কত-শত দিন পেড়ুল,পাশাপাশি কাছাকাছি থেকেও দেয়ালের গা ছুঁয়ে দেখিনি।
ভাল বা মন্দ থাকার কথা জিজ্ঞেস করে শোনা হয়নি,জানতে চাইনি চটে যাওয়া রংয়ের পলেস্তারায় নূতন করে রং দেয়ার কথা। ভাবিই নি।
রেঁধে খাওয়া সময়ের হৃৎপিণ্ড………………
অন্তহীন ঝামেলা পেড়িয়ে,স্থপতি,প্রকৌশলী বড়,ছোট,বড় মিস্ত্রি-ছোট মিস্ত্রি আরও কত কত অনেক কিছু।মাপ-ঝোপ,হাজারো হিসেব নিকেশ করে দিন-রাত দাড়িয়ে থেকে এই দেয়াল তৈরী হয়েছে।শেষে নানা রংয়ের রং চড়িয়ে আনন্দ-আহ্লাদে আট খানা বা নয় খানা নয়,পুরো দশ খানাই হয়েছি।
মনস্তাপ ছুঁড়ে ফেলে,সময়ের অবরুদ্ধ অন্দরমহল ভেদে,শিথিলের মন্থরতায় ঘন হয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে জিজ্ঞেস করলাম—-দেব নাকি আবার রঙ্গিন করে? হেসে বলল–‘কী দরকার অযথা বাইরে থেকে রং অলংকারের,এই তো বেশ আছি ভাল আছি পাশাপাশি’।
দেয়ালের কাছ ঘেঁসে ঘুমালাম।
দেয়াল,হাসি মাখা চকচকে ভেজা চোখে আমাতেই চোখ রাখে নিগূঢ় অপেক্ষার বারান্দায়।
৪৬টি মন্তব্য
শুন্য শুন্যালয়
এমন লেখা পড়ে সকাল শুরু করতে পারলে রোজ, বেশ হতো। এমন করে অন্দরমহল দেখার সৌভাগ্য কিংবা দুর্ভাগ্য দেখা হয়নি কখনো। দুর্ভাগ্য বলছি, যতোটা ভেতরে যাবেন, শুধুই অন্ধকার।
কিছু লাইনে চমৎকৃত হলাম, রেঁধে খাওয়া সময়ের হৃৎপিণ্ড, দারুন। হজম হয়ে যাচ্ছে সত্যি, কারো গায়ে লাগছে, কারো লাগছেনা।
কিছু খুঁজে পেয়েছেন ফের এতেই খুশি হচ্ছি, কিন্তু তাকেও আপনারই সাথে অপেক্ষার বারান্দায় দাঁড় করিয়ে দিলেন?
ছাইরাছ হেলাল
এখনই আপনার মন্তব্য পাব ভাবিনি।এমন মন্তব্য এই সকালে পাব তাও ভাবিনি।
কত কিছু যে খুঁজি, পাই আবার পাইনা তার ইয়ত্তা নেই। দেয়াল ও যে আমার অপেক্ষায় তা তো বুঝতে পারিনি।
নাহ্, আমার দেয়ালের অভ্যন্তরে অন্দকার নেই, আছে ভালোবাসার হীরক দ্যুতি।
শুন্য শুন্যালয়
রঙচং বিহীন শ্যাওলা পরা দেয়ালেও ভালোবাসার হীরক দ্যুতি খুঁজে পাওয়া কম কথা নয়। পাশাপাশি থাকুন এমনই হাসি মাখা চকচকে ভেজা চোখে, দেয়াল ইতিহাস বলতে পারে। কতো গল্প জমা করে রেখেছে এতোদিন কে জানে, হয়তো আপনাকেই বলবে। আমরাও অপেক্ষায় থাকবো।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই দেয়াল ইতিহাসের সাক্ষী। দেখি কী বলে সে, আমিও আপনার মতই
অপেক্ষা করব। যদি আমার কাছে কিছু বলে, অবশ্য বলাবলির অন্য কোন অন্য কেউ
যদি না থেকে থাকে।
শুন্য শুন্যালয়
বলাবলির এতদিন কেউ ছিলোনা বলেই মনে হয়, তবে নতুন করে কেউ আসবে কিনা এই গ্যারান্টি নেই।
যে মমতায় দেয়াল ছুঁয়েছেন, আপনারই থাকবে বলে মনে করছি। রাত্রি ম্যাডাম কী আর এলেন না?
ছাইরাছ হেলাল
অবস্থা সুবিধের মনে হচ্ছে না।গাছবাদরদের উপর আস্থা রাখা খুউব কঠিন
আজকালকার দিনে।
অপেক্ষাদের হাতে রেখেছি এখনও,সেই ও বল-ভরসা।
শুন্য শুন্যালয়
একজনের ভাগের ভোর গায়েব, আপনার রাত্রি পলাতক। সোনেলায় এখন খটখটে দুপুর।
মামুন
রেঁধে খাওয়া সময়ের হৃৎপিণ্ড……………… অসাধারণ!
আপনার লিখা সব সময়ে ভালো লাগার অনুভূতি দিয়ে যায়।
শুভকামনা রইলো। -{@
ছাইরাছ হেলাল
নিয়মিত পড়ছেন দেখে আনন্দিত বোধ করছি।
মরুভূমির জলদস্যু
আমার কেছে বেশ কঠিন মনে হয়েছে
ছাইরাছ হেলাল
কিছুই কঠিন না, সাধের নিরেট দেয়ালের সাথে ভাব-ভালোবাসা বিনিময়।
এর বেশি কিছু না।
জিসান শা ইকরাম
হঠাৎ করে এক এক সময় বস্তুকেও প্রান দিয়ে ফেলেন আপনি।
দেয়ালে চুনকাম না করাই ভালো মনে হয়।
পুরোটা বুঝিনি, বুঝতে পারবো।
ছাইরাছ হেলাল
প্রায় সব কিছুই যে প্রাণময় আমার কাছে,তাই কথা বলি ওদের সাথে,ভালোবেসে।
অন্য আরও অনেক কিছুর সাথে বলতে চেয়েছি, আরোপিত রঙ্গালংকার আসলে কোন কাজের না,
সৌন্দর্য্য বৃদ্ধিতে সহায়ক না মোটেই।
জিসান শা ইকরাম
হুম, ঠিক
আরোপিত রং আসলকে আড়াল করে দেয়।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই আড়াল করে প্রকৃত সৌন্দর্য্য।
বোকা মানুষ
“দেয়ালের কাছ ঘেঁসে ঘুমালাম।
দেয়াল,হাসি মাখা চকচকে ভেজা চোখে আমাতেই চোখ রাখে নিগূঢ় অপেক্ষার বারান্দায়।”
দারুণ! (y)
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
সুন্দর ভালবাসার পংতি।
ছাইরাছ হেলাল
দেয়ালকে ভালোবেসেই লিখেছি যে।
অরণ্য
‘কী দরকার অযথা বাইরে থেকে রং অলংকারের,এই তো বেশ আছি ভাল আছি পাশাপাশি’। (y)
বেশ লাগলো। কেন জানি মনে হলো আপনি কষ্ট পুষতে ভালবাসেন। এও মনে হলো এইসব হৃদয়গুলোতেই কাঠকয়লারা সময় পেরিয়ে এক সময় রূপ নেই হীরকে। শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
যন্ত্রণা পুষতে ভালোবাসি একেবারে এমন না। যন্ত্রণার প্রকাশ থাকে নিজের মত করে।
আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন দেখে ভালো লাগল।
হীরক অনেক নামী-দামী বস্তু।
নওশিন মিশু
অনুভুতির সুন্দর বর্নণা (y)
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য ধন্যবাদ দিচ্ছি।
খেয়ালী মেয়ে
দেয়ালের অন্দরমহল-সত্যিইতো কখনো ভাবিনি এমন করে–
কিভাবে পারেন এমন করে ভাবতে,এমন করে লিখতে?..
কয়েকবার পড়লাম লিখাটা, বুঝার চেষ্টা করেছি–
দারুন লিখেছেন
ছাইরাছ হেলাল
আপনি লিখলে এর থেকে হাজারগুণ ভাল হবে তা জানি।
কঠিন কিছু নেই , আপন করে নিলে নিরেট দেয়াল ও কথা বলে উঠবে।
ড্যামিশ ! এর অবস্থা কী ! আপডেট কিন্তু দিচ্ছেন না।
দিয়ে দিন।
খেয়ালী মেয়ে
হুমমম লিখতে তো পারবো, তবে হয়তো এতোটা ভাল হবে না..
ড্যামিশতো সব সময় ভাল থাকে, তার কারণ আমি এটাই চাই যে, সে ভাল থাকুক 🙂
একটু ব্যস্ত আছি, তাই লিখতে পারছি না, তবে সময় সুযোগ করে লিখবো খুব শীঘ্রই..
মেহেরী তাজ
ভাইয়া জীর্ন দেয়ালের কাছে গেলে আমার কেন জানি কান্না পায়।দেয়ালের গায়ে হাত বুলাই আমি। আপনার লেখা দেখে মনে পরে গেলো।
ছাইরাছ হেলাল
শুধু কান্না পেলে হবে না, কেঁদে ফেলতে হবে, গায়ে শুধু হাত বোলালেই হবে না,
কথা ও বলতে হবে,কথা শুনতেও হবে।
লীলাবতী
আপনার অনেক লেখাই পড়া হয়নি।অনেকদিন পরে এসে কেমন অচেনা লাগছে সব।
ছাইরাছ হেলাল
ব্যাপার না কোন, কয়েকদিন থাকুন আমাদের সাথে সব ঠিক হয়ে যাবে।
শুভেচ্ছা বিশেষ দিনের।
সোনিয়া হক
এমন কবিতা অনেকদিন পড়িনি (y)
ছাইরাছ হেলাল
এখন থেকে পড়লেই হবে।
নওশিন মিশু
‘কী দরকার
অযথা বাইরে থেকে রং অলংকারের,এই
তো বেশ আছি ভাল
আছি পাশাপাশি’।
বাহ্ দারুন….তো (y)
ছাইরাছ হেলাল
এত্ত দিন পর এলেন!
প্রশংসার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
অযথা রং করে কোন লাভ হয় না।
নীলাঞ্জনা নীলা
‘কী দরকার অযথা বাইরে থেকে রং অলংকারের,এই তো বেশ আছি ভাল আছি পাশাপাশি’। (y) এমন ভাবে আমি লিখতে পারিনা কেনো?
ছাইরাছ হেলাল
যেহেতু আপনি এর থেকেও ভাল লেখেন এ জন্য।
আপনি অনেক ভাল লেখেন।
ব্লগার সজীব
পুরানো দেয়ালের কাছেই সাপ থাকে শুনেছি, সাবধান।
ছাইরাছ হেলাল
সাপ থাকলেও সমস্যা নেই ,কথা বার্তা বলা যাবে।
ভয়ের কিছু নেই।
প্রজন্ম ৭১
দেয়ালটিই যে আপনি তা বুঝতে পারি ভাই। দারুন লাগলো।
ছাইরাছ হেলাল
সব কিছু বুঝে ফেললে হবে না।
ধন্যবাদ।
শুন্য শুন্যালয়
এই যে ভাইয়া, দেয়ালের কথা শুনতে হলে একদম অন্দরমহলে চলে গেলে তো হবেনা !!! খুব ফাঁকি দিচ্ছেন ইদানিং। হাফ সেঞ্চুরি পোস্ট কবে দিচ্ছেন বলুন, সেদিন আমিও হাফ সেঞ্চুরি করে ফেলবো ভাবছি। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আমি আসলে লেখালেখির বাইরে এসে পড়েছি, আগে আপনার অর্ধশত পালন করি ।
তারপর দেখে যাবে।
লেখা দিয়ে দিন ভাই, আমাদের আর অপেক্ষা করিয়ে রাখা ঠিক হচ্ছে না।
শুন্য শুন্যালয়
এমন বলবেন তা কিন্তু জানতাম। লেখালেখির বাইরে চলে গিয়েছেন? আর আমিতো ঢুকতেই পারলাম না কোনদিন। করবো ভাইয়া, অর্ধ কেনো পুরোপুরি শত করে ফেলবো একসময়। আবজাব দিয়ে ভরিয়ে ফেলা কঠিন কি আর!!!
ছাইরাছ হেলাল
আমিতো আপনাদের লেখা দেখেই শিখি, আপনিই যদি আবজাব লেখেন তাহলে তো
আমাদের লেখা সব কাবজাব হয়ে যাবে।
দ্রুত লেখা দিন,আমাদের বাধিত করুণ। আপনি সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি করবেন তা দেখার অপেক্ষায় রইলাম, আবজাব হলেও আমাদের সমস্যা হবে না।
আবির
দিলেন তো আবার পিলে চমকাইয়া, দেয়ালের ভিতর আবার অন্দর মহল! আর যেই কঠিন কঠিন কথা, এই জনমে এই প্রথম দেখলাম। খুব টাচি লেখা, এসব বুঝতে হলে আরেকজন্ম সাধনা করতে হপে।
ছাইরাছ হেলাল
ভাই ,সাধনা-ফাধনা কিছুই করতে হবে না, তবে এই আউল-ফাউল লেখা চলছে চলবে।
ইট্টু পড়লেই হপে।