কূল পেতেন না।
এড়িয়ে যাবো কেন? আমরাও তো লিখে নিতে বলতে পারি! (আপনার শিখিয়ে দেয়া পথে)। তবে আমি তো ভালো।
লেখাটাতে যেই রোমান্টিক পাঁজর চিনচিনে ব্যাথা দিয়ে শুরু করেছিলেন, ব্যাকপেইনে বাস্তবতায় ফিরে এসেছি, তাই বলছিলাম মালিশ লাগবে কিনা। আছড়ে পড়া হৃদয়ে হামাগুড়ি দিয়ে আসাটা বেশ সুইট লেগেছে। কথাগুলোতে কী একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন লাগতো? নাকি ধরেই নেয়া, এটা ওটা হবে?
অচঞ্চল দিনের স্থানু হওয়া, লাচ্চি পানের পর পাখির হাসির ডানা মেলা, বিস্ফোরণ জ্বলণ কিন্তু আপনি ভালোই ফোঁটান, ফুঁটিয়েছেন। নিশুতি কুটিরের অপেক্ষার পালা শেষে রাধিকার কি হাল হলো তাও জানাতে ভুলবেন না। শুভকামনা।
ছাইরাছ হেলাল
আরে আরে, একটু নিঃশ্বাস নিন, শেষে আমাদের-ই চোখজল ফেলতে হবে।
বুঝতে পারছি তো!! রাধিকাপুর দেখে ফেলেছি দেখেই এত্ত ব্যস্ততা!!
ঠিক আছে, ও-মুখো/ও-চোখো হবো না, হলো তো।
শুন্য শুন্যালয়
ম্যালা ব্যস্ত। কৃষ্ণপুর খুঁজতে নামছি।
আপনি রাজপথ ছাইড়েন না, আমরা আছি আপনার পিছে।
গোয়েন্দা লাগাইয়া কোনে রাধিকাপুর, হেম্নে কীবা হয়, কে ক্যাম্নে লুটায়, ক্যাম্নে জ্বালাপোড়াও হয়, সবটি বাইর কইরা যুদ্ধে নামুম। হের পরে টের পাইবেন নিরীহ হাত ক্যাম্নে নির্মম হয়!
ছাইরাছ হেলাল
রাজপথ কিন্তু সবার না, রাজন্যদের!! আমরা দূর-দর্শক মাত্র!!
নিরীহ পাবলিকরে ভয়-ভুই দেখানো খুব সহজ।
তয় পাবলিক কিন্তু খানা-খন্দ দেখে ফেলেছে!!
যুদ্ধে যামু না, আগেই কইলাম।
প্রহেলিকা
লেখার কি যাচ্ছে তাই অবস্থা! কি সুন্দর ফাগুনের দুপুরকে ডুবাই দিলো লাচ্চির ভেতর!
অমঙ্গলের উত্থিত আস্ফালন সাময়িক, নতজানু তো হতেই হবে। দর্শনতো বেশ ভালো লব্ধ করেছেন দেখছি।
কাঁটাছেড়া তো বেশ হলো কবিতার গায়ে
তবুও যেন তৃপ্তির ঢেকুর তোলে না কবি,
শুষ্ক চুলে হাতড়ায়, চাতকরের মতো পায়তারা,
সকালের পাঁজরের সাথে বিকালে মিশে যায় ব্যাকপেইন!
সকালেতো কেবল পাঁজর দেখেছিলাম বিকালে ব্যাকপেইন কিভাবে এসে বসে গেলো তাই ভাবছি!
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন যে ভাবেই বলুন, যেমন করেই বলুন, ফাগুন দুপুরের সাথে লাচ্চির কোথায় যেন একটু মিল দেখা যাচ্ছে।
যেমন আপনিও দেখতে পাচ্ছেন!
দর্শন-ফর্শন কিচ্ছু না, ভাব নিচ্ছি মাত্র।
সেইইইইইইইইইইইই সকাল আর বিকেকেকেকেল কত্ত সময়!! আপডেট দিতে হয় না!!
ভাবলাম আপনার পিঠ-বিষের কথা না বললে কী হয়!!
প্রহেলিকা
ভাব নিন, ভাব নিন, ভাব নিয়ে ভাবুক বনে যান!
আপ্নারে কৈছে আমার পিঠে বিষ!
লেখকরা এমনই হয়, ঘষামাজা না করলে শুদ্ধি পায় না, আগুনে পোড়াইতে পোড়াইতে যেভাবে সোনা বানায় আর কি!
ছাইরাছ হেলাল
বেশি পোড়ালে সোনাও ছাই হয়,
ভাব নিলেই যদি ভাবুক হওয়া যেত তা হলে দুনিয়াটা ঝিম মেরে যেত।
কেউ ক্য় নাই, তবে ভাবলাম বিষে না ধরলে এত্ত সুন্দর করে লেখে ক্যামনে!!
সাবিনা ইয়াসমিন
রাধিকাপুর !! কদ্দুর ? সকালে গিয়ে বিকালে ফেরার ব্যবস্থা আছেতো ? জ্বলনে- পোড়নে হাসির সাথে ধোঁয়া বের হয় , না আগুন ?
পুরো লেখাইতো একটা বোমার মতো ফাটিয়ে দিয়েছেন, রাজপথের মাঝখানে বসে পরেন। নাস্তা পানি খান। দেখি আরো পানের ব্যবস্থা করা যায় কি না।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি কী দিয়ে ভাত খান! এত্ত কঠিন কঠিন প্রশ্ন কী করে করেন!!
রাধিকাপুরের ঠিকানাটা ঠিক জানি না, আপনি অনুগ্রহ পূর্বক কোন এক্সপার্ট হেডমাস্টারের কাছ থেকে জেনে নিয়েন।
এ রাজপথ সবার জন্য না, রাজ-রাজাদের রাস্তা!
সাবিনা ইয়াসমিন
ভাত যে কি দিয়ে খেয়েছি মনে করতে পারছিনা। সব ঝাল লাগছে, আপনার বোমাটা কি মরিচ বোমা ছিলো ? আমাদের চোখে মুখে মরিচ গুড়ো দিয়ে রাধিকাপুর যাওয়ার এতো তাড়া কেনো মহারাজ ?
ছাইরাছ হেলাল
আমার কোন পুরেই যাওয়ার রাস্তা জানা নেই, তাই তাড়া ও নেই।
কী যে সব যুদ্ধাস্ত্রের কথা কোন, ভয় লাগে।
সাবিনা ইয়াসমিন
নদীর পাখিগুলোরে সব এক ফ্রেমে বন্দি করেছেন কিভাবে, সেটা পরে এসে জানবো। অপেক্ষা করেন,
ছাইরাছ হেলাল
এই রে!! আবার কী না কী জিগাইবে!!
এই পক্ষিকুলের বিষয় আমি কিচ্ছুই জানি না।
সাবিনা ইয়াসমিন
পক্ষি জগৎ পুরো এক খাঁচায় ভরে বলছেন পক্ষি চেনেন না !! এই পক্ষিকুল চিনেন না বুঝলাম তবে সেইইই পক্ষিটা চাইলে দেখাতে পারেন, যার বিষয়ে জানেন। বলে দেন, মনের পেটে বেশিক্ষন কথা আটকে রাখতে নেই। নইলে পেট ফেটে পক্ষি উড়ে যাবে আর আপনাকে মনফাটা গান শিখতে হবে।
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন এখানে পক্ষি বিশারদ গন সমহিমায় আছেন, তাহার ওদের সাথে খায়/লয়/ঘুমায়।
আমি কিচ্ছু জানিনা, তয় পাখিদের দেখি আর দেখি।
মাহমুদ আল মেহেদী
পাঁজরের ব্যাথা যে এমন হাতের স্পর্শে চলে যায়।
ছাইরাছ হেলাল
পিঠের ব্যাথা নিয়ে তো কিচ্ছু কইলেন না!!
মাহমুদ আল মেহেদী
মনের ব্যাথা সকল ব্যাথার উৎস।
ছাইরাছ হেলাল
সেভাবেও ভাবা যায়।
মেহেরী তাজ
পিকেটের কিংবা পুলিশের ভয় যা ইচ্ছা দেখান কিন্তু নতজানু মস্তিস্ক আর স্থানু চক্ষু দুই আপনার একান্ত অনুভূতির মোড়ক দেওয়া মূলত কবিতার প্রতিটি শব্দে উপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টায় নিয়োজিত। কিন্তু লাভ হচ্ছে না।
আরো বেশি পড়তে হবে বুঝেছি…
ছাইরাছ হেলাল
পিচ্ছি ভুতের চোখ তো লেখার ভিতরে দেখতে পাচ্ছে, কেমনে যে ঠ্যাকামু!!
পড়ুন, অসুবিধা নেই, আর বুঝতে হবে না!
আপনার পড়া দেখতে ভালই লাগে।
তৌহিদ
ব্যাকপেইন আমাকেও খুব জ্বালাচ্ছে, তবে মুভ লাগিয়ে নেয়ার কেউ নাই ভাই। লাচ্চি পানে ফাগুনের দুপুর কাটলে মন্দ হয়না কিন্তু। ভালোবাসা বুঝি এমনি করেই প্রকাশ করতে হয়?
ছাইরাছ হেলাল
নাহ্, এমন করে প্রকাশ না করলেও চলবে, তবে ভালোবাসা বলে কিচ্ছু নেই,
গুজবের কান চিলকে দিয়ে দেয়া ঠিক না।
রিতু জাহান
আজ লাচ্ছিতে লেবুর রসের সাথে ভেবেছি একটা কাঁচা মরিচ ছেড়ে দিব। দারুন হবে। গরমে রোদে ঝাল ঝাল। আহ! মন্দ হবে না। আচ্ছা, খেয়ে নেই আগে। মাথা ঠান্ডা করে নেই।
বিষন্ন মনে নতজানু হয় সূর্য দেবতা। গোধূলির বুকে মুখ লুকায় কি না কি ভেবে যেনো!!
ছাইরাছ হেলাল
দেখবেন মরিচের পরিমান যেন ঠিকঠাক থাকে,
আর ঠাণ্ডা যেন বেশি না হয়ে যায়।
গোধূলির বুক-ই শেষ ঠিকানা।