বনানীর আগুন দূর্ঘটনার পর আমাদের দেশে স্যোশাল মিডিয়ায় বর্তমানে সব চেয়ে আলোচিত নিউজ হচ্ছে দুটো।
১. মসজিদের ইমাম কর্তৃক সাত বছরের শিশুকে মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে জবাই করে হত্যা,
২. ফেনীর সোনাগাজী মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফির উপর হামলা।
আরেকটি নিউজও ভাইরাল হয়েছে, তা হলো ” গা ঘেঁষে দাঁড়াবেন না “। আপাতত গা ঘেঁষে দাঁড়ানোর ব্যাপারে কিছু বলতে চাই না। ব্যাপারটা নিয়ে প্রচুর লেখা–লেখি এমনিতেই হয়েছে/হচ্ছে।
বলছিলাম নুসরাত জাহান রাফির কথা। মেয়েটি সোনাগাজী মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী। একই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা তাকে গত ২৭শে মার্চ ধর্ষণের চেষ্টা করায় মেয়েটি ও তার পরিবার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সোনাগাজী থানায় একটি মামলা করেছিলো। পুলিশ সিরাজ উদ দৌলা কে গ্রেফতার করার পর অভিযুক্তের পক্ষের লোকজন মামলা তুলে নেয়ার জন্য রাফি ও তার পরিবারকে নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করতো। সর্বশেষ গত শনিবার সকাল দশটায় রাফি পরীক্ষা দিতে মাদ্রাসায় এলে, তাকে মাদ্রাসা ভবনের ৪র্থ তলায় নিয়ে মারধর করা হয় এবং গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। মেয়েটির শরীর ৮০℅ পুড়ে গেছে। তার জীবন এখন সংকটপূর্ণ। ঘটনাটির সাথে জড়িতদের গ্রেফতার অভিযান শুরু হয়ে গেছে, হয়তো তাদের সাজা হবে।
এই পর্যন্ত সব ঠিক মনে হলেও, আসলে ঘটনাটি আমায় অন্য রকম ভাবনায় নিয়ে গেছে। রাফিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে তার উপর চারজন হামলাকারীরা বোরখা পরিহিত ছিলো, এক জনের নাম ছিলো শম্পা আর শম্পাকে যে ডাকছিলো সেও কোনো মেয়ে ছিলো। বাকি দুজনকে সে চিনতে/ বুঝতে পারেনি।
তারমানে হামলাকারীরা নারী ছিলো !! ধর্ষণ আর ধর্ষকের পক্ষে নারীরা চলে এসেছে !! আরো দেখলাম আজ মাদ্রাসার ছাত্রীরা তাদের প্রিয় (??) অধ্যক্ষকে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্যে মিছিলে যোগ দিয়েছে ! ভাবতে অবাক লাগছে এরা নারী, আর এরা আন্দোলন করছে এক ধর্ষককে বাঁচানোর জন্যে।
* কিছুদিন আগে আপনি সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন আমাদের দেশে কোনো জঙ্গি নেই , আমি বলেছিলাম জঙ্গি নেই তবে জংলীদেরও অভাব নেই। এবার আপনি কি স্ট্যাটাস দিবেন ?
৫২টি মন্তব্য
প্রহেলিকা
দেশটা যে কোথায় গিয়ে দাঁড়াচ্ছে তা ভাবা যায় না। মহামারিরূপে দেখা দিয়েছে সব। আসলেই এসব দেখে দেখে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ছি। বেঁচে থেকেও যেন মৃত।
সাবিনা ইয়াসমিন
অসুস্থ হয়ে পড়ছি কিন্তু মরে যাচ্ছিনা। তার মানে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পেলে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা এখনো আছে। যতক্ষন শ্বাস ততোক্ষণ আশা রাখা যায়।আর কিছু না পারি, অন্তত অনুভূতি নামক যন্ত্রটিকে চালু রাখার চেষ্টা করবো।
ভালো থাকুন প্রহেলিকা ❤❤
প্রহেলিকা
আপনিও ভালো থাকুন। আর লিখুন বেশি বেশি আলসামো না করে।
মাহমুদ আল মেহেদী
অনুভূতিগুলো এমন ভোঁতা হয়ে যাচ্ছে কেন? এসব দেখতে দেখতে, শুনতে শুনতে। অমানুষ হয়ে যাচ্ছি দিন দিন। পশুদের কথা আমরা বুঝিনা, আমার কেন জানি মনে হয় পশুরা আমাদের কথা বুঝে আমাদের নিয়ে তাঁরা কি আলোচনা করে! জানতে ইচ্ছে করে খুব।
সাবিনা ইয়াসমিন
পশুরা অমানুষ দের কাজ–কারবার দেখে নিজেদের পশুত্ব নিয়ে গর্ব করে। কারণ তারা মানুষ হতে না চাইলেও অমানুষদের থেকে পাষবিকতা শিখতে চায় না।
শুভ কামনা মেহেদী ভাই, ভালো থাকবেন 🌹🌹
মনির হোসেন মমি
কোন জবাব নেই।এসবের দায় ভার আমাদেরও।যদিও প্রশাসন একটু দূর্ণিতীপরায়ণ কিন্তূ আমাদের কিছু মানুষই তাদের ব্যাবহার করছে।দেশের কথা ভেবে আর লাভ নেই।
০১।মুলত সন্ত্রাসীদেরকেই আমরা ভোট দেই এবং পাশ করাই সমর্থন দেই।
০২। দেশে এ ধরনের অপরাধের কোন একটা বিচার হয়নি কেবলি এ ঘটনা মুছে যেতে তদন্তের নামে আরেকটি ঘটনার অপেক্ষা।
০৩।দেশে উন্নয়ণের জোয়ার চলছে তাই সুশাসনের প্রয়োজন জনগণের নেই।
সব শেষে বলব
আমি ভালতো জগৎ ভাল।
সমসায়িক লেখা সেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সাবিনা ইয়াসমিন
” আমি ভালো তো জগৎ ভালো ” লাইন টার মাঝেই আপনার কথা গুলোর জবাব রয়েছে মমি ভাই। আমি ভালো হতে চাইলে, আমার চারপাশ ভালো করার দায়িত্ব আমাকেই নিতে হবে। নিজের ঘর পরিচ্ছন্ন রাখার জন্যে ময়লা গুলো রাস্তায় ফেলে রাখলে তার দূর্গন্ধ সময়ে –অসময়ে আমার নাকেও প্রবেশ করবে। তাই অন্যের উপর নির্ভর না করে শুরুটা নিজের থেকেই করা দরকার।
বর্তমানে যা ঘটছে তা অতীতেও ঘটেছে। অতীতে প্রতিবাদীরা পরিত্রাণ পেয়েছে / পায়নি তাই বলে প্রতিবাদ থেমে থাকেনা। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে প্রতিবাদ প্রতিরোধ দুটোই দরকার হয়। আর এগুলো আমাদের মতো সাধারণ মানুষেরাই শুরু করে।
ভালো থাকুন, শুভ কামনা 🌹🌹
মনির হোসেন মমি
রাইট।
নিতাই বাবু
যা-ই হোক, দেশ আগের চেয়ে অনেক ভালো অবস্থায় আছে। আমরাও খুবই শান্তিতে আছি।
সাবিনা ইয়াসমিন
সব কিছুকে দেশের উপর নিয়ে গেলেতো বিপদ দাদা। দেশ মানুষের বাসস্থান, কর্মসংস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা সহ মৌলিক অধিকার গুলোর নিশ্চয়তা দিতেই হিমসিম খায়। সেখানে একেকটা মানুষের ভেতরে ঢুকে তার নৈতিকতা ঠিক করার সময় পাবে? কিছু জিনিসের জন্যে শুধু নির্দিষ্ট ব্যাক্তিদের দোষারোপ করা যেতে পারে, গোটা দেশ বা জাতিকে নয়।
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ দাদা। ভালো থাকবেন
শুভ কামনা রইলো 🌹🌹
ছাইরাছ হেলাল
আপনার মত-ই বলছি, জঙ্গি নেই, জংলিতে দেশ ভরে যাচ্ছে।
মুক্তিপণের জন্য মাদ্রাসায় আট বছরের শিশু হত্যাকারী ধরা পড়েছে। শুধুই মুক্তি পণ ছিল না। ছিল পাশবিকতা।
সময়ের দারুন এক উপস্থাপন।
সাবিনা ইয়াসমিন
কেউ বলে জঙ্গি নেই, কেউ বলে জংলী নেই। কেউ রেপ হলে বলা হয় পোশাকের দোষ, পাশবিকতা বা বলাৎকারে কেউ মরে গেলে সেটা লজ্জার কারনে জন সম্মুখে আনা হয়না। এভাবে নিজেদের জংলীত্বের প্রমান দেয়ার পরেও কিছু মানুষের চোখে জংগি / জংলী দেখা দেয় না।
ছেলেটাকে কি মুক্তিপণের জন্যেই মারা হয়েছিলো না মেরে ফেলার পর মুক্তিপণের নাটক সাজিয়েছে সেটাও জানা হবেনা, কারন এতে যদি প্রমান হয়ে যায় দেশে জংলী আছে তাহলে এ লজ্জা রাখবে কোথায় !!
তৌহিদ
আপনার সাথে সহমত, জঙ্গী নেই তবে দেশটা জংলীতে ভরে গেছে। নারীরাই এখন নারীর বিরুদ্ধে কথা বলে। কি লজ্জা!!
সমসাময়িক লেখার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
সাবিনা ইয়াসমিন
নারীরাই নারীদের বিরুদ্ধে কথা বলে লজ্জাটা এখানে নয় ভাই, লজ্জাটা হলো একজন ধর্ষকের পক্ষ নিয়ে একজন নারীর সম্মানকে চুড়ান্তভাবে অপমান করা। ধর্ষকের পক্ষ নিয়ে নারী বা পুরুষ কারোরই কথা বলা উচিৎ না। তারপরেও যখন এটা নিয়ে আন্দোলন শুরু করে তখন বুঝতে হবে আমরা নিজেদের মানবিকতা ধরে রাখতে ব্যর্থ হচ্ছি। নুসরাতের সুবিচার নিশ্চিত করতে সাধারন মানুষেরা যে যার অবস্থান থেকে প্রতিবাদ শুরু করেছে ঠিক সেই মূহুর্ত থেকে নুসরাতের মাদ্রাসার সহপাঠি সহ এলাকার মানুষজনেরা সেই অপরাধীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ব্যানার নিয়ে মিছিলে নেমেছে। এটা কি শুধু একজন নারী বা একজন অপরাধীর গল্প ?
মন্তব্য রাখার জন্যে ধন্যবাদ তৌহিদ ভাই। শুভকামনা রইলো 🌹🌹
তৌহিদ
একদম ঠিক, একজন লাঞ্ছিত নারীর পক্ষে কথা কথা না বলে তারা অপরাধীর পক্ষে কথা বলছেন। আর এটা একদিনে হয়নি।
সমস্যা আমাদের মানসিকতায় আপু।
জিসান শা ইকরাম
অত্যন্ত কষ্ট ধারণ করে জানাচ্ছি যে নুসরাত মৃত্যু বরণ করেছে,
তার মৃত্যুতে হয়ত এই ঘটনার আর বিচার হবেনা,
খারাপ লাগছে খুব।
আমাদের দেশে অনেক নারী নারী নির্যাতকদের সহায়তা করে। যারা সহায়তা করে না, তারাও এমন নির্যাতনকে স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে মেনে নিয়ে সহায়তাই করে যাচ্ছে।
মাদ্রাসার ছাত্রীরা তাদের প্রিয় অধ্যক্ষকে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্যে মিছিলে অংশ নিয়েছে, এতেই বুঝা যায় যে এই মাওলানার প্রভাব কত ব্যাপক। এই মিছিল আরো হবে বলেই আমার মনে হয়। তাকে আইনের আওতায় আনা কঠিনই হয়ে যাবে।
আমাদের সমাজ দিন দিন জংলীই হয়ে গিয়েছে, যাচ্ছে।
জঙ্গল পরিত্যাগ করে আমরা সভ্য সমাজে এসেছি অনেক আগেই,
তবে জংলীত্বকে সাথে নিয়ে এসেছি।
সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আপনার চিন্তা ভাবনা দেখে ভাল লাগছে।
শুভ কামনা।
সাবিনা ইয়াসমিন
এটা ঠিক নারীরা অনেক ক্ষেত্রে নারীদের উপর সহিংস্র আচরন করে। নারীরা নারীদের কাছ থেকে সহযোগিতা পায় না। অনেক ক্ষেত্রে নারীরা নারীদের কাছে থেকেই নির্যাতনের শিকার হয়। তবে এগুলো নির্দিষ্ট কিছু গন্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ। সামাজিক/ পারিবারিক প্রভাব থেকে এধরনের ঘটনাগুলো ঘটে। শিক্ষালয়ে বা কর্মক্ষেত্রে যখন নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে তখন অন্য নারীরা খুব কমই চুপচাপ থাকেন। তারা অপরাধ এবং অপরাধীর বিরুদ্ধে সোচ্চার ভুমিকা নেয়। কারন ব্যাপারটি ব্যক্তিগত স্বার্থের বাইরে থাকে।
নুসরাতের ঘটনাটিই সম্ভবত আমাদের দেশের প্রথম ঘটনা যেখানে অপরাধীকে বাঁচানোর জন্যে প্রকাশ্য আন্দোলন হয়েছে/ হচ্ছে। অপরাধীদের বিচার হবে কি হবে না এটা সময়ের ব্যাপার। কিন্তু ধর্ষন অপরাধীর পক্ষে প্রকাশ্যে সমর্থন দেয়ার যে মানষিকতা দেখা দিয়েছে এটা ভেবে দেখার সময় এসেছে। স্বাধীনতার ৪৮বছর পার হয়ে গেছে, এখনো আমরা একাত্তরের ধর্ষনের বিচার চেয়ে রাজপথে নামি। অথচ এই স্বাধীন দেশের সুশিক্ষা (?)প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা একজন ধর্ষকের পক্ষে মিছিল বের করে !! এটা নারীদের লজ্জার বিষয় না এটা ঘৃনার।
সুন্দর মতামতের জন্যে ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন। শুভ কামনা 🌹🌹
নীলাঞ্জনা নীলা
নুসরাত আর নেই। মরে গিয়ে বেঁচে গেছে। আমরা আসলে মানুষই নই। মুখে বিশাল বড়ো বড়ো কথা বলি, কিন্তু অন্যায়ের পক্ষে স্ট্যাটাস দেই। দিনে দিনে আমরা আদিম মানুষ হয়ে যাচ্ছি। আমাদের মানসিকতা এমন যে, কোনো নারী ধর্ষিত হলে তার পক্ষে যতোজন কথা বলি, তার চেয়ে বেশি বলি এমন কিছু নিশ্চয়ই ওই মেয়ে করেছিলো যার জন্য এমন পরিণতি হয়েছে।
আমাদের আইনও বটে! দেখা যায় অন্যায়কারীর পক্ষে উকিলও থাকে।
জংলী ই তো আমরা।
সাবিনা ইয়াসমিন
অন্যায়কারীর পক্ষে ফ্রিতে শ্লোগান দেয়ার মানুষ থাকলে, ফিস নেয়া উকিল থাকবেনা কেন নীলা আপু !! টাকা পাবে, সাথে চ্যালেঞ্জিং কেস জিততে পারলে ভবিষ্যতে নামডাক বেড়ে যাবে। এই সুযোগ পাগলে ছাড়লেও শিক্ষিত জংলীরা ছাড়বেনা। সব গাছের পাতা যেমন শাক হয়না তেমনি বহু অক্ষর মুখস্থকারী ব্যাক্তিরাও সত্যিকারের শিক্ষিত হতে পারে না। জংলীপনা এদের মাঝে থেকেই যায়।
ভালোবাসা রইলো নীলা আপু ❤❤
নীলাঞ্জনা নীলা
শিক্ষিত জংলী, একেবারে ঠিক বলেছেন।
শুভ নববর্ষ আপু।
সাবিনা ইয়াসমিন
নববর্ষের শুভেচ্ছা ও শুভকামনা আপনাকেও নীলাঞ্জনা আপু, অনেক অনেক ভালো থাকুন নিরন্তর ভালোবাসায় ❤❤
ইঞ্জা
আপু, আপনি যথার্থ বলেছেন, এই দেশে জংলি আছে যা কিছুক্ষণ আগে আমি কমেন্টে লিখে এসেছি লীলাবতী আপুর পোস্টে, আমি সম্পূর্ণ একমত আপু।
সাবিনা ইয়াসমিন
ধন্যবাদ ভাইজান। ন্যায্য দাবি বা মতের পক্ষে সহমত হয়ে থাকাটাও অন্যায়ের বিরুদ্ধে নিরব প্রতিবাদের সামিল হয়।
ভালো থাকবেন ভাইজান, শুভকামনা অবিরত রইলো 🌹🌹
ইঞ্জা
শুভেচ্ছা অবিরত প্রিয় আপু।
শুন্য শুন্যালয়
অসুস্থ লাগছে সাবিনা আপু। আমি জানি, চোখে কাপড় বেঁধে কিছু না দেখতে চাইলেও এসব ঘটবে, ঘটতেই থাকবে, তবুও ইচ্ছে হচ্ছে অন্ধের মতো থাকি।
নেয়া যাচ্ছেনা এসব।
সাবিনা ইয়াসমিন
নুসরাত মরে গিয়ে বেচেছে। বেঁচে থাকলে হয়তো মরে যেতে চাইতো, কারন অমানুষ গুলো ওর মৃত্যু নির্ধারণ করে রেখেছিলো। প্রতিটি নির্যাতনের সমাপ্তি আসে কোন না কোন প্রানের বিনিময়ে। সিরাজ উদ দৌলার সারাজীবনের সমস্ত কূকর্ম প্রকাশ্যে এসেছে নুসরাতের প্রানের বিনিময়ে। ঐ অমানুষের বিচার হোক বা না হোক ওরা চাইলেও আর সমাজে সামাজিকতার মধ্যে বাস করতে পারবে না।
এসব নেয়া যাচ্ছে না বলেই লিখে/ বলে অন্যদেরকে জানাতে হচ্ছে। আসলেই আর নিতে পারছি না। এবার এগুলো রোধ করা দরকার।
শুভকামনা + ভালোবাসা রইলো শূন্য ❤❤
নাসির সারওয়ার
সময়ের কথা আমার সোনেলার কাছ থেকে। হয়তো আরো কেউ লিখতো। কিন্তু আপনি জংলিদের নিয়ে এসেছেন।
আমার মনে হয় আমরা বেচেও মরা মানুষের মতই হেটে চলছি। এ বাঁচা বাঁচা নয়।
আপনার উপস্থাপনা অনেক উপরের।
ভালো থাকুন। লিখতে থাকুন। কারণ আপনি ভালো লেখেন।
সাবিনা ইয়াসমিন
চেষ্টা করেছি সমসাময়িক পরিস্থিতিতে নিজের ভাবনা অনুভূতি গুলো তুলে ধরতে। অনেক কিছু লেখার ইচ্ছে থাকলেও পুরোটা তুলে ধরতে পারিনি।
আপনার প্রেরণামূলক মন্তব্যের জন্যে অশেষ ধন্যবাদ ভাই। শ্রদ্ধায় শুভকামনা প্রিয় ভাইটি সব সময় ভালো থাকুক এই দোয়া করি। 🌹🌹
অপার্থিব
বাংলাদেশ ওভার পপুলেটেডে কান্ট্রি বিশেষত ঢাকা শহরের অবস্থা খুবই খারাপ। তাই “গা ঘেসে দাঁড়াবেন না” না বলে বলা উচিত শরীরে অশালীন স্পর্শ করবেন না। প্রতিবাদের মাধ্যম হিসেবে কার্টুন ক্যারিকেচার অনেক শক্তিশালী। মুখের স্লোগান, চিৎকারের চেয়ে একটা নীরব বুদ্ধিদীপ্ত কার্টুন কিংবা প্ল্যাকার্ড দিয়ে অনেক মানুষের মনস্তত্বে প্রভাব ফেলা যায় তাই সঙ্গত কারনে “গা ঘেসে দাঁড়াবেন না” টিশার্ট অনলাইন দুনিয়ায় কিছুটা আলোড়ন তুলেছে।
সাবিনা ইয়াসমিন
টিশার্ট আমার পছন্দ হয়েছে। সব জিনিসেই নেগেটিভ পজেটিভ দিক থাকে / থাকবে। গা ঘেষার আন্দোলন সব শ্রেনীর মানুষের পছন্দ নাও হতে পারে। তবে আপনার সাথে সহমত, গা ঘেঁষে দাঁড়ানোর কথার চেয়ে অশালীন স্পর্শ করবেন না, দিলে বেশি ভালো হতো। কারণ গা ঘেঁষার চাইতে ঐটা বেশি মারাত্মক।
অপার্থিব
বাংলাদেশে জঙ্গি নেই… হা হা হা… চোখ থেকে রঙ্গিন চশমাটা খুললেই একমাত্র বাস্তবের সাদা-কালো দুনিয়াটা দেখা সম্ভব। জংলিপনার অবস্থান জঙ্গীপনার এক ধাপ নিচে। জংলী থেকেই জংগীপনাতে উত্তোরণ ঘটে।
সাবিনা ইয়াসমিন
আপনার মতামত বরাবরই আমাকে উদ্দিপ্ত করে অপার্থিব। এই জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ জানবেন।
” জংলিপনার অবস্থান জঙ্গীপনার একধাপ নিচে ” ভালো বলেছেন। এখানে ধাপের সাথে পার্থক্যটাও বেশ আছে। জংলী হওয়া যায় জন্মগত ভাবে বা প্রবৃত্তি থেকে। এর জন্যে কোনো বিশেষ গুন লাগে না। কিন্তু জঙ্গি হতে হলে অনেক গুন থাকতে হয়। জংলীপনার পাশাপাশি ওগুলোকে সাধারনের উপর চাপিয়ে দেয়াটাও জঙ্গিদের বিশেষ গুনগুলোর একটি। জংলীপনা প্রকাশ হয় ব্যক্তির আচরনে/ কর্মে আর জঙ্গিরা নিজেদের আড়াল করে তাদের তাদের ভাষা আর ব্যবহারে।
ভালো থাকুন, শুভ কামনা 🌹🌹
অপার্থিব
জেনে ভাল লাগলো যে আমার কয়েক লাইনের মন্তব্য আপনাকে অনুপ্রেরণা জোগায়। আপনার জন্যও শুভ কামনা…
ছাইরাছ হেলাল
দেরিতে হলেও অলস মডুদের ঘুম ভেঙ্গেছে দেখে ভাল লাগল।
প্রহেলিকা
থাক আর বইকেন না, খোঁচাইয়েন না।
জিসান শা ইকরাম
সোনেলার মডুরা খুবই খ্রাফ,
আমরা কি এমন সোনেলা, এমন মডু চেয়েছিলাম?
প্রহেলিকা
স্টিকি করে এই গুরুত্বপূর্ণ লেখাটিকে যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়েছে। ধন্যবাদ ব্লগ কর্তৃপক্ষকে। লেখকের কাছে প্রত্যাশা আরও বেড়ে গেলো।
সাবিনা ইয়াসমিন
হু বুঝতে পারছি, এখন থেকে কালো জিরার তেল মাথায় ঘষে সোনেলায় ঘুরতে হবে। 😐
মোঃ মজিবর রহমান
সিরাজ উদ দৌল্লা ব্রেনটন ট্যারেন্ট
একজন বাংলাদেশি খুনি তাঁর পক্ষে একজন নিউজিল্যান্ডের খুনি তাঁকে বাচাতে তাঁর
দেশের রাজনৈতিক ব্যাক্তি, ছাত্র-ছাত্রী পরিবার বিচার চেয়েছে। কোন আইনজীবী তাঁর
সকল মানবতাবোধ, নৈতিকতা ছেড়ে পক্ষে লড়তে অস্বীকৃতি জানান। এই তাঁদের
তাকে বাচানোর চেস্টা করেছে প্রথম দিকে। মানবতা।
মোঃ মজিবর রহমান
ভুল হয়েছে যা পারিনি তাই করতে গিয়ে । ছি ছি
সাবিনা ইয়াসমিন
বুঝলাম না ভাইজান। হয়তো টাইপ হতে সমস্যা হয়েছে, তাই পুরো মন্তব্যটা ঠিক ভাবে বুঝিনি। আপনি চাইলে আরেকবার লিখে দিতে পারেন। আপনার মন্তব্য জানা আমার জরুরী। লিখুন প্লিজ।
শামীম চৌধুরী
এদেশে জঙ্গী নেই।
ইহা একটি শ্লোগান।
আমরা আসলেও জঙ্গী মুক্ত বাংলাদেশ চাই।
সাবিনা ইয়াসমিন
আমাদের দেশ জঙ্গি এবং জংলী মুক্ত হোক এটা আমরা সবাই চাই।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, শুভ কামনা
রইলো। 🌹🌹
শামীম চৌধুরী
শুভেচ্ছা রইলো আপু।
সিকদার সাদ রহমান
আমাদের দেশের মানুষ গুলো দিন দিন বিকৃত মস্তিষ্কের হয়ে যাচ্ছে!
সাবিনা ইয়াসমিন
হ্যা। মানুষিক বৈকল্য রোগে ভুগছে এরা। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হবার মতো অবস্থাও হারিয়ে ফেলেছে।
আসিফ ইকবাল
জংলী আছে, প্রচুর আছে। জংলী না বলে জানোয়ার বলাই উচিত। আসল জংলীরা মোটেই এত খারাপ না।
সাবিনা ইয়াসমিন
জানোয়ারের সাথে এদের মিলবেনা আসিফ। জন্তু জানোয়াররা তাদের স্বভাব বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী চলে, কিন্তু এরা না মানবিক বৈশিষ্ট্য বজায় রেখেছে না জন্তুদের। এরা সমাজে বাস করেও জংলী জীবনে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। সাধারণ মানুষের অবস্থা দিন দিন অসহ্য হয়ে পড়ছে। 😞😞
রোবায়দা নাসরীন
আমার ছেলে মেয়েকে দেখি তারা শিক্ষকদের অত্যন্ত বিশ্বাস করে। ক্লাসে কোনো ভুল লিখায় ভুল করে টিচাররা রাইট দিলেও তারা ভাবে সেটি সঠিক ।
এখানে মেয়ে গুলোকে হিপনোটাইজ করে ফেলেছেন শিক্ষক রূপি ইবলিশটা ।
সাবিনা ইয়াসমিন
শিক্ষক শুধু শিক্ষক হয়না নাসরিন, সে কাউন্সিলরও হয়। কারণ শিক্ষার্থীদের উপর তাদের শিক্ষা, ব্যাক্তিত্ব সব কিছুরই প্রভাব পড়ে। তুমি আমি, আমরাও ছোট বেলায় কোন না কোন স্যার / ম্যাডামের প্রতি অগাধ বিশ্বাস রেখেছি। ভালো–মন্দের তফাৎ আমরা শিশু বেলা থেকেই বুঝতে পাই বলেই এখনো প্রিয় শিক্ষক/ শিক্ষিকাদের সম্মান ও শ্রদ্ধায় স্বরণ করি।
এই মাদ্রাসায় এধরনের ঘটনা আরও ঘটেছে। মেয়েরা তা জানতো। তারপরও ওরা কিভাবে পারলো এই লোকটাকে সাপোর্ট করতে? এটা কি ধর্ষণ কে বৈধ করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে না?
আসিফ ইকবাল
আমার ধারণা যে-সব মেয়ে এই পশুটার পক্ষে মিছিল করেছিল, তারা নুসরাত যে লাঞ্ছিত হয়েছিল সেটা আদৌ বিশ্বাস করেনি। অর্থাৎ শিক্ষকের ওপর ছিল তাদের অন্ধ-বিশ্বাস। এই অন্ধ-বিশ্বাস-ই যুগে যুগে বহু অত্যাচার আর অনাচারের জন্ম দিয়েছে।
আসিফ ইকবাল
নাসরীন, অস্বীকার করার উপায় নেই। অনেক ছেলেমেয়েই শিক্ষকের প্রতি একধরণের অন্ধ-বিশ্বাস লালন পালন করে।