
সুখের ঠিকানা
বেপরোয়া সুখের ভাগ নেবে বলে
পরিপক্ব বসন্তের আড়াল-দ্বারে দাঁড়িয়েছে,
অভিজ্ঞতার ভাগ নেবে, ভাগ তার চাই;
জাগতিক ফাঁদে পড়ে হলেও
লক্ষ-কোটি লাভ-ক্ষতির হিসেব ছাড়াই।
দ্বিধা-দগ্ধ নিয়ন্ত্রণ-হীন প্রবঞ্চনা ছুটে-ফুটে এলেও
বসন্ত সে চায়-ই;
শতবারের করুণা ভিক্ষায় নয়,
আগুন চিৎকারে।
*******************************************
আচ্ছন্ন শিকারি
ছুঁয়েছে কী ছোঁয়নি
তছনছ করা শ্যামল শস্য ক্ষেত্র,
অনু-মগ্ন রুগ্ণ কৃষক ক্লান্ত
চৈত্রের তপ্ত বাতাসে;
গৃহস্থের নিকানো উঠানে
চতুর শিকারির নিখুঁত-সুঠাম
অদৃশ্য জাল,
উঠোন তার চাই-ই;
আচ্ছন্ন (মাতাল) সকালের টলোমলো পায়ে,
ক্ষয়িষ্ণু অবনমন, নতজানু অতল স্রোতে।
ছবি নেট থেকে।
২০টি মন্তব্য
খাদিজাতুল কুবরা
সুখের ঠিকানা খুঁজে মরি আমরা অহর্নিশ,
এ আমাদের স্বভাব সুলভ আকুতি।
দুনিয়াবি চিন্তায় গাফেল বান্দা আমরা,
আখের ভুলে বসন্তের পিছি ধাওয়া করি মরিয়া হয়ে।
পাখিটিকে আমাদের আঞ্চলিক ভাষায় কুরবা বলে। ও হচ্ছে দক্ষ শিকারী। শোলমাছ ধরে কঠিন অধ্যবসায়ী নিরীক্ষার মাধ্যমে।
আমাদের সমাজে একশ্রেণী সর্বদাই শিকারী চোখে চেয়ে থাকে এবং তালগাছটা নিজের দখলে নিয়েই নেয়।
অল্প ক’লাইনে সুবিশাল দর্শন তুলে ধরা আপনার কলমের আঁচড়েই সম্ভব।
ছাইরাছ হেলাল
আমাদের মন্দ প্রবণতা সব সময় ই প্রকাশ্য বা অলক্ষ্য আমাদের বিপথে তাড়িত করে।
এবং এক সময় আমাদের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে তিলে তিলে তৈরি করা উঠোন নিজের কব্জায় নেয়;
আল্লাহর সাহায্য ই তখন আমাদের রক্ষা কবজ।
আমাদের চেষ্টা শুধু আত্মসমর্পনের নতজানুতা বজায় রাখার।
আপনই ভাল থাকবেন।
বোরহানুল ইসলাম লিটন
সুন্দর উপমায় রূপকের উপস্থাপন।
জীবনবোধের এক অনন্য নিবেদন।
মুগ্ধতায় শুভ কামনা রেখে গেলাম নিরন্তর।
ছাইরাছ হেলাল
অনেক অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
পপি তালুকদার
শিকারীর বেশে ওতপেতে থাকা সুযোগ সন্ধানী এক শ্রেণির মানুষ আছে যারা সুযোগ বুঝে মানুষের উপর সর্বদা আধিপত্য বিস্তার করতে চায়।
ভাগ বসাতে চায় সব কিছুর উপর। যেভাবে হোক তার লাভ চাই।
রূপক নির্ভর কবিতা টি তারই বাস্তব চিত্র কে ফুটিয়ে তুলেছে দারুন ভাবে।
অজস্র শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানাই কবিতার জন্য।
ছাইরাছ হেলাল
অড গুলো সব সময় আমাদের বাঁধাগ্রস্থ করে।
এড়িয়ে যাওয়া এড়িয়ে চলা খুব ই কঠিন।
আপনার জন্য ও শুভেচ্ছা, ভাল থাকবেন।
বন্যা লিপি
সব্বোনাশ!!
কি তীর ছুঁড়ে মারলেন কার/ কাদের দিকে হে মহারাজ! ” বসন্ত শিকারি” মারাত্মক উপমা বটে। (যদি ঠিকঠাক বুঝে থাকি) বসন্ত আড়ে দ্বারে দাঁড়িয়ে থাকে শিকারির বেশে। বসন্ত তার চাই
বেপরোয়া সুখ! এই শব্দেন নিগূঢ়তম শব্দার্থ হরেক রকম ইঙ্গিত বহন করে, তদুপরি শিরোনাম যার বসন্ত শিকারি। দুটো অধ্যায়ের মূল ভাব বুঝলেও দ্বিধা কাজ করছে, উপরিউক্ত মন্তব্যের নিরুপনিক বিচার কাছাকাছি লাগলেও, স্কিল গুণে উপমায় বৈচিত্রতক ভুল হবার কথা নয়। এবার বাকিটা আপনি সাহায্য টাহায্য করেন মহারাজ।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি এখানে কীসের তীর-ফীর খুঁজে পেলেন। শয়তান আমাদের দাগা দেয়ার জন্য ওত পেতে থাকে।
শেষ মেষ সফল হয়। কৃষক ফ্যাল ফ্যাল দৃষ্টিতে শুধুই তাকিয়ে থাকে।
খুব ই তুলা তুলা ল্যাহা।
ধন্যবাদ।
রোকসানা খন্দকার রুকু
শিকারীরা সবসময় স্বার্থপর হয়। তাদের লাভের আশায় অন্যদের ক্ষতি/ ধ্বংস কোনটাই তাদের বোধগম্য হয় না। সমাজ আজ এমন শিকারীতে ভরপুর।
ছাইরাছ হেলাল
সময়ের বৈরিতা আমাদের ঘিরে রেখেছে/ফেলেছে।
পরিত্রাণ পাওয়া খুব কঠিন।
নিয়মিত পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
যারা অন্যের সুখ(বসন্ত) ছিনিয়ে নিয়ে সুখী হতে চায় তাদের জন্য ঘৃণা আর ঘৃণা। শিকারীর বেশে ওৎ পেতে থাকা শকুনের অভাব নেই আমাদের চারপাশে, যারা শুধু নিজের সুখ, আনন্দ, স্বার্থেই ডুবে রয়। এরা খুব নিষ্ঠুর প্রকৃতির। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা অবিরাম
ছাইরাছ হেলাল
তুখোড় শিকারিরা চোখ/নখ শান দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। অদের খপ্পর থেকে এড়ানো কঠিন।
তবুও আমরা বেঁচে থাকি, বাঁচিয়ে রাখি আমাদের।
শুভেচ্ছা আপনাকে।
জিসান শা ইকরাম
চতুর শিকারির জাল থেকে নিস্তার পাওয়া কঠিন,
শিরোনাম তো ঝাক্কাস হইছে,
এমন ছবি কেমনে খুজে পান?
শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
পর্দার আড়ালে ওত পেতে থাকে শিকারের আশায়।
এটি ই চরিত্র শিকারির। আমরা পথ না দেখালেই বেঁচে যাব/যাই।
ধন্যবাদ।
তৌহিদ
সুখের ঠিকানা এমনি এমনিতেই আসেনা, কষ্টেসৃষ্টে অর্জন করতে হয়। কষ্টার্জিত ফসলের উঠোনে ভাগ বসাতে চায় যে সে সুবিধাবাদী।
সীমিত জ্ঞানে এই বুঝলাম লেখা পড়ে।
ছাইরাছ হেলাল
আসলে নিয়ত-ই আমাদের বৈরিতার মুখোমুখি হতে হয়, এটি-ই জীবনের নিয়ম।
কতটা সতর্কতা আমারা নিতে পারি সেটাই অসাল কথা।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
সাবিনা ইয়াসমিন
দিন কি সবদিনেই সমান হয়!
ঋতু কি থেমে থাকে এক ঋতু মুগ্ধতা নিয়ে!
চাইবার মতো চাইলেই কি সব চাওয়ারা পাওয়ায় বদলায়!
নিরবচ্ছিন্ন লড়াইয়ে কে কতদিন জয়ী হতে পারে মহারাজ! বড় বড় শিকারীরাও ফাঁদে পড়ে। পড়তেই হয়। একদিন সব অভিজ্ঞতাই নিস্ফল হয়ে পড়ে থাকে অসীম অভিজ্ঞের পদতলে।
আপনার লেখারা দিনকে-দিন ভিনগ্রহের হয়ে যাচ্ছে।
নিজ গ্রহে ফিরে আসুন। আমাদের বসন্ত লাগবে না, আপনি বৈশাখী মেলার পসরা সাজান।
ছাইরাছ হেলাল
এই তো চৈত্র পার হচ্ছি হচ্ছি।
নাহ্, গ্রহান্তরে আর যেতে পারলাম কৈ, শিকড় গেড়েছি যে এই সোনেলায়।
নিয়ম করে ঋতু আসে, নিতে, দেয়ার ছলে। এটাই নিয়ম।
তবুও আমরা ঋতুতেই থাকি, ঋতুতেই বাঁচি।
ভাল থাকবেন আপনি।
আরজু মুক্তা
বসন্ত এখন দেখি বসন্ত বিলাপ হয়ে গেলো। এই সব শিকারি বরাবরি বসন্তের কোকিলের মতো। মুড়োটা আমার।
ছাইরাছ হেলাল
মুড়ো নিয়েই টানাটানি, বাড়াবাড়ি। ওটি যে চাই-ই।
খর তাপে বসন্তের এখন বিলাপ ধ্বনি।
অনেক করে ভাল থাকুন।