
তুমি এসেছিলে, এসেছিলে ভালোবাসা দিতে নয় বরং শরীরের ভাঁজে ভাঁজে যে অমৃত সুখধারা লুকায়িত থাকে গভীর অন্ধকারে, চাকচিক্যের আড়ালে তারই খোঁজে। বিশ্বাসের প্রহরী-প্রাচীর ডিঙ্গিয়ে, সযতনে লালিত সতীত্বের কুটিরে হানা দিতে।
এসেছিলে বৃষ্টিস্নাত নিঃসঙ্গ দুপুরে , একাকীত্বের দাবানলে আমাকে পুড়িয়ে মারতে।
খুব জানতে ইচ্ছে করে সে-ই আগুনের একফোঁটা আঁচ কি তোমার ঐ বর্মাবৃত চিত্তে লাগেনি!
হয়তো লেগেছিল তথাপি নিজের পুরুষত্বের মুখোশ বিকোতে চাওনি বলেই, কাপুরুষত্বে মখমলের চাদর জড়িয়ে দিলে।
জোর করে ভোগ করলেই শুধু ধর্ষণ হবে কেন? মিথ্যার বেসাতি সাজিয়ে ভোগের নিবন্ধনের আগেই ভোগ সেটাও তো ধর্ষণের সামিল।
শুনেছি সুখের তাজমহল গড়েছো ভালোবাসার শ্বেত-পাথরের মার্বেলে!
যেমন শাহজাহান তাজমহলের অনুরূপ বানাতে উদারতার পরিচয় দিতে না পেরে শ্রমিকদের দুটো হাত কেটে উপঢৌকন দিয়ে ভরে দিয়েছিল তেমনি আমাকেও করেছো অথর্ব, অচল বিনিময়ে উপহার দিয়েছো আঁজলা ভরে বেদনার, কান্নার হীরা-জহরত।
যুগ-যুগান্তরে পুরুষত্ব এভাবেই সমাজ , সংসারে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ধর্ষণের খড়গ দন্ড হিসেবে। পুরুষ তুই কবে মানুষ হয়ে নারীকে করবি বরণ???
ছবি-গুগল
৪৭টি মন্তব্য
মনির হোসেন মমি
পুরুষ তুই মানুষ হবি কবে?আমারতো মনে হয় আদৌ পুরুষজাত মানুষ; ছিলো কীনা!।ধর্ষণের সজ্ঞায় কোনটা ধর্ষণ আর কোনটা ধর্ষণ নয় তা বোধ করি আমরা কম বেশ জানি কিন্তু প্রেম বা ভালবাসার ছলে যদি শুধু কামের চরিতার্থ ঘটে তবে সেখানে ভালবাসা থাকে না।প্রেম ঈশ্ব প্রেম জীবন প্রেমকে জীবন; এর সাথে মিশিয়ে জীবনকে উপভোগ করাই পুরুষের চরিত্র হওয়া উচিত।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। আমরা সবাই কমবেশি বুঝি তবুও আমাদের ভুল হয় অথবা নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হই। উপভোগের সংজ্ঞা সবাই জানে না। একরাশ শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো। ভালো থাকবেন সবসময়
ইঞ্জা
যুগ-যুগান্তরে পুরুষত্ব এভাবেই সমাজ , সংসারে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ধর্ষণের খড়গ দন্ড হিসেবে। পুরুষ তুই কবে মানুষ হয়ে নারীকে করবি বরণ??
অনেক কথায় বলে দিলেন আপু, প্রকাশে সত্যি মুগ্ধ হলাম।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। আপনাদের উৎসাহ ও উদ্দীপনায় লিখছি , ভুলত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন। ভালো থাকবেন সবসময় শুভ কামনা নিরন্তর
ইঞ্জা
আপু আপনি অসাধারণ লিখেন তা সবাই জানে।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ধন্যবাদ ভাইয়া। শুনে খুব ভালো লাগলো। শুভ কামনা রইলো
আলমগীর সরকার লিটন
সময় বড় খারাপ মানুষ হওয়া বড় জরুরী
সুপর্ণা ফাল্গুনী
একদম ঠিক মানুষ হতে হবে, মানুষের আকার পেলেই মানুষ হয় না। মননে, মানবিকতায় মানুষ হতে হবে। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা রইলো
রেজওয়ানা কবির
পুরুষ তুই মানুষ হবি?এই প্রশ্নটা বার বার নিজেকে করলে হয়ত বিবেক জাগ্রত হতেও পারে, আবার নাও হতে পারে ।মনুষত্ব্য থাকলেই প্রকৃত মানুষ সে নারী হোক আর পুরুষই হোক। আপু আপনার শব্দচয়ন আর বাক্য এত সুন্দর হয়েছে যে গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল।শুভকামনা আপু।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রাণিত, মুগ্ধ হয়ে যাই। মনুষ্যত্ব থাকলেই সে মানুষ হোক নারী , হোক পুরুষ। দারুন বলেছেন অফুরন্ত ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা আপু। নিরন্তর শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো। ভালো থাকবেন
রেজওয়ানা কবির
এই লেখাটি প্রিয়তে নিলাম আপু।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
এটা আমার পরম পাওয়া আপু। খুব ভালো লাগলো। শারদীয় দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা ও শুভকামনা। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন
রেহানা বীথি
ছলনার আশ্রয় নিয়ে কত মেয়ের যে জীবন নষ্ট করছে এমন পুরুষেরা! এরা মনুষ্যত্ব হারিয়ে ফেলেছে।
খুব সুন্দর লিখলেন আপু।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
সেটাই আপু মনুষ্যত্ব হীন মানুষ পশুর ও অধম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন শুভ কামনা রইলো অহর্নিশি
মোঃ খুরশীদ আলম
“ছলনার আশ্রয় নিয়ে কত মেয়ের যে জীবন নষ্ট করছে এমন পুরুষেরা! এরা মনুষ্যত্ব হারিয়ে ফেলেছে।”- পর পুরুষকে বিশ্বাস করতে হবে, এমন বাণীতো কোন ঐশীগ্রন্থে লেখা নাই (যতটুকু জানি)। নিজের বাবা-ভাইয়ের বাইরে গিয়ে পাশের বাসার ভাই, ক্লাশের বন্ধু, অফিসের সহকর্মীর প্রতি বিশ্বাস দেখাতে গিয়েই বেশির ভাগ এমন হয়। পাশের বাসার ভাইয়া, ক্লাশের বন্ধু, অফিসের সহকর্মীর জন্য কতো মা-বাবা তার মেয়ের কাছে লাঞ্জিত হয়েছে তা অজানা নয় কারোই। তবুও কেন পুরুষের দোষ দেয়া। দোষী এই শ্রেনীর নারী-পুরুষ উভয়ই। এক হাতে কি আর তালি বাজে।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
একহাতে তালি বাজে না এটা যেমন সত্য তেমনি মেয়েরা খুব সহজেই বিশ্বাস করে আর সেই বিশ্বাস টাকে কাজে লাগিয়ে বেশীরভাগ পুরুষ ফায়দা লুটে, মনোরঞ্জন করে। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন শুভ কামনা অবিরাম
ফয়জুল মহী
আমি নারীর গর্ভে জন্ম নিয়েছি। আমি নারীর ভাই, আমি নারীর বাবা ,আমি নারীর স্বামী । আমিও মানুষ আর এই নারীটাও মানূষ।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
মানুষের গর্ভে জন্ম নিলেই মানুষ বলা যায় কি !! যদি তার বিবেক বুদ্ধি জাগ্রত না থাকে, মনুষ্যত্ব, সততা না থাকে?? ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা অবিরাম
ছাইরাছ হেলাল
পুরুষতান্ত্রিক সমাজের এ রূপ নুতন কিছু নয়।
এ থেকে উত্তরণ কী করে হবে তা আমরাদের জানা নেই।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভাইয়া। ভালো থাকবেন সবসময় শুভ কামনা অফুরান।
আরজু মুক্তা
পুরুষতান্ত্রিক সমাজে জবাবদিহিতার অভাব। তাই এরা নিজেকে মহা ভাবে। ভাবে, কার কি?
ফল স্বরূপ বলিদান মেয়োদের।
নিপাত যাক সেইসব পুরুষ। যারা নারীকে সম্মান দিতে জানে না।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। নিপাত যাক এমন পুরুষ। অফুরন্ত ভালোবাসা। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। শুভ সন্ধ্যা
মোঃ খুরশীদ আলম
দেশের প্রত্যেক সেক্টরে নারীর ক্ষমতায়ন হয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ পদে নারী আসীন। বর্তমান সমাজ পুরুষ শাসিত নয়, নারী শাসিত।
আরজু মুক্তা
তাহলে এতো পাওয়ার দেখে অন্যায় কাজগুলো করতো না।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
সর্বোচ্চ পদে নারী আসীন তবুও থেমে নেই নির্যাতন, ধর্ষণ।কর্মক্ষেত্রে যতই উঁচু স্থানে থাকুক ঘরে এসে সে ঠিক কারো না কারো অধীনে ইঁদুরের গর্তে লুকিয়ে থাকে। সবাই সমান নয় তবে পরিমাণটা অনেক বেশি তুলনামূলক ভাবে। আপনি ও কি নির্যাতিত ভাইয়া?? উত্তর টা দেয়া/না দেয়া আপনার ব্যক্তিগত। শুভ কামনা রইলো
মোঃ খুরশীদ আলম
সর্বোচ্চ পদে নারী আসীন তবুও থেমে নেই নির্যাতন, ধর্ষণ।কর্মক্ষেত্রে যতই উঁচু স্থানে থাকুক ঘরে এসে সে ঠিক কারো না কারো অধীনে ইঁদুরের গর্তে লুকিয়ে থাকে। সবাই সমান নয় তবে পরিমাণটা অনেক বেশি তুলনামূলক ভাবে। আপনি ও কি নির্যাতিত ভাইয়া?? উত্তর টা দেয়া/না দেয়া আপনার ব্যক্তিগত।
সুবর্ণা, কথা বললেতো আসলে অনেক কথা। কি বলবো আর কি বলবো না, বলুন। আপনি দাবী করছেন “কর্মক্ষেত্রে যতই উঁচু স্থানে থাকুক ঘরে এসে সে ঠিক কারো না কারো অধীনে ইঁদুরের গর্তে লুকিয়ে থাকে” – ব্যাপারটা কি আসলে ঠিক তেমন যেমনটি আপনি দাবী করছেন। স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস, আস্থা, শ্রদ্ধাবোধ-ভালবাসা যদি না থাকে তাহলে সেখানে নারী ইঁদুরের গর্তেতো থাকবেই। আবার পাশাপাশি পুরষদের মধ্যে অনেকেরও ইঁদুরের মতো অবস্থা, সেটা অবিশ্বাস করার কোন সুযোগ নাই। কোন কোন পুরুষের জন্য যেমন সংসারে অশান্তি তেমনি কোন কোন নারীর জন্য পুরো সংসার জাহান্নামে পরিণত হয়ে পড়ে। বিবাহিত নারী তার সংসারকে দেখে স্বামী-সন্তানদের বৃত্তের মধ্যে থেকে। পক্ষান্তরে একজন পুরুষ তার সংসারকে মূল্যায়ন করে স্ত্রী-সন্তান, মা-বাবা, ভাই-বোন সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে। দুঃখজনক হলেও সত্য আজকালকার নারীরা যৌথ পরিবারে থাকার বিষয়ে যথেষ্ট নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে। আপনি বিশ্বাস করুন, আমি যেখানে কাজ করি সেখানে প্রতিমাসে কমপক্ষে 150 টি নারী নির্যাতনের মামলায় আমাদেরকে বিচারিক তদন্ত কাজ সম্পন্ন করতে হয়। এগুলোর বেশির ভাগ মামলার বাদীর (নারী) অভিযোগ তাদের শ্বাশুড়ীর বিরুদ্ধে, শ্বাশুড়ী কথায় কথায় খোটা দেয়, এটা সেটা আরো কতো কি। পাশাপাশি স্বামীদের অভিযোগ হলো স্ত্রী সারাদিন রাত ফেজবুক নিয়ে ব্যস্ত, স্বামীর মা-বাবাকে সম্মান দিয়ে কথা বলে না, স্বামীকে নিয়ে আলাদা থাকতে চায়। বিশ্বাস করুন স্বামী কে নিয়ে আলাদা থাকা-খাওয়া ও স্বাধীনভাবে বাস করার মানসিকতা পোষণকারী নারীদের দ্বারা যৌতুক নিরোধ আইনে দায়ের করা মামলায় স্বামী বেচারা জেল-জুলুম পর্যন্ত খাটে। শেষমেষ সংসারে ভাঙ্গন দেখা দেয়। জেল খেটে কোন স্বামীই বা তার স্ত্রীকে নিয়ে সংসার করতে চাইবে বলুন। নিরপেক্ষভাবে বলুনতো দেখি, আপনি যদি পুরুষ মানুষ হতেন আর আপনার বউ যদি বলতো তাকে নিয়ে আপনি আলাদা বাসায় সংসার পাততে হবে, তবে আপনার ভূমিকা কি হতো? মা-বাবা ছেড়ে থাকতেন? বৃদ্ধ মা-বাবা নিজেদের শখ-আল্লাদ জলাঞ্জলী দিয়ে সন্তানকে বড় করে এজন্যইকি? আহ! সন্তানের জন্য মা-বাবা চুরি-ডাকাতি, ঘুষ-সুদ পর্যন্ত খেয়ে নিজের আখেরাত নষ্ট করে। বাবার এই সব অপকর্মের দায়ভার কি সন্তানরা দুনীয়া বা আখেরাতে নেয়?
আর এক প্রকার মামলা আছে যেগুলো আমরা বিচারিক তদন্ত করে থাকি। ঘরভাড়া নিয়ে সমস্যা, পরিবারে পরিবারে দ্বন্দ, জমিজমা সংক্রান্ত ঝামেলা ইত্যাদিকে কেন্দ্র করে শ্লীলতাহানীর অভিযোগে এমনকি ধর্ষণের অভিযোগে পর্যন্ত মামলা দায়ের করা হয়। তদন্ত করে দেখা যায় সেরকম কিছু না। আদতে জমিজমা বা পারিবারিক বিরোধ নিয়ে মামলার সূত্রপাত। এসকল মামলার অভিযোগকারী সাধারণত নারীই হয়ে থাকে।
নারীর প্রতি অসম্মান, নির্যাতন ঘরে-বাইরে, স্কুল-কলেজে কোথাও কম নয়। এজন্য নারীও কম দায়ী নয়। আসুন কিভাবে সেটার দু’একটা উদাহরণ দিই। গত 21/10/20 ইং তারিখে সকাল সাড়ে আটটায় অফিসে যাওয়ার সময় স্কুল পড়ুয়া জুটি আগ্রাবাদ জাম্বুরী পার্কের প্লাটফর্মে গা ঘেষে আড্ডা দেয়ার একপর্যায়ে ছেলেটা মেয়েটার পেটের দিকে আঙ্গুল দিয়ে খোঁচা দিল। উহ! শব্দে মেয়েটি হাসছিল। প্রকাশ্য দিবালোকে এই ধরণের ঘটনায় কি মেয়েটার কোন দায় নাই। আগামী কাল তার জন্য কি অপেক্ষা করছে সেটা জানা না থাকলেও কপালেযে দুঃখ আছে এটা অনুমান করা যায়। মা-বাবাকে স্কুলে-কলেজে যাওয়ার কথা বলে সন্তান কোথায় কি করছে সেটা কি খোজ নিই আমরা।
কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি সহিংসতা নতুন নয়। কর্মক্ষেত্রেই শুধু নয়, সবক্ষেত্রেই নারী আগে নিজেকে নিজে সম্মানীত করতে হবে-তাহলে সে সবার কাছে সম্মান পাবে-নয়তো নয়। কর্মক্ষেত্রে যে পুরুষ সহকর্মী নারীর রুপ, গুণের, সাজ-সজ্জার, রান্না-বান্নার প্রশংসা করছে তার প্রশংসার পিছনের উদ্দেশ্য নারীকে বুঝতে হবে-প্রশংসায় গদগদ হলে নোংরামীতো হবেই। মনে রাখতে হবে সহকর্মী শুধুই সহকর্মী- আর কিছু নয়। তার সাথে অফিসের কাজ ছাড়া ঘরে-বাইরের আর কোন কথা নয়। স্কুল-কলেজে ছেলে বন্ধু শুধু ক্লাশের গন্ডিতেই সীমাবদ্ধ থাকতে হবে। ই্ন্টু, মিন্টু, সিন্টুর অফারে রেস্টুরেন্টে লাঞ্চের দাওয়াত না খেলে কি হবে। জিহ্বাকে সংযত করতে না পারলে সমস্যাহো হতেই পারে। ছেলে বন্ধুদের কিসের বিশ্বাস। কেন বিশ্বাস করে তার সাথে যখন তখন যেন যেত ভাবে মিশতে হবে। স্কুল-কলেজে ছেলে বন্ধুর সাথে সেলফি না তুলেতে পেটের ভাত যে মেয়ের হজম হয়না সে যদি নোংরামির শিকার হয় সে দায় শুধু বাজে ছেলে বন্ধুটার কেন হবে? উভয়েরই হবে। শিক্ষকরা বাধা দিতে পারে না। তাদেরকে মারতে আসে স্টুডেন্টরা-তাই তারাও চুপ করে না দেখার ভান করে বসে থাকে।
শুধু পুরুষের দোষ বলে যারা এনাউঞ্জ করে বেড়ান তারা ঠাণ্ডা মাথায় ভেবে দেখবেন, আপনার বিবেক আপনাকে সায় দিবে।
আমরা মানবিক বিধান এড়িয়ে জাগতিক চিন্তাধারায় ডুবে আছি। তাই সমস্যা দিন দিন প্রকট আকার ধারণ করছে। ধর্ষণের সবচেয়ে বড় কারণ হলো সহশিক্ষা। এর পর রয়েছে ধর্মীয় মূল্যবোধের অভাব। আমরা সবার কাছে ধর্মীয় মূল্যবোধ তল্লাশী করে বেড়াই। শিশু বয়স হতে যে ব্যক্তি ধর্মীয় শিক্ষার বিপরীতে বড় হয়েছে তার কাছে মূল্যবোধ কামনা করা আর মরা গাছে পানি দেয়া সমান কথা। আমাদের গোড়ায় গলদ। যে সময় যাচ্ছে তা ভাল যাচ্ছে। সামনে আরো কঠিন দিন আসছে। ধর্ষণ, শ্লীলতাহানী, অপহরণ, খুন, গুম দিনকে দিন আরো বাড়তে থাকবে। সুতরাং এগুলোকে রুখতে হলে আমাদের প্রজন্মকে (যার যার ধর্ম অনুসারে) আগে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে, পরে জাগতিক শিক্ষা।
আমি নির্যাতিত কিনা জানতে চেয়েছেন। সেজন্য ধন্যবাদ। সে উপাখ্যান না হয় আর একদিন হবে, অন্য কোন দিন , অন্য কোন সময়। ধন্যবাদ। আপনার অনেক সময় নষ্ট করলাম।
জিসান শা ইকরাম
আপনার ২য় মন্তব্যটি একটি পোষ্ট হিসেবেও দিতে পারেন, সামান্য এডিট করে।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
খুরশীদ ভাইয়া আমার লেখাটা কিন্তু ধর্ষণ বিষয়ক আর ধর্ষণের একটা রকম দেখালাম এমন এমন করে করেই পুরুষ নারী কে কলঙ্কিত করে। আমি কিন্তু নারী নির্যাতন নিয়ে কিছু লিখিনি শুধু বলতে চেয়েছি নারীকে মানুষ হিসেবে বরণ করতে । বাসে যখন আপনি আপনার বোন, মা বা মেয়েকে নিয়ে উঠেন তখন কি করেন আগেই তাদেরকে বসার ব্যবস্থা করেন অথচ সেই একই আপনি অন্য মেয়েদের বেলায় সিট ছেড়ে না দিয়ে বসে থাকেন যেন দেখতেই পাননি এটা কিন্তু বেশীরভাগ পুরুষই করে । আমাদের দেশে মেয়েদের জন্য সিট নেই বললেই চলে, যাও থাকে তা-ও ঠিকমতো দখল করে বসে থাকে পুরুষরা। তাই আমি সেটাই বুঝাতে চেয়েছি যে সম্মান আপনি আপনার বোন, মাকে দিচ্ছেন সেই সম্মানটাই অন্য নারীকেও দিন সে ওতো কারো সম্মানের পাত্রী, রাজকন্যা। আপনার বোন, মেয়ে যে কাপড় পড়ে বা যেভাবে বের হচ্ছে দেখা যায় সেই কাপড়েই অন্য মেয়েকে আপনার কাছে লাস্যময়ী বা যৌন আবেদনময়ী মনে হচ্ছে, কিন্তু কেন? তখন আপনার মাথায় এটা কেন কাজ করে না যে আপনার কেউ না কেউ এমনভাবে বাইরে চলাফেরা করছে , তারাও অন্যের লালসার শিকার হচ্ছে? আপনাকে বলা মানে সবাইকেই বলছি ,উদাহরণ দিয়ে আমি পুরুষ কে বোঝাতে চাইছি আপনি দয়া করে মনে কিছু করবেননা। আমি ধর্ষণকে উপস্থাপিত করেছি। সবাই ভালো সেটা আমি বলছি না , আমি বলতে চেয়েছি ধর্ষণের একটা কারণ। পরিবার এজন্য প্রথমেই দায়ী তারপর আমাদের সমাজ ব্যবস্থা। একজন বাবা বা মা যে আচরণ টা ছেলে সন্তানের সাথে করে সেই একই ঘটনায় মেয়ে সন্তানের সাথে উল্টো আচরণ করে, মেয়েদের চলাফেরার দোষ দেয়, প্রথমেই মেয়েকে বিয়ে দেয়ার কথা বলে। কিন্তু ছেলের জন্য সব মাপ করে দেয়। সমাজ ও একই কাজ করে মেয়েদের দোষটাই আগে বের করে। আশা করি আপনি আমার লেখার সারমর্ম টা বুঝতে পেরেছেন। যেসব ঘটনা ভাইরাল হচ্ছে তা খুবই সামান্য সেটা আপনি ও জানেন , বুঝেন। ধন্যবাদ ভাইয়া শুভ কামনা রইলো
মোঃ মজিবর রহমান
আপু ষড় রিপু যারা নিয়ন্ত্রন করতে পারে তারা ঋষি বা মহামানব। তাই স্রস্টার ইচ্ছা কি মাঝে মাঝে ভুলেই যায়। মন দিলা দিল দিলা নিয়ন্ত্রন চাবি রাইখা দিলা।
আর খারাপের স্বীকার দুর্বলরা। শুধু নারী না। কর্মভেদে আলাদা কার্য্য এই যা। খারাপ খারাপই।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া। খুব সুন্দর করে বললেন। খারাপ ভালো সবখানে সবকিছুতেই আছে। খারাপ আসলেই সবার জন্য খারাপ। নিরন্তর শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন
মোঃ মজিবর রহমান
সহমত রইল।
রোকসানা খন্দকার রুকু
যুগ-যুগান্তরে পুরুষত্ব এভাবেই সমাজ , সংসারে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ধর্ষণের খড়গ দন্ড হিসেবে। পুরুষ তুই কবে মানুষ হয়ে নারীকে করবি বরণ???***
অসাধারণ দিদিভাই। আসলেই পুরুষরা কবে মানুষ হবে?
শুভ কামনা॥
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আপু অনেক অনেক ভালো লাগা রইলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে উৎসাহিত করার জন্য। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন শুভ কামনা রইলো
মোঃ খুরশীদ আলম
পুরষরা সেদিনই মানুষ হবে যেদিন মায়েরা তাদের সন্তানদেরকে (ছেলে-মেয়েকে) মানুষের মতো মানুষ করে গড়ে তুলতে পারবে, অন্তত গড়ে তুলার চেষ্টা করবে।
শামীম চৌধুরী
শরীরের ভাঁজে ভাঁজে যে অমৃত সুখধারা লুকায়িত থাকে গভীর অন্ধকারে
এই লোভ সংবরন করতে যেদিন পারবে সেদিন পুরুষ মানুষ হবে।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আপনার অসাধারণ মন্তব্যে মনটা ভরে গেল ভাইয়া। অফুরন্ত ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। নিরন্তর শুভেচ্ছা ও শুভকামনা
মোঃ খুরশীদ আলম
লোভ সংবরণ করার প্রধান উপায় হলো আত্নশুদ্ধির চর্চা অব্যাহত রাখা। আমরা সেদিক থেকে অনেক পিছিয়ে আছি। আমরা আছি নতুন নতুন গ্রহ আবিস্কারের তালে।
সাবিনা ইয়াসমিন
যারা মিথ্যা বলে, প্রলোভন প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে মানুষের সাথে সম্পর্ক গড়ে সেইসব পুরুষদের পুরুষ বলতে আমার আপত্তি আছে। নারীত্ব এবং পুরুষত্ব দুটোই মৌলিক, তবে এগুলো সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করেই এর ধারক/বাহক হতে হয়। শুধু পুরুষ নয়, মানুষ হতে হয় নারী পুরুষ উভয়কেই। অমানুষকে লিঙ দিয়ে বিচার করা যায় না।
“ চযেমন শাহজাহান ” এই লাইনটা এডিট করুন প্লিজ।
ভালো থাকুন, শুভ কামনা 🌹🌹
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ধন্যবাদ আপু ঠিক করেছি। আপনার সুন্দর, গুছিয়ে মন্তব্য সবসময়ই ভালো লাগে। ভালোবাসা অবিরাম 💓💓। নারী, পুরুষ উভয়কেই মানুষ হতে হবে ঠিক বলেছেন কিন্তু মেয়েরা সহজে খারাপ কাজে লিপ্ত হয় না ওদেরকে বাধ্য করা হয় বিভিন্ন উপায়ে, ফাঁদে ফেলে। সবখানেই ব্যতিক্রম আছে। আমি শুধু আনুপাতিক হার যেদিকে বেশি, যেটা ঘটে অহরহ সেটাই তুলে ধরেছি। অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা আপু। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা নিরন্তর
সাবিনা ইয়াসমিন
আনুপাতিক হারের কথা যদি বলি তাহলে মেয়েদের বেলায়ও এই কথাই থাকবে। সমাজে নারীলোভী পুরুষ, আছে দুরাত্মা নারীও। মেয়েরা যেমন পুরুষদের বিভিন্ন ভাবে দোষী করতে পারে, তেমনি নির্যাতিত পুরুষের সংখ্যা নেহাত কম নেই। প্রলোভন প্রতারণার স্বীকার হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে এমন পুরুষ অগুনতি। নারীরা ধর্ষণ বাদে এমন কোন অপরাধ নেই যা করতে পারে না / করে না। এইজন্যই বলেছি, শুধু পুরুষদের পুরুষ নয়, নারী পুরুষ উভয়েরই মানুষ হওয়া জরুরী। প্রকৃতি পক্ষে অপরাধীকে লিঙ দিয়ে নয়, বিচার করতে হবে অপরাধের ধরনের উপর ভিত্তি করে।
এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। আশা করছি আপনি বিরুপ নিবেন না। 🙂
শুভেচ্ছা রইলো সুন্দর পোস্টের জন্যে।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আপু এখানে ধর্ষণ বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়েই লেখাটা লিখেছি। সার্বজনীন ভাবে ভাবলে , দেখলে আমরা সবাই অপরাধী, বিবেকহীন, মনুষ্যত্ব হীন। সেটি নিয়ে আগামীতে লেখার ইচ্ছা আছে। অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা আপু। ভালোবাসা অবিরাম 🌹🌹। শুভ সকাল
সুরাইয়া পারভীন
সবকিছু ছাপিয়ে যেদিন মানুষের অবয়বে গড়া না-মানুষ গুলো মানুষ হবে সেইদিন থেকে জোর জবরদস্তি ধর্ষণ কিংবা মিথ্যে ছলনায় ভুলিয়ে ধর্ষণ উঠে যাবে।
দুর্দান্ত লিখেছেন।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ভালো লাগা জানবেন আপু। পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞ। নিরন্তর শুভেচ্ছা ও শুভকামনা। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন
খাদিজাতুল কুবরা
দারুণ লিখেছেন দিদি ভাই।
পুরুষ যদি প্রথমে মানুষ হতো তাহলে আজকে এই পরিস্থিতির জন্ম হতোনা।
গায়ের জোরে পুরুষ হতে গিয়েই তারা আর মানুষ হতে পারলোনা।
আর ছলনা! সেতো তাদের আরেক মিছরিরছুরি। এটি ব্যাবহার করে কতো জীবন পদদলিত হয়েছে তার তো সঠিক পরিসংখ্যান নেই।
প্রতিটি মানুষ নারী পুরুষ নির্বিশেষে প্রথমে মানুষ হোক এই প্রত্যাশা করি।
অনেক শুভেচ্ছা রইল
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আপনার সুন্দর, সুচিন্তিত মতামত এর জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই আপু। আমাদেরকে মানুষ হতে হবে মননে, মানবিকতায়। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন শুভ কামনা অফুরন্ত। শুভ সকাল
তৌহিদ
যে পুরুষ একজন নারীর গর্ভে জন্মধারণ করে নারীকেই নিপীড়ন করে, নারীর সম্ভ্রমহানী করে সে পুরুষ নয় কুলাঙ্গার। যারা বলে নারীর চলনবলন এসবের জন্য দায়ী সে পুরুষ নিজেই একটা বেজন্মা।
পুরুষ নিজের মনের শয়তানকে বধ করতে পারেনা, দোষটা ঠিকই নারীর দিকে দিয়ে দেয়।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই আপনার সত্য, সুন্দর মন্তব্যের জন্য। শারদীয় দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।