কলঙ্কিত রাতের দৃশ্যপটঃ
– বাবা তুমি এতোটা নিচ কিভাবে হতে পারো?
– বাবা তুই আমার কথাটা শুন আগে।তুই আমাকে ভুল বুজতেছিস।
– কি শুনবো হা?তুমি এই নোংরা মুখে আরো কিভাবে কথা বলো হা।
– বাবা তুই আমার কথাটা শুন আগে।
– কি বলতে চাও তুমি হা।আন্টির কথা বলে তুমি এসব করো।আমি আগে ছোট ছিলাম।কিছু বুজতাম না।কিন্তু আজ সব বুজে গেছি আমি।তুমি মাকে ছেড়ে এসব করো?
– আরিয়ান তুই আমার কথাটা শুন আগে বাবা।
– আমাকে তোমার সন্তান বলে ডাকবেন না বলে দিলাম। আমি আপনার ছেলে নই।আমি চাইনা এমন বাবা আমার হোক।
– আরিয়ান তুই যেমনটা ভাবতেছিস তা কিন্তু না।
– আমি কি ভাববো হা।সব নিজের চোখেই দেখলাম।মাঝরাতে এক মহিলার কোলে মাথা রেখে থাকতে লজ্জা করেনা তোমার।আজ বুজছি মা কেন নেই।তোমার এই নোংরামির জন্যই মা চলে গেছে।তুমি এতোদিন কেন আমাকে এসব বলোনি।আমি ঘৃনা করি তোমাকে।
– আরিয়ান বাবা আমার রাগ করেনা,আমার কথা শুন।
– না আমি কিছু শুনতে চাচ্ছি না। কাল সকালে যাতে এই বাসায় আমি আপনাকে না দেখি।হয় আপনি এই বাসায় থাকবেন নয়তো আমি। এখন আপনি যা ভালো বুঝেন। আর হ্যাঁ, আমার কাছাকাছি আসার চেষ্টাও করলে আমার মরা মুখ দেখবেন আপনি বলে দিলাম।
—
পরদিন সকাল হলেও বাবা সেদিন আর আরিয়ানকে ডাক দিলো না। হয়তো একটু খারাপ লাগলেও অভিমান ছিলো তার তিন গুন বেশি।তাই আরিয়ান খুব একটা বাবাকে মিস করলো না।কিন্তু —-
– কি ব্যাপার আপনি?আপনি আমার রুমে আসছেন কেন?এমনি তো আমার মা বাবাকে আলাদা করে দিয়েছেন আজ থেকে ১৩ বছর আগেই।আর কাল আমি আর বাবাকে আলাদা করে দিয়েছেন।আর কি চান আপনি? সবই তো শেষ করে দিলেন আপনি।তাও কি আপনার ইচ্ছে মিটেনি?এখন কি আমাকে শেষ করতে চান? বেরিয়ে যান আমার রুম থেকে।
– আরিয়ান তোমার বাবা এই চিঠিটা তোমাকে দিয়ে গেছেন।
– চিঠি? কিসের চিঠি?
– তোমার বাবা কাল রাতেই স্টোক করে মারা গেছেন।মারা যাওয়ার পূর্বে এই চিঠিটা তিনি আমাকে দিয়ে বলেছেন তোমাকে দিতে।
– মারা গেছেন মানে?
– হ্যাঁ, তোমার বাবা আর নেই।
– (চিঠিটা অভাবেই রেখে আরিয়ান বাইরে এসে দেখে তার বাবা আর নেই)আচ্ছা বাবা কি সত্যি আমাকে তাহলে ভালবাসে? কিন্তু তাহলে কাল রাতে আমি কি দেখলাম? আচ্ছা আমি কি বাবাকে ভুল বুজেছি কাল রাতে তাহলে? আচ্ছা এখন কি আমি বাবার জন্য কান্না করবো? আচ্ছা বাবা তুমি কি আমার জন্যই রাগ করে চলে গেছো?আচ্ছা বাবা আমি তো রাগ করে বলছি(কান্নায় ভিজে যায় আরিয়ানের চোখ)।বাবা তুমি কেন এমন করলে?এখন যে আমি বড় একা হয়ে গেলাম।আমি একাই এখন কিভাবে মাকে খুজবো বলো?আমার তো ভয় করবে বাবা।বাবা কেন তুমি এমন করলা।(বাবার লাশ আরিয়ানের কাধে)নিজেকে কেন জানি দোষি মনে হচ্ছে। যে দোষের বিচার করার মতো কেউ নেই।বাবাকে মাটি দিয়ে এসে একনজরে তাকিয়ে আছি অনেক দূরে।কেন জানি নিজেকে খুব একা একা লাগতেছিলো। হঠাৎ করেই মনে পরলো বাবা আমাকে একটা চিঠি দিয়ে গেছে যে।বিছানায় পরে ছিলো চিঠিটা।
১২টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
আমরা চিঠিতেই সব ভুল বোঝা মিটিয়ে ফেলবো।
রাফি আরাফাত
জি ভাই। ধন্যবাদ
জিসান শা ইকরাম
পরের পর্বেই সব রহস্যের সমাধান হবে আশাকরি।
শুভ কামনা রাফি।
রাফি আরাফাত
ইনশাআল্লাহ। ভালো থাকবেন
আরজু মুক্তা
রহস্য। রহস্য
জীবনটাই রহস্য
রাফি আরাফাত
জি আপু। চারদিকে শুধুই রহস্য৷ ধন্যবাদ
মনির হোসেন মমি
জীবন৷বড় অদ্ভুদ। চিঠি খোলার অপেক্ষায়।
রাফি আরাফাত
জি ভাই
তৌহিদ
শেষে দারুণ আবেগী হয়ে উঠেছিলাম। সব ভুল বোঝাবুঝির অবসান হোক।
রাফি আরাফাত
অপেক্ষা ভাই। ধন্যবাদ ভালো থাকবেন
শিরিন হক
পরের পর্বের জন্য মন্তব্য রেখে দিলাম।
শাহরিন
চিঠিটি পরতে চাই।