
জীবনের লেনা-দেনা
জীবনের সাথে কিছু সুঘ্রাণ-যোগফলে
ভালোলাগা/ভালোবাসা উন্মাতাল হয়, দ্বিধাচল দোলাচল এড়িয়ে
চুপিসারে ছুটে-ছুটে আসে।
নীরবে বয়ে চলে ফন্দি-আঁটা একঘেয়ে সস্তা ফাঁকা নকল সোনা বাঁধানো
দাঁতের ঝিলিক, ভান-ভণিতা আর ভোতা তর্ক-বিতর্ক ও।
ক্ষীণয়মান ক্ষয়িষ্ণু বিহ্বল জীবনের দীর্ঘায়ন হয় না।
——————————————————————————
অ-চেনা অ-দেখা
দূর-নিকটের মসজিদে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা,রিক্সা বা অন্য কিছুর। তাড়া জামাতের। হাত উঁচু করে ব্যাটারি-গাড়ী থামালাম, যাবে? ঐ ঐ মসজিদে? ঘাড় ঝুঁকিয়ে সম্মতি জানালো। দ্রুত যেতে বললাম। সে অতি দ্রুত-ই গেল পাকা-হাতে। গেটে দাঁড়াতে বললে চোখে প্রশ্ন রেখে জানতে চাইলো মসজিদের সিঁড়িতে না কেন? কিছু বলার অপেক্ষা/তোয়াক্কা না করেই একটানে সিঁড়িতে দাঁড় করালো নিঃশব্দ হাসিতে। নেমে স্যান্ডেল গুটিয়ে পকেটে হাত দিয়ে ফিরে দাঁড়াতেই দেখি সে হাওয়া হয়ে যাচ্ছে দ্রুত! আমার ডাকাডাকি শুনেও না-শোনার ভান করে।
ছবি নেটের।
৩৪টি মন্তব্য
সুরাইয়া পারভীন
এটা কী কেবলই স্বপ্ন?
নাকি স্বপ্নের মোড়কে মোড়ানো রহস্য গল্প।
এমন অনেক গল্প আছে যা রহস্য হলেও সত্য।
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকে চুপি চুপি বলি, আপনাদের দেখাদেখি অনুগল্পে ট্রাই দিলাম।
সত্য গল্প।
সুরাইয়া পারভীন
সেটাই ধারণা করেছিলাম। এটি সত্য গল্প
এমন অনেক গল্প আছে তা আমাদের সাথেও ঘটেছে বা নিজের চোখে ঘটতে দেখেছি। আমিও লিখবো সেগুলো
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই লিখবেন, তবে সুন্দর উপস্থাপন চাই।
সুরাইয়া পারভীন
ইনশাআল্লাহ। অবশ্যই সুন্দর উপস্থাপনের চেষ্টা করবো। বাকীটা আল্লাহ ভরসা।
ছাইরাছ হেলাল
অপেক্ষা চালু রাখলাম।
কামাল উদ্দিন
ভদ্রলোক কি ভিন্নধর্মী ছিলো? সেটা অবশ্য জানার কথা নয়। হয়তো অপমান বোধ কিংবা শ্রষ্টার প্রতি ভালোভাসার কারণেই লোকটা না শোনার ভান করে থাকতে পারে (আমি কতোটা বুঝে মন্তব্য করেছি সেটা আমি নিজেই বুঝে উঠতে পারছি না)।
ছাইরাছ হেলাল
না না, ভিন্ন ধর্মির কথা না, সে একজন ধার্মিক মানুষকে ভালোবাসা দেখালো।
লেখায় সেটি ঊহ্য রাখা হয়েছে।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ভালোলাগা/ ভালোবাসা উন্মাদ হয় তাই দোলাচল এড়িয়ে চুপিসারে ধরা দেয়। ভোতা তর্ক বিতর্ক না থাকলে জীবনটাই একঘেয়ে হয়ে যায়। অনুগল্প ভালোই হয়েছে। মহারাজ নাম কি আর এমনি এমনি হয়েছে। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন
ছাইরাছ হেলাল
ধুর কী না কী কন!!
একটু গল্প দিলাম, আপনি/আপনাদের মত সুন্দর না।
একঘেয়েমি কাটানোর জন্য অন্য অনেক পথ চালু আছে, আজগুবি পথ না।
আপনি ভাল থাকবেন। লিখে লিখে।
হালিম নজরুল
এটা কি প্রথম প্রেমের স্মৃতি ম্যাভাই!!!???
ছাইরাছ হেলাল
ছড়া-ভাই,
আমাদের আমলে মোপাইলের অভাবে বাবু খাইছো/খাবা!! চালু ছিল না।
আফসোস!!
ভাল থাকুন নিয়মিত।
খাদিজাতুল কুবরা
কিছু সম্পর্ক কিছু স্মৃতি সমস্ত যুক্তি তর্ক একপাশে রেখে ছায়া সঙ্গী হয়ে থেকে যায়।
আর কিছু মানুষ মনের জোরে ধনবান। শিক্ষা দীক্ষা কিছুরই তাদের প্রয়োজন হয়না। তারা সভ্য হয়েই জন্মায় আর গুণীজনের কদর করতে সবসময় দুপা এগিয়ে থাকে।
ছোট্ট অবয়বে কি গভীর উপলব্ধি প্রকাশ করেছেন খুব ভালো লাগলো।
অনেক শুভেচ্ছা জানবেন।
ছাইরাছ হেলাল
আপনারা অনেক সুন্দর লেখেন, তাই দেখে দেখে সামান্য চেষ্টা নিচ্ছি।
চমকিত হওয়ার মত কিছু ঘটনা আমাদের জীবনের সাথেই থাকে।
ভাল থাকবেন আপনি।
খাদিজাতুল কুবরা
কি যে বলেন ভাইয়া!
আপনার তুলনা আপনি এতো সুন্দর কবিতা লিখেন!
ছাইরাছ হেলাল
আপনি নিখাদ কবি।
পাঠক হিসেবে আনন্দিত।
সুপায়ন বড়ুয়া
একি স্বপ্ন নাকি গল্প
বোঝা বড় দায়।
মহারাজ স্বপ্ন বুনে
কবিতার কি উপায় ?
মজা পেলাম নতুনত্বে
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
নিরেট সত্য ঘটনা নিয়ে লেখা গল্প।
কবিতার উপায় একটা হবেই, তার সাথে আপোষ চিরদিনের।
ভাল থাকবেন নিরন্তর।
শামীম চৌধুরী
খুব ভাল লাগলো।
তবে সাথে কৌতুহুল জাগলো
রিক্সাওয়ালার এমন আচরনে।
ছাইরাছ হেলাল
সত্যি ঘটনা কিন্তু, টাকা না নিয়ে হিট করে ভেগে গেল!!
চিনি-না, আর দেখাও হয়নি।
ভাল থাকবেন।
আরজু মুক্তা
“যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে,
আমি বাইবো না, মোর খেয়াতরী এই ঘাটে।
চুকিয়ে দেবো লেনাদেনা, মিটিয়ে দেবো গো
সাঙ্গ হবে আনাগোনা এই ঘাটে।”
নকল কিংবা সোনা মোড়ানো, যাই হোক না কেনো, গন্তব্য ঐ একটাই।
আর অশরীরি অনেককিছুই ঘটে যায়, আড়ালে আবডালে, পঞ্চইন্দ্রিয়ের মাঝেই।
ছাইরাছ হেলাল
সে তো একশতবার সত্যি,
একা আসি একাই যাই। ভুজুং ভাজুং সব এপারেই থেকে যাবে।
অনেক কিছুই ঘটে আমাদের অজানাতে।
ভাল থাকুন। গল্প কই!!
ইঞ্জা
কখনো কখনো এমন ভাবে উদয় হয়ে সঙ্গ দিয়ে উধাও হয়ে যায় ভালো মানুষেরা।
লেখাটি অন্যদের কাছে রহস্যময় হতে পারে, আমার কাছে তা অকৃত্রিম মনুষ্যত্ব।
ছাইরাছ হেলাল
ঘটনা কিন্তু খাটি সত্যি।
কত কিছুই ঘটে আমাদের সাথে আমাদের মাঝে।
ভাল থাকবেন ভাই।
ইঞ্জা
ঘটনাটা সত্য তা আগেই তা আন্দাজ করেছিলাম ভাইজান।
ছাইরাছ হেলাল
খুব অবাক হয়েছিলাম।
উর্বশী
জীবনে চমকে যাওয়ার কিছু ঘটনা এরকম ঘটে যায়। যা কিনা সুন্দর গল্পে পরিণত হয়। কখনও কখনও এর অনুভূতি খুব বেশী ও হয়। ভাল লাগলো আপনার লেখা পড়ে।
ভাল থাকুন,শুভ কামনা সব সময়।
ছাইরাছ হেলাল
চমক আমাদের জীবনের অংশ, সেগুলোই গল্পে এসে যায় কোন না কোন ভাবে।
ভাল থাকবেন আপনি।
তৌহিদ
ভালোবাসা আর ভালো বাসা ম্যালা তফাৎ ভাইজান। তবে জীবন তার গতিতেই চলে। দুষ্টু মিস্টি খোঁচাখাচির মাঝেই প্রেমের স্বার্থকতা।
পরের অনুগল্পটি কিন্তু দারুণ অনুভাবী লাগলো। মসজিদ দেখতে যাওয়ার চেয়ে সেখানে সৃষ্টকারীর উদ্দেশ্যে নিজেকে সঁপে দেয়াই উত্তম। অটো চালকের বেশে নিজের অন্তরাত্মা যেন তাই চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো।
আমিও অনুগল্প লেখার চেষ্টায় আছি। আপনার ধারের কাছে যাওয়াও অসম্ভব!
ছাইরাছ হেলাল
জীবন খুব ই ছোট, যা আমরা মানতে চাই না। মৃত্যুই একমাত্র সত্য।
বহু বছর মসজিদে যাই, কঠিন নিয়ম মেনে, এমন ঘটনা একটি ই। খুব অবাক।
ভাল থাকবেন।
নাসির সারওয়ার
কবিতার কও বুঝলাম না। তবে আপনি নকল করা শুরু করলেন কিনা বুঝলাম না। তাও আবার হা হা হে হে হেসে হেসে!
আর ঐ রিকশাওয়ালাকে পেলে আমার বাসায় পাঠিয়ে দেবেন। আমি ঐ মসজিদেই যাবো।
আপনি না চিনলেও সে হয়তো আপনাকে চেনে। আর একজন ধার্মিককে একটু বাড়তি সন্মান করা অনেকেরই চেষ্টা থাকে। সে হয়তো আপনাকে একটু চমকে দিয়ে কিছু আনন্দ নিয়ে থাকলো কিছুক্ষন।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই নকল, এত আসল আর পাওয়া যায় না, আপনি কবি তা তো মানছি- ই।
আচ্ছা দেখা হলে আপনাকেও ফ্রিতে মসজিদে নিয়ে যেতে বলব!!
তবে আগে প্রাক্টিস শুরু করে দিন, ছেলফি মাস্ট!!
রেজওয়ানা কবির
আমার ডাকাডাকি শুনেও না-শোনার ভান করে।
আপনার অনুগল্প পড়ে মনে হল লেখায় অসাধারণ ভারিক্কি আছে ভাইয়া,সত্যি ভালো লেগেছে।শুভকামনা।
সাবিনা ইয়াসমিন
এ্যা! মহারাজ! আপনি ডাইনির খপ্পর থেকে বেরিয়ে এলেন কবে! আর কি পড়লাম প্রথম অংশে!
ভালোবাসা-বাসি নিয়ে লিখেছেন আপনি!! তাও আবার ছ্যাঁকা খাওয়া বাঁকা শব্দে! শ্মশানের ডাইনোসর, মানে ডাইনিরা কি সব বিলুপ্ত হয়ে গেছে?
–++++++++++++++++++++++++++++++—-
আগার কোই সাঁচ্চে দিলসে কুছ চাহে,
তো সারি কায়ানাথ উঁছ চাহাত মে সামিল হো যাতা হ্যায়!
উচ্চারণ আর অক্ষরে মিলে নাই। কিন্তু কথাটা সত্যি।
আপনার নিয়ত আর ঐকান্তিক ইচ্ছা আপনাকে পৌঁছে দিয়েছে আপনার কাঙ্ক্ষিত দুয়ারে।
ভাগ্যিস, আপনি শুধু মসজিদের জামায়াতে পৌছানোর নিয়ত করেছিলেন!
অণুগল্প লেখায় আপনার হাত কিন্তু সেইই রকমের পাঁকা। এমন আরও কিছু লিখলে আমরাও শিখতে পারতাম।
বিঃদ্রঃ – দাঁতের ঝিলিক, ভাল-ভণিতা আর ভোতা তর্ক-বিতর্ক ও।
আমি এখানে ভাণ-ভণিতা পড়েছি 🙂