হাঁটিনি সাত পা এক সাথে কখনো।কথা বলার প্রশ্নই আসেনা।ধার করে দেখেছি শেষ অবশেষ, জানালায়।
তবুও ঋতুসন্ধিতে অন্ধকারে ক্লান্ত গলি মুখে চোখ রাখি।না,এ গলি নয়।এখানে রাতের শীতেরা ঘুমুচ্ছে এ মুখ ও মুখ হয়ে।
নগ্ন পায়ে।আমি,না দেখা গলিটি কিছুতেই পাচ্ছিনা খুঁজে। ঘুমে ডুবেও আমার কিছুতেই ঘুম পাচ্ছে না।
আমি পরিযায়ী সিঁধেল চোরও না।
পৃথিবীর বুক হাতিয়ে একটু উষ্ণতা গায়ে মেখে একদিন আমিও ঝুলে যাব বারান্দার কড়ি কাঠে।
হাসি হাসি বড় বড় খোলা চোখ মেলে।রাত্রির গভীরে ডুবে থাকা নক্ষত্রের স্নিগ্ধ পটভূমিতে।
জেগে থাকে রাত বোজা চোখে হাসি মাখা মুখে।
৫০টি মন্তব্য
শুন্য শুন্যালয়
ঋতুসন্ধি মানে কি? আপনি তো দেখি পণ করে বসে আছেন? 🙁 না দেখা গলির জন্য আফসোস আমাদের সবসময়ের… না পেলে তাকে খুঁজে বেড়াবার নেশাও।
পৃথিবীর বুক থেকে সমস্ত উষ্ণতা নিয়ে একদিন আমিও বানাবো আমার বারান্দায় ইচ্ছের আগুন উৎসব।
মন খারাপ থাকলে আমি আছি কি করতে, দুনিয়ার জোকস বুক নিয়ে হাজির হবো। শিঘ্রই ঝেড়ে বলুন।
বনলতা সেন
ঋতুদ্বয়ের মিলনকাল। চাওয়া ও পাওয়ার ঠিক মাঝে দাঁড়ানো বোঝাতে চেয়েছি।
না, এটি মন খারাপের লেখা নয়। মনে হবে মন খারাপ। আসলে তা নয়। যার জন্য খোঁজা-খুঁজি সে হাসি মুখে না ঘুমিয়ে
অপেক্ষা করছে।
আগুন উৎসব ! সে আপনি করতেই পারেন। অত তাপ সইবে না। সামান্য যা হাতিয়ে নেই তাতেই চলপে।
সে জোকস্ নিয়ে বসতেই পারেন। মন্দ হবে না ।
শুন্য শুন্যালয়
যার জন্য খোঁজাখুঁজি, হুম। কিন্তু তাকে পেলেই কি সেই খুনি চিন্তা জেগে উঠবে না?
বনলতা সেন
না না ,খুন করব কেনু ! খুন-খারাবি ভালু না। আপনার লেখা কই?
শুন্য শুন্যালয়
আস্বস্ত হলাম, শুধু নিজেকে আস্বস্ত করতে পারলাম না, কবে যে একবারে আপনার লেখা বুঝবো 🙁
বিরতি, বিরতি দীর্ঘ বিরতি। এমন এমন সব লেখার পাশে ইচ্ছা পালায়। ধার করে দেখেছি শেষ অবশেষ লাইনটা ভালো লাগলো। কবে যে আমাকে চোর বলবে লোকে তাই-ই ভাবি।
বনলতা সেন
আপনার আবার কী হল? বিরতি কেন? আর চোর কেন বলবে? শব্দ আমরা তৈরি করি না
ব্যাবহার করি মাত্র ।ইচ্ছে মত। কোন কথা নেই। লিখতে শুরু করুণ ।
শুন্য শুন্যালয়
শব্দ ব্যবহারটাই যে সব। কেউ বলবে নীরব পাহাড়, আবার কেউ পাহাড় নীরব। ব্যবহারেই বনলতা সেন।
আমার কোনুই ঠিক ঠিকানা নাই।
বনলতা সেন
এ কথা বললে হপে না। লেখা চাই।
খসড়া
ভাল লাগল। বুঝতে সময় লেগেছে। হয়ত বুঝেছি আমার মত করে। ভাল থাকুন।
মরুভূমির জলদস্যু
আমারও একই অবস্থা
বনলতা সেন
এত বোঝাবুঝির কিছু নাই।আমি নিজেও কী সব বুঝি?
ভাল থাকবেন।বেশি বেশি লেখা চাই । আড্ডা চল্বে।
সাইদ মিলটন
তোমাকে পারিনি ছুঁতে, তোমার তোমাকে –
উষ্ণ দেহ ছেনে ছেনে কুড়িয়েছি সুখ –
তোমার তোমাকে আমি ছুঁতে পারি নাই –
যেভাবে ঝিনুক খুলে মুক্তো খোঁজে লোকে –
আমাকে খুলেই তুমি পেয়েছ অসুখ, পেয়েছ কিনারাহীন আগুনের নদী
– রুদ্র
বনলতা সেন
রুদ্র রুদ্রের মতই লেখে।
সাইদ মিলটন
ঋতুসন্ধি শব্দটা সুন্দর আছে , আপনার উত্তর পড়লাম শুন্যের জিজ্ঞাসার জবাবে 🙂 আমি প্রথমে শিরোনাম অন্যরকম ভেবেছিলাম আইমিন শারিরীক অর্থে ভেবেছিলাম
সাইদ মিলটন
*শিরোনাম দেখে
বনলতা সেন
আচ্ছা।
বনলতা সেন
পড়তে পড়তে আমার ও পছন্দ হয়েছে তাই লিখে দিলাম।
গ্রীষ্ম ও বর্ষার মাঝে দাঁড়ালে যেমন সেতু বন্ধন হয় তাই। লেখা চাই নিয়মিত।
মেঘাচ্ছন্ন মেঘকুমারী
বড়দের কথা বুঝিনা কিছুই।
বনলতা সেন
পড়লেই হবে।সব বোঝার দরকার নেই। আমি নিজেও কত কী বুঝি না।
গান কই?
মোঃ মজিবর রহমান
আমি,না দেখা গলিটি কিছুতেই পাচ্ছিনা খুঁজে। ঘুমে ডুবেও আমার কিছুতেই ঘুম পাচ্ছে না।
আমি পরিযায়ী সিঁধেল চোরও না।
দিদি লেখক গণ নিজ নিজ মনের রঙ্গে গেয়ে গেছে জীবন আপনি ব্যাতিক্রম নয়।
ভাল লাগলো।
বনলতা সেন
আমি কোন লেখক-ফেকক কিছুই না। আউল-ফাউল লিখি।
তাও ভালো লাগার জন্য অভিনন্দন।
মোঃ মজিবর রহমান
লেখে লেখক
পড়ে পাঠক।
আপনি লিখিয়া
ছাইরাছ হেলাল
কিছু শব্দ ধার নিতে হবে দেখছি।
বনলতা সেন
সেথা নয়,অন্য কোথাও চেষ্টা চালান!
মেহেরী তাজ
হাঁটিনি সাত পা এক সাথে কখনো।
কথা বলার প্রশ্নই আসেনা।ধার
করে দেখেছি শেষ অবশেষ,
জানালায়।
ধার করে দেখার কি দরকার তাও আবার শেষ অবশেষ, শুরুটা দেখেন এবার।
আর একসাথে শিশির ভেজা ঘাসের উপর হাটতে চাইলে আপনি আমন্ত্রিত। 🙂
বনলতা সেন
নিজের না থাকলে ধারই একমাত্র সম্বল। অবশ্য সময় মত ধার ও পাওয়া যায় না।আমন্ত্রণের জন্য ধন্যবাদ।
পায়ে পায়ে শিশির মেখে যেতে চাই অনেকটা পথ।কোথায় পাব সে শিশির ? কোথায় পাব পায়ের পথ ? ঠিকানা জানি না।
সীমান্ত উন্মাদ
আমি একটু গাধা টাইপ মাথা ভর্তি গোবর, আপনার লিখার বিষয় মাথার উপর দিয়া গেলো। আফু আমারে একটু বুঝাই দিবেন একটুখানি। :p
বনলতা সেন
সাত পা হাঁটা…খুব বিখ্যাত কবিতা।
কারও সাথে সাত পা হাঁটলেই নাকি বন্ধুত্ব হয়। সেটা বোঝানো হয়েছে। হাঁটা হয়নি,কথা হয়নি শুধু জানলায় দাঁড়িয়ে সামান্য একটুখানি দেখেই ভালবেসে ফেলেছে রাত কে।এখন তাকে ঘুমহীন চোখে খুঁজে বেড়াচ্ছে। না পেয়ে আত্মহত্যার কথা ভাবছে কড়ি কাঠে ঝুলে।কিন্তু যাকে খুঁজছে সে রাত জেগে হাসি মুখে অপেক্ষা করছে।
আক্ষরিক অর্থ এই।কিন্তু এটি রূপক।যে যার মত ভেবে নেবে। কে জানে বুঝিয়ে বলতে পারলাম কী না।
শুন্য শুন্যালয়
কhuni চিন্তা বলতে আত্মহত্যাই বুঝিয়েছিলাম। দেখছি মৃত্যু কিংবা তার চিন্তা ছাড়া আপনার লেখাই আসেনা।
লীলাবতী
না দেখা গলিটি খুঁজে পাক সবাই।
বনলতা সেন
সহজ নয়।গলি-ফলি আছে কিনা তাই বা কে জানে।
বক্স এর বার্তা দিন ।
ব্লগার সজীব
কবি এখানে কোন কোন ঋতুর কথা বলেছেন ?
বনলতা সেন
গ্রীষ্ম বর্ষা শরৎ হেমন্ত শীত ও বসন্ত ঋতুর কথা বলার চেষ্টা করা হয়েছে মাত্র।
জিসান শা ইকরাম
গত দুদিন ধরে কমেন্ট করতে পারছিলাম না ।
আমরা কি এই সোনেলা চেয়েছিলাম ? 🙁
মডুদের বিরুদ্ধে একটা পোষ্ট দিতে হয়, সাথে থাকবেন আশা করি।
লেখা পড়তে হবে আগে, এরপর লেখার মন্তব্য।
বনলতা সেন
দিয়ে দিন একটি মারদাঙ্গা লেখা, মডুদের কল্লা ঘুরিয়ে দেব আমরা।
জিসান শা ইকরাম
আচ্ছা , দিতাছি আজকেই ।
সীমান্ত উন্মাদ
পুরাটা বুঝছি খালি ভালোবাসা আর ভালোবাসা।
বনলতা সেন
পড়ার জন্য শুভেচ্ছা।
অলিভার
পড়লাম আপু কিন্তু পরিষ্কার ভাবে ভাবার্থ বুঝতে পারি নি
আর এই লাইনটার কি বোঝায় ” পৃথিবীর বুক হাতিয়ে একটু উষ্ণতা গায়ে মেখে একদিন আমিও ঝুলে যাব বারান্দার কড়ি কাঠে ”
বনলতা সেন
সাহস সঞ্চয় করে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করার কথা বলার চেষ্টা করা হয়েছে।
জানিনা বোঝাতে পারলাম কী না।
নীলাঞ্জনা নীলা
‘ঋতুসন্ধি,শেষ অবশেষ’ মুগ্ধ হলাম এমন শব্দ ব্যবহারে । আপনার লেখা পড়ে লেখার মাঝে ডুবে যাই।
বনলতা সেন
অনেক শুভেচ্ছা আপনাকে নিয়মিত পড়ার জন্য। যতটা প্রশংসা করছেন অতটা ভাল লিখছি বলে মনে হয় না।
নুসরাত মৌরিন
বনলতা দি আপনার কবিতা গুলো কেমন যেন আচ্ছন্ন করা, সব অর্থ ঠিক বুঝি না, তবু পড়তে ভাল লাগে…। 🙂
বনলতা সেন
মন্তব্য পড়লে হয়ত আর একটু বোঝা যেত। আচ্ছন্ন করার মত লেখা আমি লিখতে পারব না কখনও।
মিথুন
কেমন আছেন? লেখা কিন্তু বুঝেছি 🙂
বনলতা সেন
আমি ভাল আছি ।আপনিও ভাল থাকবেন। অবশ্যই আপনি বুঝতে পারেন।
স্বপ্ন
সাত পা হাঁটেননি একসাথে কখনো, তারপরেও এত খোঁজাখুজি ! হাটলে কিযে হতো কল্পনাও করতে পারছি না।
বনলতা সেন
এবারে দেখলেন তো না হাঁটলেও কী অবস্থা দাঁড়ায়। তাই হাঁটাহাঁটিতে আরও সাবধান।
মিসু
বুঝলাম মন্তব্য পড়ে। ভালো লেগেছে খুব। কেমন আছেন ?
বনলতা সেন
ভালো লাগছে তা কী করে বুঝব? সময় দিচ্ছেন অন্যদিকে। সব আনন্দ ও দিকেই তা তো দেখতেই পাচ্ছি।