যেসুম গেরামের বন্ধুগো লগে উড়াইছি ঘুড়ি,
খেলছিলাম ফুটবল, গোল্লাছুট, কানামাছি।
আইস্বা খেইল্লা দিনগুলা কাডাই দিছি!
যেসুম হগলতে মিল্লা সাদাকালা টেলিভিশন দেখতে যাইয়া মাইষের আতে খাইছি কত মাইরগুতা।
ইশকুলে খাইছি মাস্টারের বেতের গুতা!
যেসুম চারআনা দিয়া বুটভাজা, বাদাম, লেবনচুষ, আইসক্রিম, মালাই খাইছি মনে অনন্দ লইয়া।
হারা দুপুর কাডাই দিছি নদীতে হাতরাইয়া।
যেসুম বড়দা’র কান্দে চইড়া মেলায় যাইয়া কিন্না আনতাম, নিমকি, জিলাপি বাতাসা সন্দেশ।
হেই দিনগুলা অহনে অইয়া গেছে নিরুদ্দেশ!
যেসুম মজা খাওনের লাইগা বাবার পকেট থেইক্কা পাঁচপাই, দশপাই চুরি কইয়া রাখছি পলাইয়া!
হেই দিনগুলা কই গেলগা আরাইয়া?
যেসুম ঘুদারা পাড় অইয়া, পাঁচপাই বাঁচানের লাইগা, পরনের হাপপেন্ট খুইল্লা আন্দা-গুন্দা দৌড়াইছিলাম।
দশপাই লগে লইয়া টাউন দেখতে গেছিলাম!
যেসুম চলছিল সিনামা হলে দি রেইন ছায়াছবি। অভিনয় করছিলো, নায়ক ওয়াসিম ওলিভিয়া।
হেই সিনামা দেখছি বই কিননের টেকা দিয়া।
যেসুম বাবার কান্দে চইড়া ঘরতাম! মা’র কোলে আর বড় দিদিগো কোলে কোলে থাকতাম হারাদিন।
সময়, তুই আমারে ফিরাইয়া দে হেইদিন?
যেসুম মা আমারে ছাড়া থাকতে পারতো না, আমিও থাকতে পারতাম না! মা’র গলেই থাকতাম হারাদিন।
সময়, তুই আমারে ফিরাইয়া দে হেইদিন!
৩০টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
সব অতীত সব অজানা আজ
এগুলা এলা গল্পএই নারাজ
হুদাহুদি অন্তরে স্রিত উপলদ্ধিরাজ।
নিতাই বাবু
তারপরও সোনেলায় স্মৃতি করে রেখে দিলাম, ছোটবেলার দিনগুলো। মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি শ্রদ্ধেয় দাদা।
মোঃ মজিবর রহমান
আপনার প্রতি রইল অক্রিতিম শ্রদ্ধা ও ভালবাসা।
মাছুম হাবিবী
গ্রামীণ ভাষায় রচিত হলেও কবিতায় ফুঁটে উঠেছে শৈশবের স্মৃতিচারণ।বেশ সুন্দর লিখেছেন দাদাভাই। পুরনো দিনের কথা মনে পরে গেল!
নিতাই বাবু
সেসব দিনগুলোর কথা মনে পড়ে খুব! তাই সোনেলায় স্মৃতি করে রেখে দিলাম, শ্রদ্ধেয় দাদা।
নৃ মাসুদ রানা
তুই আমারে ফিরাইয়া দে হেইদিন!
নিতাই বাবু
সময় কি তা ফিরিয়ে দিতে পারবে, দাদা? না পাড়ুক, তবুও সোনেলায় স্মৃতি করে রেখে দিলাম।
জিসান শা ইকরাম
সেসব দিন আর ফিরে আসবেনা দাদা,
আমাদের শৈশবের অকৃত্রিম আনন্দ বর্তমানের কিশোররা পায়না।
স্মৃতিময় সেসব দিন, আহা 🙁
নিতাই বাবু
ফেলে আসা সেসব দিনগুলো কখনো আর ফিরে আসবে না জানি। তবুও প্রাণের সোনেলায় স্মৃতি করে রেখে দিলাম, সেসব দিনগুলো।
সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি, শ্রদ্ধেয় দাদা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
স্মৃতি রোমন্থন করে ভাবি সত্যিই শৈশব, কৈশোরে যদি আবার ফিরে যেতে পারতাম। ধন্যবাদ দাদা
নিতাই বাবু
সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য আপনাকেও অজস্র ধন্যবাদ জানাচ্ছি, শ্রদ্ধেয় দিদি।
কামাল উদ্দিন
নষ্ট্যালজিক শৈশব আজো হাতছানি দিয়ে ডাকে। আঞ্চলিক ভাষায় লিখা বলে বেশী ভালো লেগেছে………শুভেচ্ছা জানবেন নিতাই দাদা।
নিতাই বাবু
সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য আপনাকেও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি, শ্রদ্ধেয় দাদা।
কামাল উদ্দিন
ধন্যবাদ দাদা, ভালো থাকুন, সব সময়।
ছাইরাছ হেলাল
ফিরে আর আসবে না/আসে না,
সেই সব সোনা দিন।
নিতাই বাবু
সেসব দিনগুলো কখনো আর ফিরে আসবে না জানি। তবুও সোনেলায় স্মৃতি করে রেখে দিলাম, শ্রদ্ধেয় দাদা।
মাহবুবুল আলম
“যেসুম চারআনা দিয়া বুটভাজা, বাদাম, লেবনচুষ, আইসক্রিম, মালাই খাইছি মনে অনন্দ লইয়া।
হারা দুপুর কাডাই দিছি নদীতে হাতরাইয়া”
নষ্টালজিক লেখা। শুভেচ্ছা জানবেন!
এস.জেড বাবু
সোনালী দিনের স্মৃতি সোনেলায়।
স্বর্নালী শুভেচ্ছা আপনাকে।
যেসুম” শব্দটা আমাদের ওইদিকে শুনিনি, বাদবাকি প্রায় শব্দগুলির সাথে আমি পরিচিত।
চমৎকার হইছে।
নিতাই বাবু
যেসুম মানে ‘যে-সময়’। কোনসুম মানে ‘কোন সময়’। হেসুম মানে ‘তখনকার সময়’। অহন মানে ‘এখন’। তহন মানে ‘তখন’।
এবার হয়তো বুঝতে আর অসুবিধা হবে না নিশ্চয়।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি, শ্রদ্ধেয় দাদা।
এস.জেড বাবু
ভাইজান
মানে বুঝতে পারছি-
তবে এই শব্দটা ব্যাতিত বাকি শব্দগুলি আমার চারপাশে অহরহ উচ্চারিত হয়।
আমি সেটাই বলছিলাম।
ধন্যবাদ আপনাকে
রেহানা বীথি
আঞ্চলিক ভাষায় শৈশবের হারানো স্মৃতি ফিরে পাওয়ার আকুলতা খুব সুন্দর লিখলেন দাদা।
নিতাই বাবু
আমাদের নারায়ণগঞ্জের কথ্যভাষা দিদি।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি, শ্রদ্ধেয় কবি দিদি।
সুরাইয়া পারভিন
পুরোনো দিন কি আর কখনো ফিরে আসে।
শুধু শুধু সে সময়ের জন্য হাপিত্যেশ করে আর লাভ কি?
নিতাই বাবু
কোনও লাভ লোকসান নেই। শুধু সোনেলায় স্মৃতি করে রেখে দিলাম, এ-আর-কি!
সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি, দিদি।
নুর হোসেন
গোল্লাছুট আর কাবাডী আমার প্রিয় খেলা ছিলো!
ইস আবার যদি ৯০ দশকে ফিরতে পারতাম….!!
নিতাই বাবু
আমি ফিরে যেতে চাইছি ১৯৭১-৭২ সালে। সেদিন আরও হবে না নিশ্চয়! তবুও স্মৃতি করে রেখে দিলাম সোনেলার উঠোনে সবার মাঝে।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি, প্রিয় কবি দাদা।
তৌহিদ
সেই সময় আর নেই, গোল্লাছুট, ছি বুড়ি, দাঁড়িয়াবান্ধা এসব আমাদের প্রিয় খেলা ছিলো। এখন সবাই মোবাইল টেপাটিপিতেই ব্যস্ত।
খেলার মাঠেরও বড্ড অভাব দাদা। দারুণ একটি বিষয় নিয়ে লিখলেন।
নিতাই বাবু
তা আর হবে না নিশ্চয়! তবুও আজকাল ছেলেপুলেদের খেলা দেখে সেইসব স্মৃতিতে ফিরে যেতে মন চায়, দাদা।
সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি, শ্রদ্ধেয় তৌহিদ দাদা।
মনির হোসেন মমি
আমাদের অতীত আজ স্মৃতি।আজকের বর্তমান এক দিন হবে অতীত তবুও উজ্জ্বলতার স্বাক্ষর অমলিণ রবে আমাদের অতীত। খুব ভাল হয়েছে দাদা।
নিতাই বাবু
সেসব স্মৃতি মনে পড়ে দাদা। তাই লিখলাম। আপনার সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্যধন্যবাদ জানাচ্ছি।