এই মেলার মানবস্রোতসমুদ্দুরে হারিয়ে যেতে যেতে কত কী দেখা না-দেখা,পাওয়া না-পাওয়া, বহুকালের পুরনো সুহৃদকে বুকে জড়িয়ে ধরা যত্নে-স্নেহে-ভালোবেসে, নূতনদের আবার আরও একবার কাছে থেকে দেখা, কাছে পাওয়া, সুখ সুখ কথা বলা, জনম জনমের ভাগ্যে থাকা আনন্দের মুঠোভর্তি চঞ্চলতা, এ অনেক অনেক বেশি বেশি থেকেও বেশি পাওয়া, সদাচঞ্চল অবিশ্রান্ত উচ্ছলতার মহানন্দে প্রাণারণ্যের ডিমের ঝালফ্রাই!!
স্টল নম্বর গুলিয়ে ফেলে খুঁজে খুঁজে হয়রান, কোন রকম পৌঁছে যাই আছড়ে-পাছড়ে হাতড়ে-হুতড়ে লাইনে লাইনে দাঁড়িয়ে একাধিক প্রকাশনীতে সাথে আকামা কুবি নাছির সারওয়ার। যে নামই জিজ্ঞেস করি ভাঙ্গা রেকর্ড বেজে ওঠে ‘ওটা নেই, ছিল, আসবে আবারও’, বিকট তবে বিরল নয় এই ঘ্যানর ঘ্যানর, ভারী বোঝায় টনটনে কাঁধ, ট্যাঁকের নিখুঁত এ্যালার্ম, তাও সামনে এগোই, কুবি সাব টের পেয়ে পাশে দাঁড়ান।
দেখা হয় না,
বই নেয়া হয় না,
ছুঁয়ে- ছুঁয়ে না ছোঁয়ায়
প্রাণহৃদয়ের হাসিমুখ
সেলফি হয় না,
বই মেলায় যাওয়াই হলো না;
তবে যাবো আবারও
আক্ষরিক কোন একদিনে;
৩৯টি মন্তব্য
শুন্য শুন্যালয়
ও, বইমেলায় না গিয়েও এত্তো এত্তো কিছু! আর আমিতো সেদিন গিয়েও কারো সাথে দেখা হলো না। লাল, এশ টিশার্ট পরা যারে পাই তার কলার ধরে ঘুরিয়েই দেখি এতো অচেনা, কী কেলেংকারী। শেষে ডিমের ঝালফ্রাই বাদ দিয়ে মিষ্টি পান চিবুতে চিবুতে বাড়ি এলাম। বইমেলা থেকে সত্যি বলতে আর ফেরাই হলোনা।
যখন খুশি নামিয়ে ফেলতে পারে, আহা! এমন গুনের ছিটেফোঁটাও যদি পাইতাম!
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন ইচ্ছে হলেই সবাই সব জায়গায় যেতে পারে না, আপনি পারেন, পেরেছেনও, পারবেনও। তা পারুন,
পানে তবক দিয়েছেন কী না তা তো বললেন না!
তবে প্রাণারণ্য ফাইন ছিল, ফাইন আছেও, আমার মনপছন্দ, ইয়ে মানে ঝালফ্রাই খুব দারুণ, ট্রাই করতে পারেন, আমরা তো আমরাই।
নামে তো, যা খুশি, যখন খুশি, তবে যে শিখিয়েছে তাঁর নাম বলা নিষেধ!
গুণপনা সবাই দেখায় না;
চঞ্চলমতি হয়ে মন্তব্য করলে হপে না! যতই বদখত লেখা হোক না কেন।
শুন্য শুন্যালয়
চঞ্চলমতি হয়ে কোথায় মন্তব্য করলাম? দাঁতে দাঁত চেপে এটুকু লিখেছি তাইতো বেশি। আমি ছাড়া আড্ডা শুনলেই সব ফ্রাই করতে মন চায়।
প্রাণঅরণ্যের ঝালফ্রাই আবার কী জিনিস? এসবই মিডিয়ার প্রচারণা।
বই মেলায় গিয়ে, খেয়ে -খুয়ে, ছুঁয়ে -টুয়েও যাওয়া হয়না বলে লোকে, তো আমি গিয়েছিলাম, না বলে আর কী করবো! ঢং
কুবি রে আপনি আকামা কইলে দোষ নাই, আমি ভূয়া কইলেই খালি দোষ!!
ছাইরাছ হেলাল
দাঁত একটু সামলে রাখবেন! আপনি ছিলেন না, আগে বলবেন না,
না গিয়ে ভালই করেছি তাহলে,
ঠিক ঠিক, সবই মিডিয়া, ফ্রাই-ফ্রুয়াই বলে কিচ্ছু নেই।
ছুঁয়া-ছুই-ই আর হলো কৈ! গেলামই তো না।
তবে যামু, যামুই আপনার সাথে।
কুবি শুধু আকামা না পুরাই ভুয়া!! খালি খালি দোষা-দুষি করে!
শুন্য শুন্যালয়
হে হে আমিতো বুজ্জি, আমি যাইনাই তাই আপনার সব খালি খালি লাগজে, হের লাইগা কইলেন যাওয়াই হইলো না। আইচ্ছা আইচ্ছা যাইমু অনে মেলায়। বই থাকা লাগবে এমুন না, মেলা হইলেই হইলো। ভাবী পার্টি, মিষ্টি পার্টি এইসব আপনি সামলাইয়েন 😀
ছাইরাছ হেলাল
কিছুটা খালি তো ছিলই, পুরো মাঠ লোকারণ্য হয়ে যায়নি!
আপনি এলে সামলানোর মানুষের অভাব হবে না,
আপনি যান নাই তাই আমিও যাই নাই।
বই-ফই দিয়া কী করমু!! খলি ফ্রাই খামু আর খামু।
মোঃ মজিবর রহমান
অপূর্ণ রয়েই গেল ,
যেয়ে না যাওয়া রইল
বসে না বসায় রইল
অতৃপ্তি থেকেই গেল।
কবি ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
সত্যিই অনেক অতৃপ্তি এবারে,
অনিকেত নন্দিনী
আমিও যাইতে পারিনাই। 🙁
সব্বাই গেলো, ডিমের ঝালফ্রাইও খেলো; আমিই বাদ গেলাম। আমার কিসমত এত্ত চরম খারাপ কেনু? কেনু? কেনু? ;(
ছাইরাছ হেলাল
আমিও আপনার মতই ভাবি, যাওয়াই হলো না জায়গামত,
কত আনন্দ বাকী রয়ে গেল,
আহারে ঝালফ্রাই!! হাউ-মাউ শুধু গন্ধ পাউ!!
নীহারিকা জান্নাত
তবুওতো ডিমের ঝালফ্রাই খেলে। আমিতো খাওন খুঁজতে খুঁজতে শুকনা গলায় ২০ মিনিটের পথ আড়াই ঘন্টায় আসলাম।
কার কার হাতে যেন বইয়ে ব্যাগ ট্যাগ দেখেছিলাম, নাম ভুলে গিয়েছি।
ছাইরাছ হেলাল
আমিও কিছুই খেতে পাইনি, শুধু গপ্পো শুনি,
বড়ই শরমিন্দার কথা, খাওন পান নাই,
আড়াই ঘন্টা!!
আহারে,
আপনিও দেখছি ভুত-প্রেত দেখতে শুরু করেছেন।
নাসির সারওয়ার
এই খাদ্য তালিকা নিয়ে রেস্তোরাঁয় হাজির হলাম দুপুরে। মনটা খারাপ হয়ে গেলো যখন দেখলাম মুরগি ভুনার সাথে আস্ত একটা সেদ্ধ ডিম।
আকামা কুবিরা যে কেন বই মেলায় যায়, বুজিনা। কী কাজ তাহাদের !!!
ছাইরাছ হেলাল
বেজায়গায় গিয়ে খুঁজলে হপে না, জায়গা মত হাতাইতে হবে।
আকামারা শুধু মেলায় না, অন্যান্য সব জায়গায়ও আনফিট,
নাসির সারওয়ার
সেই জায়গাটা যে কই, যদি এত্তু কইতেন।
সব জায়গায়ই যদি আনফিট হয়, তাহলে তাদের কি উপায় থাকলো!
ছাইরাছ হেলাল
এহ্ কইয়া দেবে!!
গিয়া হাতাইয়া সব মেচমার করুক আর কী!!
আনফিট আনফিটই, উপায় থাউক আর না থাউক।
ইঞ্জা
আফসুস আফসুস রয়ে গেল আমার, সব অপেক্ষার অবসান শেষের রাতেই জ্বর বাবা এসে আমাকে চিৎপটাং করে দিলো, ধ্যাত কিচ্চুই হইলোনা। ডিমের ঝাল ফ্রাইয়ের ছবি দেখে চক্ষু আমার কাল থেকেই কুঞ্চিত, লে বাওয়া এইটা আবার কি, তা ভাইজান সকলের পেট ঠিক আছে তো?
ছাইরাছ হেলাল
ভাই, আমিও যাইতারিনাই, আফসোস,
শুনেছি ঝালফ্রাই কেউ নাকি ডাবল মেরেছে!! দেখিনি।
সব শেষ খবর পাইনি, ডাইরেক্ট কী না,
ইঞ্জা
এ্যাহ কন কি, না গেলে ডাবল ঝাল ফ্রাই ক্যাঠা চালান দিলো পেটে? ;?
ছাইরাছ হেলাল
ভাইরে সবই মিডিয়ার প্রচারণা!!
গাজী বুরহান
হায় হায়!
তবে আমাকেও সিনিয়র ভাইদের মত ডিমের ঝাল-ফ্রাই দিয়ে এ কাজ সারতে হবে।
ছাইরাছ হেলাল
ট্রাই করুন, ডিমের ঝালফ্রাই কিন্তু ফাইন।
শিপু ভাই
ভালো লাগলো অনুভূতির কাব্যিক প্রকাশ
ছাইরাছ হেলাল
ভালোলাগা নিজের মত করেই কৃপণ ভাবে বলি, কাব্যিক হয় কী না তা জানি না।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
প্রহেলিকা
এতো সংক্ষেপে বললে আমরা যে কিছুই বুঝি না। সবাইকে বুঝতে হবে এমনও অবশ্য কথা নেই। এত বৃহৎ এক মিলনমেলা গেলো বিস্তারিত পড়িতে আমাগোও মন চায়। কিবোর্ডে যখন হাত রাখেনই এতো কম লেখেন ক্যান?
ছাইরাছ হেলাল
কত্ত কিছু লিখলাম!! মোটেই সংক্ষিপ্ত না,
আসলে গোটা বিশেক লেখা লিখতে পারলে মনে শান্তি পেতাম, সেটি যেহেতু পারছি না,
অনন্যোপায় হয়ে এর থেকে বেশি কিছু লিখিনি, তবে অনেক লেখায় ক্রমান্বয়ে এবারের অনেক কিছু থাকবে,
হয়ত তা কেউ বুঝবে বা না,
কম লিখিনা, এখনকার সময়ে সব থেকে বেশি লিখি, প্রায় রোজই তো লেখা দিচ্ছি।
ভাল হওয়ার টাইম চলে গেছে তা মনে করি না,
মৌনতা রিতু
আমিও ভাবতেছিলাম যদি কারো সাথে দেখা হয়! হইলো না। তয় হারাইয়া গেছিলাম ভিড়ের মধ্যে। হেতিরে খুঁজতেছিলাম হাতড়ে পাতড়ে আছড়ে পিছড়ে।
যাব আমিও আবার কোনো একদিন। তবে বই এতো ভিড়ে আসলে কেনাও যায় না। তবুও কিনেছি বেশকিছু।
ছাইরাছ হেলাল
কী কী কিনলেন!!
আমি তো যেতেই পারলাম না,
দেখা-দেখিও হলো না, আপনজনের সাথে,
যাব। আবারও কোন একদিনে।
হারায় কেমনে!!
জিসান শা ইকরাম
প্রাণ চাঞ্চল্যে ভরপুর এক ব্যক্তিত্ব অরণ্য,
প্রথম দেখা, প্রথম থেকেই জড়তাহীন ছিলেন তিনি,
যেন বহু যুগের পরিচয় সবার সাথে,
তাঁর ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি আমি।
চমৎকার এক বন্ধুকে পেলাম আমি এবং আমরা।
হুম, এমন বই মেলায় যাবোই একদিন।
ছাইরাছ হেলাল
.অরণ্যের তুলনা অরণ্যই, সদাচঞ্চল সদাপ্রাণবন্ত,
জনম-জনমের আত্মীয়তা আচরণে কথায়, সত্যি অনবদ্য,
মেলায় একবার যাবই,
অরণ্য
হেলাল ভাই, পোস্টটি চোখে পড়েছে প্রকাশ হবার প্রায় সাথে সাথেই। দেখেছি মোবাইলে। লিখতে চেয়েছি; কিন্তু হয়নি যেকোন কারণে। রবি ও সোম পুরা পাগল ছিলাম আইসিটি মন্ত্রণালয়ের একটা প্রজেক্টে কাজ করতে গিয়ে। অবশেষে পেরে উঠলাম।
১. ভাবছিলাম লিঙ্কে গিয়ে ডিমের ঝালফ্রাইয়ের ছবি পাব; তা হয়নি।
২. আমি খুবই এনজয় করেছি আপনাদের সকলের উপস্থিতি ও দারুন এ ভাতৃত্ববোধ।
৩. আমি অনেকটা স্বাভাবিক ছিলাম এই কারণে যেন অনেক আগেই সবার সাথে আমার দেখা হয়েছিল!
৪. আমি জানতাম আমি আমার এক পারিবারিক মিলন মেলায় যাচ্ছি।
ভিতরে ভিতরে বেশ অনুভূতি কাজ করছিল “দেখা হবে আমার সোনেলার মানুষদের সাথে”।
সোনেলার এ মিলন মেলার ছোঁয়ায় অরণ্যে ফের যেন সবুজ কুঁড়ি দেখতে পেলাম।
শুভ কামনা সবার জন্য। -{@
নাসির সারওয়ার
শুনেছি কেউ কেউ নাকি এক বসায় একাদিক কাপ চা টেনেছেন। এক কাপ চায়ের জন্য হন্যে হতে হতে পেয়ে গেলো নতুন এক রেসেপি “ডিম ঝালফ্রাই”। তা নাকি এখনো অনেকের মুখে লেগেই আছে। ভাবছি, আমিও যাবো একদিন…
এ আনন্দ মেলা একটা পারিবারিক আনন্দ মেলাই বটে।
ছাইরাছ হেলাল
ব্যাপার না, পারলেই হলো।
আসলে আন্তরিক আন্তরিকতা থাকেই অচেনা চেনা হয়ে যায় মুহূর্তেই।
সে কুড়ি গুলোর ভাগ আমরাও চাই, মনে থাকে যেন,
আসলেই এটি একটি পরিবার, আবারো প্রমাণিত,
ঝালফ্রাইয়ের অপেক্ষা করছি।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমি কিন্তু আড়ালে ছিলাম, সামনে আসিনি। সব দেখেছি। ডিমের ঝালফ্রাই যখন খাওয়া হচ্ছিলো, তখন অবশ্য লোভ হচ্ছিলো। তবে আমি ফুচকা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। 😀
ছাইরাছ হেলাল
আহা, সামনে এলেন না কেন!!
আমাদেরও না হয় কিছু কাইয়ে-টাইয়ে দিতেন,
নীলাঞ্জনা নীলা
টাকা কে দিতো?
ছাইরাছ হেলাল
গৌরী সেন!!
আবু খায়ের আনিছ
নাসির ভাইয়ের সাথে আগেও কয়েকবার দেখা হয়েছে, যেভাবে আপন করে গ্রহণ করে নিয়েছেন তা আমার সৌভাগ্য।
অরণ্য ভাইয়ের সাথে এবারই প্রথম দেখা, কিন্তু একবারের জন্যও মনে হয়নি এই প্রথম উনার সাথে আমার দেখা। অনেক ভালো লাগে আমার সোনেলার প্রতিটি সদস্যের এই আন্তরিকতা।
অরণ্য ভাইকে ধন্যবাদ আমাদের সাথে যোগ দেওয়ার। অনেক শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
অরণ্য প্রথম বারেই মাত করে দিয়েছে,
মনের টান হয়ত একেই বলে,
সেও আমাদের একান্ত আপন করেই নিয়েছে।