আমার ঘাসবুক।
না, আজ আর কোনো অধিকারে মন কাঁদে না।
এ এক একার অধিকার চাইতে চাইতে,
আজ সে সত্যিই জড়ো।
এ জড়ো তাই নড়ে না চড়ে না,
কোনো অধিকারের অনুভূতি তাকে আর নাড়া দিয়ে ওঠে না।
আজ এ অধিকার না চাওয়াতে,
না দেওয়াতে ভেবো না অন্য কোথাও
এ জড়ের প্রাণ সেজেছে।
কতোটা আঘাতে একটা প্রাণ জড়ো হয়,
বলতে পার?
যে জড়ে মোর প্রাণ ছিল,
তার কবরে আজ এক কৃষ্ণচূড়া।
এক একটি অপেক্ষার প্রহরে মৃত্যু যে শিউলীর
তাতে কোনো অহংকারের জন্ম হবে না।
আজ এ কবরের বুকে আমারই অহংকারে ফুটে উঠবে, এক ঘাসবুক।
সে ঘাসবুকে নতুন যে শিশির বিন্দু,
তাতে যদি আলো না পড়ে, কোনো ক্ষতি নেই
আমার অন্ধকার কবরেও তাকে অনুভবে স্পর্শ করে যাব।
ঘাসবুকের শীতলায় এসে, জোনাক তার আলো নেভাতে ভুলে যাবে,
আমার সে অন্ধকার কবরেও সে আলোয়
ঘাসবুকের পবিত্র মুখখানি দেখে নিব।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
মৌনতা রিতু।
৬/৪/১৭.
বিঃদ্রঃ শুন্যের কবিতার সাথে মিলিয়ে শব্দ মেলানো।
৩৪টি মন্তব্য
মিষ্টি জিন
মৃত্যু কবরের কথা… তোমাদের ননদ ভাবীর হয়েছেটা কি?
কবিতা না আমি কথা মালা বলবো।
পড়তে ভালো লেগেছে। তবে মনে হয় তোমার গায়েও কুবিরাজের বাতাস লেগেছে।
এত কুঠিন ক্যান?
মৌনতা রিতু
কুবিরাজ ভাউর মতো লিখতে পারলে তো ধন্য হয়ে যেতাম আপু। তোমার ভাল লেগেছে শুনে ভাল লাগছে।
ভাল থেকো আপু। ভালবাসা নিও।
শোনো, লেখা তা তো শুধুলেখাই।
গাজী বুরহান
“কতোটা আঘাতে একটা প্রাণ জড়ো
হয়,
বলতে পার?”
অনবদ্য!
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ, ভাই। শুভকামনা রইলো। -{@ (3
আবু খায়ের আনিছ
ঘাসবুকটা আবার কি? জীবনের প্রথম শুনলাম।
মৌনতা রিতু
ঘাসবুকটা যে কি, ;? তাই তো আমিও এখনো বুঝলামনা ভাইটু। এই ঘাসবুকটি এখনো অদৃশ্য দেখা হলো না চক্ষু মেলিয়া।
কল্পনা সব ভাইটু। -{@ (3
ইঞ্জা
এক কথায় বলি, অনবদ্য।
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ, ভাইজু। শুভকামনা রইলো।
ইঞ্জা
ভালো থাকুন আপু সব সময়।
ছাইরাছ হেলাল
ঘাসবুক তো দেখছি কঠিন বিষয়!!
অন্ধকার কবরেও সমান ক্রিয়াশীল!!
সবাইকে একটু বুঝিয়ে-সুঝিয়ে দিন (আমি বাদে)!!
মৌনতা রিতু
হুম, এক্কেরে কুঠিন বিষয়। না, বুঝানোর কিছুই নাইক্কা। মুইই বুঝি নাই, দেখি নাই তা কেমনে বুঝাই?
জিসান শা ইকরাম
নিজে মরে গিয়ে ঘাসবুককে দেখতে চাইনা আমি।
জড়ও হতে চাইনা।
এত নৈরাশ্য কেন?
শুন্য শুন্যালয় থেকে শব্দ আমারো নেয়া লাগবে।
মৌনতা রিতু
শব্দ থেকে শব্দ মালা গাঁথা। কোনো নিরাশা নেই। লেখা মানে তা তো লেখাই ভাইয়া।
শুন্যের কাছ থেকে শব্দ নেন, মাইর খাইলে মোর দুষ নাই।
মোরে তো ইতিহাস বানাই দিব কইছে ;( ;(
শুন্য শুন্যালয়
হুম বুঝেশুনে 😀
শুন্য শুন্যালয়
আমিতো কিচ্ছু লিখতে পারিনা ;(
কিছু লিখলেই আগে নীলাঞ্জনা আইসা পুরা ধাক্কা দিয়া ফালাইয়া তিনগুন সুন্দর কবিতা লিখে দিতো এখন তুমিও ;(
এতো ভালো লিখলে আমি খেলবোনা ;(
নৈরাশ্যে যদি বেদনার এমন শিশির ঝলমলে কবিতা আসে তাহলে আমার আপত্তি নেই।
পাকা কবি হয়ে যাচ্ছো..
নীলাঞ্জনা নীলা
এত্তো সুন্দর কুবিতা লিখি আমি!!! 😮
আজই জানতে পারলাম। আহা কি আনন্দ! 😀 \|/
তুমি খুব ভালো শুন্য আপু। -{@
মৌনতা রিতু
নীলা আপু, তুমি যে কতো ভাল লেখ, তা তুমিও জান না। তকর থেকে ও সুন্দর মায়া তোমার কন্ঠে। সেদিন দুপুরে শুয়ে তোমার রিক্সা কোথায়, এটা শুনছিলাম। উনিও দেখি চুপ করে শুনতেছিল। শেষে বলল,” চমৎকার তো।” অভিমানটাও নাকি ভাঙাতে হয়, বলছিল।
মৌনতা রিতু
তোমার কন্ঠ ঝগড়াটে :D) ওটাও শুনব। তবে জানি, ওটাতেও মিষ্টি সেই সুর উঠে আসবে। পালাবে কোথায়! (3 -{@ সত্যিই তুমি অনন্যা। জান, এই আবৃত্তি আমার কতোটা প্রিয়। কিন্তু শেখা হলো না ঠিক মতো। এখন ভাবছি বেহালাটা শিখব।
নীলাঞ্জনা নীলা
আরে আবৃত্তি শেখা কোনো ব্যাপার নাকি? নিজের মনের মতো করে নিজেকে শুনিও, নিজেই বুঝতে পারবে কোথায় কেমনভাবে স্বরকে বসাতে হবে।
বেহালা, শেখা হয়নি। হারমোনিয়ম বাজাতে পারতাম, সাত বছর হয়ে গেলো আর বাজানো হয়না। 🙁
মৌনতা রিতু
তাই না। কবিতার শব্দমালা আসে কল্পনা থেকে, তা তো জান। এই যে তোমাদের সাথে শব্দমালা মিলাতে গিয়ে চলে আসে আমার কিছু অর্থহীন শব্দ।
শুন্য শুন্যালয়, বুঝেছো, মিষ্টি ননদিনী। -{@ (3
নীলাঞ্জনা নীলা
এই কন্ঠকে দাঁড়াও এমন ভেঙ্গে দেবো, তারপর শুনলে বলবে এমন ঝগড়ুটে কন্ঠ?
“হে রুদ্র বৈশাখ” ওই কবিতাটি আবৃত্তি খুব কঠিন ছিলো, বাপি শিখিয়েছিলো। কন্ঠের ওঠানামা করাতে হয়। এতো কঠিন হতে হয়। একদিন শোনাবো তোমাকে মৌনতা আপু। -{@ (3
মেহেরী তাজ
তোমরা কৃষ্ণচূড়া আর শিউলি নিয়ে লাগলে কেন? ;? হইছে কি?
ভাবীজান প্রাণ যখন তখন আঘাত হজম করার শক্তিও তো চাই। সে শক্তি টুকু না থাকলে কেমনে হবে? আর নিজের অধিকার তা চাইবে না? ছেড়ে দিবে অন্য কাওকে যা এতো দিনে একটু একটু করে জমিয়েছো? যা তোমার ই প্রাপ্য!? এটা কি গা ছেড়ে দেওয়া নাকি হেরে যাওয়া ভাবীজান?
আমি কবিতা বুঝি না ভাবীজান। এটা কিন্তু কবিতাই, সে তুমি যতই চালাকি করো।
মৌনতা রিতু
বুইঝা ল সোনা। মুইও কুবিতা ফুবিতা আইজকাল বুঝি না। তোর ভাইও কয়,” কি লেখ এসব!
মুই তখন স্পিক্টি নট।
কোনো কিছু ছাড়াছাড়ির ভিতরে নেই। ঠাইস্সা ধরমু। যাইব কৈ তোর ভাই :p
মেহেরী তাজ
আমার ভাইরে ঠাইসসা ধরতে হবে না। আমার ভাই এমনিতেই কোথাও যাবে না। :p
নীহারিকা
মন খারাপ করা কবিতা।
মরামরির কথা না কইলে হয় না?
মৌনতা রিতু
মরুম, মারুম, আবার বাঁচুম। এই তো জীবন, আফামনি :p তা ম্যাডাম ক্লাসের হোমওয়ার্ক কেমন হচ্ছে :p
ভাল থাকবেন। (3 -{@
ধুর! ভুট দেন নাই, হার্ট ফেরৎ লইলাম (-3
নীহারিকা
মাফ কিন্ত আগেই চাইয়া লইছিলাম 😀 :p
ব্লগার সজীব
এক কথায় অসাধারণ। কেমন আছেন আপু? -{@
মৌনতা রিতু
ভাল নেই, গোস্সা হইছি ;( ভুট না দিয়া কয়, কেমুন আছি :@ তাও এতোদিনপর এসে! এটা কিছু হইলো?
নীলাঞ্জনা নীলা
তুমি ঘাস হয়েই থেকো, নিশ্চুপ, স্থির
আমি জন্ম নেবো তোমার ঘাসের শিশিরবিন্দুতে।—–মৌনতা আপু জানো তো সমস্ত পৃথিবীকে ঢেকে ফেলার শক্তি রাখে ঘাস? আমার আনন্দ কবির কবিতা থেকেই তো জেনেছি ঘাসের উদারতার কথা। তাকে মাড়িয়ে যাই। নীরব থেকেই আঘাত সয়ে যায়। ঘাস, ঘুম এবং মৃত্যু এই তিনটির মধ্যে গভীর সংযোগ আছে। আর তুমি সেই সংযোগকে এতো স্পষ্টভাবে প্রকাশ করেছো, সাধারণেরও চোখ এড়াবে না। এভাবে লিখতে থাকলে আমি তো পালাবো। মন্তব্য করার মতো শব্দ পাবো কোথায় এতো?
কবি শান্তসুন্দরী মৌনতা আপু ভালো থেকো। -{@
মৌনতা রিতু
তাই তো সে অদৃশ্য শীতল এক ঘাসবুক।
তুমিই মন্তব্যে সব বলে দিলে, আর কি বলব, বলো। ভাল থেকো আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
তুমি মৃত্যুর কথা বললে, আমি জীবনের কথায় চলে গেলাম। 🙂
ভালোবাসি অনেক। -{@ (3
রায়হান সেলিম
ঘাসবুকে শব্দ-জ্যোৎস্নার স্নান! আবার রোদও নেমে এসেছে নরম নধর ঘাসের বুকে এক ফালি সূচের ডগার মতো বুদ্বুদ্ ছায়া মিছেমিছি লুকোচুরি খেলে চলছে পথের ওপর। মৃত্যুর নিঃশব্দতা এমনই।
মৌনতা রিতু
অনেক ধন্যবাদ, স্যার। ভাল থাকবেন। আমরা কিন্তু আপনার লেখার অপেক্ষায় থাকি খুব। শুভকামনা রইলো।