“কয়েকদিন ধরেই দেশজুড়ে প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। রাতদিন ঝমঝম ঝমঝম। মাঠ, ঘাট, খাল, বিল, রাস্তা, গলিপথ সবই কোথাও কোথাও তলিয়ে যাচ্ছে, আবার ভেসে উঠছে। মানুষের মনের অনুভুতিরাও কেমন যেনো বৃষ্টির সাথে সাথে বদলাতে থাকে। কারো বৃষ্টি খুব পছন্দ, আবার কারো খুবই অপছন্দ। আর বর্ষায় রাস্তাঘাটে চলাফেরা করতে বা অন্যভাবেও বর্ষায় আমাদের জীবনে অনেক মজার/বিড়ম্বনাময় অভিজ্ঞতা হয়। চলুন, জানি কার কার কেমন অভিজ্ঞতা রয়েছে? আগামী ৩১ মে ২০১৭ তারিখের মধ্যে শেয়ার করি যার যার অভিজ্ঞতা। এ বিষয়ে একজন একের অধিক পোস্ট দিলেও অসুবিধা নেই। শিরোনামের পাশে ব্রাকেটে (বর্ষা) লিখে দিন তাহলেই সবাই বুঝবে। আসুন, সবাই মন খুলে শেয়ার করি।”
উপরের অংশটুকু আমার প্রস্তাব। কেমন হয় যদি সবাই নিজেদের ঘটনাগুলো আমাদেরই প্রিয় মানুষদের সাথে শেয়ার করি আমাদের প্রিয় এই ব্লগে?
৩৩টি মন্তব্য
শুন্য শুন্যালয়
আপু অনেকদিন আগে আমি এমন প্রস্তাব দিয়েছিলাম, যদি নির্দিষ্ট একটা বিষয় নির্বাচন করা হয়, আমরা একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে সেই বিষয় নিয়েই লিখি। তখন তেমন সাড়া পাইনি কারো কাছ থেকে। এটি মজার হবেই হবে। সহমত আপনার প্রস্তাবে। কোন সময়সীমা থাকবে কিনা এটা উল্লেখ করা যেতে পারে।
সবাই কী বলে অপেক্ষায় রইলাম। আসবো আবার।
নীহারিকা
আমারও মনে হয় সারা বছর ধরে নির্দিষ্ট বিষয় উল্লেখ করে সময়সীমা নির্ধারণ করে দিলে একই বিষয়ের উপর বাস্তব অভিজ্ঞতা সহ অনেক লেখা পাওয়া যাবে। এখানকার ব্লগারদের অভিজ্ঞতার ঝুলি অনেক সম্মৃদ্ধ। একে অপরের সাথে শেয়ার করলে বিভিন্ন ক্ষেত্র সম্পর্কে আমরা জানতে পারবো। পাশাপাশি গল্প, কবিতাসহ অন্যান্য বিভাগের লেখাও স্বাভাবিক নিয়মেই চলুক। যেমন আমাদের এখানে হয়তো মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিযুদ্ধ দেখেছেন বা যাদের কাছের মানুষেরা যুদ্ধের সংগে জড়িত ছিলেন তাদের জন্য যদি স্বাধীনতা দিবস বা বিজয় দিবসের আশেপাশে সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয় অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য তাহলে সেই স্বাধীনতার মাসে বা বিজয়ের মাসে আমরা কিছু জানতে পারবো।
আবার হতে পারে “বিদেশ ভ্রমণ” “প্রবাসী জীবনের অভিজ্ঞতা” “ট্রেন/লঞ্চ/বাস/বিমান/ভটভটি ইত্যাদি ভ্রমণের মজার অভিজ্ঞতা” ইত্যাদি ইত্যাদি।
এগুলো কিছু আইডিয়া দেয়া হলো, দেখা যাক সবাই কি বলেন।
শুন্য শুন্যালয়
আপু একটা সময়সীমা উল্লেখ করে পোস্ট টা আপডেট করে দিন। সেটা প্রস্তাব হলেও সমস্যা নেই। দেখি কী বলে সবাই।
আর শিরোনাম টা কী একটু পাল্টানো যায়? শুধু বিড়ম্বনা কেন হবে? আনন্দ ও থাকুক। 🙂 বর্ষা টুকিটাকি টাইপ 🙂
নীহারিকা
হুম ভালো বলেছো। সময় উল্লেখ করে দিচ্ছি। আর নামটাও 🙂
আর শোনো মডুদের বইলো পোস্ট স্টিকি করার জন্য ধইন্যবাদ 🙂
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
এ ধরনের প্রস্তাবে আমি সব সময় একমত।এছাড়াও আছে হট সিটে বসা এক একটি ব্লগারের সাথে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর। 😀
নীহারিকা
আপনার প্রস্তাবটিও মন্দ নয়। দারুন হবে মনে হয়।
ছাইরাছ হেলাল
সুন্দর প্রস্তাবনা,
‘লেখা কোন ব্যাপার-না’,
তবে, শুরুটি আপনি করে দিন।
নীহারিকা
এই বিপদে ফেললেন তো। আমি এম্নিতেই ভালা ল্যাক্তারিনা। ৫ লাইন ল্যাক্তে ২ দিন বইসা থাকতে হয়। আর আপ্নারা বইলে, খাড়াইলেই ল্যাহা চইলা আসে। তারা আগে দিলে কি হয়? সেইদিন শুনলাম পানিত হাটতে গিয়া ম্যানহোলে পইড়া গেছিলেন। সেইটাই লিখেন? আর আমারে শুরু করতে কইলে কয়দিন উয়েট করুন লাগবো। ভাবতাছি কুনটা লেহুম….
ছাইরাছ হেলাল
একদিন-তো হইছে, আড়াই লাইনে একটি গপ লিখে দিন,
আম্রা তো আম্রা-ই!!
নীহারিকা
আচ্ছা, ল্যাকতে বইছি।
কখন শ্যাষ হইবো কইতারিনা।
জিসান শা ইকরাম
চমৎকার প্রস্তাব।
দেখি কিছু একটা লিখে ফেলবো।
নীহারিকা
তাড়াতাড়ি লিখে ফেলুন। আপনার অভিজ্ঞতার ঝুলি একেবারে উপচে পড়ছে তা আমরা জানি তাই আবার ভাব্বেননা এই শেষ। এটা শেষ হলে অন্য টপিক দিয়ে হোমওয়ার্ক করতে লাগিয়ে দেবো। আরামের দিন কিন্ত শেষ। 🙂
ইঞ্জা
আমি পাশে আছি কিন্তু বর্ষা নিয়ে আমার দুঃখের স্মৃতি ছাড়া আর কিছুই নেই বলেই কিছু লিখবোনা।
নীহারিকা
দু:খের স্মৃতি হলেও লিখেন। যার যেমন অভিজ্ঞতা তাই জানান। আপনার বাসায় কখনো বৃষ্টিতে পানি ঢুকে থাকলে সেটাই লিখেন 🙂 লিখতে কিন্ত হবেই। হু।
ইঞ্জা
মর জ্বালা
চাটিগাঁ থেকে বাহার
ভালো প্রস্তাব। এরকম একটার পর একটা অপার চলতে পারে আরএফএর এর মতো।
আরএফএল আমাদেরকে দাঁড়াতে দেয় না। একটি অফার শেষ হলে নিয়ে আসে আরেকটি অফার (আমি আরএফএল এর ডিলার)।
নীহারিকা
হাহাহা ভাই আপনার তুলনা দেখে হেসেই মরে যাচ্ছি। আপনি ঠিকই ধরেছেন, প্ল্যান কিন্ত আমার সেরকমই। নিয়মিত লেখার পাশাপাশি অফারও চলবে 🙂 একেকবার একেক টপিক। বসার আর টাইম পাইবেন না 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
খুবই চমৎকার প্রস্তাব। আমি ওয়াকার নিয়া খাড়া। বৃষ্টির কত্তো স্মৃতি! তয় সময় লাগবো।
আসিতেছি খুব শীঘ্রই।
আপু আপনাকে ফুলেল শুভেচ্ছা। -{@
নীহারিকা
এইতো গুড গার্ল। বলার আগেই তৈরী 😀 তাড়াতাড়ি লিখে ফেলুন। যত খুশি তত পোস্ট। সময় আছে হাতে। তারাহুড়ার কিছু নেই কিন্ত।
এই নেন আপনার জন্যও লাল গুলাপ -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
এক পশলা বৃষ্টি এইমাত্র হয়ে গেলো। সাথে বিদ্যুতের চমক ও সুরও ছিলো। 🙂
লাল গুলাপ নিলাম। তয় আমারে বেলী দিয়েন গো আপু। এইখানে যদিও নাই, তয় মনে মনে দিয়েন। -{@
নীহারিকা
ইশ বৃষ্টি কি যে ভালো লাগে কি বলবো। বেলী আমারও খুব প্রিয় ফুল। এই নেন দিলাম আপনাকে। অনেক সুবাস কিন্ত 🙂
মৌনতা রিতু
আমি যা লিখব তা পড়ে কেউ সমুদ্রে ঝাপ দিলে দোষ নাই কিন্তু। :p
দারুন প্রস্তাব। তয় পুরষ্কার দিবেননি কন। তাইলে মাজায় কাপড় বাইন্দা নামুম। অনেক ধন্যবাদ। আসতেছি পোষ্ট নিয়ে।
নীহারিকা
আগে ল্যাহা শুরু করুইন। দেহি কার কি অবস্থা হইছিলো বর্ষায়। যে বেশি নাকানি-চুবানির অভিজ্ঞতা বলতে পারবে তার জন্য ব্লগ কর্তৃপক্ষকে বইলা একটা পুরষ্কারের ব্যবস্থা করার চেষ্টা নিতে পারি। 😀
লিখতে থাকুন। আমরাও জানি আপনার অভিজ্ঞতা।
মেহেরী তাজ
পেইজে কি জানি মন্তব্য করেছিলাম? ;? যাক যাক।
আপনি শুরু করুন আপু। আমি খুঁজতে থাকি। 🙂
নীহারিকা
আমার আবার ল্যাহা তাত্তারি আসে না। গুছাইতে হয়। গুছায়া আইতাছি।
তুমি খুঁজে তাড়াতাড়ি আসো।
মেহেরী তাজ
আপু বর্ষা পালাইছে। চাদি ফাটা রোদ এখন। আমরাও একই অবস্থা। লেখা মাঝে মাঝে কই জানি লুকায়ে বসে থাকে।
নীহারিকা
আচ্ছা, অসুবিধা নাই। টাইম আছে। আবার ঝুম বৃষ্টি নামার পর ভাব আসলে লেইখো।
নীরা সাদীয়া
আমার যে কোন অভিজ্ঞতা নাই, আমি কিছুই লিখতে পারব না। ;( তবে সবারটা পড়ে আনন্দ টাব। তাই এটা নিঃসন্দেহে ভাল প্রস্তাব।
নীহারিকা
বলো কি! বর্ষা নিয়ে কোনো মজার বা অন্য কোনো স্মৃতিই নেই তোমার?
ভাবত্তে থাকো,, নিশ্চই কিছু একটা বেরুবে।
মিষ্টি জিন
আমি দুই হাত ঊঠাইলাম তয় পুরস্কারের লগে খিচুরী মাংস খাওয়াইতে হপে। ( মাছ খাইনা) বৃষ্টির লেখা বলে কথা। 😀
বৃষ্টি নিয়ে আমার তুইয়ের লগেই তো কত স্মৃতি আছে।দিমু নে। খাডন এখনই লিখতাছি।
আজ এই বৃষ্টির কান্না দেখে , মনে পড়লো তোমায়
অশ্রু ভরা দুটি চোখ, তুমি ব্যাথার কাজল মেখে
লুকিয়েছিলে ঐ মুখ।
নীহারিকা
বাহ বাহ বাহ! এইতো পায়া গেছি। পুরষ্কারের কথা কইতারিনা কিন্ত খিচুড়ি ফাইনাল। লেইখ্যা ফালান। যত খুশি তত। আমরা একটু পড়ি।
শিপু ভাই
লিখবো 😀
নীহারিকা
আমি জানি আপনার ঝুলিতে লেখার মত অনেক অভিজ্ঞতা জমা আছে। লিখে ফেলুন 🙂
ধন্যবাদ ভাই।