মানুষটি এসে জানতে চাইলেন আর কিছু কি চাই? আমি ধন্যবাদ জানিয়ে না বলতেই, আবারও এসে বললেন, সত্যি কিছুই কি চাওয়ার নেই? আমি মাথা খাটিয়ে বোঝার চেষ্টা করলাম, কি বলতে চাইছে ওই মানুষটা? কিন্তু এই মাথা থেকে কিছুই বের হলোনা। আমি আবারও বললাম, নাহ যথেষ্ট করেছেন। আর কিছুই করতে হবেনা। আর এই উপকারের ঋণ শোধ যে করবো, সেও তো জানিনা। একটা হাসি দিয়ে আমায় শুভকামনা জানিয়ে চলে গেলেন। এবারে আমার একলা সময়ের সময়। হাজারও মানুষ, কেউ ছুটছে, কেউ গল্পে মত্ত আর কেউবা চিন্তায় অস্থির। আর আমার কিছুই করার নেই। শুধুই অপেক্ষা। কিছুক্ষণ এদিক-ওদিক চাওয়ার পর দেখি নিঃশব্দে খবরের চ্যানেল চলছে। শব্দহীন খবর শোনার মতো মেধা আমার নেই। খবরে পুলিশ আর সন্ত্রাসীদেরই আধিপত্য এতো বেশী যে, বিনোদন বিভাগেও নাটক-সিনেমা সব কিছুতেই ওই পুলিশ আর সন্ত্রাসীরাই জায়গা করে নিয়েছে। এসব ভাবতে ভাবতেই আমার নাম ধরে কেউ একজন ডাকতেই চাইলাম সেইদিকে, “তিন নম্বর রুমে যান।” হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম, যাক মনে হচ্ছে তাড়াতাড়ি-ই হয়ে যাবে। তিন নম্বর রুমে বসে থাকতে থাকতে এমনই বিরক্তি এলো, কিচ্ছু করার নেই। সেলফোন অসহ্য! ইস কেন যে বইটা নিয়ে আসেনি! মানুষটা বারবার জানতে চেয়েছিলো আর কিছু কি চাই? বললেই পারতাম, একটা খবরের কাগজ, নয়তো কোনো ম্যাগাজিন, অন্তত সেলফোনের হাত থেকে তো মুক্তি পাওয়া যেতো! ওসব ভেবে কি আর হবে? “ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না”—-প্রবাদটি জানি আমরা সকলেই, কিন্তু সময়মতো প্রয়োগ করিনা। একা একা নিজের সাথে কতোক্ষণ থাকা যায়? ইস কেউ যদি আসতো! এমন কেউ অন্ততপক্ষে গল্প করতে পারতাম। নিজেই আবার নিজেকে বললাম কে আর আসবে? অতো আন্তরিকতা যার মধ্যে আছে, সে তো এ শহরেই নেই। এ শহর হিসেবের শহর, বদলে যাওয়া মানুষদের শহর। কিন্তু আমার ভাবনার ঘুম ভাঙ্গিয়ে প্রমাণ করে দিলো এ শহর দায়িত্ত্বপূর্ণ ভালোবাসার শহরও বটে! দায়িত্ত্বপূর্ণ ভালোবাসা আর আন্তরিক ভালোবাসার মধ্যে রাত-দিনের পার্থক্য।
—-আমি ঈয়নী। আপনি?
—-আমি হার্দিক। ঠিক চিনতে পারলাম না আপনাকে! আপনি…!!!
—-চেনার কথা নয়। বলুন কেমন আছেন?
—-পরিচয় ছাড়া কথা বলাটা আসলে ঠিক বুঝতে পারছি না।
—-পরিচয় বলতে কি বোঝায়? নাম তো বললামই! এতো ভাববেন না, কথা বলতে মন না চাইলে ঠিক আছে আমি চলে যাচ্ছি।
—-আরে না, না! ভালো আছি। তবে বুঝে উঠতে পারছি না, কেন আমাকে ডাকলো? আর এভাবে বসে থাকতে আমি পারিনা। বড়ো বিরক্ত লাগে। আচ্ছা ঈয়নী যদি কিছু মনে না করেন আমায় বলবেন, আপনাকেও কি ওরা এখানে ডেকেছে?
—-না! আমায় এখানে রোজই আসতে হয়। আমার দায়িত্ত্ব আপনাদের সাথে কমিউনিকেট করার।
—-ওহ আচ্ছা! আগে বলবেন তো! ভেবেই যাচ্ছিলাম আপনাকে তো আমি কখনো দেখিনি!
ঈয়নীকে বললাম চেয়ারে বসতে। কিন্তু বসা তার জন্য বারণ। জানতে চাইলাম কতোদিন হলো চাকরী হয়েছে? বললো এক মাস। ‘কেন জানতে চাইলেন মিঃ হার্দিক?’ হাসলাম, আর মনে মনে বললাম সামনের বছর ঠিক এসেই বসে যাবে চেয়ারে, বলতেই হবে না। নতূন অবস্থায় সকলেই মাত্রাতিরিক্ত দায়িত্ত্বশীল হয়ে থাকে। বেশ মজা করতে পারে মেয়েটি। অনেক হাসালো, আমিও কতোদিন পর মন খুলে এভাবে হাসলাম, মনে করে পাইনি। বেশ কিছুক্ষণ পর ঈয়নী জানতে চাইলো আমার কিছু লাগবে কিনা! এবারে আর ভুল করলাম না, বললাম কোনো খবরের কাগজ বা ম্যাগাজিন পাওয়া যাবে? মাথা নাড়িয়ে বললো, ‘অবশ্যই! আপনি বসুন আমি এক্ষুণি নিয়ে আসছি। তবে আমি আসার আগেই আপনার কাজ শেষ হয়ে যায় কিনা!’ ঈয়নীকে দেখে মনে হলো দেশ অনেক উন্নত হয়েছে। তারপর আবার নিজেই নিজেকে বললাম, দেশ উন্নত হয়েছে, কিন্তু আসল হলো যাদের টাকা কথা বলে, তাদের কাছেই উন্নতির মাত্রা আকাশ-ছোঁয়া। যদিও আমার টাকা নেই, তবে মামা-চাচা আছে। উফ, কোথায় গেলো মেয়েটি? চোখ দুটো এদিক-ওদিক অস্থির।
ঈয়নীর সাথে সেদিন দেখা হয়নি। ওখানে বেশ কয়েকবার যাবার পর খোঁজ করেছি, কিন্তু কেউই কিছু বলেনা। শেষ যেদিন গেলাম আরেকজন এসে জানতে চাইলো আমার কিছু চাই কিনা! বললাম ঈয়নীর কথা, সেও জানেনা। হুম ঈয়নীর সাথে একদিন দেখা হয়েছিলো, আমায় সে চিনতে পারেনি। চেনার কথাও না। কেমোথেরাপিতে বদলে যাওয়া হার্দিক নামের মানুষটার চেহারা এক ঘন্টার দায়িত্ত্বপূর্ণ ভালোবাসা প্রদায়িনী ঈয়নী কিভাবে মনে রাখবে?
হ্যামিল্টন, কানাডা
২৬ নভেম্বর, ২০১৬ ইং।
৩২টি মন্তব্য
নীরা সাদীয়া
তারপর, ইয়নীকে নিজের পরিচয় দেননি?
নীলাঞ্জনা নীলা
ঈয়নীকে পরিচয় দিয়ে কি লাভ, হয়তো হার্দিক এ কথাই ভেবেছে।
আমার গল্পের ভূবনে আপনার মন্তব্যকে স্বাগত জানাচ্ছি।
মিষ্টি জিন
একটু বুঝতে কষ্ট হলেও ভাল লেগেছে ।
কবিতার মত তোমার গল্পের হাত ও পাকা।
নীলাঞ্জনা নীলা
গল্পটা যেদিন লিখি, সারাদিন এমার্জেন্সীতে ছিলাম মিষ্টি আপু।
মাঝে-মধ্যে গল্প লেখার চেষ্টা করি।
তোমার কাছে যে ভালো লেগেছে, আমি প্রেরণা পেলাম আপু। -{@
জিসান শা ইকরাম
বদলে যাওয়া মানুষকে চিনতে পারে কজনই বা।
গল্পের মাঝে আরো কি কিছু আছে! আরো পড়তে হবে বুঝতে পেরেছি।
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা মানুষের মৌলিক একটি চরিত্র থাকে, যা কখনোই বদলে যায়না।
সহজ গল্প নানা, কঠিন লেখা আমায় দিয়ে হয়না। আর চাইওনা কঠিন লেখা আমার মনে আসুক।
আবার পড়ে বলো কোনো ভুল আছে কিনা!
সুস্থ হয়ে ওঠো নানা। -{@
অরুনি মায়া অনু
হুম একটি ক্যান্সার হসপিটালের গল্প। প্রথমে বুঝতে পারিনি। শেষে তেমনই মনে হল। ভাল হয়েছে গল্প। ঈয়নী শুধুই দায়িত্বের খাতিরে করেছে যা করার, মনে ধরে রাখার ভাবনা তার হয়ত ছিলনা।
নীলাঞ্জনা নীলা
হুম আপনি ঠিক বুঝেছেন।
আপনি যথার্থই প্রতিভাধারী একজন।
অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
অলিভার
অসাধারণ গল্পের বুনন। দু’বার পড়লাম আপনার গল্পটি।
যদিও খুব চমৎকার করে আপনি দুজন মানুষের কথোপকথন আর তার পর হঠাৎ কারও উপর মুগ্ধ হয়ে পড়া এক ঘটনার বৃত্তান্ত দিয়েছেন। তবুও গল্পের শুরুর অংশটাই আমার কাছে বেশি আকর্ষনীয় মনে হয়েছে। আসলেই আমরা ঠিক কখন কতটুকু পরিমানে কোন জিনিষের প্রয়োজন হবে তা কোনদিনই অনুমান করে বের করে ফেলতে পারবো না। তখনও না যখন কেউ বার বার আমাদের তাড়া দিয়ে বলবে “সত্যি কিছুই কি চাওয়ার নেই?”
গল্পের গল্পে ভালোলাগা 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
এতো সুন্দর মন্তব্য পেলে গল্প লেখার অপচেষ্টা করে সবাইকে জ্বালিয়ে মারবো।
তখন কি হবে! ;?
গল্পকার অলিভারকে ধন্যবাদান্তে, 🙂
অলিভার
হা হা হা
অন্যকে জ্বালাতে হলে নিজের আঙ্গুলের মাথা গুলো কিন্তু আগে জ্বালাতে হয়।
এখনো সময় আছে, ভেবে নিন। আপনি কি আদৌ নিজের আঙ্গুল পুড়িয়ে তারপর অপরকে জ্বালাতে চান :p
নীলাঞ্জনা নীলা
আঙ্গুল পুড়েছে যেদিন থেকে অক্ষরকে শব্দে রূপ দেয়া শুরু করেছি।
আর সেই শব্দগুলো তৈলাক্ত হয়নি, তাই সেভাবে জায়গা করেও নিতে পারেনা।
এখন আপনি-ই বলুন জ্বালানো খেতে চান? 😀
আবু খায়ের আনিছ
কেন যেন চেষ্টা করেন, লিখে ফেলবেন কোন চেষ্টা ছাড়াই। ভালো লাগলে গিলে খাব না লাগলে বলে দিব, দিদি তোমার এই গল্পটা কিন্তু মোটেও ভালো হয়নি।
এই গল্পের কথা বলছি না, যেটা ভালো হবে না সেটা বলে দিব। এটা কিন্তু ভালো লেগেছে, শব্দের গাধুঁনি দেখলাম শুধু চেয়ে চেয়ে বার কয়েক।
নীলাঞ্জনা নীলা
আনিছ ভাইয়া আমি সাদরে গ্রহণ করতে জানি সমালোচনা।
শুধু মুখের কথা নয়, মন থেকেই বলছি।
শুধু আমার নিজের জন্য লেখাগুলো কোথাও দেইনা, কিন্তু যেসব লেখা ব্লগ কিংবা ফেসবুকে দেই অবশ্যই চাই সেসবের আলোচনা হোক। কোথায় কি হলে ভালো হবে, কোথায় ভালো হয়নি, এসব জানার জন্য আমার কতোটা আগ্রহ সে শুধু জানেন আমার স্যার।
আপনিও যদি তেমন মন্তব্য করেন আমি সত্যি খুব খুশী হবো।
ছাইরাছ হেলাল
অপচেষ্টাটি চালু রেখে আমাদের বাধিত করবেন, লেডিজী!
নীলাঞ্জনা নীলা
কুবিরাজ ভাই আপনিও এভাবে মন্তব্য করে আমার অপচেষ্টাকে বাধিত করবেন কথা দিন! 😀
পিলিজ!
ইঞ্জা
প্রথমে বুঝতে পারিনি, আবার পড়লাম, বুঝলাম, অসাধারণ ভাবে এই গল্পটি সাজিয়েছেন, হাসপাতাল, ঈয়ানী অসাধারণ লেগেছে প্রিয় আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
হ্যান্ডপাম্প ভাই মাঝে-মধ্যে গল্প লিখি, অবশ্য পোষ্ট করা হয়না।
ভালো লেগেচে যখন, তখন আবার দেবো।
ইঞ্জা
আলহামদুলিল্লাহ্, শুনে মনে বড়ই আনন্দিত হলাম আপু, অপেক্ষায় রইলাম।
নীলাঞ্জনা নীলা
হ্যান্ডপাম্প ভাইয়া আনন্দিত হয়ে লাভ নেই। আমার মাথা গরম হয়ে আছে, অভি-অবণী কোথায়? :@
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
আসল হলো যাদের টাকা কথা বলে, তাদের কাছেই উন্নতির মাত্রা আকাশ-ছোঁয়া -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
মনির ভাই একেবারে শতভাগ কঠিন সত্যি কথা বলেছেন।
ধন্যবাদ আপনাকে।
অয়োময় অবান্তর
ছোটগল্প পড়তে বেশ লাগে। আর যদি সুস্বাদু হয় তাহলে তো ইয়াম্মি। ভাল লেগেছে।
(আচ্ছা, আপনাদের পোস্টে কি নেতিবাচক কিছু বলার অনুমতি নেই?? যেমন: কি লিখেছেন এসব?? যাচ্ছেতাই লেখা ইত্যাদি। জানালে কৃতজ্ঞ হব)
নীলাঞ্জনা নীলা
অবশ্যই আছে। নেতিবাচক না পেলে লেখার উন্নতি কি হয় আদৌ?
হুম যাচ্ছেতাই লেখা কিংবা কি লিখেছেন এসব, এমন কথা সবাই বলতে পারেনা। যারা পারে, তারাই সত্যবাদী।
শুন্য শুন্যালয়
এই শোন, প্রথমেই তোমাকে সাবধান করছি, লেখার শিরোনামে কখনো ব্যর্থ প্রচেষ্টা, অপচেষ্টা এসব লিখবেনা, মনে থাকবে? তুমিতো জানোই, একটি লেখা একটি সন্তানের মতো, তাকে সুন্দর একটা শিরোনাম দেবে, তোমার গল্পের এক একটি চরিত্রের মতো।
গল্পটা খুবই ভালো হয়েছে, বিশেষ করে শুরুটা। শুধু একটু মনে হয়েছে হার্দিকের সাথে ঈয়নীর আরেকটু কথোপকথন দিলে ভালো হতো, যেমন মেয়েটি অনেক হাসালো, কী কথা বলে হাসালো। এমন দু একটি কথা যা হার্দিক কে ভীষন করে মনে গেঁথে দিয়েছে।
ভালোবাসা কে এভাবে ভাগ করে ভেবে দেখিনি তো কখনো!! যে ভালোবাসায় আন্তরিকতা নেই, সেটা শুধুই দায়িত্ব। তোমায় যে কী নাম দেই পদ্মিনী!
নীলাঞ্জনা নীলা
ওরে বাবা রে! মন্তব্য পড়েই সম্পাদনা করলাম। এই নাও কানে ধরলাম, নাক ধরলাম ওসব অপচেষ্টা বা ব্যর্থ প্রচেষ্টা আর জীবনেও লিখবো না। মনে থাকবে মানে? নিজেকে পিটিয়ে মনে রাখাবো। তিলোত্তমার কথা শিরোধার্য নয়, হৃদয়ে ধার্য। 😀
আসলে অণুগল্প তো, তাই বিশদ আকারে যাইনি। আর হার্দিকের মতো যারা অসুস্থ তারা সহজে কাউকে ভোলেনা। জীবনের ওই সময়টায় তাই তাদেরকে একটু কথা দিয়েও যারা হাসায়, তাদেরকেই তারা মনে রাখে। তুমি তো ডাক্তার, এমন সব রোগীদের মুখোমুখি হয়েছো। জানো তিলোত্তমা আমার রেগুলার কিছু ক্লায়েন্ট ছিলো ঠিক শেষ পর্যায়ের। যাক ওসব কথা! তোমার-আমার পেশাটা কিন্তু প্রোফেসনাল, কিন্তু আমরা আন্তরিকতার সাথে সেই দায়িত্ব পালন করি। কিন্তু আন্তরিকভাবে ভালো কি বাসি, যেভাবে আমাদের প্রিয়জনদের প্রতি হৃদ্যতা, তেমন কি রোগীদের প্রতি থাকে?
নাম আবার নতূন করে? ভাগ্যিস বলোনি শঙ্খিনী। 😀
শুন্য শুন্যালয়
এটা বেশ বলেছো, হার্দিকের মতো যারা তারা সহজে কাউকে ভোলেনা। একটু হাসানো সময়ের মূল্য তাদের কাছে অনেক। আমি ডাক্তার হয়েও তো কতো পেশেন্ট কে মনে রেখেছি, যারা আমাকে মনে রেখেছে কিনা সন্দেহ আছে।
বাপ্রে একদম হৃদয়ে ধার্য? 😀 তাও ভালো অলিন্দ, নীলয়ে বলোনি 😀
শঙ্খিনী? হ্যাঁ তাও বলতে পারি, আমার আবার এক নাম বেশিদিন ভাল্লাগেনা আর তোমারও যেই ছলাকলা, নিত্যনতুন রুপ 😀
নীলাঞ্জনা নীলা
ওই মেয়ে কি ছলাকলা করলাম তোমার সাথে? পাজি মাইয়া বেশী আহ্লাদ দিয়া মাথায় উঠাইছি। তিলোত্তমা নাম কাট, এইবারে নাম তোমার সূর্পনখা। 😀 কি কেমন হলো? \|/
হাসপাতালে পুরো একমাস ছিলাম। দুজন নার্সকে জীবনেও ভুলবো না। কারণ ওদের আন্তরিকতা। অথচ কম করে হলেও দশ জন নার্সের সাথে পরিচয় হয়েছিলো।
এই আসো একটু ঝগড়া করি। পিলিজ। 😀
শুন্য শুন্যালয়
এই নীলাপু আসছো? অনেকদিন্নন্নন্নন্নন্নন্নন্নন্নন্নন্নন্নন্নন্নন পর একসাথে সোনেলায়।
নীলাঞ্জনা নীলা
ইস চলে গেলে? 🙁
আমি লগিন করলাম, তখনই মামনির ফোন। তাও সপ্তাহে শনি-রবি এই দুদিনই মামনি-বাপিকে দেখতে পাই ভিডিওতে।
তাই লগ আউট না করেই ফোনে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম।
এই তিলোত্তমা কেমন আছো গো? আমার বাপি-মামনির জন্য প্রার্থনা করো, ওরা না ভালো নেই গো।
মৌনতা রিতু
তোমার বাপি মামনি অবশ্যই ভাল থাকবেন আপু। আপু তোমাদের খুব মিস্ করছিলাম। তাই লগ ইন হলাম। কিন্তু গল্পটা পরে পড়ব। সময় পাচ্ছিনা গো। শাশুড়িও অসুস্থ। মেমন রিয়ানের পরীক্ষা। খুব ব্যাস্ত তোমরা ভাল থেকো।
নীলাঞ্জনা নীলা
শান্ত-সুন্দরী কত্তোদিন পর! তোমাকে আমিও মিস করি।
মেমন-রিয়ানের পরীক্ষা শেষ হলে তোমাকে চাই-ই চাই।
ভালো থেকো শান্ত-সুন্দরী মৌনতা আপু। -{@