আলফ্রেড টেনিসন (Alfred, Lord Tennyson) ছিলেন একজন ব্রিটিশ কবি। তিনি ইংল্যান্ডের রানী ভিক্টোরিয়ার রাজত্বকালে গ্রেট ব্রিটেন এবং আয়ারল্যান্ডের কবিদের মধ্যে অন্যতম বিখ্যাত কবি ছিলেন। টেনিসন ১৮২৯ সালে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ “টিম্বুক্টু” (Timbuktu) এর জন্য কেমব্রিজের চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক লাভ করেছিলেন।
কবি আলফ্রেড লর্ড টেনিসন ৬ আগস্ট ১৮০৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ৬ অক্টোবর ১৮৯২ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তার লেখা বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে-
★The Princess
★Ulisses
★Mariana
★In Memoriam
★Idllys of the king
★Maud
★Locksley Hall প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
ইংরেজ কবি টেনিসনের লেখা (In Memoriam A.H.H) ইন মেমোরিয়াম কাব্যগ্রন্থটি নিয়ে আজ পাঠকদের কাছে সামান্য আলোকপাত করতে চাই। এই কাব্যগ্রন্থটি লর্ড টেনিসন ১৮৩৩ থেকে ১৮৪৯ সালের মধ্যবর্তী সময়ে লিখেছেন। কাব্যগ্রন্থটি ১৮৫০ সালে প্রকাশিত হয়। ইন মেমোরিয়াম কাব্যগ্রন্থে ১৩১ টি পর্ব, একটি প্রলগ (Prologue) এবং একটি ইপিলগ (Epilogue) রয়েছে যা তিনি কবিতা আকারেই প্রথমে এবং শেষে ব্যবহার করেছেন। (এ নিয়ে লেখার শেষে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে)
এই কাব্যগ্রন্থটিতে টেনিসন তার বন্ধু আর্থার হেনরি হেলম (Arthur Henry Hallam) এর মৃত্যুতে প্রচন্ড শোকাহত হয়ে নিজের, প্রকৃতির, জীবনের বাস্তবতা এবং তার সৃষ্টিকর্তা উপাসককে বিভিন্ন রূপে কবিতায় প্রকাশ করেছেন। টেনিসনের লেখা ইন মেমোরিয়াম কাব্যগ্রন্থটি সব দিক দিয়েই একটি পরিপূর্ণ শোককাব্য।
ইন মেমোরিয়াম(In Memoriam) কাব্যগ্রন্থের প্রতিটি কবিতায় কবি তার সবচেয়ে প্রিয় ব্যক্তিগত বন্ধু প্রেমের গভীর অনুভূতিতে, শোকের গভীর ও সংযত প্রকাশে, প্রকৃতির বিভিন্ন রূপের সাথে কবি হৃদয়ের ভাববৈচিত্রের মিলনে এবং ব্যক্তিগত প্রেমকে চিরন্তন প্রেমের সাথে যুক্ত করার পথে হৃদয়ের বিচিত্র দ্বন্দ্বের প্রকাশে, মানুষের নৈতিক ও আধ্যাত্মিক শক্তির ক্রমবিকাশের আস্থায়, আত্মার অমরত্ব ও ভগবানের বিশ্বাসে এবং সমগ্র মানবজাতির ভবিষ্যৎ পূর্ণ-পরিণতির আশ্বাসে এই কাব্যখানি সুন্দর ও সার্থক হয়েছে। তার বন্ধুপ্রীতি এতটাই প্রবল ছিলো যে আর্থার হেনরি হেলম এর মৃত্যুতে শোকাবহ কবি বইটির নাম দিয়েছেন In Memoriam A.H.H বা ইন মেমোরিয়াম আর্থার হেনরি হেলম।
শোকের মধ্য দিয়ে, বিচ্ছেদ বেদনার মধ্য দিয়েই প্রেমের মাধুর্য ও বৈশিষ্ট্যকে ভালোরূপে অনুভব করা যায়। টেনিসনের কথায়-
Tis better to have loved and lost,
Than never to have loved at all.
এই কাব্যগ্রন্থের Come in the morn without a sound কবিতায় তিনি বলেছেন-
Calm is the morn without a sound,
Calm as to suit a calmer grief,
And only thro’ the faded leaf
The chestnut pattering to the ground;
Calm and deep peace on this high wold,
And on these dews that drench the furze,
And all the silvery gossamers
That twinkle into green and gold;
কবিতার একটি প্যারায় তিনি বলছেন-
Calm and deep peace in this wild air,
These leaves that redden to the fall;
And in my heart, if calm at all,
If any calm, a calm despair;
এই কবিতায় শোকাচ্ছন্ন হৃদয়ে কবি প্রকৃতিকে দেখছেন শান্ত, স্তম্ভিত, বিষাদে মৌন প্রকৃতির গাম্ভীর্য তার বেদনাস্তব্ধ, হতাশ মনের প্রতিবিম্ব বলে মনে হচ্ছে।
তিনি Ring out the old wild bells কবিতায় বলছেন-
Ring out the old, ring in the new,
Ring, happy bells, across the snow:
The year is going, let him go;
Ring out the false, ring in the true.
Ring out the grief that saps the mind
For those that here we see no more;
Ring out the feud of rich and poor,
Ring in redress to all mankind.
এখানে তিনি বলছেন- প্রকৃতির বাৎসরিক পরিবর্তনের মধ্যে নতুন বছর উপস্থিত হলো। নববর্ষে কবি ব্যক্তিগত, স্বার্থপর সুখ লঘু করে সমস্ত মানবজাতির দুঃখ-দুর্দশা লাঘবের কথা মনে মনে ভাবছেন। ক্ষুদ্র দুঃখকে বৃহত্তর দুঃখের মধ্যে বিলীন করে হৃদয়ে শক্তি সঞ্চার করার চেষ্টা করছেন।
টেনিসন In Memoriam কাব্যগ্রন্থের Section CXV (“Now fades the last long streak of snow ”) তে বলছেন-
Now dance the lights on lawn and lea,
The flocks are whiter down the vale,
And milkier every milky sail
On winding stream or distant sea;
Where now the seamew pipes, or dives
In yonder greening gleam, and fly
The happy birds, that change their sky
To build and brood; that live their lives
From land to land; and in my breast
Spring wakens too; and my regret
Becomes an April violet,
And buds and blossoms like the rest.
এখানে বসন্ত প্রকৃতির আনন্দ অভিব্যক্তির মধ্যে কবি তার প্রেমকে নতুন আলোকে নতুন করে অনুভব করলেন। তিনি যেন বন্ধুকে চিরদিনের মতো ফিরে পেলেন। চিরন্তন প্রেমের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত প্রেম যুক্ত হলো।
তিনি বলছেন –
The life re orient out of dust,
Cry through the sense ti hearten trust
In the which made the world so fair.
Not alk regret : the face will shine
Upon me, which I muse alone;
And that dear voice, I once have known,
Still speak to me of me and mine.
কবি শেষ সান্তনায় পৌঁছেছেন। তার বন্ধু প্রকৃতির সঙ্গে ও প্রেমময় ভগবানের যে অনন্তপ্রেম প্রকৃতি ও মানব জীবনের মধ্যে অভিব্যক্ত হয়ে আছে তার সাথে মিশে গিয়েছে। কবির বন্ধু সমস্ত প্রকৃতির মধ্যে মিশে গেলেও প্রকৃতির রূপ-রস-গন্ধ-গানের মধ্যে কবি তাকে নতুনভাবে অনুভব করছেন। তার প্রেম বহুগুণে আরও শক্তিশালী হয়েছে।
In Memoriam section CXXX (Thy voice is on the rolling air) এ তিনি বলছেন-
Thy voice is on the rolling air;
I hear thee where the waters run;
Thou standest in the rising sun,
And In the setting thou art fair.
….. …… …. …. …. …. …. …. ……. … …..
My love is vaster passion now
Tho’ mixed with God and Nature thou,
I seem to love thee more and more.
এই কবিতায় কবি নিজেকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন। এই সান্ত্বনার অংশে টেনিসন ভগবান, প্রকৃতি ও মানুষের প্রকৃত সত্তা ও তাদের পরস্পর সম্বন্ধ বিষয়ে তার ধারণা নিজের অনুভূতিতে প্রকাশ করেছেন। এখানে তিনি জীবন এবং মৃত্যু উভয় সম্বন্ধে নিজের অনুভূতির সাদৃশ্য ও পার্থক্যের ধারণা দিতে চেয়েছেন।
এবার ইন মেমোরিয়াম (In Memoriam) কাব্যগ্রন্থের Prologue নিয়ে কিছু আলোচনা করা যাক। কাব্যের প্রলগ বলতে প্রস্তাবনা বা শুরুর কথা বোঝায়। ইন মেমোরিয়ামে টেনিসন একটি কবিতা দিয়েই এই ভাবনার প্রকাশ করেছেন।
প্রলগের এই কবিতায় কবি বলছেন-
Strong Son of God, immortal Love,
Whom we, that have not seen thy face,
By faith, and faith alone, embrace,
Believing where we cannot prove;
Thine are these orbs of light and shade;
Thou madest Life in man and brute;
Thou madest Death; and lo, thy foot,
Is on the skull which thou hast made.
Thou wilt not leave us in the dust:
Thou madest man, he knows not why,
He thinks he was not made to die;
And thou hast made him: thou art just.
Thou seemest human and divine,
The highest, holiest manhood, thou.
Our wills are ours, we know not how,
Our wills are ours, to make them thine.
(Prologue to In Memoriam)
এখানে টেনিসন সৃষ্টিকর্তাকে এক এবং জগতের আদি কারণ হিসেবে বর্ণনা করছেন। তিনি অনন্ত প্রেমময়, তিনিই জগতকে প্রকৃতি ও মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। মানুষ সৃষ্টিকর্তার নিকট হতেই এসেছে আবার তাঁর নিকটই চলে যাবে। মানুষের আত্মা অমর। প্রেমময় সৃষ্টিকর্তা যখন মানবের আত্মাকে সৃষ্টি করে সংসারে পাঠিয়েছেন, তখন তা কখনোই ধ্বংসশীল হতে পারে না। সৃষ্টকর্তার অমর অংশ প্রকৃতির মধ্য দিয়ে প্রত্যেক মানুষের আত্মা রূপে প্রকাশ পেয়েছে। সৃষ্টিকর্তার স্বরূপ, তাঁর সাথে মানবাত্মার সম্বন্ধ ও আত্মার অমরত্ব সম্পর্কে এই ধারণার পিছনে কোনো যুক্তিতর্ক বা দর্শণ বা নির্দিষ্ট ধর্মমত নেই। এটি টেনিসনের প্রাণের অন্তস্থল হতে উত্থিত বিশ্বাস মাত্র।
ইন মেমোরিয়াম (In Memoriam) কাব্যগ্রন্থের Epilogue নিয়েও কিছু বলতে চাই। কাব্যের ইপিলগ বলতে উপসংহার বা শেষের কথা বোঝায়। ইন মেমোরিয়ামে টেনিসন প্রলগের মত একটি কবিতা দিয়েই এই ইপিলগের ভাবনার প্রকাশ করেছেন।
ইপিলগের এই কবিতায় কবি বলছেন-
Regret is dead, but love is more
Than in the summers that are flown, For I myself with these have grown
To something greater than before;
Whereof the man, that with me trod This planet, was a noble type Appearing ere the times were ripe, That friend of mine who lives in God,
That God, which ever lives and loves, One God, one law, one element,
And one far-off divine event,
To which the whole creation moves.
(Epilogue to In Memoriam)
এখানে তিনি বলছেন, দেহ হতে বিচ্ছিন্ন হবার পর মানবাত্মা অসীমতায় মিশে যায় না। সে পুনর্বার দেহ ধারণ করে এবং কোন নক্ষত্রলোকে বাস করে। যদি পৃথিবীতে আসা সেই আত্মা সৎভাবে জীবন-যাপন করে, তবে সেখানে পৃথিবীর অনেক অসম্পূর্ণতা এড়িয়ে চিন্তায় ও কাজে সাধারণের উপকার করতে চেষ্টা করে। এইভাবেই মানবাত্মা ক্রমান্বয়ে আত্মোন্নতির পথে অগ্রসর হয়।
তিনি বলছেন- প্রিয়জনের মৃত্যুর পর তাদের আত্মাও সেই ভালো আত্মার সাথে মিলিত হতে পারে, পরস্পর মেলামেশা করতে পারে। আত্মার দ্বিতীয় জন্মের পর আবার তৃতীয় জন্মও আছে, সেখানে আত্মা আরও উন্নত অবস্থা প্রাপ্ত হয়। এইরূপে ক্রমে ক্রমে চরম উন্নতি প্রাপ্ত হলে সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে মিলে যায়। প্রেমময় সৃষ্টিকর্তা এভাবেই প্রত্যেক মানুষকে নিজের কাছে নিয়ে যান।
ইন মেমোরিয়াম কাব্যগ্রন্থের The Two Voice, The Ancient Sage, Far, far away প্রভৃতি কবিতায় দেখা যায় এ পৃথিবীতে জন্মের পূর্বে আত্মার আরেকটি জন্ম ছিল বলে টেনিসনের বদ্ধ ধারণা ছিলো। ছেলেবেলায় সেই পূর্ব জন্মের ক্ষীণ স্মৃতি ও অনির্দিষ্ট আকাঙ্ক্ষা আমরাও মাঝেমধ্যে অনুভব করি। আত্মার এই অবস্থা ও তার সাথে সৃষ্টিকর্তার এই সম্বন্ধ মানুষ গভীর মুহূর্তে অর্ধচেতন অবস্থায় জানতে পারে এবং কবির এই অনুভূতিই ঐ রুপ বিশ্বাসের মূল।
ইন মেমোরিয়াম কাব্যগ্রন্থটির প্রলগ ও এপিলগ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়- টেনিসনের এরুপ ধারনার মূলে আছে প্রধানত খ্রিস্টীয় ধর্মমত। সৃষ্টিকর্তাই পৃথিবীর মানুষকে সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি তাঁর সৃষ্ট পদার্থকে ভালোবাসেন, এটা প্রকৃতপক্ষে বাইবেলেরই প্রতিধ্বনি। তারপর আত্মার পুনর্জন্ম কবির নিজের ধারণা। এই কল্পনার উপরে বৈজ্ঞানিক ক্রমোন্নতি বা বিবর্তনবাদের প্রভাব আছে। তাই মানবাত্মার ক্রমোন্নতিতে তার অগাধ বিশ্বাস জন্মেছে।
In Memoriam কাব্যগ্রন্থে টেনিসনের ব্যক্তিগত শোককেই মুলভাব হিসেবে দেখা হয়েছে। সেই শোকাচ্ছন্ন দৃষ্টিতে সমস্ত পৃথিবী দেখে ধীরে ধীরে সেই শোককে দূর করে নিজের মধ্যে একটি বৃহত্তর সান্তনা আনবার চেষ্টা আছে। এই কাব্যগ্রন্থে কবির শোকের অনুভূতিগুলিকেই কেন্দ্র করা হয়েছে এবং কবিতায় এর বিভিন্ন প্রকাশ দেখানো হয়েছে। কবিতাগুলিতে ব্যক্তিগত শোক সর্বমানবীয় শোকের আকার ধারণ করেছে এবং মৃত্যুর পূর্ব ও পরের অবস্থার পার্থক্যের এক অনন্য রূপ কবির অনুভূতিতে প্রকাশ পেয়েছে।
প্রিয় পাঠক, বন্ধু বিরহে কাতর একজন মানুষ কি করে লিখে শোক কাব্য প্রকাশ করে তা কবি টেনিসনের ইন মেমোরিয়াম বইটি না পড়লে বুঝতে পারবেননা। টেনিসনের সর্বমানবীয় স্পর্শ ইন মেমোরিয়াম কাব্যগ্রন্থে লিখিত কবিতাগুলির যেখানেই পড়েছে সেখানেই পাঠকমনে এক অপূর্ব মাধুর্যের সৃষ্টি হয়েছে। তাই নিঃসন্দেহে ইন মেমোরিয়াম (In Memoriam A.H.H) কাব্যগ্রন্থটি ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম শোক কাব্যগাথা হিসেবে আখ্যায়িত করা যেতে পারে।
নোট- যেহেতু সোনেলায় এটাই আমার প্রথম বই রিভিউ। তাই লেখায় কোন ভুলভ্রান্তি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। কোন তথ্য বিশ্লেষনে গড়মিল থাকলে আমাকে জানাবেন। নিশ্চই সংশোধন করে নেবো। সবাই ভালো থাকবেন।
(ছবি- নেট থেকে সংগৃহীত)
২৪টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
” ক্ষুদ্র দুঃখকে বৃহত্তর দুঃখের মধ্যে বিলীন করে হৃদয়ে শক্তি সঞ্চার করার চেষ্টা করছেন।”
কথাটি দু-লাইনের হলেও এর গভিরতা আরো বেশি। আসলেই অল্প দুঃখ গুলো এক সময় বড় দুঃখগুলোর মাঝে হারিয়ে যায়। তখন আমাদের মন সব সহ্য করার শক্তি পেয়ে যায়। শক্ত মনের শোক গাঁথা কতখানি মজবুত হয় তার প্রমান আমরা দেখতে পাই সর্বত্র।
আলফ্রেড টেনিসনের কোনো লেখাই এখনো পড়িনি। তার সম্পর্কে আগে কিছুই জানা ছিলো না। আপনার বুক রিভিউ পড়ে জানার আগ্রহটা বেড়ে গেলো।
বুক রিভিউ খুব সুন্দর ভাবেই উপস্থাপন করেছেন তৌহিদ ভাই। আরো লিখুন।
শুভ কামনা 🌹🌹
তৌহিদ
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু লেখাটি পড়ার জন্য। আমি অল্প কিছু পড়েছি সেই সামান্য জ্ঞান থেকেই রিভিউ লেখা। ভালো মন্দ আপনারাই বলবেন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
রাফি আরাফাত
অনেক কিছু জানতে পারলাম ভাই। ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ
তৌহিদ
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকবেন।
কামাল উদ্দিন
……………বেশ জটিল মনে হলো
তৌহিদ
হ্যা ভাই তার লেখার অন্তর্নিহিত ভাব বোঝা বেশ জটিল। আমিতো কবি নই, কবি হলে হয়তো আরও ভালোভাবে বুঝতাম। লেখা পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
এস.জেড বাবু
দ্বিতীয় জন্ম এবং তৃতীয় জন্ম- ইসলামের বিধান মতে এই বিষয়টাতে খটকা থেকে যায়-
অবশ্যই মতামত যার যার- তিনি বেড়ে উঠেছেন উনার ধর্ম অনুসারে।
এদিকে চমৎকার একটা কথা আকৃষ্ট্য করেছে-
///যদি পৃথিবীতে আসা সেই আত্মা সৎভাবে জীবন-যাপন করে, তবে সেখানে পৃথিবীর অনেক অসম্পূর্ণতা এড়িয়ে চিন্তায় ও কাজে সাধারণের উপকার করতে চেষ্টা করে। এইভাবেই মানবাত্মা ক্রমান্বয়ে আত্মোন্নতির পথে অগ্রসর হয়।///
ভালো লেগেছে
সুযোগ পেলে পড়ে দেখার ইচ্ছে রইলো।
চমৎকার রিভিউ
তৌহিদ
পড়বেন ভাই, তার লেখায় অনেক কিছু শেখার আছে। আমি যা লিখলাম তা অতি নগন্যই বলা চলে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
এস.জেড বাবু
অবশ্যই যেগাড় করে নিবো
ধন্যবাদ ভাই
রেহানা বীথি
শোকের মধ্য দিয়ে, বিচ্ছেদ বেদনার মধ্য দিয়েই প্রেমের মাধুর্য ও বৈশিষ্ট্যকে ভালোরূপে অনুভব করা যায়। চমৎকার কথা।
রিভিউ খুব ভালো লাগলো ভাই।
তৌহিদ
লেখা পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
হালিম নজরুল
টেনিসন সম্পর্কে একটি অক্ষরও জানা ছিল না।আপনার সৌজন্যে আজ কিছু জানা হল।ধন্যবাদ।
তৌহিদ
পাঠকের উপকার হলে তাহলেই লেখাটি স্বার্থক ভাই। ভালো থাকবেন।
মোঃ মজিবর রহমান
এই কাব্যগ্রন্থটি লর্ড টেনিসন ১৮৩৩ থেকে ১৮৫৯ সালের মধ্যবর্তী সময়ে লিখেছেন। কাব্যগ্রন্থটি ১৮৫০ সালে প্রকাশিত হয়। এখানে ১৮৩৩ থেকে ১৮৫০ হয়ার সম্ভাবনা কারন বইটি পাব্লিশ ১৮৫০ সালে।
এঈ কোবীড় কীছূঈ জানতাম না, জানলাম। ধন্যবাদ।
তৌহিদ
মজিবর ভাই আসলে সেটি ১৮৫৯ নয় ১৮৪৯ হবে ভাই। অনিচ্ছাকৃত ভুলের জনু দুঃখিত, টাইপিং মিসটেক হয়েছে আমারই।
ধন্যবাদ ভাই।
মোঃ মজিবর রহমান
ভুল আমাদেরি হই দুঃখিত হওয়ার কিছু নাই। যেমন আমার কঠিন ভুল হলে চুরি করে লিখতে গিয়ে ক্যাপ্স চাপা অবস্থায় লিখে ফেলেছি। যার কণ অরথই হইনা।
ছাইরাছ হেলাল
আলফ্রেড টেনিসন! শুধু নাম শুনেছি, কিছু পড়িনি, কিছুই জানি না।
তবে এটুকু বুঝতে পারছি প্রথম রিভিউ দিয়ে একটি কঠিন কাজ অনায়াসে করে ফেলেছেন।
অন্যান্যদের নিয়েও সম্ভব হলে লিখুন।
ইলিয়ট নিয়ে সামান্য আগ্রহ আছে, লিখলে উপকৃত হব।
অবশ্যই অনেক অনেক ধন্যবাদ এমন জটিল একটি বিষয় উপস্থাপনের জন্য।
তৌহিদ
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাই, আমি ইংরেজিতে কাঁচা, শব্দের আভিধানিক অর্থ খুঁজতে জান ফানা ফানা হয়ে গিয়েছে। ইলিয়ট নিয়েও লেখার ইচ্ছে আছে ভাই, হয়তো লিখবো একদিন।
ভালো থাকবেন ভাই।
সুরাইয়া পারভিন
প্রিয়জনের মৃত্যুর পর তাদের আত্মাও সেই ভালো আত্মার সাথে মিলিত হতে পারে, পরস্পর মেলামেশা করতে পারে। আত্মার দ্বিতীয় জন্মের পর আবার তৃতীয় জন্মও আছে, সেখানে আত্মা আরও উন্নত অবস্থা প্রাপ্ত হয়। এইরূপে ক্রমে ক্রমে চরম উন্নতি প্রাপ্ত হলে সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে মিলে যায়। প্রেমময় সৃষ্টিকর্তা এভাবেই প্রত্যেক মানুষকে নিজের কাছে নিয়ে যান।
এই বিখ্যাত ব্যক্তি সম্পর্কে কিছুই জানতাম না।আজ জানলাম
বুক রিভিউ এতো চমৎকার ভাবে লিখেছেন। পড়তে ইচ্ছে করছে
তৌহিদ
হ্যা পড়বেন আপু, অনেক কিছু শেখার এবং জানার আছে কিন্তু। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।
মনির হোসেন মমি
আপনার লেখার প্রসংশা না করে পারি না। একজন ইংরেজ কবির কবিতাটি বঙ্গানুবাদ করে বুঝিয়ে দেয়া কম কথা নয়। অনেক মেধা ও শ্রম দিয়েছেন। খুব ভাল লাগল।
ইন মেমোরিয়াম কাব্যগ্রন্থের The Two Voice, The Ancient Sage, Far, far away প্রভৃতি কবিতায় দেখা যায় এ পৃথিবীতে জন্মের পূর্বে আত্মার আরেকটি জন্ম ছিল বলে টেনিসনের বদ্ধ ধারণা ছিলো। ছেলেবেলায় সেই পূর্ব জন্মের ক্ষীণ স্মৃতি ও অনির্দিষ্ট আকাঙ্ক্ষা আমরাও মাঝেমধ্যে অনুভব করি। আত্মার এই অবস্থা ও তার সাথে সৃষ্টিকর্তার এই সম্বন্ধ মানুষ গভীর মুহূর্তে অর্ধচেতন অবস্থায় জানতে পারে এবং কবির এই অনুভূতিই ঐ রুপ বিশ্বাসের মূল।
এমন ধারণা রবীন্দ্রনাথ সহ আরো অনেক বাংলা কবিদের মাঝেও ছিল।
তৌহিদ
হ্যা ভাই, রবীন্দ্রনাথ এবং টেনিসনের লেখায় অনেক অন্তমিল দেখতে পাওয়া যায়। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
জিসান শা ইকরাম
প্রলগ ও এপিলগ এ তিনি যা বলেছেন, তা তো আধ্যাত্মিকতার চুড়ান্ত রূপ।
আমাদের ধর্মে পুনর্জন্ম নেই, তবে আত্মা যে অবিনশ্বর এটি আছে।
অনেক কঠিন একটি বিষয় নিয়ে বই রিভিউ দিলেন,
অবাক হয়েছি সমস্ত কিছুতে আপনার বিচরণ দেখে।
বাকী রইল কেবল এখন মুভি রিভিউ, তাও দিয়ে ফেলুন 🙂
শুভ কামনা।
তৌহিদ
বইয়ের রিভিউ লেখা আসলেই কঠিন কাজ। তবু পাঠকদের কথা ভেবে এটুকু কষ্ট করাই যায়। মুভি রিভিও লেখার ইচ্ছে আছে ভাই।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।