
সময় এসেছে দুর্দান্ত অশ্বারোহীর বেশে,
চলেও যাচ্ছে/যাবে অমোঘ নিয়মে,
ফাঁকিঝুঁকি গোলমেলে ভালোবাসা বিলিয়ে
স্বর্গ নরকের রোড ম্যাপের হাতছানি অদৃশ্যে দৃশ্যমান
ভবিতব্য সবই জেনে বসে আছে সবার অজান্তে
অলিখিত সময়ের বন্ধ জানালা/দরজায় দাঁড়িয়ে
সূর্য তাপে মলিন-মুখ হলেও ফিরে না আসা
সারা শতাব্দীর আনন্দ/আর্তনাদ ভেসে যেতে দেখি
ধূলি আর মৃত্তিকাকে সাথে নিয়ে
ভোরের ভাঁজে রাখা আজানে-ধ্বনির ছোঁয়ায়
প্রাণ-পথের অন্তহীন অনন্ত-দীপ জ্বালি;
নিরিবিলিতে গুনতে এসে দেখি, খসড়াতে রাখা
জীবন, যত-সব পুনর্লেখ করা পাণ্ডুলিপি অ-শনাক্তের
সুখ-দুঃখের মত ট্রাসে গিয়েই আছড়ে পড়ে আছে।
ছবি নেটের।
৩০টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
অলিখিত সময়ের বন্ধ জানালা/দরজায় দাঁড়িয়ে
সূর্য তাপে মলিন-মুখ হলেও ফিরে না আসা
সারা শতাব্দীর আনন্দ/আর্তনাদ ভেসে যেতে দেখি। এটাই হইতো মহান আল্লাহপাকের লিপিবদ্ধ মানব সন্তানের কর্মময় কাজের হিসাবের মাঝে এসে যায়। চরাই উতরাই পার হতে হয়।
ছাইরাছ হেলাল
ভবিতব্যের কাছেই সব কিছু জমা আছে/থাকে,
আমরা জানি বা না-জানি।
ধন্যবাদ আপনাকে।
সুপায়ন বড়ুয়া
সময়ের অশ্বারোহী আপন গতিতে চলে
যেমনি চালায় মহারাজের কলম বলে।
ভাল লাগলো। শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
হা হা হা, কলম আর চালাতে পারলাম/অপচয় কৈ!!
কত কিছুই তো না-লেখায় রয়ে গেল।
ভাল থাকবেন, ভাই.
আপনি যে আমাদের ফেলে কৈ কৈ থাকেন!!
আলমগীর সরকার লিটন
বেশ ভাবনাপূর্ণ কবি দা
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ।
ইঞ্জা
নিরিবিলিতে গুনতে এসে দেখি খসড়াতে রাখা
জীবন যতই পুনর্লেখ করা পাণ্ডুলিপি অ-শনাক্তের
সুখ-দুঃখের মত ট্রাসে গিয়েই আছড়ে পড়ে আছে।
অনন্য অসাধারণ লিখলেন ভাইজান।
ছাইরাছ হেলাল
কী-না -কী আল্লাহ মালুম।
ভাল থাকবেন ভাই।
ইঞ্জা
কি যে বলেন না ভাইজান?
ভালো থাকবেন।
ছাইরাছ হেলাল
আপনিও ভাল থাকবেন, ভাই।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
সময় এভাবেই চলে যায়, অনেক কিছুই জানা হয়না, দেখাও হয়না। সুখ দুঃখের পান্ডুলিপি এভাবেই পড়ে রয়। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। শুভ দীপাবলির শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকেও দীপাবলির শুভেচ্ছা। নাড়ু তো আজই শেষ হয়ে গেল!!
অনেক অনেক পাণ্ডুলিপি পড়ে থেকে গেল, খসড়াতে , হয়ত ট্রাসে!!
ভাল থাকবেন আপনি-ও।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
নাড়ু কি শেষ হতে পারে? পারে না। হবে হবে নাড়ু খাওয়া হবে। শুভ কামনা রইলো
ছাইরাছ হেলাল
শেষ বলে কিচ্ছু নেই, শুরু আর শুরু।
অপেক্ষা করতেই আছি।
রোকসানা খন্দকার রুকু
আমরা সবাই সময়ের অশ্বারোহী।
চেপে বসেছি ঠিকই কিন্তু শেষ জানা নেই।
শুভ কামনা রইলো ভাইয়া।
ছাইরাছ হেলাল
শেষের ঠিকানা আমাদের অজানা-ই থেকে যায়
ভাল থাকবেন আপনি।
আরজু মুক্তা
হিসাব সবেরি হবে। যা ট্রাসে রাখছি। আর যা মন থেকে মুছে ফেলছি।
আবার অন্যদিকে কতো কিছুই দেখিনি, কতো অজানা।সামনে আবার কতো কী দেখবো।
সময়ের লাগামহীন ঘোড়ার পিঠে শুধু উঠে, দৌড়াচ্ছি।
ছাইরাছ হেলাল
হিসেবের কথা গুনলেই কলিজায় কামড় দেয় !!
তবুও শুধুই ছুটছি আর ছুটছি লক্ষহীন দিগন্তের পানে, অজানার টানে।
ভাল থাকুন অনেক করে।
খাদিজাতুল কুবরা
“ধূলি আর মৃত্তিকাকে সাথে নিয়ে
ভোরের ভাঁজে রাখা আজানে-ধ্বনির ছোঁয়ায়
প্রাণ-পথের অন্তহীন অনন্ত-দীপ জ্বালি;”
একমাত্র এ কাজটি মানে আযানকে সাড়া দিতে পারলেই মনে শান্তি মেলে আর কিছুতে নয়। সময় বয়ে যাচ্ছে। এ বেলায় এসে সত্যি এলার্ম শুনতে পাই।অশ্বের খুরের শব্দে।
খুব সুন্দর কবিতা।
ছাইরাছ হেলাল
এলার্ম শুনতেই পাওয়া চাট্টি খানি কথা নয়, আমরা তো এটাই শুনতে চাই,
ফিরে যেতে পারি নিজ নিজ আরাধনায়।
ভাল থাকবেন আপনি।
তৌহিদ
লেখকের লেখা ট্রাশে চলে গেলেও মন থেকে মুছে ফেলা যায়না। এ কারো সাধ্যি নেই।
শুভকামনা সবসময়।
ছাইরাছ হেলাল
অমোচনীয় কালির লেখা হলে আর চিন্তা কী !!
হ্যা, কিছু আঁকিঝুঁকি ট্রাসের তোয়াক্কা না করেই টিকে যায়/থাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
শামীম চৌধুরী
সত্যিই জীবনের পান্ডলিপি অসমাপ্ত বা শনাক্তহীন রয়ে যায়।
ভালো লাগা আরেকটি কবিতা।
ছাইরাছ হেলাল
গোচরে অগোচরে কত কী কোথায় হারিয়ে যায় কে জানে !!
কিছু থেকে যায় অক্ষয়-অব্যয়।
ভাল থাকুন।
হালিম নজরুল
ভোরের ভাঁজে রাখা আজানে-ধ্বনির ছোঁয়ায়
প্রাণ-পথের অন্তহীন অনন্ত-দীপ জ্বালি;
ছাইরাছ হেলাল
আপনি পড়লেই শান্তি শান্তি লাগে।
ধন্যবাদ কবি।
সাবিনা ইয়াসমিন
কত লেখা মুছে যায়, হারিয়ে যায় ড্যাসবোর্ডের গোলমালে,
লেখা কি থেমে যায়/ যেতে পারে?
অক্ষত ক্ষতের চিহ্ন নিয়ে জ্বলজ্বল করে জ্বলতে থাকে ভোরের শুকতারা হয়ে,
মিলিবে/ মেলাবে ভাঁজ খোলা বাজ পড়া ঐ আসমানে-ই..
ছাইরাছ হেলাল
হ্যা, থেমে যেতে পারে, যায়-ও।
জ্বল জ্বলে শুকতারার দেখা সবাই পায় না, আসমানের দিকে তাকিয়ে চিক্কুর দিলেও।
কেউ কেউ পায়।
ব্যস্ত সমস্ততার মাঝেও পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব
চমৎকার লিখেছেন
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ আপনাকে।