সোনালী হুইসেল থেমেছে সেই কখন
খ্যাপা জ্বলন্ত সূর্যের নীচে কাঠফাটা রোদে,
রসেবশে খেই হারানো সাত-পাঁচ কথার ভিড়ে।
ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে লিখছিনে
যত্তসব খাপছাড়াদের সাথে মিলেমিশে!!
ধুর, গনগনে গ্রীষ্মের আকাশ গেল ঢেকে
খণ্ড খণ্ড মেঘের আড়ালে।
প্রেতানন্দে মাতি আনন্দ বাগানের উচ্ছলতায়
প্রতিপালনের অপেক্ষায় থাকে এক-বুক বসন্ত-প্রার্থনা,
চকচকে জল নতজানু হয় পায়েল পায়ের নূপুর বাজিয়ে
স্ফটিক শুভ্রতায় গা দুলিয়ে,
বসন্ত! সে কোথায় হারিয়ে গেল!!
৩৩টি মন্তব্য
শুন্য শুন্যালয়
কাঠফাঁটা রোদে ঘুমাতে কিন্তু অনেক মজা। তবে ঘুমাতে ঘুমাতে লেখার গুন নাই, কেউ কেউ পারে অবশ্য।
গ্রীষ্মের রোদের জন্য এতো টান এই প্রথম দেখলাম নাকি? কিছু এলে কিছু তো যাবেই। এখনো যায়নি আঁকড়ে বাঁকড়ে যতোটা পারুন রুমালবন্দী করুন বসন্ত।
নতজানু জলের ভূমিকা না বুঝতে পারলেও শব্দটা ভালো লেগেছে। লেখা কিন্তু কিছুই বুঝিনাই সবই ভাও।
ছাইরাছ হেলাল
ভাইয়া, কত-শত টান এবং টানাটানি যে অনুভব করছি তার ইয়ত্তা নেই,
বসন্ত ফাঁদে ধরেছি/ ধরছি, পেয়েও যাবেন, চিন্তাইয়েন না,
এই ‘নতজানু জল’ শব্দটির কাছে হুট করে কখন কী ভাবে বাঁধা পড়েছি মনে নেই (মা-কালীর দিব্যি),
তবে মোক্ষম ব্যবহারটি করতে পারিনি,
অন্য গপ্পো বলি এবার!!
আপনার জানা কথাটিই আমি আবার আমার মত করে বলি,
মনে করুন যে কোন লেখাই একটি বিমূর্ত ছবি (বিশেষ করে কবিতা), এই ছবিটির সামনে দাঁড়িয়ে আপনার নিজের সতৃষ্ণ ইচ্ছের প্রজ্ঞা, মেধা, মনন ও ভালোবাসা দিয়ে এটিকে নিজের মত গ্রহণ করবেন, লেখকের সব ভাবনা হয়ত আপনার কাছে একীভূত হয়ে ধরা দেবে না, তার পরেও আপনার হৃদয়ে যে চিত্রকল্প আপনি এঁকে নেবেন তা একান্তই আপনার এবং কিছুতেই ফেলনা নয়, লেখক হয়ত একটি নিরীহ শব্দ বা বাক্যের আড়ালে হাজারো কিছু বলে বসে আছে, হয়ত তা নিজেকেই বলছে, এমনও হতে পারে, এখানে পাঠকের শব্দরাজ্যের ব্যাপ্তি, বিচরণ, অবগাহন, ভাব রাজ্যের পরিভ্রমণের সক্ষমতা একটুখানি হলেও বিবেচ্য।
সরাসরি উদাহরণ দিয়েই ফেলি!! আমার একটি লেখায় “ধুমান্ধারর পরামিশ দেয়, খুব পরামিশ দেয়, যুদ্ধে ঝাঁপানোর” ও “কাজে-কামে উদ্যম-রহিত হালতে” এই কথা গুলো ব্যবহার করেছি, এটি চরম ইরোটিক, কিন্তু মজার ব্যাপার হলো এসব শব্দগুচ্ছের ব্যবহার (শব্দ নয় কিন্তু) আপনার আগে থেকে জানা না থাকলে হঠাৎ পড়ে কিছু বোঝার নেই, লেখায় এমন সব সম্ভব-অসম্ভব শব্দচাতুরতা লেখক প্রয়োগ করেন, আবার দেখুন,……… ‘গুণতরাসী’ এই একটি শব্দে চুড়ান্ত ভালোবাসার কথা বলা হয়েছে। যা ঠিক ঠিক স্থানের পাঠক বুঝে নেবেন, সবার জন্যও না, (কেউ না বুঝলেও সমস্যা নেই, লেখক আনন্দ নিচ্ছেন হয়ত),
‘বুঝিনি’ শব্দটি স্লোগান হিসাবে না হলে এই আপাত সাধারণ শব্দটিও সততার সাথে বললে সেটিও কিন্তু বোঝার অংশ হয়ে যায়। লেখার দুর্বোধ্যতা চিরন্তন সত্য ও সুন্দর, এবং তা নিয়েই আমাদের (আপনারও) পথচলা। (চান্সে বহুত বকাইলাম)
যদিও এগুলোই সব শেষ কথা নয়,
তবে হ্যাঁ, এর কোনটিই আমার আবজাব লেখার বেলায় প্রযোজ্য নয় (ভাগ্য সদয় কবিতা লিখতে পারিনি/পারিনা),
খিয়াল রাকবেন!!
শুন্য শুন্যালয়
লেখক কী কিছুটা স্বার্থপর হয়ে গেলো না? যদিও লেখক তার নিজের আনন্দের জন্যেও লিখবেন এই মতাদর্শে এখনো অটুট আছি। কিছু শব্দের বদলে যদি আপনি যা দেখাতে চাচ্ছেন আমিও তা দেখতে পাই তাহলে কী আরেকটু ভালো হতো না?
সত্যি বলবো আপনার এই লেখাটি আমি ঠিক ধরতে পারিনি। আমার ধারণা বসন্ত হারিয়ে যায়নি বরং বসন্তকে চূড়ান্ত বরণ করার কথা বলা আছে এখানে। চুল আজ আরো কএকটা পেঁকেছে 🙁
ছাইরাছ হেলাল
বসন্ত ধরা দেয়নি, বসন্ত তার সমস্ত সৌন্দর্য নিয়ে চোখের সামনে দিয়ে চলে গেছে,
সেই আক্ষেপটি-ই তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে,
এখনও আপনার চুল আছে!! তুলে ফেলুন যে ক’টি অবশিষ্ট আছে!!
আমার মনে হয় না লেখকে পুরোপুরি ধরে ফেলা সম্ভব, একটি লেখার অনেক অনেক ব্যাখ্যা লেখকের কাছে যেমন থাকে
বিভিন্ন পাঠকও তার নিজ উচ্চতায় তা নিয়ে ভাবতে পারেন,
আবার অন্য ভাবে বলি, নাম-ধাম বলছি না, পৃথিবী বিখ্যাত কবির বিখ্যাত কবিতার একজন অনুবাদ করলেন,
কবি সেই অনুবাদ দেখে বললেন, তিনি যা বলতে চেয়েও পারেন নি, অনুবাদক তাও তুলে এনেছেন,
যদি বলি কখনও পাঠক কবি বা লেখকের চেয়েও এগিয়ে থাকতে পারেন,
এগুলো প্রায় ব্যতিক্রম বলা যায়।
নীহারিকা জান্নাত
হুম, বসন্তকে হারিয়ে দিলো ঝড়ো মেঘ।
ছাইরাছ হেলাল
না না, কেউ হারেনি,
বসন্ত দ্বারে এখন!!
গাজী বুরহান
তবুও কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাওয়া কোকিলটি কুহু কুহু রব তোলে জানান দেয় বসন্ত এসে গেছে।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই কুহু বর কখনও হারাবে না, হারানোর ও না।
বায়রনিক শুভ্র
বিবর্ন বসন্ত ।
ছাইরাছ হেলাল
আরে নাহ!!
জিসান শা ইকরাম
আছে সবকিছুই হিমায়িত অবস্থায়,
অপেক্ষা সঠিক সময়ের।
ছাইরাছ হেলাল
দেখি অপেক্ষায় কী মেলে।
আবু খায়ের আনিছ
বসন্ত কি চলে গিয়েছে? ঝড় হবে নাকি সামনে?
ছাইরাছ হেলাল
বসন্ত ডিজিটাল হয়ে যাচ্ছে, কখন আসে কখন যায় ঠিক নেই,
তবে ঝড়ের চান্স নেই, আকাশ ক্লিয়ার, কিছুটা কর্দমাক্ত হলে।
নীলাঞ্জনা নীলা
শুন্য আপুর মন্তব্যের বিপরীতে আপনার প্রতিমন্তব্য পড়ে কিছুটা বোঝার চেষ্টা করলাম।
প্রতিমন্তব্যে যা বুঝলাম কবি যা মনে চায়, সেটাই লিখবে। পাঠকরা বুঝলে বুঝুক, নইলে না।
ও কুবিরাজ ভাই আইচ্ছা কইন ছাইন দেহি, কুবিরা কি তাইলে স্বৈরাচারী? ;?
ছাইরাছ হেলাল
লেডিগুরুর দিকে তাকালে স্বৈরাচারী-নি-ই মুনে হয়!!
নীলাঞ্জনা নীলা
তা তো কইবেন-ই!
ছাইরাছ হেলাল
আমি কইলেই দুষ!!
তাও সদা সত্য কথাই বলি,
মেহেরী তাজ
ভাইয়া বসন্ত তো হারানোর কথা নয়! সে না সবেই এলো???
জল কিভাবে নতজানু হবে??? মানুষ, পক্ষী, পশু,গাছ এরা হতেই পারে তাই বলে জল ও??? কেমনে??
ছাইরাছ হেলাল
বসন্ত খুব দুষ্টু, কখন আসে কখন চলে যায় হুট করে কিছু বলে-টলে না,
জল কিন্তু নীচেই গড়ায়!!
প্রহেলিকা
চেনা চেনা মনে হলো লেখাটি। এবার স্বীকার করুণ আমার স্মরণশক্তি যে ভালো। তবে ঝাপি থেকে ফেলতে এতোদিন?
কে বলে বসন্ত হারায়?
বন্দনা জুড়ে ভোর, ভোরের সংসার!
আচমকা রোদ গিলে খায় মায়ার উঠোন
তারপর ছেড়ে যায়, ছেড়ে যায় সংসার
হারাতে নয়; মুক্তির নেশায়!
এখানে শূন্যতা বলে কিছু নেই, নেই সুখদিন
বিশালের বিভ্রম সয়ে গেছে যে চোখে,
সে চোখে দেয় না ধরা জীবনের গরমিল!
ছাইরাছ হেলাল
বিভ্রান্তিতে পড়ে গেলাম, নিজের লেখা কী দ্বিতীয়বার পোস্ট দিলাম,
আগে বুঝিয়ে বলুন, পরে লেখার কোথায় আসছি,
খুব পুরনো তো নয় লেখাটি!!
প্রহেলিকা
বিভ্রান্তির কিছু নেই। এর খণ্ডাংশ হয়তো মুখ ফসকে বেড়িয়ে গিয়েছিলো কোনো মন্তব্যে বা মন্তব্যের জবাবে। সেই থেকেই এক ঝলক দেখে নেয়া।
ছাইরাছ হেলাল
ধুর্, মশাই আগে বলবেন না!!
ভাবলাম কী না কী!!
সত্যি বলতে কী, অনেক লেখা জমে আছে, কুল-কিনারা করতে পারছি না,
একটি করে লেখা দিয়ে লেখার জট কমছে না, রোজই বেড়ে যাচ্ছে, তাও আপনাদের বিরক্ত করে
সামান্য আনন্দ নিচ্ছি,
মন্তব্যের প্রতি উত্তর দিলাম না,
দেখি কিছু মনে আসে কী না।
প্রহেলিকা
দিতে থাকুন, আমাদের সমস্যা হয়নি হবেও না।
আপনাকে উদ্ধার করতে আমি সদাই প্রস্তুত।
https://sonelablog.com/%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%87-%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a6%97%e0%a7%8d%e0%a6%b0-%e0%a7%a8/
ছাইরাছ হেলাল
যাক, উদ্ধার করলেন, কিচ্ছু মনে থাকে না,
অবশ্য মনে থাকার কোথাও না,
মনেরও তো সীমা-পরিসীমা থাকে,
ব্লগার সজীব
অন্য একজনের অন্য একটি লেখার ২য় পর্ব মনে হল লেখাটি। অবশ্য প্রতিটি লেখাই মৌলিক।
জল তো নতজানুই থাকে।
ছাইরাছ হেলাল
বুঝলাম না, কার কোন লেখাটি আমাকে বুঝিয়ে বলুন,
কোন বা করো লেখা ভেবে লিখেছি বলে তো মনে পড়ে না,
চিঠি কৈ!!
ইঞ্জা
সিব কিছুই আছে ভাইজান কিন্তু আসবে আর যাইবে, সারা জীবন থাকবেনা। :p
মনোমুগ্ধকর লেখা, খুব ভালো লাগলো।
ছাইরাছ হেলাল
যাইবে কেন!! থেকে যাবে!!
চাটিগাঁ থেকে বাহার
ও কুবিরাজ ভাই আইচ্ছা কইন ছাইন দেহি, কুবিরা কি তাইলে স্বৈরাচারী? 😀
ছাইরাছ হেলাল
ঠিক তা না, তবে চান্স পাইলে ডাট-ফাট দেখায় আর কী!!
নিতাই বাবু
সময় কারও জন্য অপেক্ষা করেনা । আর আকাশ ? সে-তো থাকবে মেঘের আড়ালেই!
ভালো লেগেছে দাদা, ধন্যবাদ ।