অনেক দিন পর সোনেলায়…
পুরোনো কিছু স্মৃতি শেয়ার করছি আজ…
নন্দিনীকে লেখা শুভঙ্করের প্রথম চিঠি –
নন্দিনী,
চিঠির শুরুতেই নিও একগুচ্ছ বেলী ফুলের শুভ্র শুভেচ্ছা। জানোই তো এই ফুলটা আমার খুব পছন্দের। আর সেটা যদি হয় তোমার খোঁপায় পচানো বাসী ফুল! তাহলে সেদিন আর কিচ্ছু চাইনা আমার। তোমার শ্যাম্পু করা চুলের গন্ধ আর বেলীর ফুলের গন্ধ মিলেমিশে তৈর হয় অদ্ভুত এক ভালোবাসার গন্ধময় মিশ্রণ। আমি তোমার সেই চুলসমুদ্রে নাক ডুবিয়ে উন্মাদ হতে চাই! তুমি শুধু গন্ধটা মুঠো ভরে তুলে দিও খামে। সাথে দিও দানা দানা প্রেম! কুচি কুচি প্রেমের ঝাঁঝ!
– শুভঙ্কর
১২ ডিসেম্বর ২০১৩
নন্দিনীর চিঠি – – –
শুভঙ্কর,
শুরুতেই নিও শিউলির রক্তিম ভালোলাগা। ভেবেছিলাম আমি-ই তোমায় প্রথম চিঠি দিব। কিন্তু তা আর হল কই? আজও আমি গেরে গেলাম তোমার কাছে। বেলী ফুল আমি কখনও খোঁপায় তুলিনি, এ অপারগতা আমার না, এই অপারগতা কিছু অপারগ ভালোবাসার। জানো এই ফুলটা হাতে নিলেই মনে হয় প্রতিটি পাঁপড়িতে তুমি লেগে আছো! এক অদ্ভুত মাদকতা ছোঁয়ে যায় আমাকে। তোমার পছন্দের সবকিছুতে আমি মিশে থাকব শুভঙ্কর, সাথে তোমার প্রতীক্ষায় ও।
– নন্দিনী
১৩ ডিসেম্বর ২০১৩
চলবে…
৪টি মন্তব্য
মৌনতা রিতু
চিঠিতে যদি দেওয়া যেতো সব, কতোই না ভাল হতো।
কিছু ফুলের পাপড়িতে নামটি লিখেই রেখে দেই প্রিয় এক চেনা সুবাসের জন্য।
ভাল লাগলো চিঠি পড়ে।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
চিঠিগুলো এমনি হয় কত আবেগ ভালবাসা নিয়ে আকাশ কুসুম ভাবা ইত্যাদি থাকে যা সেই সময়কার ইমেজ হৃদয়ে জাগে -{@
মেহেরী তাজ
দুজন দুই নক্ষত্রের মানুষ। তাও ভালোবাসা অফুরন্ত।
নীলাঞ্জনা নীলা
মন্তব্যে কি লিখবো ভাবছিলাম। শুভঙ্কর-নন্দিনীই সাহায্য করলো।
অথবা তুমি কি কিছু হারিয়েছ, অত্যন্ত আপন কোনো কিছু?
সন্ধ্যাতারা ডুবে গেলে কোনো কোনো পাখি শুধু কাঁদে।
তোমার সোনার আংটি জলের গহ্বরে ভেসে গেছে?
তোমার গায়ের সেই চাঁপা রং, চমৎকার শোভন প্রচ্ছদ
শুভঙ্কর কোথায় হারালে?
নন্দিনী, তুমি তো জানো আমার বাগান-পাট নেই
যেটুকু বাগান ছিলো, শৈশবের সঙ্গে ঝরে গেছে ।
তুমি ফুল ভালোবাসো বলে,
তোমাকে ফুলের বৃন্তে মাঙ্গলিক উৎসবের মতো লাগে বলে
আমাকে ফুলের খোঁজে যেতে হয় পথ খুঁজে খুঁজে
সিন্ধুনদ, হিন্দুকুশ হরপ্পার মতো দূরান্তরে।