সময়ের সাথে তাল রেখে স্বনামে ফেরে সবাই, নতুন নাম নিয়ে ফেরে এরই মাঝে অনেকেই। আর অনু?
হ্যাঁ, আজ অনুর কথাই বলতে এসেছি আবার-
অনুর শুরুটা ছিল নিতান্তই আর আট-দশটা বাঙালী/বাংলাদেশীদের মতই। সেই ছোট্ট বেলায় শুনেছিল তার জন্ম হয়েছিল চিকিৎসকের মাধ্যমে। সাধারণভাবে নয়, একেবারে ছুরির তলায় যেতে হয়েছিল অনুর মাকে-অনুকে জন্ম দিতে। সতর্ক বাণী শুনতে হয়েছিল সেই সাথে যে, অনুর পরে আর কখনই কোন সন্তান নেয়া যাবে না!
মা মেনে নেয়। মা!
এক বছরের বড়জন নাকি মায়ের দুধ ঠিকমত পায়নি অনু চলে আসাতে! তবে হ্যাঁ, এ নিয়ে মায়ের মনে কোন খেদ্ ছিল না। ছোট্ট মানুষটিকে আদরেই বড় করেছেন।
কথায় বলে সকালের সূর্য দেখেই নাকি দিনের বাকি সময়টাকে চেনা যায়, মিথ্যে যে নয় তা অনুকে দিয়েই প্রমাণ করেছে যেন! বড়জন যেখানে কিছুই করেনা সেখানে ছোট্ট অনু জিনিষ ভাঙা শুরু করে। বিশেষ করে যন্ত্রের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে নিয়মিত- বাবার ঘড়ি, মোটরের খেলনা, ঘরের টেবল ফ্যান, ক্যালকুলেটর ইত্যাদি ইত্যাদি। সুযোগ পেলেই আছাড় মেরে ভাঙ্গতো অথবা ছুটে নর্দমায় ফেলে দিত কেউ কিছু জানার আগেই। সকালের সূর্যের এখানেই শেষ নয়।
অনুর বাবার জীবনে নেমে আসে ভয়াবহ দুর্দিন, বিদেশে যাওয়ার লোভ দেখিয়ে প্রতারিত করে। সেই সাথে বিদেশী কোম্পানির চাকরি এবং চাকরির প্রভিডেন্ড ফান্ডের জমানো সব কিছুই চলে যায় প্রতারকের পেটে। বলা চলে জীবনের সিঁড়ির মাঝ বরাবর হতেই একেবারে নিচের শুরুর ধাপে নেমে যায় অনুর বাবা।
এরপর? অন্যান্য সাধারণ সব পরিবারের মতই অনুর বাবা তাঁর মা-বোন-ভাইয়ের কথায় অনুর মায়ের উপরেই সমস্ত আক্রোশ প্রকাশ করা শুরু করে। অথচ এই তিনিই ভালবেসে ঘর পালিয়ে নিজের করে নিয়েছিলেন অনুর মাকে!
ভাবছেন মাতাল এক বাবাকে দেখবেন এবার!!
অনুকথা’র এই তো এক কৌতূহলোদ্দীপক মোড়। দূর থেকে মনে হবে প্রতিটি মোড় সবার চেনা, কিন্তু কাছে এলেই নতুন করে চিনতে হয়।
অপেক্ষায় থাকুন…
৯টি মন্তব্য
খসড়া
অপেক্ষায় রইলাম।
নীহারিকা
অপেক্ষায় থাকলাম 🙂
ছাইরাছ হেলাল
খুব ই অল্প লেখা হয়েছে ,
অতএব অপেক্ষা করতেই হচ্ছে ।
আদিব আদ্নান
অনুর জন্য অবশ্যই অপেক্ষা ।
মা মাটি দেশ
ঠিক আছে রইলাম অপেক্ষায় -{@ (y)
শিশির কনা
অনুর কথা জানার জন্য অপেক্ষায় থাকতেই হবে 🙂
শুন্য শুন্যালয়
এভাবে কতোক্ষন থাকতে হবে?
জিসান শা ইকরাম
সুন্দর
অনুর কথা জানতে কতকাল অপেক্ষা করা লাগে কে জানে ? 🙂
ভোরের শিশির নীতেশ
সবার উদ্দেশ্যেই বলছি,
এতোদিন এখানে না আসার কারণে লেখার খেই হারিয়ে ফেলেছি… 🙁