বিরল, বিরল নয়

ছাইরাছ হেলাল ১৯ ডিসেম্বর ২০১৫, শনিবার, ০৭:৫৩:১১অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ৩৫ মন্তব্য

IMG_20151219_140726 [640x480]
আগে থেকেই ঠিক করা ছিল ক্ষণ ও স্থান। এই শীতসন্ধ্যায় জিসানের ইটোদ্যানের পাশে মানস বটবৃক্ষের পাদদেশে চা সংযোগে তুমুল গপ্পের গলাবাজি হবে, উপলক্ষ অচিরেই প্রকাশিতব্য। টমটম হাঁকিয়ে যথারীতি যথাসময়ে অবতরণ নিষ্কণ্টক নির্বিঘ্নতায়, হিম সন্ধ্যায় চলমান আড্ডায় যতি এলো, পকেটে হাত দিলে শূন্য হাত ফেরত এলো, ফোন নেই। থাকার কথা ছিল। সাধের ফোন!! কত স্মৃতিমাখা, কত স্মৃতি কথা, নিমিষে উধাও। কত কত দুষ্টমিষ্ট কথা, কত হাসি কান্না, আরও কত কী!!
জিসান লক্ষ্য করল ইমো একটিভ, কেমনে কী? মেয়েকে ফোন দিয়ে দেখতে বললাম ভুলে রেখে এসেছি কিনা। উত্তর না সূচক, মেয়েটি নিজে নিজে বাসার সামনে নেমে খুঁজে দেখেছে। ফোন এখন বন্ধ পাচ্ছি। নিশ্চিত হলাম খোয়ানোর ব্যাপারে, ফোন করে অগ্রবর্তী দল পাঠালাম মনের সান্ত্বনা ভেবে বাসার আশেপাশে যেখান থেকে টমটমে উঠেছি। নেগেটিভ। ড্রাইভার সহ পাইক বরকন্দাজ একে ফেরত এলে বাটি চালানের জন্য ইতোমধ্যেই বড় কাসার বাটি যোগার করে কাছেই তুলা রাশির লোক যোগারে ব্যস্ত হয়ে গেল ঝাঁক শুদ্ধ সবাই, বাটি চালানোর লোকটিকে পাওয়া গেল না, সে বাড়ীতে নেই।

অগত্যা একটু পরেই ফিরলাম তড়িঘড়ি করে, পাব না বুঝে ফেলেছি, ড্রেনে কাউকে নামাব অহেতুক হলেও। হঠাৎ খুব চেনা একটি ছোট ছেলে কাছে এসে জানতে চাইল, ‘কাকা কী বিচরান’, বাবারে ফোন হারিয়েছি তাই খুঁজছি। হেসে বলে আর নাকি খুঁজতে হবে না, বাসার সামনের দোকানদার পেয়েছে, সে নাকি অনুমান করেছে এটি আমার ফোন হতে পারে। স্বর্গের খানিকটা প্রাপ্তির মত উচ্ছ্বসিত হয়ে দোকানদার কে বাসায় ডেকে পাঠালাম, কাঁচা ঘুম থেকে উঠে হাতে ফোন নিয়ে হাজির, চকচকে হাসি নিয়ে।
আমরাও খুশি হলাম, ওকে ও খুশি করে ফেরত পাঠালাম, যাবার সময় দোকানদার ছেলেটি শুধু বলল, ‘দাদা হাসি আনন্দ নিয়ে সবার মাঝে এমন করে বেঁচে থাকতে চাই’।
আমরাও সবার সাথে হাসি আনন্দেই আনন্দিত হতে চাই।

৪৫৪জন ৪৫৪জন
0 Shares

৩৫টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ