
ও পাহাড়ী কন্যা আমার
তোমাকে মানায় খাঁচা বাঁধা মাথায়
বুকে বেঁধে শিশু চা বাগানের কলির উষ্ণ ছোয়ায়
তোমাকে মানায় উদার গণতন্ত্রের বাংলার টেলিভিশনের পর্দায়।
নৃত্যরত অবস্থায় বাংলার মিশ্র সংস্কৃতির উদার ভূমিতে
জাতীয় অনুষ্ঠান বিদেশীদের বাহবা কুড়াতে।
উদার গনতন্ত্রের মানবিক বাংলাদেশ বলে।
তোমাদের জন্য আসে ডোনেশন, উন্নয়নের চাকা হয় সচল।
তোমার উপর যখন বর্বতার আচঁর পড়ে
বাংলাদেশ হয় ক্ষত বিক্ষত, বিশ্ব বিবেক হয় শঙ্কিত।
যারা পাশবিক উন্মত্ততায় মাতে আমার পাহাড়ী কন্যার গায়
শকুনের লোলূপ দৃষ্টি মেলে উদোম নৃত্য করে।
হিংস্র নেকড়ের থাবায় ক্ষত বিক্ষত হয় আমার পবিত্র মাটি।
ওরা বেজন্মা বেশ্যার দালাল ওদের ক্ষমা নাই আমার দু:খিনী বাংলায়।
ওরা উদ্ভাস্তু , পুনর্বাসিত হয় কোন ক্ষমতান্ধ সেনানায়কের অবিমৃষকারীতায়
সুউচ্ছ টিলায় আগুনের ফুলকিতে কিংবা পাহাড়ের খাদে
কিংবা বন্দুকের নাকের ডগায় মানব ঢাল হিসেবে
মৃত্যুদূত তাড়া করত নিয়ত
নিদ্রাহীন রাত কাটত যাদের সেনা পাহাড়ায়
কিংবা আতঙ্কে কাটে দিন শান্তিবাহিনীর অতর্কীত হামলায়।
তারাই আজ জমিদার সাজে শান্তিচুত্যির বদান্যতায়
তারাই আজ মালিকানা খুঁজে আমার পাহাড়ি কন্যার গাঁয়।
ওরা গ্যাং রেপ করে হিংস্র কায়দায়
মা-বাবার সামনে কাপড় খোলে পাশবিক উন্মাদনায়।
ওরা কি মানুষ নাকি জানোয়ার
ক্ষত বিক্ষত করে আমার পবিত্র উদার জমিন সোনার বাংলায় ?
পাকি জান্তা আর দোসর গনিমতের মাল বলে
আমার মা-বোনের দেহকে যারা কুবলে খেয়েছে
তারা পাকিস্থান রক্ষা করতে পারেনি
পাকিস্থানে যারা সংখ্যালঘু শুন্য করে
শান্তির নিশান উড়াতে চেয়েছিল
সেখানে আজ বোমার চাষ হয় সংখ্যালঘু শুন্য ঘরে।
তরতাজা গ্রেনেড বিস্ফোরিত হয় মসজিদ মাদ্রাসায়।
আফগানিস্থানে বৌদ্ধ মুর্তি ধ্বংস করে যারা শান্তি আনতে চেয়েছিল
তাদের শিশুরা জন্ম নেয় আজ বারুদের গন্ধে।
প্যালাস্টাইনি শিবিরে হামলা চালিয়ে যারা শান্তি প্রতিষ্টা করতে ছেয়েছিল
তাদের শিশুদের আজ ঘুম ভাঙে মিশাইল হামলার শব্দে।
হে প্রিয়তমা স্বদেশ আমি আজ শঙ্কিত এই ভেবে
রোহিঙ্গারা আজ মানব বোমা বানায় আমার পবিত্র মাটিতে
স্থানীয়রা আজ নির্ঘুম রাত কাটে তাদের শঙ্কায়
তারা যদি মেতে উঠে স্থানীয় নিধন যজ্ঞে
প্রকৃতির অমোঘ নির্মম বিচারে ?
প্রকৃতি তুমি দ্বিধা হও, শান্ত হোক বাংলার বুক
ধর্ষকেরা নিপাত যাক, আমার সোনার বাংলায়।
ছবিটি প্রতীকী। এটি ২০১২ সনের। ছবি গুগল থেকে নেয়া।
২৩টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
ধর্ষকেরা নিপাত যাক বলে চিৎকার চ্যাঁচামেচি করলে কী এমন আসে যায়!! আইনের কঠিনতম প্রয়োগ
এক মাত্র সমাধান। এর বিকল্প কিচ্ছু নেই।
সুপায়ন বড়ুয়া
আইনের বিকল্প নাই
কঠিন কঠোর প্রয়োগ চাই।
কেস সাজায় যারা
উকিল মোক্তার তারা
মুখরোচক গল্প ছেড়ে
শাস্তির নিশ্চয়তা করা।
একটাই হোক ধর্ম
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
ফয়জুল মহী
এই কয়েকদিন সারা বাংলাদেশে মহামারী আকার ধারণ করেছে । ক্ষমতা প্রভাব আর আইন এদেরকে মাথায় তুলেছে। সিলেট কিংবা ফেনী সব জায়গায় ক্ষমতাবান জড়িত।
সুপায়ন বড়ুয়া
ঠিক তাই ভাই
হঠাৎ করে গ্যাং রেপ করে
আবার দলের মোড়ক পড়ায়।
দোষ করেছে কুকুর ভাই
কুত্তার বিচার চাই।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
মেয়েদের যেমন দোররা মারা হতো ওদের ও সবার সামনে উলঙ্গ করে দোররা মারা উচিত, পুরুষাঙ্গ কেটে দেয়া উচিত । এ ছাড়া আর কোন শাস্তি তে এদের শিক্ষা হবে বলে মনে হয় না। ফাঁসি হলে ওরা অনুধাবন করতে পারবেনা কতটা কষ্ট পায় ধর্ষিতা। সারাজীবন বেঁচে থেকে সেই যন্ত্রণা ভোগ করার শাস্তি দিতে হবে। ভালো থাকবেন দাদা
সুপায়ন বড়ুয়া
সহমত দিদি।
মধ্যপ্রাচ্য আদলে বিচার করা উচিত।
তখন আবার ভয় হয়
গ্রাম্য মোড়ল আদলে সমঝোতার নামে
আবার সব ধামাচাপা পড়ে যায় কিনা।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
আলমগীর সরকার লিটন
এরাই সব পাকিস্তানী আত্মা ধরে ধরে গুলি করা উচিত
সুপায়ন বড়ুয়া
ঐ প্রেতাত্বা গুলো মাথা চাড়া দিয়ে উঠে বাংলায়
ওদের ক্ষমা করাটাও বড় অন্যায়।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
প্রদীপ চক্রবর্তী
এই কালো হাত ভেঙে দিতে হলে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
এর জন্য কঠিনতম আইনের প্রয়োজন।
হোক কবির কবিতায় প্রতিবাদ।
সুপায়ন বড়ুয়া
সহমত। আইনের বিকল্প নাই।
মানষিকতার পরিবর্তন চাই
ওরা ধর্ষক ওরা খুনী
ওদের ক্ষমা নাই।
ধন্যবাদ। শুভ কামনা।
আরজু মুক্তা
আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ। আর একটা প্রকাশ্যে ফাঁসি দরকার
সুপায়ন বড়ুয়া
সহমত আপু।
সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড
কার্যকর হোক ন্যায়দন্ড।
ভাল থাকবেন আপু। শুভ কামনা।
আরজু মুক্তা
ধন্যবাদ
মনির হোসেন মমি
প্রকৃতি তুমি দ্বিধা হও, শান্ত হোক বাংলার বুক
ধর্ষকেরা নিপাত যাক, আমার সোনার বাংলায়।
ধর্ষণের মহামারী হতে রেহাই নেই কোন জাতিরই হোক সে নৃ-গোষ্ঠি ।আমরা এর শেষ দেখতে চাই-চাই স্থায়ী সমাধান। কবিতা পড়ে দেহ মনে কাটা দিয়ে উঠল।দারুণ লিখেছেন প্রিয় কবি।
সুপায়ন বড়ুয়া
সহমহ। এ বিকৃত রূচির মানুষ রূপী
দানব দের থেকে দেশ ও জাতির মুক্তি চাই।
ধর্ষক তোদের রেহাই নাই আমার সোনার বাংলায়।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
শামীম চৌধুরী
ইদানিং দেশে ধর্ষন বেড়েই চলছে। কোন সভ্য জাতি ধর্ষনকে সমর্থন করে না। আমরা ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। এরা সমাজের কেউ নয়।
আপনার কবিতায় সেটা ফুঁটে উঠেছে।
সুপায়ন বড়ুয়া
সহমত ভাইজান।
যতদিন এই বিকৃত রূচীর মানুষ রূপী জানোয়ার গুলোকে চিড়িয়াখানায় পুনর্বাসন করলেই ধর্ষন কমতে পারে।
ভালো থাকবেন। শুভ কামনা।
তৌহিদ
এদেশের স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি ৭১ এ মা বোনের সম্ভ্রমহানী করার যে বীজ বপন করেছে তা আজ শেকড় গেড়ে বসেছে। জড় সহ উপড়ে ফেলতে না পারলে আমাদের মা বোন কেউই নিরাপদ নয়।
পাহাড়ের মানুষের এই খবরটিতে চরম ব্যথিত হয়েছি। এদেশের আইনে ধর্ষকও মানবাধিকার প্রাপ্তির অধিকার রাখেন। প্রকাশ্যে যেদিন সাজা হবে সেদিনই ধর্ষণ কমবে।
ভালো থাকুন দাদা।
সুপায়ন বড়ুয়া
ঠিক তাই ভাইজান।
যেদিন থেকে ঢাবি ছাত্রী নুর ও সহযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগে আইনের আশ্রয় চাইলেন।
খ্যাতনামা আইনজীবি আর NGO ব্যাবসায়ী পাশে থাকার অভয় দিলেন। সেদিন থেকে ধর্ষন বেড়ে গেল।
আর মিডিয়া ট্রায়াল শুরু হলো ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।
MC কলেজে বার বছর ধরে ছাত্রলীগের কোন কমিটিই নেই।
কেউ বলছে না সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও যুবলীগ নেতা দুলাল ধর্ষকদের আইনের হাতে তুলে দিল।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
খাদিজাতুল কুবরা
শানিত কলমে লিখেছেন নির্যাতিতার যন্ত্রণা। পাহাড়ি হোক বাঙালি হোক প্রতিটি নারীর জন্য এর চেয়ে বর্বর নির্যাতন আর কিছু হতে পারেনা। কঠোর আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত হোক এবং ঘরে ঘরে ধর্মীয় অনুশাসনের চর্চা হোক। সবার সুবোধ জাগ্রত হোক।
আমি আমরা আমাদের মেয়েরা নিরাপদে বাঁচি এটাই প্রত্যাশা।
বরাবরের মতোই ভালো লিখেছেন দাদা
সুপায়ন বড়ুয়া
সহমত আপু। মানুষের বিবেক বোধ জাগ্রত না হলে
এই অভিশাপ থেকে মুক্তি নাই।
মা বোনের উপর অত্যাচার মেনে নেয়া যায় না।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
রোকসানা খন্দকার রুকু
প্রকৃতি তুমি দ্বিধা হও, শান্ত হোক বাংলার বুক
ধর্ষকেরা নিপাত যাক, আমার সোনার বাংলায়।***
প্রকৃতি যদি সব কিছুর বিচার করত?তাহলে বিবেক কেন দিয়েছে?
আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে দাদা।
শুভ কামনা। শুভ সকাল।
সুপায়ন বড়ুয়া
সহমত আপু।
আইনের কঠোর প্রয়োগ আর বিবেক বোধ যদি ব্যর্থ
হয়। প্রকৃতি অমোঘ নিয়মে প্রতিশোধ নেয় বা আল্লাহ বা স্রষ্টা বিচার করে।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।