পকেটে নাই পয়শা কড়ি
অবস্থা খুব চরম
এমন সময় ঝোক বুঝে
বাজার টাও খুব গরম।
সকাল বেলাই বউয়ের গলা
চালের ড্রাম ফাকা
তেলের ডাব্বায় ইঁদুর ছোটে
পকেটে নাই টাকা।
শেষ কচুটাও আজই খেলাম
কাল কে খাবা কি?
বিছানাটায় শুয়েই থাকো
নাকে দিয়ে ঘি!
বাজার ঘুরে দেখতে গেলাম
যায় কি কিছু কেনা?
সব্জি সমেত ঘরে যেতে
হাজার টাকা দেনা!
আশি টাকার নীচে আজ
সব্জি কিছু নাই,
পেঁপে টাও চল্লিশ টাকা
পেপে ভর্তাই খাই।
পেঁপে ভর্তা, পেপের সালাদ
পেঁপের কত ঝোল
পেপের সাথে মিশিয়ে নিলাম
বাচ্চা একটা শোল!
আলু বেটাও কম যায় না
ত্রিশ টাকা কিলো
সাধ মিটিয়ে ভর্তা খাবো
সে কপালটাও গেলো!
তেলের বাজার করতে গিয়ে
হার্ট এটাকের পালা
চালের বাজার বলবো কি আর
পরান ঝালাপালা!
আমি গরিব, অতি গরিব
ফুটানিতে পাশ
বাজার ঘুরে খেয়ে এলাম
আস্তো একটা বাঁশ।
৯টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
বাস্তবতায় ছন্দে ছন্দে গরীবের বাঁশ গরীবেই খাই । সুন্দর উপমায় ভালো লাগ্লো।
খাদিজাতুল কুবরা
চরম বাস্তবতা।
তবে নাকে ঘী দিয়ে যে ঘুমায় সে কিন্তু গরীব নয়।
মনির হোসেন মমি
মুগ্ধ!! গরীবের কথা কেউ লিখে না।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বর্তমান বাজারমুল্য যে হারে বাড়ছে তাতে বেচে থাকা দায়।
বোরহানুল ইসলাম লিটন
একদম অসামান্য!
’ক্যামনে ফেলি শ্বাস!
গরীব হয়ে জন্ম নিয়েই
মোরা অধম দাস!
বাঞ্ছা করে নাশ,
তাইতো খোশে রোজ খেয়ে যাই
আইক্যাওয়ালা বাঁশ!’
মুগ্ধতা রইল কবিতায়। শুভ কামনা জানবেন সতত।
হালিমা আক্তার
ছন্দে ছন্দে চরম বাস্তবতার চিত্র তুলে ধরেছেন।কিযে হবে সামনের দিনগুলোতে। শুভ কামনা রইলো।
বন্যা লিপি
সামনের দিন যে আরো কত দেখতে হবে কে কি জানে!
আলমগীর সরকার লিটন
খুব সুন্দর ছড়া পাঠ করলাম কবি দা অনেক শুভেচ্ছা রইল
সুপর্ণা ফাল্গুনী
নিত্যপণ্য থেকে শুরু করে সবকিছুতেই আজ আমরা শংকিত, অবহেলিত। আমাদের মতো সাধারণের কথা কেউই ভাবে না। যে যার মত লুটেপুটে খাচ্ছে আমাদের জিম্মি করে।
নার্গিস রশিদ
ছন্দে ছন্দে ফুটে উঠেছে বাজারের উচ্চ দ্রব্য মূল্য । ভালো লাগলো ।