
কুড়িয়ে পেয়েছি এক সমুদ্র লবণ, জাহাজ ডুবির, প্রাণে বেঁচে যাওয়া এক নাবিক কে
বলেছিলাম–লবণটুকু তোমার হলে নিয়ে যাও, রাজি হয়-নি;
সান্ত্বনা-হৃদয়কে বলেছিলাম– টক টক কমলা কিনে দেব এক ঝুড়ি,
লবণ মিশিয়ে মজা করে খেও, যখন তখন যেভাবে যেসময় ইচ্ছে করে,
ভেংচি কেটে ভেগে/পালিয়ে গেছে;
পথহারা অরণ্য কে ডেকে বলেছিলাম—দাঁড়াও না একটু, খোলা হাওয়া বুকে টেনে,
দুর্বল দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে বলে–আমি তো কবেই মরে গেছি!!
আনন্দ-ভড়ং- এ উত্তল উষ্ণতার অনুভূতিতে আরামদায়ী আত্মীয় আত্মীয়কে
ডেকেছিলাম– দূরে দাঁড়িয়ে প্রচণ্ড বিরক্তি ছুঁড়ে জানিয়ে দিয়েছে–
সব সময় তাপহীন আলোহীন ম্যার ম্যারে নড়নচড়নহীন কবিতা-ফবিতা ভাল্লাগে-না!!
শোরগোলের সঙ্গীতে কর্মচঞ্চল সমুদ্র শরীরী উদ্যম-উদ্দাম নৃত্যে বয়ে যায়,তাচ্ছিল্যের ভঙ্গিতে!
ছবি নেটের।
২২টি মন্তব্য
বন্যা লিপি
অণুগল্প!!! মাথার কয়েক মাইল উপর দিয়া ধাঁই করে উড়ে গেলো। যাবার আগে শুধু শব্দের পরশটুকু রেখে গেলো………
ছাইরাছ হেলাল
আল্লাহর রহমত এ যাত্রা মাথা-মুথা বাইচ্চা গেছে!!
ভাল থাকবেন মাথা দেখভালে রেখে।
সাবিনা ইয়াসমিন
কি অদ্ভুত ব্যাপার!
আজকে আমার ফেসবুক মেমোরিতে গত বছরের একটা পোস্ট এলো, সমুদ্র ডাকছে আমায়। আর ব্লগে এসেও সমুদ্রের বাধভাঙা ঢেউ দেখতে পাচ্ছি!
কিযে হচ্ছে আমার সাথে!
ছাইরাছ হেলাল
আপনার দিনকাল ফকফকা যাচ্ছে, এ তার ই নমুনা!!
একখানা সমুদ্র ছুঁড়ে দিন ব্লগে, আমরাও চোখে রাখি।
ফাইন হবে।
সাবিনা ইয়াসমিন
মহারাজ, ঐ লবন খাওয়া নাবিক, অশান্ত হৃদয় বাবু, ভবঘুরে অরণ্য ( কোভিড আক্রান্তও হতে পারে, মনে হচ্ছে তার ভেতর অক্সিজেনের ঘাটতি আছে), আর ভাবধারী আত্ম-আত্মীয়ের পিছু ছুটে শুধু শুধু পরিশ্রান্ত হওয়া লাগবে না। আপনি আপনার তালে নাচুন, মানে চাইলে ম্যাড়মেড়ে ভঙ্গিতেও নাচতে পারেন।
এই যেমন আমাকেই দেখুন, আপনার গল্পে কী আছে/না আছে এসব ভেবে আমি মোটেও সমুদ্র খুঁড়ে মণিমাণিক্য আনতে যাচ্ছি না, আমি বেশ আয়েশ করেই ফিচার ছবিটি দেখছি,, আর ভাবছি কীভাবে এই সমুদ্রে গিয়ে নিজের জমানো লবণ গুলো দিয়ে আসা যায়।
ছাইরাছ হেলাল
ঢেড় মানিক্য আঁচলে বাঁধা থাকলে কে আর কাকে খুঁড়ে শ্রম ফ্যালে!!
ঢাউস লবন-ব্যাগ বহন করতে কিন্তু সাথে কাউকে পাবেন না।
সমুদ্র কিন্তু বয়েই যাবে/যাচ্ছে কাউকে তোয়াক্কায় না-রেখে।
ভাল থাকুন।
আরজু মুক্তা
আত্মীয়রা এতো ভাবের কবিতা বোঝে না। জাহাজ ওয়ালাও বুঝছে, যে লবণ পানিতে পরছে, ও তো আর লবণ নাই। পুরাই পানি। এইসব ফাঁকিবাজি আদার ব্যাপারীর চলেনা। আজকাল চাইনীজ কমলা ভালো চলে। কে চুকা কমলা খাবে? দেশের প্রতি ভালোবাসা নাই। কম দাম। টিকুক না টিকুক। চাইনীজই ভালো।
ছাইরাছ হেলাল
এতো দেখছি আইছি একা যামু একা অবস্থা, অবশ্য ইহাই জীবন।
ভাল থাকবেন।
আরজু মুক্তা
হা হা।
আপনিও ভালো থাকবেন সবসময়।
ছাইরাছ হেলাল
হা হা এর ইমো দিলেন!!
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অণুগল্প টাকেও কঠিন কাব্যে পরিণত করলেন!! লবণ হোক আর মিষ্টি হোক সমুদ্রে আমিও যাব ই। দেখা যাক কি কি খুঁজে পাই। “যেখানে দেখিবে ছাই উড়াইয়া দেখ তাই, পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন। ” অফুরন্ত শুভকামনা রইলো
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন রতন-ফতন গুলো একলা একলা খাইয়েন না, ব্লগের দিকেও কিছু ছুঁড়ে দিয়েন।
কাব্য বলতে কিচ্ছু নেই, অণুগপ্পো বলেই কিচ্ছু নেই, সব ই হু হু করা বাতাস।
ভাল থাকবেন।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
চমৎকার লিখেছেন ভাইয়া — “সান্ত্বনা-হৃদয়কে বলেছিলাম– টক টক কমলা কিনে দেব এক ঝুড়ি,
লবণ মিশিয়ে মজা করে খেও, যখন তখন যেভাবে যেসময় ইচ্ছে করে,
ভেংচি কেটে ভেগে/পালিয়ে গেছে;”
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
সুস্থ আর ভালো থাকবেন ভাইয়া।
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ।
হালিমা আক্তার
টক টক কমলা লবণ মিশিয়ে খাওয়া।লবণ দিয়ে কমলা খেলে ভেংচি তো আসবেই। যাক সে কথা। কুড়িয়ে পাওয়া এক সমুদ্রের লবণের মধ্যে বিন্দু বিন্দু মুক্তো-মানিক নেই তো।
ছাইরাছ হেলাল
মুক্তোর খব আমি ক্যামনে জানমু, আপনি পেলে ইট্টু দেখিয়েন শুধু।
ধন্যবাদ।
রোকসানা খন্দকার রুকু
আমি কিচ্ছু বুঝি না। শুধু বুঝলাম কমলাও আজকাল লবন দিয়ে খায়।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি তো ঠিক-ঠাক ই বুঝেছেন, টক কমলা তো নুন মিশিয়েই খেতে হয়।
আপনি কিন্তু খুব সুন্দর করেই ভাবেন।
ধন্যবাদ।
রেজওয়ানা কবির
আমি প্রচন্ড কমলালোভী। সে টক কমলাই হোক আর মিষ্টিই হোক কমলা হলেই হলো! এই কমলা নিয়ে আমার জীবনের এক ঘটনা আছে লিখব একসময়। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার এই অনুগল্প পড়ে আমি একটা লেখার উপাদান পেলাম। শুভকামনা সবসময়।
ছাইরাছ হেলাল
দ্রুত লিখে ফেলুন আপনার অণুগল্প, কমলা আমাদের সবারই প্রিয়।
ধন্যবাদ।