১/
ঘুম-পক্ক্বীদের ভিড়ে নির্ঘুম রাত
কত বিস্বাদ! কত নির্ঘাত!!
হিম ধরা সময় হয়ে ওঠে ভয়ংকর!
এ যে ফাগুন! এ যে আগুন!!
.
শয়নে মাথার আধ হাত উপরে,
কে বসে ঈশারা করে?
রাতের ঘুম পাড়ানোর দায়িত্ব
কি আমার? কে বলেছে?
.
মোয়াজ্জিনের আজান ভেসে এসে
কর্ণকুহরে প্রবেশ করলে পরে
তবে নাকি মিলবে ছুটি!!
তুমি ক্যুন হে…?
.
তবে আমার শিশিরস্নাত সকালের
কি হবে?
ঘাসের ওপর ফুলে ওঠা বিন্দুর উপর
সূর্যের আলোয় প্রতিবিম্বস্নান সকালের
এই আয়োজন কার জন্য তৈয়ার করা হয়েছে?
.
খুব জানতে ইচ্ছে হয়,
সে গ্রহের প্রাণী কি
সে নয়..?
.
২/ ঝিনুকের চোখের মত শরীরের অস্ফুট সব
চোখ দিয়ে দেখা সেই নিস্তব্ধ সময় ধরে
বেঁচে আছি।
সমাজের শুদ্ধতম কলঙ্ক নিয়ে বেঁচে
থাকার মত শক্তি
আছে। তাই ভেসে আসা মেঘের দিকে
থাকিয়ে অবৈধ হাসি দেই।
পৃথিবীদেবী শেষ অবধি দেখে যাব বলে
লম্ফঝম্ফ দিয়ে পাহাড়ের চূড়ায় উঠি।
রোদ্দুর ভরা বিকেল শেষে হন হন করে ছুটে
চলি অজানায়
ভাস্কর্যের মত দাড়িয়ে থেকে নিষিদ্ধ
সময় দেই পাড়ি।
.
৩/ জ্বলন্ত নিকোটিন লাগে
……….
কনকনে শীতের রাতে
আকাশে চাঁদ উঠিলে
হু হু করে কপাট খুলিতে
জ্বলন্ত নিকোটিন লাগে।
.
বারান্দায় বসে আলোকছটা
সাথে ভূত-পেত্নীদের ভিড়।
ভেঙে নিরবতা, হি হি রব তুলিতে
জ্বলন্ত নিকোটিন লাগে।
.
মনে যদি হয় ক্ষত, না থাকে ব্যথা
সহিতে পারা যায়? পারা যায়? কি করে?
মনের ক্ষতে রাখিতে যন্ত্রণা-ব্যথা
একযোগ জ্বলন্ত নিকোটিন লাগে!
১৮টি মন্তব্য
নিহারীকা জান্নাত
ওরে বাবা, একসাথে ৩ কবিতা। এম্নিতেই কবিতা কম বুঝি 🙁 থাক আবার পড়বো 🙂
গাজী বুরহান
উরে বাপ!!
কম বুঝেন?
তবে সমালোচনা করেন। যারা কম বুঝে তারা সমালোচনা করতে জানে!!!
নিহারীকা জান্নাত
কি বলতে কি বলে বিপদে হয় যদি?
অপার্থিব
ভাল লাগলো কবিতা।
গাজী বুরহান
ধন্যবাদ ভাইয়া। বসন্তের শুভেচ্ছা নিয়েন -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
বাহ! তিনটি কবিতাই ভালো লেগেছে। তবে দুই নম্বরটি বেশী ভালো লেগেছে।
বসন্তের শুভেচ্ছা।
গাজী বুরহান
ধন্যবাদ আপু।
বসন্তের শুভেচ্ছা -{@
ছাইরাছ হেলাল
পড়লাম,
ঠিক মনে করতে পারছি না, আপনার কবিতা আগে পড়েছি কী না,
লিখুন আরও বেশি করে,
গাজী বুরহান
কবিতা জিনিসটাও বুঝি না ভাইয়া। এর আগে লিখিও নাই।
বাসন্তী শুভেচ্ছা -{@
ইঞ্জা
তিনটা কবিতায় ভালো লেগেছে।
গাজী বুরহান
ধন্যবাদ।
বাসন্তী শুভেচ্ছা -{@
ইঞ্জা
বসন্তের শুভেচ্ছা
ইকরাম মাহমুদ
১ টি নয় তিনটি। প্রতিবার স্বাদগ্রহন করার আগে পানি বিরতি নিতে হয়েছে। তবু শেষটায়
মনের ক্ষতে রাখিতে যন্ত্রণা-ব্যথা
একযোগ জ্বলন্ত নিকোটিন লাগে!
নিকোটিনের গুরুত্ব অতটা জানিনা, বুঝিওনা। জ্বলন্ত নিকোটিনের প্রয়োজনীয়তা উপস্থাপন ভালো লেগেছে।
গাজী বুরহান
বুঝেছি যথেষ্ট তিক্ত হয়েছে নইলে পানি বিরতির সময় পেতেন না :v তবুও ভালো লেগেছে যেনে ভাল লাগল।
নীরা সাদীয়া
পড়ে মনে হল যেন স্মৃতিচারণ।
গাজী বুরহান
অনেকটা স্মৃতির মত চারণ!
ধন্যবাদ আপু।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
আপনার লেখার হাত ভালো। (y)
মোল্লার আজান না লিখে
মোয়াজ্জিনের আজান লিখলে মনে হয় আরো ভালো লাগতো! এটি আমার মত।
গাজী বুরহান
ভাই, আপনাকে ধন্যবাদ।
আমিও পড়ে বারবার মনে হচ্ছিল ‘সামথিং ইজ নট রাইট’
ধরিয়ে দিলেন। আবারো ধন্যবাদ।।