আমার ঘরে খুব একটা আলো ঢোকে না, একটু অন্যরকম ভাবে বললে আমিই ঢুকতে দেই না, কারণ অন্ধকারের একটা নিজেস্ব গল্প আছে, আমার বাসার নিচের নদীর মত আঁকাবাঁকা রাস্তাটা দিয়ে দিকভ্রান্ত বাসগুলোর শব্দ সেই গল্পে নতুন মাত্রা দেয়, আমি আমার একান্ত ব্যাক্তিগত অন্ধকারে বসে তখন কালি আর শব্দ গুলিয়ে ছবি আঁকি, কখনো সেই ছবিতে একটা মেয়ে খুব বিষন্ন চোখে বাসের জানালা দিয়ে পাথরের এই শহর দেখে, আমি তার চোখ দেখে মুগ্ধ হই।

আবার রাত গভীরে আমার অন্ধতার ঘরে যখন কুকুরের আর্তনাদ শুনি, তখন তীব্র ভয় দিয়ে একটা অশরীরীর শরীর আঁকি, তার প্রার্থনায় জেগে থাকি। প্রায় সময় এমন হাজার রঙের শব্দগুলো যখন মাথার ভেতর ঘুরে তখন একটা শুন্যতার বোধ হয়। শুন্যতাটা হয়তো অচেনা দুটি বিষন্ন চোখের জন্য কিংবা অশরীরীর অদেখা শরীরের জন্য।

এভাবে অনন্ত সময় আমি গল্প আঁকি কখনো ঘুমের গায়ে হেলান দিয়ে, কখনো স্বপ্নের দেশে অনুপ্রবেশ করে। বাইরে রোদের জন্ম হলেই আমি নানা রঙে আঁকা ছায়া ছায়া ছবিতে হতাশার আগুন জ্বালিয়ে উৎসব করি, গল্পের বিষাক্ত ধোঁয়ার বেঁচে থাকার নিঃশ্বাস খুঁজি।

আনন্দের বিষয় ছবি গল্পের জন্ম- মৃত্যুতে কারো দীর্ঘশ্বাস মেশানো অভিযোগ থাকে না তাছাড়া আমার ছবি আঁকার হাত জঘন্য।

৬০৮জন ৬০৮জন

১৬টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ লেখা

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ