পৌষালী রৌদ্রে দিগন্তের আরক্তিমে আকাশপানে যখন মেঘের ভেলা উড়ে গোধূলি নদীর স্রোতে।
উপায়ন্তরহীন মগ্নতায় মেঘেরা বৃদ্ধ হয় সমুদ্দুরের রাখালিয়া বাঁশির সুরে,
খেয়ালি মাঝির অনুভূতির কবিতা তখন হাওরের বুক জুড়ে উষ্ণতা খুঁজে রক্তজবার রক্তবর্ণ আঁচে।
আমাদের শহরে আজও পৌষালি সন্ধ্যার কুয়াশা ডাকা মাঠ জুড়ে কাবেরী ধানের গন্ধ নামে।
কৃষকের ঘরে ঘরে ভরে উঠে পৌষসংক্রান্তির নবান্ন।
পৌষালি প্রকৃতিতে অনেকটা পথ হাটতে গিয়ে আমাদের ক্লান্ততা আসেনি।
আমরা ঠিক একদিন পৌঁছে যাবো যেখানে বিটপীর স্মৃতিতে কুহেলিকা হারিয়েছিলো তার নাব্যতা।
আমরা ঠিক একদিন পৌঁছে যাবো গ্রাম্য অজিনের রূপরেখা ধরে। যেখানে মুগ্ধতার আবেশে জমা থাকে মৃগ কস্তূরীর গন্ধ। যেখানে সোনালি বিকেলের একপশলা বৃষ্টির আমেজে মর্মরধ্বনির প্রতিধ্বনিতে অভ্রবেদী জুড়ে সুগন্ধিযুক্ত ধূপের সুগন্ধিজাত গন্ধ নামে।
যে শহরে বিধুরের রাখালিয়া বাঁশির স্তব্ধ সুরে রাগরাগিণী গোষ্ঠে ফিরে।
যেখানে গোধূলি সন্ধ্যার কুয়াশাডাকা মাঠ জুড়ে ক্লান্ততার কাদাজলের গন্ধ নামে ।
জারুল হিজলের ডালে সরালি আর ডাহুকের কলরবে মুহুর্মুহু ধ্বনিতে উত্তলিত হয় সবুজের উত্তরীতে ঘেরা সোনালি মাঠের অস্তগমনোম্মুখ সূর্যাস্ত।
যে শেষ বিকেলের পথেয় পান্থ ধরে আমরা উড়িয়েছি ঘড়ি আকন্দ পাতার শ্বেত শুভ্র কষে।
রাতভর শীতের কনকনে আমেজে ভরে কাঞ্চন ফুলের মুকুলাব্ধ। অভিসার জুড়ে খানিকটা ফাল্গুনের মোহনীয় ভাব।
পাহাড়িয়া ঝর্ণা ধারা বেয়ে বেড়ে উঠা বাঁশের গহ্বর জুড়ে কৃষকের প্রাণদোতিত হেমন্তের চালে প্রকৃতির সুগন্ধিত চোঙা পোড়া। গ্রামবাংলার আদি ঐতিহ্য আজও শহরে বড্ড বিলীন হলে প্রকৃতির চলন্তিকা পৌষ তা আমাদের মনে করিয়ে দেয়।
চলমান নদীতটে মৃগ পদচিহ্ন ধরে বন্যবাঘ আহার খুঁজে
যেমন করে প্রকৃতি প্রেমি আজও খুঁজে মৃগকস্তরির সুগন্ধি।
যে পথে প্রিয়তমের মোহনীয় অনুরাগে জমে কাঞ্চনজঙ্গা পাদদেশ জুড়ে।
যে পৌষালি প্রকৃতির অবয়ব রূপ ধরে পূর্ণিমার আলোকিত রাত নামে। সে রাতে আমরা আজ অতন্দ্র প্রহরী হয়ে থাকি। পৌষালি প্রকৃতিতে মাতবো বলে।
২৭টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অসাধারণ একটি কবিতা পড়লাম। এত সুন্দর করে লিখেছেন খুউব ভালো লাগলো। শহরে কি কাবেরী ধানের গন্ধ বা রাখালিয়া বাঁশির সুরে স্তব্দতা পাওয়া যায়! এখানে শহর কেন আনলেন বোধগম্য হলোনা। ভালো থাকুন সবসময় শুভ কামনা রইলো
প্রদীপ চক্রবর্তী
এই গ্রাম ও এখন শহর হবে তাই।
অজস্র ধন্যবাদ ও শুভকামনা দিদি।
ত্রিস্তান
প্রথমে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ইভেন্টে অংশগ্রহণ করার জন্য। আর লেখাটার কথা কিই বা বলবো। এক কথায় অসাধারণ 😍
প্রদীপ চক্রবর্তী
আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
সুপায়ন বড়ুয়া
“আমাদের শহরে আজও পৌষালি সন্ধ্যার কুয়াশা ডাকা মাঠ জুড়ে কাবেরী ধানের গন্ধ নামে।
কৃষকের ঘরে ঘরে ভরে উঠে পৌষসংক্রান্তির নবান্ন।“
পৌষ পাবনের নবান্ন উৎসবের প্রতীক্ষায় থাকি আমি
শহরে কাবেরী ধানের গন্ধটা যদিও কখনো পাইনি।
অনেক ভালো লাগলো। শুভ কামনা।
প্রদীপ চক্রবর্তী
অজস্র ধন্যবাদ ও শুভকামনা দাদা।
ফয়জুল মহী
পরিপাটি লেখা, পড়ে ভালো লাগলো।
প্রদীপ চক্রবর্তী
অজস্র ধন্যবাদ ও শুভকামনা দাদা।
মাহবুবুল আলম
কাব্যিক ব্যঞ্জনায় পূর্ণ লেখাটি পড়ে ভাল লাগলো। শুভ কামনা।
প্রদীপ চক্রবর্তী
অজস্র ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
তৌহিদ
বাহ! দারুন লিখেছেন দাদা। পৌষকাব্যের ব্যঞ্জনা ফুটে উঠেছে লেখায়। আহা! এত সুন্দর করে যদি লিখতে পারতাম আমিও।
পৌষ সংক্রান্তি উৎসবে লেখা দেবার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
রেহানা বীথি
বাহ্, ভারী চমৎকার লিখেছেন।
প্রদীপ চক্রবর্তী
আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ ও শুভকামনা দিদি।
সুরাইয়া পারভীন
চমৎকার উপস্থাপন, শব্দ বিন্যাসও দারুণ
প্রদীপ চক্রবর্তী
আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ ও শুভকামনা দিদি।
তৌহিদ
বাহ! দারুন লিখেছেন দাদা। পৌষকাব্যের ব্যঞ্জনা ফুটে উঠেছে লেখায়। আহা! এত সুন্দর করে যদি লিখতে পারতাম আমিও।
পৌষ সংক্রান্তি উৎসবে লেখা দেবার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
প্রদীপ চক্রবর্তী
নিশ্চয় আমাদের তৌহিদ দাদা অনেক সুন্দর করে লিখতে পারেন।
.
আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ ও শুভকামনা দাদা।
নিতাই বাবু
পৌষের শেষে পৌষ বন্দনা কিন্তু দারুণ হয়েছে দাদা। মুগ্ধ হলাম। শুভকামনা থাকলো।
প্রদীপ চক্রবর্তী
অজস্র ধন্যবাদ ও শুভকামনা দাদা।
মনির হোসেন মমি
পাহাড়িয়া ঝর্ণা ধারা বেয়ে বেড়ে উঠা বাঁশের গহ্বর জুড়ে কৃষকের প্রাণদোতিত হেমন্তের চালে প্রকৃতির সুগন্ধিত চোঙা পোড়া। গ্রামবাংলার আদি ঐতিহ্য আজও শহরে বড্ড বিলীন হলে প্রকৃতির চলন্তিকা পৌষ তা আমাদের মনে করিয়ে দেয়।
চলমান নদীতটে মৃগ পদচিহ্ন ধরে বন্যবাঘ আহার খুঁজে
যেমন করে প্রকৃতি প্রেমি আজও খুঁজে মৃগকস্তরির সুগন্ধি।
চমৎকার শব্দ চয়ণ। পৌষ সংক্রান্ত লেখায় এমন কাব্যিক প্রকাশ নিঃসন্দেহে প্রসংশনীয়।
প্রদীপ চক্রবর্তী
অজস্র ধন্যবাদ ও শুভকামনা দাদা।
দালান জাহান
সুন্দর একটা শীতের আমেজ পেলাম। ভালো লেগেছে।
প্রদীপ চক্রবর্তী
অজস্র ধন্যবাদ ও শুভকামনা দাদা।
এস.জেড বাবু
যেখানে গোধূলি সন্ধ্যার কুয়াশাডাকা মাঠ জুড়ে ক্লান্ততার কাদাজলের গন্ধ নামে ।
জারুল হিজলের ডালে সরালি আর ডাহুকের কলরবে মুহুর্মুহু ধ্বনিতে উত্তলিত হয় সবুজের উত্তরীতে ঘেরা সোনালি মাঠের অস্তগমনোম্মুখ সূর্যাস্ত।
বাংলার ঋতূবৈচিত্র নিয়ে এমন স্বর্গীয় শব্দের সমাহার দেখে মুগ্ধ ভাই।
পৌষ সংক্রান্তি জমজমাট / পরিপূর্ণ হয়ে গেল আপনার লিখায়।
অসাধারণ।
প্রদীপ চক্রবর্তী
অজস্র ধন্যবাদ ও শুভকামনা দাদা।
বন্যা লিপি
তোমার লেখার ভক্ত আমি দাদাভাই।তোমার শব্দশৈলী আমাকে মোহিত করে।যেন লেখার দৃশ্যপটে বিচরন করি অনায়াসে। অসাধারন।
শুভ কামনা।
প্রদীপ চক্রবর্তী
অনেক প্রাপ্তি।
অজস্র ধন্যবাদ ও শুভকামনা দিদি।