আজকাল ফেসবুকের কল্যাণে, যিনি কোনদিন ১ লাইন চিঠি লেখেননি তিনিও ৫ লাইনের একটি স্ট্যাটাস দেয়ার চেষ্টা করেন। ভাবেন, কিভাবে নিজের ভাবনাটি প্রকাশ করলে সবাই সেটি পছন্দ করবে বা লাইক/কমেন্ট বেশী পাওয়া যাবে। এখানে আইডির মালিক যেমন খুশি তেমন বানানে লিখতে পারেন।ঙ্কিন্ত ফেসবুকের সাথে সাথে জনপ্রিয় আরেকটি মাধ্যম ব্লগ। যেখানে নিজের ভাবনাগুলোকে বিস্তারিতভাবে সবার সাথে ভাগাভাগি করে নেয়া যায়। যেহেতু ব্লগে লেখা পোস্ট করবার আগে কোন প্রুফ রিডারকে দেখানোর সুযোগ নেই, তাই লেখায় কিছু ভুল-ত্রুটি থাকাটা খুবই স্বাভাবিক। লেখা পোস্ট করার পর বিভিন্ন ধরণের মন্তব্যের সাথে সাথে উপরি পাওনা থাকে সমালোচনা। যার মাধ্যমে লেখক তাঁর লেখার মান এবং ভুল-ত্রুটিগুলো সম্পর্কে ধারণা নিয়ে নিজেকে আরো পরিপক্ক করে গড়ে তুলতে পারেন। কিন্ত কিছুদিন হলো খেয়াল করছি যে কিছু কিছু শব্দের ভুল ব্যবহার দিন দিন ছড়িয়ে পড়ছে। কেউ কেউ ভুল শব্দগুলো ফেসবুকের স্ট্যাটাসে লিখছেন তো আবার কেউ ব্লগে। আমরা জানি, ব্লগে যারা লেখেন তারা সবাই উচ্চশিক্ষিত। তবে সবার মাঝেই ভুল ধরিয়ে দিলে সেটিকে ভালোভাবে গ্রহণ করবার মানসিকতা থাকে না। আমরা সবাই ভাবি আমি যা জানি সেটিই ঠিক। এতে করে সম্পর্ক নষ্টের প্রবল সম্ভাবনাও থাকে। তাই অল্প কিছু বহুল ব্যবহৃত শব্দের ভুল ও সঠিক ব্যবহার এখানে তুলে ধরলাম। যদি কারো এ ভুলগুলো অনিচ্ছা সত্বেও হয়ে থাকে কিংবা অজানা থেকে থাকে তবে উনি/উনারা তা শুধরে নিতে পারেন। কারণ, আপনার লেখা থেকেই হয়তো নতুন লেখকেরা ভুলগুলো শিখবেন, প্রয়োগ করবেন। এভাবে ভুলগুলোকে ছড়াতে না দিয়ে একটু সতর্ক হলেই আমরা এ ভুলগুলো থেকে মুক্তি পেতে পারি। নিচে কিছু শব্দের ভুল ও সঠিক ব্যবহার দেখানো হলো। আশাকরি এতে কারো উপকার হলেও হতে পারে। সবশেষে বলি, আমি আপনাদের সবার তুলনায় খুবই নগণ্য একজন মানুষ। আমি এমন কেউ না যার কারো লেখা সম্মন্ধে সমালোচনা করবার যোগ্যতা আছে। আমি শুধুমাত্র নিজের ভাবনাটুকুই সবার সাথে ভাগাভাগি করে নিতে চাইলাম। কারো মনে কষ্ট দিয়ে থাকলে আমি সত্যিই দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী।
ভুল |
ঠিক |
কেও কোথাও নেই |
কেউ কোথাও নেই |
আমি যায়, সে যাই, তারা যাই | আমি যাই, সে যায়, তারা যায় |
আমি পিঠা বানায়, সে/তারা পিঠা বানাই |
আমি পিঠা বানাই, সে/তারা পিঠা বানায় |
সবায় অপেক্ষা করছে |
সবাই অপেক্ষা করছে |
কাওকে যেতে দেয়নি |
কাউকে যেতে দেয়নি |
৩২টি মন্তব্য
ইঞ্জা
আরো কিছু শব্দ লিখলে বা শোধরানো থাকলে ভালো হতো দাদীজান তাহলে আরো কিছু শিখতে পারতাম এরপরেও আপনার এই চেষ্টা কিন্তু নগন্য নয়, খুব ভালো একটা লেখা দিলেন দাদীজান, ধন্যবাদ।
নিহারীকা জান্নাত
ভাই এটুকু দিয়েই ভয়ে আছি কে এসে আবার ঝাড়ি লাগায়।
আতংকে আছি ;?
ইঞ্জা
দাদী ভালো কিছু শিখবেন এই চাই, কেন আর ভুল লিখবো যদিনা সঠিক জানি।
নিহারীকা জান্নাত
ধন্যবাদ ভাই। যতটুকু জানি ভাগাভাগি করে নেয়ার চেষ্টা করবো।
জিসান শা ইকরাম
লেখায় ভুল আমার খুব বেশিই হয়,
অনেক চেস্টা করেও আমি শুদ্ধ বানানে অভ্যস্থ হতে পারিনি।
লেখায় বানান ভুল কাম্য নয়,
সহ ব্লগার হিসেবে ভুল দেখিয়ে দিলে উপকৃত হবো।
নিহারীকা জান্নাত
আপনি অনেক অভিজ্ঞ এবং পরিপক্ক একজন লেখক। আপনার শব্দ বিন্যাস অসাধারণ। বরং আপনার লেখা দেখে আমি কিছু শিখি। আপনার কোথাও ভুল হলে ধরে নিতে হবে টাইপিং মিস্টেক। আপনার ভুল ধরাটা আমার জন্য স্পর্ধার পর্যায়ে পড়বে তবে আমি যেহেতু লেখক নই তাই নি:সংকোচে আমার ভুলগুলো ধরিয়ে দিলে কৃতজ্ঞ থাকবো।
ভালো থাকবেন। শুভকামনা -{@
ইলিয়াস মাসুদ
আমি তো একটা লিখা লিখে প্রকাশ বাটনে চাপ দেয়ার আগে দোয়া ইউনুস পড়ে তার পর চাপ-দি
আমি কি লিখালাম তার জন্য না আমি কি বানান লিখলাম তার ভয়ে
আসলে বাংলা খুব চর্চার বিষয়,চর্চা না থাকলে যা হয়
আমি যায়, সে যাই, তারা যাই এই লাইন্টা আমাকে আন্তত খুব উপকার করবে
ভুল ভ্রান্তি দেখলে জানাবেন আশা করছি 🙂
নিহারীকা জান্নাত
ভাই লেখা পোস্টের আগে সুরা পড়ার বিষয়টি পড়ে হাসতে হাসতে মরে যাচ্ছি। লিখতে হলে জানত হয় সত্যি কিন্ত তা আমরা যা পড়াশুনা করে এসেছি তার থেকে আলাদা কিছু না। হয়তো একটু সতর্কতার অভাব বা অল্প কিছু অজানা তাই। পোস্টটি পড়ে কিছুমাত্র উপকার হলে খুশী হবো ভাই।
ধন্যবাদ আপনাকে।
নীলাঞ্জনা নীলা
আজকাল বানান নিয়ে অনেক ঝামেলা হয় আমার। একদিকে আমার আছে সংসদ বাংলা অভিধান, আর এখন বাংলা একাডেমী কর্তৃক আরেকটি অভিধান হয়েছে। বেশ কিছু বানান দু’ জায়গায় দু’ রকম। সমস্যা হলো ‘উ-কার, দীর্ঘ-উ কার, ই-কার, দীর্ঘ-ই-কার’ এসবেই ঝামেলা হয় আমার। যেমন সংসদ বাংলা অভিধানে ‘দুর্ঘটনা’ আর বাংলা একাডেমীর অভিধানে ‘দূর্ঘটনা।’ আমি সেই ছোট থেকেই শিখে আসা দুর্ঘটনা-ই লিখি। আবার ‘পাখী, পাখি।’ আমি পাখী-ই লিখি। যেমন অনেক শব্দ-ই আছে এমন।
দারুণ একটা পোষ্ট দিয়েছেন। আসলে আমরা বানানের দিকে সেভাবে খেয়াল রাখিনা। ভুল বানানে লেখার মান যে কতোটা নেমে যায়, ওইটুকু কেউই আমরা চিন্তা করিনা। আপনি অনেক সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। আর খুব খুশী হবো যদি আমার ভুলও ধরিয়ে দিন কখনো। সত্যি বলতে কি সমালোচনা নিতে জানি এবং সুন্দর সমালোচনা-ই পারে ভালো কিছু লিখিয়ে নিতে।
ধন্যবাদ আপনাকে নিহারীকা।
নিহারীকা জান্নাত
আপা, আজকাল ই-কার/ঈ-কারের ব্যাপারটা আর ধরা হচ্ছে না। দুটোকেই সঠিক বলে ধরা হয়। আর বানান ভুল বা ভুল শব্দ প্রয়োগে লেখার সৌন্দর্য্য বাধাগ্রস্ত হয়। এই হলো সমস্যা। আমরা সবাই সবকিছু জানবো এমন নয়। তাই যে যার অবস্থান থেকে জানা কিছু ভাগাভাগি করে নিলে অবশ্যই আমাদেরই উপকার হবে।
আপা, আপনাকে ধন্যবাদ।
নীলাঞ্জনা নীলা
মানুষ সামাজিক জীব। একে অন্যকে সাহায্য করাই মানুষের ধর্ম।
আসলে ই-কার, ঈ-কার আধুনিক অভিধানে ধরা হয়না। সংসদ বাংলা অভিধানে হয়। আর আমি নতূন শব্দের ব্যাপার ছাড়া আধুনিক অভিধান দেখিনা।
আপনাকেও ধন্যবাদ নিহারীকা।
মোঃ মজিবর রহমান
আপু অনেক জেনে আবার অনেকে না জেনেই লেখে আবার অনেকের বাটনে প্রব্লেম হওয়ার কারনে হয়।
আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টের জন্য।
নিহারীকা জান্নাত
টাইপিং মিসটেক বুঝা যায় ভাই। সেটা কীবোর্ডের সমস্যা বা ভুল চাপের কারণে হতে পারে কিন্ত যদি কোন লেখক তার লেখা ১টি শব্দের প্রতিটি ব্যবহারেই ভুল করেন তাহলে ধরে নিতে হবে এটা হয়তো উনি জানেন না। উনাদের আরেকটু সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। সবার ভুলত্রুটিগুলো আলোচনার মাধ্যমে সহজভাবে নিলে আমার বিশ্বাস লেখকদের লেখার মান আরো বাড়বে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
মোঃ মজিবর রহমান
সহমত আপনার সঙ্গে।
মৌনতা রিতু
বানান ভুল নিয়ে আর কিইই বা বলি ;?
আমার তো এই ভুলে ভুলেই অবস্থা খারাপ। তবে বর্তমানে ‘র এবং ড় নিয়ে বড়ই বিপাকে পড়ি।
আসলে ভাল একটা পোষ্ট দিছেন। তবে অনেক সময় অনিচ্ছাকৃত ও বানান ভুল হয়। আমি তো পরে আর ঠিকই করতে পারি না। ওমনিই পোষ্ট করে দেই। মনে মনে ভাবি, কষ্ট করে পড়ে নিক :p
শুভকামনা রইল
নিহারীকা জান্নাত
অনিচ্ছাকৃত ভুলগুলো বুঝতে পারা যায় আপা। তবে যেসব জায়গায় আপনার সমস্যা সেখানে আরও একটু সতর্ক হলে ভালোই হবে। আপনি নিজেই আপনার সমস্যা বুঝতে পারেন। আত্ন সমালোচনা একটি বড় গুণ। একে ধরে এগিয়ে যান, অবশ্যই ফল পাবেন।
অনেক ধন্যবাদ আপা।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
লেখায় বানান আমার সব চেয়ে বেশী ভুল হয়।প্রথম দিকে ছিল অহরহ সোনেলার কিছু প্রিয় মানুষের সহযোগিতা প্রতি লেখায় ভুল ধরিয়ে দেয়ায় এখন কিছুটা কম ভুল তবে নেহাত কম নয়।আর আপনাকেইতো খুজছিঁ আমরা।দিন না আরো কিছু বানানের শুদ্ধতা প্লিজ। -{@
নিহারীকা জান্নাত
আমি কি ভুল ধরবো ভাই। নিজেই বলি ব্লগে একজন প্রুফ রিডার থাকলে মন্দ হয় না। উনি আমাদের লেখাগুলো দেখে ঠিকঠাক করে দিলেন। তারপর নাহয় আমরা পোস্ট করলাম 🙂 মডারেশন বোর্ডকে বলে দেখুন ভাই। যদি কিছু লাভ হয় 🙂
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার সযত্ন বানানসহযোগীতা একান্ত প্রার্থনীয়,
আমার প্রতি লেখায় সনিযুক্তি একান্ত কাম্য,
বানানভীতি প্রচণ্ড, ভুল সহ,
আশায় বুক বাঁধলাম,
নিহারীকা জান্নাত
ওরে বাবা, পালাই। আপনার শব্দ বন্ধন/ভান্ডার দেখে এম্নিতেই আমার আক্কেলদাঁত ভেঙে গিয়েছে। ভুল ধরতে গিয়ে আর হাত-পা ভাঙতে চাই না 🙂
ছাইরাছ হেলাল
মনে মসজিদ নেই, তা সত্ত্বেও আপনি তা ভাঙতে পারেন না,
বঞ্চিতকরণ প্রথা রহিত করা হোক,
নিহারীকা জান্নাত
এভাবে অনুরোধ করলে কিন্ত বিপদে পড়ে যাবেন ভাই। গোটা চারেক বাংলা অভিধান আর ম্যাগ্নিফায়িং গ্লাস নিয়ে কিন্ত ভুল খুঁজতে বসে যাবো। 😀 \|/
নাসির সারওয়ার
বেজায় সঠিক কথা। সবার আগে আমি আছি ভুল বানানের মাস্টার। উপরে কেউ একজন লেখেছেন, “চর্চা না থাকলে যা হয়”। লিখতে হলে অবশ্যই চর্চার মাঝে থাকতে হবে যা হয়তো অনেকেই পারেননা।
আমি প্রায়ই বলি, সোনেলার একটা শব্দ ব্যাংক থাকা উচিৎ। ভুল বানান কমানোর সাথে সাথে কিছু লেখকের (যারা বেশ শক্ত-পোক্ত শব্দ ব্যাবহার করেন) লেখার তর্জমাও করা যেতো।
নিহারীকা জান্নাত
আমিতো বলি ব্লগে একজন প্রুফ রিডার নিয়োগ দেয়া যায় কি না। যার কাজ হবে পোস্ট করার আগে ভুলগুলো শুদ্ধ করে দেয়া। আর শক্ত-পোক্ত শব্দের কথা শুনে হেলাল ভাইয়ের চেহারাটিই চোখে ভাসলো। উনার লেখা পড়ে আমার আক্কেল দাঁত পড়ে গেছে। কি আর বলি….
নাসির সারওয়ার
আসুন, সবাই মিলে আওয়াজ তুলি –
“প্রুফ রিডার দিতে হবে
নইলে এডমিন ধানসিঁড়িতে হাঁটবে”
হেলাল সাহেবের লেখা পড়ার ভয়ে আমারতো আক্কেল দাঁতই উঠছেনা এখনো!
নিহারীকা জান্নাত
ভাই আপনি এগিয়ে চলুন
আমি আছি আপনার পিছে। আর হেলাল ভাইকে যদি একটু অনুরোধ করতেন যেন আমার মত নিম্ন শ্রেণীর পাঠকের জন্য মাঝে মাঝে সহজবোধ্য কিছু লিখেন। এতে আমার বাকি দাঁতগুলো জীবন বাঁচে 🙂
সঞ্জয় কুমার
বানানের অবস্থা বর্তমানে বড়ই বাজে । ফেসবুকের স্টাটাস আর ব্লগের মধ্যে অনেক ফারাক । ব্লগের লেখা কিছু ক্ষেত্রে online রেফারেন্স । এছাড়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্লগ অন্তর্জালে আমাদের মাতৃভাষাকে সমৃদ্ধ করছে ।
তাই অবশ্যই আমাদের বাংলা বানানের ব্যাপারে অধিক যত্নবান হওয়া উচিত ।
বাংলার কিছু বানান নিয়ে অনেকেই দ্বিধা দন্দে ভোগে । আমিও ।
যেমন
বাঙালী নাকি বাঙ্গালী
আসলে আপনি আসলে ভাল হত । বানান এক হলেও অর্থ ভিন্ন ।
এমন আরও অনেক ।
পরবর্তীতে বানান নিয়ে আরও বিস্তারিত পোস্ট আশা করছি ।
নিহারীকা জান্নাত
অনেক ধন্যবাদ ভাই। বানান এবং সঠিক শব্দ চয়ণ একটি লেখার প্রাণ বলা যায়। এদিকে অবশ্যই লেখকদের একটু সতর্ক থাকা প্রয়োজন। ভবিষ্যতে এ বিষয়ে আরো কিছু লেখার ইচ্ছে আছে।
ভালো থাকবেন। শুভকামনা।
আবু খায়ের আনিছ
খুব সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। শুধু ফেইজবুক/ব্লগ নয় আরো ভিন্ন জায়গায় বানান ভুল দেখা যায়। পত্রিকার পাতাও বাদ যায় না এই ক্ষেত্রে।
কিছু বানান বুঝা যায় যে টাইপিং এরর, কিন্তু কিছু বানান আদৌতেই ভুল লিখা হয়। আর তার প্রভাব পড়ে আমার মত মানুষের উপর। আমি অধিকাংশ বানান ভুল করি দ্বিধায় পড়ে। ভিন্ন জায়গায় ভিন্ন ভাবে দেখার ফলে লেখার সময় দন্দ তৈরি হয় মনের মাঝে, কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল।
ধন্যবাদ আপনাকে।
নিহারীকা জান্নাত
অনেক ধন্যবাদ ভাই।
শুন্য শুন্যালয়
কিছুটা লেখা শুরু করেছিলাম ভুল বানান নিয়ে, তবে শেষ করতে পারিনি। এই ভুলগুলো আমার সাধারনত হয়না। র/ড়, ন/ণ, ই/ঈ এইগুলা নিয়ে মাঝেমাঝে ঝামেলায় পড়ি। আসলে ভুল বানান এতবেশি ব্যবহৃত হয় যে কনফিউজড হয়ে যাই। ভালো পোষ্ট। আরো পর্ব লিখুন, সবার উপকারে আসবে। ধন্যবাদ আপু।
নিহারীকা জান্নাত
আজই একটি লেখা পড়তে গিয়ে যাই/যায় ভুলের কারণে লেখাটি বুঝতে বেশ সময় লাগলো। কিছু কিছু ছোট ভুল যাতে বাক্যের অর্থ বদলে যায় না, তা নিয়ে একটু কম ভাবলেও কিছু কিছু ভুল বাক্যের অর্থকে বদলে দেয় যা হয়তো লেখক নিজেই বুঝতে পারছেন না। সেসব লেখা ব্লগে পোস্ট হলে ব্লগের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। তাই আমার মতে মডারেশন বোর্ডের মত একটি বোর্ড (যাদের বাংলা সম্পর্কে তুলনামূলক ভালো জ্ঞ্যান আছে)যদি ব্লগে থাকে, যারা লেখা প্রকাশের আগে একটিবার চোখ বুলিয়ে দেবেন তাহলে ভুলগুলো কমানো সম্ভব। আমি নিজেও বলতে গেলে কিছুই জানিনা তবে কিছু কিছু ভুল আস্তে আস্তে ছড়িয়ে পড়ছে এবং প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে এটা দেখে খারাপ লাগে। তবুও যতটুকুই জানি, বা গুগলের যাহায্য নিয়ে যা জানবো তা লেখার চেষ্টা করবো। অনেক ধন্যবাদ তোমায়।