একতলা ছাদ
বাঁশের খুঁটিতে সাইকেল বাঁধা!
ছাদময় দড়ির মেলা !
লাল, গোলাপী, নীল-রং বেরঙ্গের কাপড়ের সমারোহ।
হালকা বাতাস
দড়িকে সঙ্গী করে উর্বশীর খোলা চুলের মত উড়ছে !
মেয়েটি এলো,
আচমকা সিড়ি বেয়ে।
হাতে সিক্ত বসন
রোদে-বাতাসে সমর্পন করার অভিপ্রায়ে।
দড়িতে দিচ্ছে বসন, আর উকি মারছে সে
আমারই জানালায়, রুমে !
হঠাৎ চোখাচোখি হল !
কিছু লজ্জা নিয়েই সে আপন কাজে মগ্ন হল।
কাজ শেষে নেমে গেল সিঁড়ি বেয়ে।
একবারও ফিরে তাকালো না,
যেন অভিমান করেছে !
কেন, আমি দেখেছিলাম বলে?
সে শুধু আমায় দেখবে, আমি দেখবোনা,
এই আশায় কি সে ছাদে আসে?
আমি যে তাহলে বড়ই ভুল করলাম
তার সাথে চোখাচোখি করে !
নাকি সে ই আজ ধরা খেলো
অনেক দিনের গোপন কাজে ধরা খেয়ে-চোখাচোখি হয়ে?
জানা হলনা, কখনো হবেও না…!!
১০টি মন্তব্য
শুন্য শুন্যালয়
জানা হতেও তো পারে 🙂 ভালো লাগলো কবিতা।
সিহাব
হবে না… না হওয়াটাই ভাল… আকর্ষন থাকে ! জেনে গেলে সব রহস্য যে শেষ !!
খসড়া
কিছু জিনিস অজানা থাকাই ভাল।
সিহাব
সেটাই …
সিহাব
ধন্যবাদ !! 🙂
মেঘাচ্ছন্ন মেঘকুমারী
ভালো লেগেছে খুব ভাইয়া।
সিহাব
ধন্যবাদ ! 🙂
মোঃ মজিবর রহমান
সিহাব ভাই,
হাতে সিক্ত বসন
রোদে-বাতাসে সমর্পন করার অভিপ্রায়ে।
ভাললাগ লো।
শুভেচ্ছা রইল।
জিসান শা ইকরাম
কবি কি একটু অস্থির ?
কেন জানি মনে হচ্ছে ।
অলিভার
কোন একদিন সেই কথাটাইও জানতে পারবেন, অপেক্ষায় থাকুন আপাতত।