
দৌড়াতে দৌড়াতে কোনমতে দরজার হাতল ধরে ট্রেনে উঠে পড়ল শফিক নহর। পেছনে হাপাতে হাপাতে আমিও কোনমতে উঠে পড়লাম। বামহাতে শক্ত করে ধরা ছিল শামীম চৌধুরীর লেখা “বাংলার পাখি বাঙালির পাখি” বইটি। তৌহিদ ভাই বললেন আগে এই ছিটটাতে বসে একটু জিড়িয়ে নিন ভাই। আমি বসতে না বসতেই উর্বশী ফোড়ন কেটে বলল “আগেই বলেছিলাম একটু আগেভাগে রওনা হউন, না হলে সময়মতো পৌঁছতে পারবেন না, কে শোনে কার কথা!” তার সাথে সুর মেলাল সুরাইয়া পারভীন। বন্যা আপাও কম যান না। তিনিও বলে উঠলেন “সুপায়ন দা সবসময়ই অলস টাইপের লোক, একবার ঘুমালে আর তাকে কে ঘুম থেকে ওঠায়!”
এতক্ষণ সব কথা শুনছিলেন আর মিটমিট করে হাসছিলেন জিসান ভাই। পাশ থেকে ছাইরাস হেলাল ভাই বলে উঠলেন “খুব তো মজা নিচ্ছেন ভাই, এবার আপনি কিছু বলেন।” জিসান ভাই মুহুর্তেই গুরুগম্ভীর হয়ে উঠে বললেন, “রাতে শোবার সময়ই বলেছিলাম সবাই আযানের আগে উঠে যাবেন, তা না হলে শামীম ভাইয়ের মামা দেখার গল্পের মতো হবে। ট্রেন ফেল করলে সুন্দরবন দেখা আর কপালে জুটবে না।” এবার দাঁত কেলিয়ে হেসে ফয়জুল মহী বলে উঠল “তাই বলে কি একটু ঘুমুতেও দেবেন না! আমরা কি সারারাত জেগে থাকাটাই ভাল ছিল?”
বিজ্ঞ বিচারকের মত অনেকক্ষণ চুপ থেকে তৌহিদ ভাই বললেন এখন ওসব কথা থাক, বরং আমাদের পরবর্তী প্রোগ্রাম ঠিক করে ফেলি। দালান জাহান সায় দিয়ে বলল সেটাই বরং ভাল হবে। মমি ভাই ব্যাগ থেকে খাতা কলম বের করে বললেন, “কার কি প্রস্তাব আছে বলে ফেলেন। তা না হলে ট্রেন থেকে নেমে আর সময় পাওয়া যাবে না। তখন আবার দৌড় দিয়ে মংলার বাস ধরতে হবে।” সাবিনা ইয়াসমিন বলল “ঠিকই বলেছেন, এখনই মোক্ষম সময়, কার কি প্রস্তাব আছে আমরা বলে ফেলি।”
সুপর্ণা ফাল্গুনী বলল, “আমরা স্টেশনে নেমেই নাস্তা সেরে নিতে চাই।” কিন্তু ভেটো দিয়ে বসলেন বন্যা ইসলাম। তিনি বললেন সেটা ঠিক হবে না, বরং ট্রেনের ভেতর নাস্তা সেরে নিলেই ভাল হবে। আরজু মুক্তা ও সঞ্জয় মালাকারও তার পক্ষে ভোট দিলেন। বন্যা লিপি আপু বললেন ” ঠিকই বলেছেন। তাতে নাস্তাটাও আগেভাগে সেরে ফেলা যাবে, আবার সময়ও সাশ্রয় হবে।” এবার নাজমুল হুদা বলল, “আপনি তো সারাদিনই খাই খাই করেন, একদিন না খেলে কি হয় বলুন তো!”
ইসিয়াক ভাই রাসভারী টাইপের মানুষ। কিন্তু তিনি যে এত মজা করে কথা বলতে পারেন, তা এতক্ষণ কেউ টেরই পায়নি। তিনি গম্ভীরভাবে বললেন, “চলুন আমরা বরং আগামী দু’দিন না খেয়ে কাটিয়ে দিই।” প্রদীপ চক্রবর্তী ও শামীনুল হক হীরা ভাই তার কথায় হো হো করে হেসে উঠলেন। তাদের হাসি শুনে প্রদীপ দা বললেন, “ট্রেনে কিন্তু আরও অনেক লোক রয়েছে, এত জোরে হাসলে তো অন্যরা বিরক্তও হতে পারেন।” আলমগীর সরকার লিটন ভাই সুযোগ পেয়ে বললেন, “এই জন্যই আমি আপনাকে জ্ঞানবাবু বলে ডাকি।” এইকথা শুনে সুরাইয়া নার্গিস আপু আরও জোরে হেসে উঠলেন। এতক্ষণ একটু দূরে দাঁড়িয়ে ছিলেন রেহানা বীথি আপু। এবার তিনি একটু এগিয়ে এলেন। একজন আদর্শ শিক্ষিকার মতো বলে উঠলেন, “ওসব কথা রেখে এবার কাজের কথায় আসুন, প্রোগ্রামটা ফাইনাল করুন।” রোকসানা খন্দকার রুকু আর খাদিজাতুল কুবরা আপু মাথা নেড়ে উনার কথায় সম্মতি জানালেন।
মাহবুবুর রহমান ভাই প্রস্তাব দিলেন ট্রেনে নাস্তা সেরে আমরা স্টেশনে নেমে যত তাড়াতাড়ি পারি মংলার বাস ধরব। বাস থেকে নামার আগেই কামরুল ইসলাম ও মজিবর রহমান ভাইকে ট্রলার রেডি রাখার জন্য ফোন দেব। উনারা হয়তো এতক্ষণে ট্রলার ঠিক করে রেখেছেন। ফোন করে আমরা এখনই বলে দেব যেন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রগুলো কিনে রাখে। ট্রলার নিয়ে সোজা ডাইংমারি ফরেস্ট অফিসে যেতে হবে। ওখান থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতি ও দু’তিন জন গার্ড নিয়ে আমরা হিরণপয়েন্টের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যাব। খুরশীদ আলম বললেন, “অনুমতির জন্য ভাবতে হবে না, আমার মামা ওখানকার ফরেস্ট অফিসার, তাকে বলে রেখেছি অনুমতিপত্র রেডি রাখতে।”
রেজওয়ানা কবির আপা বললেন বনের মধ্যে গিয়ে কেউ যেন এলোমেলোভাবে ঘোরাফেরা না করেন। বনের মধ্যে বাঘ-ভল্লুক ছাড়াও জলদস্যু বা বনদস্যু ঘোরাফেরা করে। ওরা সুযোগ পেলেই কাউকে অপহরণ করে জিম্মি করতে পারে। এ কথা শুনে মুহাম্মদ মাসুদ ছু মন্তর ছু বলে ম্যাজিসিয়ানের ভঙ্গিমায় ব্যাগ থেকে একখানা বই বের করলেন। “এই দ্যাখেন বিখ্যাত ভ্রমণকাহিনী লেখক কামাল উদ্দিন ভাইয়ের লেখা সাতরঙা ছবিযুক্ত বিখ্যাত বই ” বাংলার পথে প্রান্তরে”। এই বইখানা নিয়ে আমি গাইডের মত সামনে সামনে যাব, আর আপনারা আমার পেছনে পেছনে।” বিন্দুমাত্র দেরী না করে মুক্তা মৃণালিনী বললেন, তাহলে তো ভালোই হবে, বাঘমামা প্রথমে আপনাকেই নাগালে পেতে যাচ্ছে।
সমস্ত পরিকল্পনা করতে করতে ট্রেন প্রায় খুলনার কাছাকাছি চলে এসেছে। সুতরাং তড়িঘড়ি নাস্তা খেয়ে নিতে হবে। কিন্তু ইঞ্জা ভাই যে পরিমান খায়, তা কি দশ বিশ মিনিটে হয়। কিন্তু উপায় কি! হাতে সময় না থাকায় কোনমতে কটা নাকে মুখে দিয়ে নেমে যেতে হল। ট্রেন থেকে নেমেই হুড়মুড় করে বাসের জন্য দৌড়। উঠতে না উঠতেই বাস ছেড়ে দিল। কিন্তু কেউ খেয়াল করেনি মনি কাশফিতা তখনও বাসে ওঠেনি। সে দৌঁড়ে উঠার চেষ্টা করছে আর চিৎকার করছে। হঠাৎ তৌহিদ ভাই খেয়াল করলেন বিষয়টি। সিট থেকে উঠে দৌঁড়ে গেটে এসে হাত বাড়িয়ে দিলেন। কোনমতে টেনেহিঁচড়ে তাকে ভিতরে উঠালেন। কিন্তু কাশফিতা আর হাত ছাড়ছে না। ত্রিস্তান শামসুল মওলা হৃদয় এই দৃশ্য দেখে গেয়ে উঠলেন “ছেড়ো না ছেড়ো না হাত, দেব না দেব না গো যেতে থাকো আমার পাশে……”। সবাই হো হো করে হেসে উঠল। কিন্তু একজন রাগে খিটিমিটি করছে। তৌহিদ ভাইয়ের পাশে বসা সুন্দরী রমণী শবনম মুস্তারী রাগে জ্বলতেছে। ততক্ষণে তৌহিদ ভাই বিষয়টি বুঝতে পেরে হাতটি ছেড়ে দিয়ে নিজ আসনে গিয়ে বসলেন।
বাসটি তখন দুরন্ত গতিতে ছুটছে। তবুও সাফায়েতুল ইসলাম ভাই উঠে দাঁড়ালেন। তিনি ঘোষণা দিলেন এখন শুরু হচ্ছে আমাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের শুরুতেই মহারাজ ছাইরাস হেলালের একটি কবিতা গাইছেন প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী তোফায়েল হোসেন। তিনি তার পরিবেশনায় সবাইকে মুগ্ধ করে দিলেন। এরপর অপূর্ব কণ্ঠে গান নিয়ে হাজির হলেন আরজু মুক্তা আপু। ” পান খাইয়া ঠোঁট লাল করিলাম বন্ধুর ভাগ্য হইল না…..” গানে সবাই মাতোয়ারা হয়ে গেলেন। এভাবে একে একে সকলের পরিবেশনার মধ্যে দিয়েই আমরা পৌঁছে গেলাম মংলায়।
বাসে ওঠার মতই ট্রলারে উঠতে গিয়েও ঘটল আরেক বিপত্তি। ব্লগ সঞ্চালক ব্লগ চালানোর চমৎকার কৌশল জানলেও ভালমতো সাঁতার জানেন না। তাই ট্রলারে উঠতে গিয়ে তার গা কাঁপতে লাগল। ভাবীসাহেবা তার হাত ধরে উঠানোর চেষ্টা করলেও তিনি পা পিছলে পানির ভিতর পড়ে গেলেন। জিসান ভাই আর ছাইরাস হেলাল ভাই তাকে দৌঁড়ে গিয়ে উঠিয়ে আনলেন। ততক্ষণে তিনি কয়েক ঢোক নদীর জল গিলে ফেলেছেন। কাঁদো কাঁদো গলায় ভাবী তাকে বললেন, ” এই তোমার পেট এত উঁচু মনে হচ্ছে কেন, তুমি কি অনেক পানি খেয়ে ফেলেছ?” কিন্তু তিনি স্বাভাবিক থাকার ছল করে বললেন, “আরে না না, কই! আসলে আমার খুব তেষ্টা পেয়েছিল তো, তাই গলাটা একটু ভিজিয়ে নিতে গিয়েছিলাম।”
আর কিছুক্ষণ পরই আমরা পৌঁছে যাব ডাইংমারি ফরেস্ট অফিস। সুন্দরবন এলাকায় অলরেডি আমরা ঢুকে পড়েছি। কি অপরূপ দৃশ্য। নদী আর সবুজের অপার সোন্দর্যে সবাই মুগ্ধ। সুন্দরী, গেওয়া, গরান, কেওড়া, গোলপাতার চমৎকার সাজানো বেহেস্তী বাগান যেন। শত শত পাখি, বানর আর হরিণদের দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ এখানেই একটু নৌকা ভিড়ানোর অনুরোধ জানাচ্ছেন। তাই অনেকের অনুরোধে নৌকা ভিড়ানো হল। আমরা দুই একজন নেমে পড়লাম। সবাই মনের আনন্দে ছবি ওঠাতে লাগল। কতগুলো কৌতুহলী বানর আমাদের কাছাকাছি এসে আমাদের কাণ্ডকারখানা দেখতে লাগল। তৌহিদ ভাইয়ের খুব শখ হল তিনি বানরের সাথে ছবি উঠাবেন। তাই তিনি বানর সাহেবের হাত ধরে কাছে আনার চেষ্টা করলেন। আর অমনি বানরটি সপাৎ করে কানের উপর এক চড় বসিয়ে দিল। অপ্রস্তুতভাবে বেকায়দায় লেগে যাওয়ায় তৌহিদ ভাই অজ্ঞান হবার মত পড়ে গেলেন। বানরটি এবার হাত ও মুখ দিয়ে কানের কাছে দুই একটা ঘষা দিল। কামাল ভাই এগিয়ে গেলে বানরটি দূরে সরে গেল। ছাইরাস হেলাল ভাই হাত দিয়ে চোখে একটু পানি ছিঁটিয়ে দিতেই তৌহিদ ভাইয়ের সম্বিত ফিরে এল। শবনম মুস্তারী তোহিদ ভাইকে জিজ্ঞেস করল “বানরটি তোমার কানের কাছে কি বলিল?” তৌহিদ ভাই স্বাভাবিক ভাব দেখিয়ে বলল, “বানরটি বলিল আই লাভ ইউ”।
অতপর সবাইকে আবার নৌকায় ওঠার আহবান জানানো হল। আমরা সবাই নৌকায় উঠতে যাচ্ছি। এমন সময় আমার ফোনটি বেজে উঠল। এত রাতে হঠাৎ কে ফোন দিল! থতোমতো খেয়ে ফোনটি ধরতেই অপর পাশ থেকে বলে উঠলেন, “আমি ইঞ্জা বলছি হালিম ভাই, এখনো গল্পটি পোস্ট দিলেন না………!!!”
৩৮টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
“কতগুলো কৌতুহলী বানর আমাদের কাছাকাছি এসে আমাদের কাণ্ডকারখানা দেখতে লাগল ” এটা ভাল ছিল/হয়েছে খুউউউব !!
তবে কবি-ছড়াকার-লেখকদের এই একটি মস্ত সুবিধে, পানি দিয়েও দই রেঁধে দিতে পারেন!!
হালিম নজরুল
ভাই,
বেশ ক’দিন মারাত্মক সময়সংকটে আছি। রাত দশটায় ইঞ্জা ভাইয়ের তাগিদ পেয়ে বাধ্য হয়ে রাতেই লিখে ফেলললাম। জানিনা কি দিয়ে কি লিখেছি। তাড়াতাড়ি লিখতে গিয়ে কি করেছি আল্লাহই ভাল জানেন। হা হা হা
ছাইরাছ হেলাল
আপনি যা বলেন তাই-ই ভালোলাগে, ভাই।
আরজু মুক্তা
ওরে আল্লাহ! গল্প পড়ে আমি অজ্ঞান। যাই হোক সুন্দরবন ঘুরে আমার খুব ভালো লাগলো। ভাই, আপনাকে ধন্যবাদ। সবাইকে এক কাতারে এনেছেন। ইন্জা ভাই কি সারাদিন আর খাইতে চায়নি? আর তৌহিদ ভািকে নিয়ে দেখি সবখানে ঝামেলা। বাবু খাইছো থেকে এখন যাই হোক আই লাভ ইউ তে পৌছায়ছে।
শুভকামনা।
কতো স্বপ্ন যে ব্লগাররা দেখবেন!!!
হালিম নজরুল
ইঞ্জা ভাই ফোন না দিলে স্বপ্ন আরেকটু বড় হত। তবুও তড়িঘড়ি করে যা পারলাম, তাই লিখলাম।
হালিম নজরুল
আরেকবার পইড়েন আপা।
নাজমুল হুদা
হা হা হা। হাসি থামছে এখন একটু বলি-
বড় আপুকে আমি এই কথা কখনও বলি নাই। যদিও আপু বেশি বেশি খায়,শেষে আবার পান সুপারিও খায়। এটার জন্য মাঝে বলি পান না খায়তে। উদাহরণ হিসেবে মাঝে মাঝে আমাকে দিয়ে বলি- দ্যাখেন না আমার দাঁতগুলো ধবধবে সাদা, আমার কাছে থেকে একটু শিখতে পারেন। এইভাবে পান খাইলে আমার বোন আপনাকে কেউ কইতো না। তাও খায় বেশি বেশি। 😆
এই গল্পের নায়কের চরিত্রে দেখতাছি- তৌহিদ ভাইয়া। সবাই খালি ভাইয়াকে নিয়া টানাটানি করে, বানরটাও ছাড়লো শেষ পর্যন্ত 😆
হালিম নজরুল
আমার স্বপ্নের মধ্যে আপনি আপারে কইছিলেন। ঠিকমতো মনে করেন ভাই। হা হা হা
মোঃ মজিবর রহমান
ইঞ্জা ভাইয়ের ফোনেই বেহুশেই কাত, আমরা ট্রলার লইয়া বইসা থাকিলাম। আসলেন তো হালিম ভাই।
অনেক মজার হাসির ঘটনা দারুনভাবে ও চমৎকার সুবল ভাষায় আনলেন। খুব খুব ভাল লাগিল।
হালিম ভাই অনেক গল্পকার সুন্দর সুন্দর গল্পে আনন্দ ফুর্তি করছি কিন্তু সত্যি করেই আমরা একটি আনন্দ ভ্রমণ করিতে পারি। আমি প্রস্তাব রাখি;লাম, আপনার মাধ্যমে ব্লগ কর্তপক্ষের নিকট।
হালিম নজরুল
ধন্যবাদ ভাই। আপনার প্রস্তাব যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেয়া হল।
মোঃ মজিবর রহমান
ধন্যাবাদ নজরুল ভাই।
আলমগীর সরকার লিটন
খুবি মজার লেখেছেন নজরুল দা লাল স্যালুট জানাই
হালিম নজরুল
এই আনন্দে শরিক হবার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
বাহ্ সুন্দরবন ঘুড়িয়ে আনলেন। অল্প সময়ে এতো চমৎকার উপস্থাপন দারুন লেগেছে ভাইয়া। ধন্যবাদ ভাইয়া। এবার তো আমার পালা কি যে হবেনি কে জানে? আমার জন্য দোয়া কইরেন সবাই। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য
হালিম নজরুল
শুধু সুন্দরবন কেন! পরবর্তীতে স্বপ্ন দেখার সুযোগ পাইলে আপনাকে পুরো বিশ্ব ঘুরিয়ে আনব। আপাতত সময়ের অভাবে সুন্দরবন পর্যন্তই থামলাম।
খাদিজাতুল কুবরা
বাহ্ চমৎকার স্বপ্ন দেখিয়েছেন। দল বেঁধে বেড়ানোর জন্য সুন্দরবন আদর্শ জায়গা ।সবাই মিলে ট্রেন জার্নিটা সত্যি উপভোগ্য মনে হবে।
অনেক শুভেচ্ছা রইল।
হালিম নজরুল
এমন মজার আয়োজন হলে ভালোই হয়। ততক্ষণ শুভকামনা রইল
সুরাইয়া পারভীন
আহা! আমিই সুরে সুর মিলিয়ে কথা শুনাচ্ছি তারা দেরীতে এসেছে অথচ আমার চেয়ে লেট লতিফ দুটো নেই😁😁 হা হা হা হা হা বেচারা তৌহিদ ভাইয়া শেষে কিনা 🐒। যাক আপনার স্বপ্ন গল্পের জন্য বহুল কাঙ্ক্ষিত সুন্দর বন ঘুরতে পেরে সেই খুশি আমি। এমনটা ভ্রমণ হলে দারুণ হয় কিন্তু
হালিম নজরুল
এমন ভ্রমণ ভাল লাগে বলেই তো স্বপ্নটা দেখলাম।
শামীম চৌধুরী
আমিতো আপনার জন্য ট্রেনে খেতেই পারিনি। যার জন্য ভুখা পেটে মংলা যেতে হলো। এখানেও ব্লগের সঞ্চালক পানিতে পড়েছে? যাক শবনমের মতন বলে নি বাবু পরশুর নদীর পানি খাইছো? কেন যে আপনার ফোনটা বেজে উঠলো। ফোনটা বন্ধ করে যদি ঘুমাতেন তবে আমরা কটকা,কচিখালি,হীরন পয়েন্ট ও হাড়বাড়িয়া ঘুরে আসতে পারতাম। মামার সঙ্গেও দেখা হতো নিশ্চিত।
স্বপ্নে আমাদের সবাইকে ভিন জগতে নিয়ে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
হালিম নজরুল
হ্যাঁ ভাই, স্বপ্নটা দীর্ঘ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সময়সংকটে সেটা আর হল না। আপাতত এটুকু নিয়েই খুশি থাকতে হচ্ছে।
মনির হোসেন মমি
শামীম চৌধুরীর লেখা “বাংলার পাখি বাঙালির পাখি”
এই দ্যাখেন বিখ্যাত ভ্রমণকাহিনী লেখক কামাল উদ্দিন ভাইয়ের লেখা সাতরঙা ছবিযুক্ত বিখ্যাত বই ” বাংলার পথে প্রান্তরে”।
তৌহীদ-শবনম জুটির দারুণ এনজয়েবল দৃশ্য।আরজু আপুর গান। মোট কথা একটটি স্বার্থক গল্পের এটি একটি ।আর সর্বো শেষদৃশ্যে যখনস স্বপ্ন ভঙ্গের রিং এলো-হালিম ভাই, এখনো গল্পটি পোস্ট দিলেন না………!!!”
চমৎকার।ধন্যবাদ ভাই।
হালিম নজরুল
আপনি যেহেতু পজিটিভ বলেছেন, তাহলে বোধ হয় ভালোই লিখেছি ভাই। ধন্যবাদ সবসময় পাশে থাকার জন্য।
রোকসানা খন্দকার রুকু
ভাই শাসন শোষন কোনটিতেই আমি নেই। ভালো হয় সবাই মিলে এমন একটা ঘুরান দিলে।
শুভ কামনা।
হালিম নজরুল
চলেন যাই। করোনা হয় হোগগে। হা হা হা
রোকসানা খন্দকার রুকু
আমি তো মুখিয়ে থাকি কখন বেড়ানো যায়।
আমাদের একটা দলও আছে। করোনা ফরোনা পাত্তা পায়নি। আমরা দিব্যি ঘুরেছি সবকিছু মেনেই। আপনারা আয়োজন করেন হাজির হব।
উর্বশী
সালাম ব্যস্তপাখি ভাইয়া। স্বপ্নের গল্প পড়তে পড়তে মনে হচ্ছে বাস্তবতায় চলে এসেছি।সত্যি এই স্বপ্নটি পূরন হওয়া চাইলেই মনে হয় বাস্তবায়ন করা সম্ভব।শুধু সময় ও পরিবেশ দেখে পথ চলতে হবে।তাহলে আমাদের একটি নয় দুটো প্রজেক্ট হলো তাইনা? ” সুন্দরবন টু হাজার দুয়ারী ”
ফোড়ন কাটা বুঝিনা—- তবে এই খুনশুটি তো সারাজীবন থাকবে ব্যস্তপাখি। আপনি অনেক বিজি থাকেন,ইদানিং তো প্রতিভায় কিছু সময় দিচ্ছেন,তার মাঝেও স্বপ্ন গল্পের উপস্থাপনায় দারুন সম্ভাবনার দিক বিবেচনা করে সবাইকে সুন্দর স্বপ্ন দেখার আহবান জানিয়েছেন।
অবশ্যই এটি সোনেলার জন্য পজেটিভ। আর একার পক্ষে কখনোই ভাল জিনিস হয়না,সম্মিলিত ভাবে একটি সুস্থ ধারার ও সুন্দর কাজ উপহার দেয়া সম্ভব।
আশা করি অন্তত আপনার লেখনির মাঝে কর্তৃপক্ষের সু- চিন্তা– ভাবনার প্রয়াস পাবে।
খুব ভাল থাকুন,অফুরান শুভ কামনা সব সময়।
হালিম নজরুল
কত রকম স্বপ্ন দেখি, কিন্তু বাস্তব হয় না। তবে এই স্বপটা বাস্তব হবার স্বপ্ন দেখি।
উর্বশী
ব্যস্তপাখি ভাইয়া, আপনার সাথে আমিও বাস্তবায়ন হোক বা হবে তার দলে। হাজার দুয়ারী র কথা মাথায় রাখবেন।সেটা আমার সেটাপ করা আছে প্রাইমারী ভাবে,ফাইনাল করবো আপনার এবং আপনাদের সাথে মিলে।যদি নেগেটিভ করেন,আগে ভাগেই জানিয়ে দিবেন।
আমার স্বপ্ন গল্পটি লেখার আগে হোটেল হাজার দুয়ারী র সাথে সত্যিকারের বিজনেস সম্পর্কে পৌনে তিন ঘন্টা আলাপ– আলোচনা হয়।এক পর্যায়ে কুঁড়েঘর প্রসংগ আসে, এবং সেখানে প্রোগ্রাম করার কথা বলে দেই।বলতে পারেন সেই ভাবনাটি স্বপ্নের সফল গল্প,তবে বাস্তবায়ন হলে শতভাগ মূল্যায়ন হবে।
সুন্দরবনের সফলতা শতভাগ হবে। কারণ যে কেউ চাইলেই যেতে পারবেন,আমার স্বপ্নের গল্পে পাসপোর্ট একটি বিশাল ঝামেলা।ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও উপস্থিতি তুলনামূলক কম হবে হয়তো, তাও যদি সবাই যাওয়ার ইচ্ছা রাখেন।দেখা যাক।
আমাদের প্রোগ্রাম হবে, প্রোগ্রাম করছেন এটা মাথায় গেঁথে ফেলুন।
ভাল থাকুনকর্মস্থলে, শুভ কামনা সব সময়।
রেহানা বীথি
সুন্দরবনে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ হালিম নজরুল ভাই। দারুণ স্বপ্ন দেখালেন। তৌহিদ ভাই সবার স্বপ্নেই বেশ নাস্তানাবুদ হচ্ছেন, ঘটনা কী?
হালিম নজরুল
সবাই ভাললাগা স্বপ্ন দেখতে চায়, আমিও চেষ্টা করেছি। আর তৌহিদ ভাই! প্রকৃতপক্ষে সবাই উনাকে ভালবাসে বেশি, এটাই গল্পগুলোতে প্রমাণ হয়েছে।
জিসান শা ইকরাম
আমি পড়ায় এত নিমগ্ন ছিলাম যে মনে হচ্ছিল সত্যিই সবার সাথে ট্রেন, বাস আর ট্রলারে যাচ্ছি।
এত জীবন্ত ভাবে কি করে লেখেন জানিনা ভাই, এটি জানালে ভীষন উপকার হতো।
জাস্ট অসাধারন একটি স্বপ্ন কাহিনী দিলেন ভাই।
শুভ কামনা।
হালিম নজরুল
এতটাই ব্যস্ত আছি যে সোনেলার কাছেও ঠিকমতো আসতে পারছি না। কিন্তু আপনাদের ভালবাসাকে উপেক্ষা করতে পারি না। তাই তড়িঘড়ি করে যা পারলাম লিখে ফেললাম। এমন প্রেরণা পেলে আরও ভাল লেখার চেষ্টা করব।
তৌহিদ
ঘটনার ঘনঘটায় এদিক সেদিক ঘুরে সেই স্বপ্নেই বানরের পাল্লায় পড়ে আবার নিজেই মার খেয়ে স্বপ্ন ভেঙে গিয়েছিলো বলে মন্তব্য করতে পারিনি ভাই। বানরেরা এরকমই দুষ্টু হয়। তবে স্বপ্ন লিখেছেন ভালো।
শুভকামনা রইলো।
তৌহিদ
স্বপ্নে সুন্দরবন ঘুরে এলাম। মনে হলো একেবারে বাস্তবিক সামনেই আছি আমিও। চমৎকার লিখেছেন কিন্তু! একেবারে প্রাণবন্ত।
হালিম নজরুল
ভালোবাসি, ভালবাসব।
সুরাইয়া নার্গিস
বাহ্ অসাধারন।
ভাইজান কি মন্তব্য করবো ভেবেই পাচ্ছি না, লেখাটা এতটা জীবন্ত যে গল্পের প্রতিটি মানুষ আমার চেনা এবং সবাইকে চোখে ভাসছে ☺
অনেক ভালো লিখছেন ভাইজান গল্পে হলেও সুন্দর বন দেখার সৌভাগ্য হলো।
ভালো থাকুন, দোয়া রইল।
হালিম নজরুল
ধন্যবাদ ও শুভ