কোকিল আজ দূর-বসন্তে, ফিরে আর আসবে না সে,
যতি চিহ্নের মত স্ফুরিত বাকস্ফুর্তি নিয়ে
অসবর্ণ সিড়ির সাড়িতে দাঁড়িয়ে,
বন্ধন-যাতনার প্রতিধ্বনি এড়িয়ে;
হয়ত আসবে বেমালুম ভুলে, ফেলে যাওয়া
প্রাণ-উদ্দীপক এন্টিক মুদ্রাগুলোর টানে,
যা প্রায়-ই অচল উভয় পাড়ে, উত্তরে, দক্ষিণে,
পূর্ব, পশ্চিমে; বিমাতার খরঋতুতে;
হয়ত আসবে ঘুর পথে বেহিশেবির পথ ধরে,
তুঙ্গ-পুলকে বসন্ত বিহারের তারা-নেভা-রাতে
তারা-জ্বলা-রাতে, সোনা-জ্বরে ভুগে ভুগে;
প্রলম্বিত সবুজের মাঝে উড়ু উড়ু বক্ষে,
ফেলে যাওয়া কোন কাব্য-পংতি হাতে
ভাত শালিকের উৎকর্ণ হয়ে শোনা কোন হেঁয়ালি বার্তা,
যত্রতত্র ছুঁড়ে ফেলা, ছিটকে পড়া বন-জ্যোৎস্না রাতে;
আসবে, আগামীর কোন সবুজ চরাচরে নিরক্ষ রেখা বরাবরে
প্রত্যাশার স্বপ্ন-তরী নিয়ে, অফুরান শিশু হাসিতে।
******************************************************
“কালা, তোর কারণে নষ্ট হতে আর কী বাকী?
কালা, তোর-ই পানে আড়-নয়নে চেয়ে চেয়ে থাকি।”
৩১টি মন্তব্য
প্রহেলিকা
আশাবাদী মানুষদের কাছে নিরাশা একটু দুরত্ব বজায়ই রাখে। নিরাশা তাদের গ্রাস করতে পারে না। নাকানিচুবানির পরেও যা বেচে(চন্দ্রবিন্দুহীন বাঁচা) থাকে তাহলো “আশা”।
তবে এবার উল্টোটা চাই। চাই আশা পূরণ না হোক, এই নিরুদ্দেশ কোকিল নিরুদ্দেশই থাকুক। আমরা ভাসতে চাই, দিগ থেকে দিগন্তে। ডানা নেই তবুও আশা আছে। মাঝপথে গোল বাধাবে এই কোকিল তা ফকফকা!
বেশি ভালা ল্যহা ঠিক না। তা শব্দগুলান কোন খামারে লুকাই রাখেন ঠিকানা ঠুকানা দিয়েন! আর হ্যা কোকিল থেকে দূরে থাকুক। অনেক অনেক দূরে!
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা, বুঝতে পারলাম, “আশাই জীবন”।
আপনি একটি এগিয়ে এসে দিগ-দিগন্ত শুরু করে দিন-না!!
গোল বাঁধানো এই কোকিলের সাথে আমরাও একটু গোল করেই গোল বাঁধাই!!
দূরে-ই আছি, থাকিও, কিন্তু কুহু তো বন্ধ করাতে পারি না।
এমিন নকল-ফকল ল্যাহা সবাই ল্যাক্তে পাড়ে, খালি ল্যাহে না !!
লেখা কৈ? ফাঁকিবাজি ছেড়ে দিন।
জিসান শা ইকরাম
আরে আসবে আসবে,
আসতেই হবে কোকিলকে
ফিরে ফিরে আসা……
ছাইরাছ হেলাল
আসুক, তবে সময় গেলে সাধন থাকে না!!
প্রহেলিকা
ছবির স্থানটি কোথায়? অদ্ভুত সুন্দর একটা ছবি!
শুন্য শুন্যালয়
বরিশাল দূর্গাসাগর। দারুচিনির দ্বীপ, এখানে হামাগুড়ি দিয়ে যাইতে হয় 🙂
ছাইরাছ হেলাল
যারা যায়, তারাই জানে এর মাহাত্ম,
তবে ছবি কিন্তু আনটাস্টড! ফটোশপ এটিকে হাতানোর সুযোগ পায়নি!!
প্রহেলিকা
যাব যাব, ছবিতেই ভাল্লাগছে, না জানি কত সুন্দর! যেতেই হবে! হামাগুড়ি দিয়েই যাব!
ছাইরাছ হেলাল
হামাগুড়ির প্রাকটিস শুরু করে দিন।
ছাইরাছ হেলাল
ছবিটি আমার পছন্দের।
প্রহেলিকা
এমন আরো কয়েকটি দিন। কি লাভ লুকিয়ে রেখে?
ছাইরাছ হেলাল
কে আর কাকে কবে লুকোতে পেরেছে!
দিচ্ছি তো প্রতি লেখায়-ই।
শুন্য শুন্যালয়
কী সুন্দর! একবার, দুবার কএকবার পড়েই বুকে ফুঁ দিয়ে মন্তব্য দিতে বসলাম, বোঝেন তাহলে কী বিপদে ফেলেছেন।
ফিরে না আসার নমুনা কিন্তু দেখিয়েই দিলেন, কথা হচ্ছে আসলে সে গেলোই বা কবে! কবিতার কোথাও তার যাবার চিহ্ন দেখছি না। সবটাই ফিরে ফিরে আসা।
বন্ধনের যাতনা যতই থাকুক, আমরা কিন্তু বন্ধনই চাই সবসময়।
সোনা না থাক, নিদেন রূপা-জ্বরে ভুগেও যদি এমন করে লিখতে পারতাম! অচল মুদ্রা দিয়ে কোকিলের গলার নেকলেস বানানো যেতে পারে।
কালা-প্রেমে জীবন নষ্ট, দুঃখ সবাই দেখে না এমন এমন কবি না থাকলে।
১১০।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি বিপদে পড়েছেন তা আপনি নিজেও কস্মিন কালেও বিশ্বাসে নিতে পারবেন না।
সে তো আপনি বুঝতেই পারছেন, যেতে চাইলেই কী যাওয়া যায়! কেউ যেতে পেরেছে এমনটি ঘটে না।
ঐ যে ডাক্তারি গপ্পো, স্ত্রী স্বামীকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে নিয়ে বলতেছে……ফুলা-টা থাকুক, ব্যাথা কমিয়ে দিন।
কাজেই সোনা-জ্বরটুকু চাই, বন্ধনের যাতনাটুকু ছাড়া, কাঠালের আমসত্ত্ব চাওয়ার মতই।
its bleed……… ভাইয়া!!
যাক, আপনি কোন কালেও কৃপণ ছিলেন না।
ফাঁকি দিতে চাচ্ছেন!!
শুন্য শুন্যালয়
কই ফাঁকি দিলাম!
আমিতো জানি কাওকেই বিশ্বাস করানো যাবেনা, আজকাল মন্তব্য দিতে কী বিপদেই না আমাকে পড়তে হয়। সত্যি বলতে একটা লাইফটাইম মন্তব্য দিয়ে যদি আপনার কাছ থেকে নিষ্কৃতি পেতাম তাহলে বেশ হতো। কোন লেখাতেই আর কখনো কিছু বলতে হতোনা। কিন্তু এমন লাইফ টাইম মন্তব্য আমার এজীবনেও দেয়া হবেনা, আমি অকর্মণ্য।
ব্লিডিং ইজ সেল্ফ ইমিউনাইজেশন ফর সোর, পেইন। লেট ইট ব্লিড।
ছাইরাছ হেলাল
লেখা না দিয়ে ফাঁকি দিচ্ছেন।
অধুনার বিপদ!! সেটা বাড় কী! আপদ তো আপনাকে দেখলে পালিয়ে বাঁচে!
নিষ্কৃতি কোন মিষ্টান্ন দ্রব্য না যে টুপ করে মুখে পুরে ফেললেন, শুধু মুখে পুরেই না, গিলে ফেললেন ঢক করে,
এমুন না কিন্তু, আপনি তাও জানেন।
এহ্, দাক্তার!!
মেহেরী তাজ
ভাইয়া পক্স(pox) মানে তো বসন্ত। এই বসন্ত কি সেই বসন্ত? তাহলে তো বসন্ত দূরে থাকাই ভালো।
আরো কয়েক বার পড়ে নেই তারপর দেখি কি বুঝি…
ছাইরাছ হেলাল
পেকে পেকে ঝুনো হয়েছেন দেখতে পাচ্ছি।
মেহেরী তাজ
তাহলে তো ঝরে যাবার সময় ও হয়ে আসবে। না না এখনই নয়। আগে আপনার দূর বসন্তে হারিয়ে যাওয়া কোলিলের ফিরে আসার সংকেত তো পাই। তার ডাকের প্রতিধ্বনি তো শুনি…
ছাইরাছ হেলাল
আপনি ঝরে যাওয়ার ভুত না, ঝরে যেতে দিচ্ছেই বা কে!
আপনার কোকিল আসতে বাধ্য, আমরা বরং সে ডাক শুনতে অপেক্ষা করি।
সাবিনা ইয়াসমিন
* হয়তো আসবে বেমালুম ভুলে যাওয়া, ফেলে যাওয়া প্রাণ-উদ্দিপক এন্টিক মুদ্রাগুলোর টানে *
আমি একটা কোকিলকে চিনি, যে এন্টিক মুদ্রা সংগ্রহ করতে পছন্দ করে। পাঁচ পয়সা, দশ পয়সা, পঞ্চাশ পয়সা এবং একশো পয়সার তিনটা মুদ্রা তার কাছে আছে। কিন্তু পঁচিশ পয়সার মুদ্রাটি সে খুঁজে পাচ্ছে না।
বসন্ত দূর বসন্তে গিয়ে আবার ফেরত-ফেরত বসন্তে আসুক, শুভ কামনা রইলো।
* ইদানীং লেখাগুলো এতো মারমার- কাটকাট হচ্ছে কেন, এটা নিয়েও একটা গবেষনা মূলক পোষ্ট দিতে পারেন মহারাজ। নিজের ঢোল নিজে বাজানো ভালো, তাতে ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। *
ছাইরাছ হেলাল
সে খবর পেয়ে গেছেন!! প্রাণোদ্দীপক মুদ্রা!!
চিন্তাইয়েন না, এত এত মুদ্রা যখন সংগ্রহে আছে পঁচিশেরটিও খুঁজে নিতে পারবে।
আসুক ফেরতের গান গেয়ে। তবে অকালে আর বেসুরো না হলেই হয়।
আচ্ছা আচ্ছা ঢোল একটু বাজিয়ে দেখি, না ফাটিয়ে!!
কে কাকে বলছে মারমার-কাটকাট!!
মোস্তারী শবনম
আশা জাগানিয়া…অবশ্যই আসবে।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার মুখে মুখশুদ্ধি থাকুক।
অনেক ধন্যবাদ, আপনাকে।
লিখতে শুরু করে দিন।
রিতু জাহান
ও কি আসবে আগের মতো কুহুতানে!!
আজকে আমাকে বলে গেলো,
‘রিতু, এতো নির্জন দুপুরে তুমি কেনো এতো উদাস বলো তো! চলো গান শুনি।’
আমি বললাম, তোমার থেকে ঢের ভালো কবিতা পড়ি।
গাল ফুলিয়ে চলে গেলো ও পাড়ার কড়াই বাগানে।
ও পাড়ায় যে সে স্থির থাকবে না, তা আমি ঢের জানি। আসবে ফিরে আমার এ নির্জন বারান্দায়। আমার এ পিছনের আকাশমনি বাগানে।
সুপারি ফুলের ঘ্রাণ।
আমার উদাস দুপুরে ও গান নিয়ে আসবেই।
এখন, তার কোনো সাড়া শব্দ নেই। আমার মতোই মাঝে মাঝে আড়াল করে নিজেকে।
বেহিসেবীর পথ ধরে চলে যাওয়ার এক ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলাম শুধু একদিন। তাতেই তার এ পথে বার বার ফিরে এসে অপেক্ষা করা গান নিয়ে। কিন্তু আমি বলেছি, কবিতা ছেড়ে যাব না। আগে কবিতা শিখে আসো।
ভালো লাগা রইলো কবিতায়।
ছাইরাছ হেলাল
বাপ্রে, আপনি এখন কুহুদের-ও কবিতা শেখানোর স্কুল খুলে বসে আছেন।
উদাস দুপুর আর বেহিশেবের পথ একাকার হয়ে যাচ্ছে।
এভাবে বললে আড়াল আড়ালেই লুকিয়ে যাবে, ফাগুন আসবে ডানায় ভর করে।
রিতু জাহান
একদম। আসবেই সে কবিতা নিয়ে। আসতে যে তাকে হবেই।
এ যে অশ্বত্থের মতো অপেক্ষা করা। অপেক্ষা আর প্রতিক্ষার মধ্যে যে বিস্তর পার্থক্য।
সে জানে, আমার এ চোখ অপেক্ষা করে।
ছাইরাছ হেলাল
দেখবেন এসে ঘাড় মটকে না দেয়।
তৌহিদ
কোকিল ফিরে আসুক বারে বারে। আশা জাগানিয়া লেখাটি ভালো লাগলো ভাই।
আচ্ছা এই কালা কে? বলবেন?
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
রাধাকৃষ্ণের আখ্যান থেকে বলা।
তৌহিদ
ধন্যবাদ ভাই