Scarler Minivet.বা সিঁদুরে সোহেলীঃ-
এই পাখিটি আমাদের দেশীয় ও আবাসিক পাখি। আকারে দোয়েলের চেয়ে বড়; ২২-২৩ সে:মি:। পুরুষের দেহ প্রধানত সিঁদুরের মত লাল টকটকে। স্ত্রী পাখির দেহ হলুদ বর্ণের। পুরুষের মাথা ও পিঠ কালো। পেট কোমার, ডানা ও লেজ গাঢ় লাল রঙের। এরা মূলত সবুজ বনের রঙ্গিন ফুল ও ফল খেয়ে থাকে। প্রজননকালে স্ত্রী পাখিকে আকর্ষন করার জন্য পুনঃপুনঃ ডাকে টিউয়ি,টিউয়ি শব্দে। চট্টগ্রাম,খুলনা ও সিলেটের সবুজ বনে দেখা পাওয়া যায়।
Hill Moyna. বা পাতি-ময়না বা পাহাড়ী ময়নাঃ-
এই পাখি আমাদের দেশীয় ও আবাসিক পাহাড়ী অঞ্চলের পাখি। আকারে ভাত-শালিকের চেয়ে বড় ২৫-৩০সেঃমিঃ। পুরো দেহ উজ্জ্বল কালো। ডানায় সাদা পট্টি আছে। গালে ও ঘাড়ে হলুদ চামড়ার ঝুলন্ত পট্টি।চোখ কালচে বাদামী। পা ও আঙ্গুল হলুদ। পাহাড়ি গাছের ফল খেয়ে থাকে। গাছের গর্তে বাসা করে। এপ্রিল-জুন মাস প্রজনন কাল। গলার আওয়াজ বহু দুর থেকে পাওয়া যায়। টি-অঙ..টি-অঙ শব্দ করে ডাকে। সিলেট ও পার্বত্য চট্টগ্রামের সবুজ বনে দেখা পাওয়া যায়।
Indian Roller. বা বাংলা-নীলকন্ঠ বা নীলকান্তঃ-
এটাও আমাদের আবাসিক পাখি। আয়তন ৩০-৪০ সেঃমিঃ হয়। আকারে শালিকে চেয়ে বড়। কাকের চেয়ে কিছুটা ছোট। দেহের বর্ণ সাতটি রংয়ের সমন্বয়ে গঠিত। ডানা মেলে যখন পাখিটি উড়ে তখন নয়ন মেলে দেখতেই ইচ্ছে করে। দেহ সম্পূর্ন নীল, চাঁদি,ডানা তলপেট ও লেজ নীল। মুখ,গলা,ঘাড়,কাঁধ-ঢাকনি ও বুক লালচে বাদামী। গলায় সরু সরু খয়েরী ও নীল দাগ। তীক্ষ্ম সূরে ডাকে ক্রাক ক্রাক শব্দে। গ্রামে গাছর ডালে ও শহরে বিদ্যুতিক খুটিতে বা তারে থাকে। পোকা-মাকড়,ব্যাঙ, কেঁচো এদের প্রধান খাদ্য। খাবারের জন্য মাটিতে নামে। সারা দেশেই পাওয়া যায়।।
Chest-nut headed Bee eater. বাদামীমাথা-সুঁইচোরা।
আমাদের দেশীয় পাখির মধ্যে যত প্রজাতির সুঁইচোরা আছে তার মধ্যে খয়রামাথা সুঁইচোরা দেখতে সবচেয়ে সুন্দর। আকারে শালিকের চেয়ে ছোট। আয়তন ১৮-২০ সিঃমিঃ হয়। দেহ সবুজ। থুতনি ও গলা হলুদ। চঞ্চু ইস্পাত বর্ণের। গলা ও বুকের বরবার লালচে ও কালো লাইন টনা। বাকি দেহ সবুজ। কোমল সুরে ডাকে। মৌমাছি,পোকা-মাকড় এরা উড়ন্ত অবস্থায় শিকার করে খায়। সারা দেশে পাওয়া যায়। বিশেষ করে সিলেট ফরিদপুর ও চিরসবুজ বনে বেশী দেখা যায়।
Crimson-sunbird.বা সিঁদুরে মৌটুসীঃ-
আমাদের দেশীয় আবাসিক পাখি। আকরে চড়ুইয়ের চেয়ে ছোট। আয়তন ১১ সেঃমিঃ। পুরুষের দেহ লাল, স্ত্রীর দেহ হলদে সবুজ। পুরুষের গাল, গলা, বুক ও পিঠ উজ্জ্বল লাল বর্ণের। চঞ্চু গোলাপী। পেট হলুদ। ডানা জলপাই রংয়ের। দীর্ঘ নীল লেজ। সিপ,সিপ চিট,ইটসিট করে ডাকে। চট্টগ্রাম,সিলেট বিভাগের সবুজ বনে পাওয়া যায়। গতবছর আমি ঢাকার রমনা পার্কেও পেয়েছিলাম। সারা দেশে মোটামোটি পাওয়া যায়। ফুলের মধু খেয়েই এরা বেঁচে থাকে। অন্যান্য পাখির মত এরা পানি পান করে না। মে-জুলাই মাস পর্যন্ত এদের প্রজনন সময়। নিজেরা বাসা বানায় ও ডিম পাড়ে।
Common Green Magpie.বা সবুজ বন পাখি বা সবুজ তাউরা বা সবুজ হাঁডিচাচা।
আমাদের দেশীয় একটি পাখি পাতি সবুজতাউরা রক্তলাল চোখ ও প্রবাল-লাল পায়ের মাঝারি আকারের সবুজ বর্ণের পাখি। এর দৈর্ঘ্য কমবেশি ৩৮ সেন্টিমিটার, ডানা ১৫ সেন্টিমিটার, ঠোঁট ৩.৮ সেন্টিমিটার, পা ৪.৫ সেন্টিমিটার ও লেজ ২০ সেন্টিমিটার। ওজন ১৩০ গ্রাম। প্রাপ্তবয়স্ক পাখির ডানার বর্ণ তামাটে-মেরুন। পিঠের বর্ণ পাতা-সবুজ। দেহতল হালকা সবুজ। পরিমিত আকারের একটি সবুজ ঝুঁটি মাথার পেছন পর্যন্ত চলে গিয়েছে। ঠোঁট থেকে চোখ হয়ে একটি কালো ডোরা মাথার পেছন পর্যন্ত চলে গিয়েছে। ডোরাটি মাথার ঝুঁটিকে স্পষ্ট করে তুলেছে। ডানার প্রান্ত ও মধ্যপালক স্পষ্ট তামাটে। লেজ লম্বা ও সবুজ। ডানার গোড়ার পালক ও লেজের পালকের আগা সাদাটে। চোখ রক্তলাল, চোখের বেড় মেটে-লাল। ঠোঁট বলিষ্ঠ; ঠোঁট, পা, পায়ের পাতা ও নখর প্রবাল-লাল। স্ত্রী ও পুরুষ পাখি দেখতে একই রকম। অপ্রাপ্তবয়স্ক পাখির ঝুঁটি অপেক্ষাকৃত খাটো। ঝুঁটি ও মাথা কালচে-বাদামি। ঠোঁট ও পা অনুজ্জ্বল। দেহতল তুলনামূলক ফিকে ও লেজতল সাদা। সাতছড়ি,লাউয়াছড়া ও বান্দরবনের সবুজ বনে পাওয়া যায়।
Pheasant-tailed jacana. বা নেউ-পিপিঃ
নেউপিপি আমাদের দেশীয় পাখি। আকারে কবুতরের সমান ৩১ সেঃমিঃ। বাদামী পিঠ ছাড়া সারা দেহ সাদা। গলায় সোনালী রং। প্রজননের সময় পুরুষের লেজ লম্বা হয়। এপ্রিল-জুলাই পর্যন্ত এদের বংশ বিস্তারের সময়। বিলের ধারে বেশী থাকে। জলজ খাবার এদের প্রিয় খাবার। সারা দেশেই দেখা যায় কম বেশী। তবে হাওর অঞ্চলে প্রচুর দেখা মিলে।
Grey-capped Emerald Dove. বা সবুজ-শ্যামাঘুঘু বা বাঁশপাতা ঘুঘুঃ-
এই দেশীয় ঘুঘুগুলি আকারে কবুতরের মত ২৭ সেঃমিঃ হয়। পিঠ ও ডানা জ্বলজ্বলে পান্না সবুজ।ঘাড় কাঁধ গলা বুক ও পিঠ লালচে। লেজ ও ডানার প্রান্ত কালো।পুরুষের কপাল ধূসর ও সাদা পট্টি আছে। সারা দেশেই পাওয়া যায়। এরা বাঁশ বাগানে বেশী থাকতে পছন্দ করে। সাধারন কবুতরের মত খাবার খায়। খুব দ্রুুুত গতিতে উড়ে।
Red-Avadavat.বা লাল-মামুনিয়াঃ-
লাল মুনিয়া আমাদের দেশে ছনের ঝোপ ঝাড়ে পাওয়া যায়। আমাদের দেশে ৫ প্রজাতির মুনিয়া দেখা যায়। তার মধ্যে লাল-মামুনিয়া সবচেয়ে সুন্দর। পুরুষ লাল-মামুনিয়ার পিঠি ও বুক সম্পূর্ন টকটকে লাল বর্নের হয়। ডানা বাদামী রংয়ের।বুকে সাদা সাদা ফোটার মত হয়। যার জন্য পাখির সৌন্দর্য আরো বাড়িয়ে দেয়। এরা ছনের ভিতর বাসা বানায়। ডিমে তা দিয়ে বাচ্চা ফটিয়ে প্রকৃতির সাথে মিশে যায়। ঘাসের বীজ,পাকা ধান ও অন্যান্য বীজ এদের প্রধান খাদ্য।
আমার নিজের তোলা কয়েকটি দেশীয় পাখির (যা বাংলাদেশের পাখি হিসেবে পরিচিত) ছবিসহ অল্পতে পরিচিতি তুলে ধরলাম। আশা করি পাঠকদের ভালো লাগবে।
এই পাখিগুলি সহ সকল পাখি ও বন্যপ্রানী শিকার করা,মারা ও খাঁচায় বন্দী করে রাখা বন ও পরিবেশ আইনে দন্ডনীয় অপরাধ। পাখিগুলি প্রকৃতিতে অবাধে মুক্ত ভাবে বিচরন ও বসাবসের অধিকার আছে। আমরা পাখিকে বিরক্ত না করি।
সবাই ভালো থাকুন। সবাইকে ঈদ মোবারক।
৩৯টি মন্তব্য
শুন্য শুন্যালয়
এখন পর্যন্ত সেরা পোস্ট আমাদের ম্যাগাজিনের। আই লাভ বার্ড। আপনার চাইতে একটুখানি কম, তবে অনেক ভালোবাসি।
এই এত্তো সুন্দর পাখিগুলো আমার দেশীয় পাখি ভাবলেই মন ভালো হয়ে যাচ্ছে। আপনাকে ইনবক্সে আমার ইমেইল টা দিচ্ছি। কাইন্ডলি ছবিগুলো মেইল করে দিন। এখানে রেজুলেশন একটু কম আসবে। আরো কিছু ছবি চাইলে দিতে পারেন। যদি এক লাইনে তাদের নামসহ দিতে চান, তাও হবে। পোস্ট বেশী বড় না হওয়াই ভালো।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
শামীম চৌধুরী
অনেক ধন্যবাদ ও কৃতার্থ আপু। আপনাদের ভালো লাগাটাই আমার পরিশ্রমের স্বার্থকতা। পাখির ছবিগুলি তুলতে প্রচুর সময় দিতে হয়েছে। ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে হয়েছে। একটা পাখির জন্য।আমাদের দেশীয় পাখিগুলি খুবই কালারডফুল হয়। দেখতেও ভালো লাগে আমাদের কাছে। প্রায়েই ৩৬০ প্রজাতির দেশীয় পাখি আমাদের দেশে দেখা যায়। আমি আপনার মেসেজ বক্সে আপনার ই-,মেইল চেয়েছি। সাথে বন্ধুত্বের অনুরোধও। আপনার কথা মতন আরো চারটি পাখি সম্পাদনা করে যুক্ত করিলাম। উৎসাহ দেবার জন্য ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকবেন। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
ইঞ্জা
চমৎকার পোস্ট, সব পাখিই আমার বেশ পছন্দের, এদের দিকে তাকিয়ে থাকাও ভাগ্যের বলেই মনে করি, ধন্যবাদ ভাই আপনাকে অসাধারণ পোস্টির জন্য।
ইঞ্জা
ভাই অনুরোধ করবো আরো কিছু পাখির ছবি এই লেখাটির সাথে যোগ করে দিন, সম্পাদনা করেই পারবেন।
শামীম চৌধুরী
আপনাকেও ধন্যবাদ ইঞ্জা ভাই এই জগতে আমাকে প্রবেশ করানোর জন্য। আপনি বহু আগে থেকেই আমার পাখির ছবি ভালোবাসেন। যার জন্য আমি কৃতজ্ঞ আপনার নিকট। ভালো থাকবেন নিরন্তর।
শামীম চৌধুরী
ইঞ্জা ভাই, আপনার অনুরোধ আমি আদেশ মনে করে আরো চারটি পাখি সম্পদনা করে যুক্ত করিলাম। ধন্যবাদ।
ইঞ্জা
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। 😊
ইঞ্জা
দারুণ হয়েছে ভাই
শামীম চৌধুরী
ইঞ্জা ভাই,
আপনি সাথে আছেন বলেই সাহস পাচ্ছি। আপনাকে ধন্যবাদ দেবো না। আপনার জন্য শুভেচ্ছা।
মেহেরী তাজ
আপনার তোলা ছবি সব গুলো ? সুন্দর হয়েছে তো। আপনার ছবি ব্লগই সম্ভবত প্রথম ছবি ব্লগ আমাদের এই ম্যাগাজিনে প্রথম্।
পড়তে ভালো লাগলো।
শামীম চৌধুরী
জ্বী তাজ আপু।
আমারই নিজের তোলা সবগুলি ছবি। আমার এই ছবিব্লগ যদি ঈদ ম্যাগাজিনে স্থান পায় তবে নিজেকে ধন্য মনে করবো আপু।সাথে থাকবেন ও ভালো থাকবেন।
সিকদার সাদ রহমান
অসাধারন পোষ্ট, খুব ভাল লেগেছে ভাই ।
শামীম চৌধুরী
আপনাকে অনেক অনেক শুভ কামনা ভাই।
তৌহিদ
দারুন তো! আমিও পাখিদের খুব ভালোবাসি ভাই। আর ছবিগুলিতো অসাধারণ!!
দারুন ছবি তোলেন আপনি।
শামীম চৌধুরী
ধন্যবাদ তৌহিদ ভাই। পাখি ভালোবাসেন জেনে খুব খশী হলাম। আসলে এরা ভালোবাসাটা কেড়ে নেয়।
নীলাঞ্জনা নীলা
মুগ্ধ দৃষ্টিতে ছবিগুলো দেখছিলাম। আর লেখাটাও পড়লাম। আপনি আমায় শৈশব-কৈশোরে নিয়ে গেলেন। এখানে অনেকগুলো পাখীই দেখা হয়েছে সরাসরি। জন্ম এবং বড়ো হওয়া আমার শমশেরনগর চা’ বাগানে। তাই প্রচুর পাখীর সাথে পরিচয় ছিলো। এখন তো বাগানে চড়ুই পাখীও চোখে পড়েনা সেভাবে।
অসাধারণ পোস্ট।
শামীম চৌধুরী
খুব খুশী হলাম নীলা আপু। আমার ছবিগুলি আপনাকে দেমুগ্ধ করেছে জানতে পেরে নিজেকে খুব সফল মনে হচ্ছে। জ্বী। চা বাগানে এক সময় প্রচুর পাখির দেখা পাওয়া যেত। এখন না আসার কারন বিজ্ঞানের যুগে চা বাগানের কর্তৃপক্ষ চা পাতা বা গাছকে পোক থেকে রক্ষা করার জন্য কীট নাশক ঔষধ দেয়। যার জন্য পাখি কম আসে। ভালো থাকবেন আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
শুধু কীটনাশক না শামীম ভাই, কী হারে যে চোরেরা গাছ কেটে নিয়ে যায়! এদের পেছনে শক্তিশালী বিশাল চ্যানেল আছে। প্রতিবাদ করতে গেলে লাশ হয়ে ফিরে আসতে হবে। রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি ছড়ানো।
মাহমুদ আল মেহেদী
মুগ্ধ নয়নে দেখছিলুম মনের নয়ন দিয়ে পড়ছিলাম। চমৎকার করে সুন্দর উপস্থাপনায় চেনালেন পাখিগুলোকে।
শামীম চৌধুরী
খুব খুশী হলাম মেহেদী ভাই। আপনার কাছে পাখির পরিচিতি ও ছবি ভালো লাগায় আমারও খুশী লাগছে।
ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ।
জিসান শা ইকরাম
ময়না বাদে আর একটি পাখিও দেখা হয়নি আমার,
এত সুন্দর আর এত প্রজাতির পাখি আমাদের দেশে আছে, ভাবতেই অবাক লাগে।
সোনেলার ই-ম্যগাজিন আপনার এই পোষ্ট পেয়ে সমৃদ্ধ হবে।
শুভ কামনা।
শামীম চৌধুরী
জ্বী জিসান ভাই।
আমাদের দেশে এ পর্যন্ত ৭০২ প্রজাতির পাখি দেখা গেছে। তার মধ্যে আামদের আবাসিক বা দেশীয় পাখি হচ্ছে ৩৬০টির মত। ছবিতে সবগুলিই আামদের দেশীয় পাখি। তাই শিরোনাম দিয়েছি বাংলাদেশের পাখি।
আপনাদের সকলের অনুপ্রেরনা ও সাহসে আমি সোনেলার ম্যাগাজিনে পখির ছবি সহ লিখা দিলাম। সবার কাছে ভালো লাগলেই আামর পরিশ্রম স্বার্থক হবে। আমি ই-
ম্যাগাজিনের সফলতা কামনা করছি
আপনার মাধ্যমে সবাইর জন্য রইলো শুভ কামনা।
🎖প্রহেলিকা🎖
এমন পোস্ট দেখলে আমার হিংসে হয়। আমি কেন পারি না এভাবে ছবি তুলতে। আমি আপনার ভক্ত হয়ে গেলাম। এত সুন্দর করে কেউ ছবি তুলতে পারে! অসম্ভব সুন্দর।
শামীম চৌধুরী
কি তোমাদেরও হিংসে হচ্ছে প্রহেলিকা ভাইয়ার মতন?
হিংসে করো না বন্ধুরা আমার সব পাখির ছবি তোমাদের দিয়ে দিলাম। যার যখন যেটা দরকার চেয়ে নিয়ে নিবে।
শুভেচ্ছা রইলো সাবর জন্য।
আপনি ভালো থাকুন প্রহেলিকা ভাই।
সাবিনা ইয়াসমিন
বাহ! আপনার দেয়া সবগুলো পোস্টের মধ্যে এটা সেরা হয়েছে। ছোট করে অনেক গুলো পাখি নিয়ে লেখায়, পোস্ট দেখতেও ভিষণ সুন্দর হয়েছে। চমৎকার পোস্টের জন্যে আপনাকে অভিনন্দন।
ভালো থাকবেন, শুভ কামনা 🌹🌹
শামীম চৌধুরী
ধন্যবাদ সবিনা আপু।
সাবার কাছে ভালো লাগলেই আমার পরিশ্রম স্বার্থক হবে। একেটি ছবি আমার একেকটি গল্প। আর যখন আমার বন্ধুদের পাখির ছবিগুলি ভালো লাগে তখন মনে হয় কষ্টের গল্প গুলো আজ সুখ পেলো।
আপনাকেও অভিনন্দন আপু।
সাবিনা ইয়াসমিন
প্রতিটি ছবির পিছনে গল্প থাকে, শ্রম থাকে। ছবি দেখার মাঝেও গল্প অনুভব করা যায়। আপনার ছবি তোলার হাত খুবই ভালো। একটি পাখি শুধু পাখি হয়না, আপনার লেখাগুলো পাখিদের আলাদা আলাদা সত্বায় পরিচিত করে তুলছে। লিখুন, নিজের ভালো লাগার জন্যে, আমাদের পড়তে দেবার জন্যে। 🌹🌹
শামীম চৌধুরী
আপনাদের জন্য মানে পাঠক ও আমার ছবি দেখার বন্ধুদের জন্যইতো আমার এই পরিশ্রম।
জ্বী আপু। সঠিক বলেছেন। আমার প্রতিটি ছবি একেকেটি গল্প।
আরজু মুক্তা
পাখিগুলোর ছবি জীবন্ত!
শামীম চৌধুরী
খালি চোখে দেখতে পেলে আরো ভালো লাগতো আপু। এরা এত কালারডফুল হয় শুধু নয়ন ভরে দেখতেই মন চায়। লময় পেলে বেড়িয়ে আসবেন প্রকৃতির মাঝে।
স্বপ্নবিহীন মামুন
ছবি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। আমাদের দেশে এত প্রজাতির পাখি আছে। এই পাখি গুলো হয়তো দেখছি, নাম জানি না।
শামীম চৌধুরী
ধন্যবাদ ভাই।
ইলিয়াস মাসুদ
অসাধারণ ছবি তুলেন আপনি, এই ছবি গুলোর পেছনে অনেক শ্রম আছে,গল্প আছে নিশ্চয়। এত সুন্দর আমাদের দেশের পাখি!!! একটা সময় ছিল পাখির পেছেনে পেছেনেই থাকতাম, আপনার এত সব সছবি সেই সব সময়কে নাড়িয়ে দিলো,অনেক অনেক শুভ কামনা
শামীম চৌধুরী
ধন্যবাদ ইলিয়াস ভাই।
আপনার জন্যও রইলো শুভ কামনা।
নীরা সাদীয়া
পৃথিবীতে যত রকম প্রানি আছে, তার মাঝে পাখি আমার সবচেয়ে প্রিয়। কেননা, এরা উড়তে পারে! এদের বাহারি ডানা, নরম পালক আমাদের আনন্দ দেয়। নয়ন জুড়িয়ে দেয়। আমি পাখি পালন করি, গভীর বন্ধুত্ব পাখির সাথে আমার। তাই আপনার পাখির পোস্ট দেখে আমার খুব আনন্দ লাগলো।
শামীম চৌধুরী
নীরা আপু
আমি পাখির ছবি তোলার চেয়ে খালি চোখে পাখি দেখতে বেশী স্বাচ্ছন্দ্য পাই। আর যেহেতু শখের ছবিয়াল তাই ছবি তুলি। নানান রঙের বাহারী পাখি যখন প্রকৃতিতে মুক্ত ভাবে উড়ে বেড়ায় তখনই মনে হয় যিনিরা খাঁচায় পাখি পুষেন তাদের অমানবিকতার কথা। পাখির ধর্ম উড়বে। আর সে যদি উড়তে না পারে তবে প্রতিবন্ধীর মত জীবন যাপন করবে। আমরা যদি সঠিক খাবার খেতে না পারি তবে আমরা পুষ্টহীনতায় ভুগবো। আমাদের প্রজননেও সমস্যা হবে। তদ্রুপ পাখি যদি খাঁচায় আবদ্ধ থাকে তবে তারা বিকলাঙ্গ হয়ে যাবে তাদের প্রজনন না হলে বংশবৃদ্ধি হবে না। এভাবে যদি আমরা সাবই পাখিদের খাঁচায় পুষে রাখি তবে এরাও একদিন বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
প্রকৃতির অলংকার হচ্ছে বণ্যপ্রাণী ও পাাখি। ওদের প্রকৃতিতেই যেন আমরা নিরাপদে থাকার ব্যাবস্থা করতে পারি তার জন্য আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে।
শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
নীরা সাদীয়া
হ্যাঁ, আপনি ঠিক বলেছেন। আমি যখন নতুন পাখি কিনে আনি, প্রথম কদিন আটকে রাখি বাড়ি চেনানোর জন্য। তারপর ছেড়ে দেই। সারাদিন যেখানেই থাকুক সন্ধ্যেতে বাড়ি ফিরবেই।
আমার পাখিগুলো উড়ে বহুদূরে চলে গেলেও যখন আমার ডাকটা শুনে, যতদূরই থাকুক ছুটে চলে আসে। মধু মতি তো কাঁধে এসে বসবেই।
যখন প্রখর রোদ / প্রচন্ড ঝড় হয়, তখন তারা নিজে থেকেই খাঁচায় আশ্রয় নেয়। তাছাড়া রাতের বেলায় বিড়াল বা অন্য কোন শিকারী প্রানির কাছ থেকে রক্ষা পেতে,ঘুমাতে,বিশ্রাম নিতে ওরা এসে খাঁচায় বসে।
জাহিদ হাসান শিশির
কাক আর চড়ুই ছাড়া আমরা শহরের মানুষেরা কিছুই চিনি না গো ভাইজান । 🙁
কামাল উদ্দিন
সত্যিই পাখিগুলো অনন্য, আমি যখন ক্যামেরা হাতে বের হই, তখন পাখিদেরই খুঁজি বেশী। পোষ্টে ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম।