
অন্ধকারে দাঁড়িয়ে স্বপ্ন দেখি শরতের শরণাপন্ন হয়ে
যদি এবার একটু ডানা মেলে পেঁজা তুলো
ঐ আড়ালে চুপ করে থাকা নীলাকাশে;
উন্মুখ হৃদয়ে সামান্য গোপন না রেখেই বলি
লুকিয়ে থেকে লুকাবোনা এই একটু দেখাদেখির ভাবনা,
নামোচ্চারণ তো করেই ফেলেছি এই মাঝ সকালে;
স্পর্শ-ব্যাধির মত চিবিয়ে চিবিয়ে তো কিছুই লুকোচ্ছি না
অসীম সাহসী! তাও তো বলিনি/বলছি না;
হাতছাড়া না-হয়ে ই উড়াল আকাশে সাঁতার কেটে
এখন ও বেঁচে আছি, শরত পাবো বলে;
তিন তিন সত্যি, যে যা খুশি বলুক/ভাবুক,
অপূর্ব শোচনীয়তায় অপ্রতিরোধী নক্ষত্র খচিত মহাশূন্যের
ডাক শুনতে পাচ্ছি, প্রত্যাখ্যানের সবটুকু নিয়েই।
ছবি নেটের।
৩২টি মন্তব্য
আলমগীর সরকার লিটন
চমৎকার——-
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ।
সুরাইয়া পারভীন
আহা!
প্রত্যাখানের ভয় সংশয় ভাবনা ভুলে গিয়ে
বলেই ফেলুন না মনের গোপন কথা গুলো
দেখুনই না হাত বাড়িয়ে, হয়তো কেউ ঠিকই উন্মুখ হয়ে অপেক্ষায় রয়েছে শুনবে বলে সেই সমস্ত লুকানো অব্যক্ত কথাগুলো।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার তো দেখছি ভারী জানাশোনা এসব তুমুল বিষয়ে!!
ভাল থাকবেন।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
গোপন কথাটি রইলো না আর গোপন। প্রত্যাখানের ভয়ে পিছিয়ে থাকলে চলবেনা। সামনে এগিয়ে যান। শুভ কামনা রইলো
ছাইরাছ হেলাল
কোনটি যে সামন আর কী যে পেছন তা তো বুঝে কুলিয়ে উঠতে পারছি না।
আপনি/আপনাদের অভয় খুব দরকার।
ভাল থাকবেন।
কিন্তু আপনি কই গেলেন! সেইইই যে লিখলেন আর তো খোঁজ পাচ্ছি না।
নাসির সারওয়ার
নাম বললেন কোথায়! চোখ কি এবার আমারও গেলো!
পেঁজা তুলো! পেঁজা বরফের কথা কোথায় যেনো দেখেছিলাম। এই পেঁজা কি সেই পেঁজা!
কি যা লেখেন ছাইপাঁশ তা আপনিই যানেন।
যাক, কিচ্ছু না বুঝেও মাথা ঢুকিয়ে দিলাম আর কি।
ছাইরাছ হেলাল
এতো সব ই ফক-ফকা কঠিন কিচ্ছু না। তরলং জলবৎ।
মোট কথা শরত আমার চাই ই।
ভাল থাকবেন কবি সাব!
শামীম চৌধুরী
মহাকাশের ডাক শুনে যদি মহারাজ নিজেই প্রত্যাখান করতে পারেন তবে আমিও করলাম।
শরতে জড়িয়ে থাকুন আজীবন।
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকে বলি, যেমন সব সময় ই বলি, প্রকৃতি আমার প্রাণে বাঁধা।
সব ই ভাল লাগে। অপেক্ষা করুন, গাছ-কথন এলো বলে।
ভাল থাকবেন ভাই।
সুপায়ন বড়ুয়া
“হাতছাড়া না-হয়ে ই উড়াল আকাশে সাঁতার কেটে
এখন ও বেঁচে আছি, শরত পাবো বলে;”
শরৎ পাবার এতো আকাঙা রাখলে মনে
নিজে এসে ধরা দিয়ে যাবে আপন সনে।
ভাল লাগলো। শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
ধরা তাকে দিতেই হবে, সাধের শরৎ বলে কথা।
ভাল থাকবেন ভাই।
ইঞ্জা
উন্মুখ হৃদয়ে সামান্য গোপন না রেখেই বলি
লুকিয়ে থেকে লুকাবোনা এই একটু দেখাদেখির ভাবনা,
নামোচ্চারণ তো করেই ফেলেছি এই মাঝ সকালে;
স্পর্শ-ব্যাধির মত চিবিয়ে চিবিয়ে তো কিছুই লুকোচ্ছি না
অসীম সাহসী! তাও তো বলিনি/বলছি না;
অসাধারণ, যাস্ট অসাধারণ লিখলেন ভাইজান।
ছাইরাছ হেলাল
ভাই যখন অসাধারণ বলে তখন আর কারো কিচ্ছু বলার নেই।
ভাল থাকবেন।
ইঞ্জা
ভালোবাসা অফুরান ভাইজান। ❤💕
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকে ও শুভেচ্ছা, ভাই।
তৌহিদ
সাহস করে একবার বেড়িয়েই পড়ুন ভাই, প্রকৃতির পরতে পরতে শরতের পেলব মেঘের ছোঁয়া লেগেছে। না দেখলে চরম মিস করবেন কিন্তু! কে জানে কাল কি হবে!
শুভকামনা রইলো ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
নিয়মিত বেড়িয়ে পড়ছি, কিন্তু তেমন শরতের দেখা এখন ও পাইনি।
অপেক্ষায় আছি।
ভাল থাকবেন।
আরজু মুক্তা
“শোন, মন খারাপের বিজ্ঞাপন না হলে
পেজো তুলোর আকাশে
চলো, একটু ঘুরি। ”
আজকে একটা কবিতা লিখেছিলাম, তার তিন লাইন।
আপনার জন্য।
ছাইরাছ হেলাল
মাত্র তিন লাইন!! এত্ত কৃপণ আপনি।
হে বিধাতা এদের হৃদয় প্রশস্ত করে দাও, যাতে তিনি তিনশত লাইন ছুঁড়ে দিতে পারেন।
পুরোটার দেখা এখন ও পেলাম না।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
বন্যা লিপি
তিন তিন সত্যি, যে যা খুশি বলুক/ভাবুক,
অপূর্ব শোচনীয়তায় অপ্রতিরোধী নক্ষত্র খচিত মহাশূন্যের
ডাক শুনতে পাচ্ছি, প্রত্যাখ্যানের সবটুকু নিয়েই।
এই তিনলাইনেই গল্প সমাপ্ত!
প্রথম লাইন থেকে শেষ পর্যন্ত এক একটা লাইনে একেক রকম ভাবার্থের অনুভবের? অনুভূতির দোলায় খানিক ঘুরে এলাম পেঁজা তুলোর মত শরতের আকাশে।
পরানুভব বলে নিশ্চই যে বোধ কাজ করে একেকজন আলাদা আলাদা পাঠকের মনে; সেইসব পাঠকও যদি শব্দ ভেঙে/ ব্যাবচ্ছেদে লিখে রেখে পারতো ঠিক আপনার মত!
আফসোস রয়েই গেলো।
ছাইরাছ হেলাল
আফসোসের কিচ্ছু নেই,
আপনি চাইলেই সুন্দর করে লিখতে পারেন/পারবেন।
যে কোন লেখাই প্রতিটি পাঠকের কাচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন মাত্রা নিয়ে আসে, অনুভবের অনুরণনে।
ভাল থাকবেন, অনিঃশেষ।
খাদিজাতুল কুবরা
“এ যেন আলোর প্রতিফলন।
মাল্টিকালার ছড়াচ্ছে চরণে চরণ।”
কোন লাইন রেখে কোন লাইন উদ্ধৃত করবো স্তবকে স্তবকে ভাবের মায়ার কুহক। কোনো নির্দিষ্ট মানে দাঁড় করাতে পারিনি।
তবে ভালো লাগলো ভীষণ শব্দ যাদু
ছাইরাছ হেলাল
আসলে এখানে অনেক অনেক অনেক লেখা লিখেছি চেপে-চুপে অল্প পরিসর করে, ইচ্ছে করেই।
পাঠকের ভাবনায় জায়গা পাচ্ছে ভেবে আনন্দিত।
ভাল থাকবেন আপনি।
খাদিজাতুল কুবরা
মন্তব্যটি এখানে লিখতে গিয়ে মূল মন্তব্যের
বক্সে লিখে ফেলেছি।
ছাইরাছ হেলাল
ঠিক আছে বুঝতে পেরেছি।
রোকসানা খন্দকার রুকু
তিন তিন সত্যি, যে যা খুশি বলুক/ভাবুক,
অপূর্ব শোচনীয়তায় অপ্রতিরোধী নক্ষত্র খচিত মহাশূন্যের
ডাক শুনতে পাচ্ছি, প্রত্যাখ্যানের সবটুকু নিয়েই।****
ভীষন ভালো লাগলো।এর চেয়ে বেশি ব্যাখ্যার সাহস নেই পাছে ভুল হয়ে যায়।
শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
সামান্য দুঃসাহস দেখলে মন্দ হতো না.
ধন্যবাদ আপনাকে।
সাবিনা ইয়াসমিন
তিন-তিন সত্যিরা ঘুরেফিরে উড়ে বেড়ায় পেঁজা-ভেঁজা তুলো হয়ে, তুলতুলে মেঘের সঙ্গী হয়ে ,
মনে-মনের নামোচ্চরণ! ধ্যাত্তরি ছাঁই,
শোনা গেলো না কর্ণকুহরে! কি ছিলো সেই অসম স্বরে?
অপুষ্ট তালে সুরে সুরে গেয়ে উঠে বৃষ্টি-বিলাপ ;
শারদীয় নীলাকাশ ডেকে উঠে, এবার থামো, স্থির হও
কথা দিলাম পেঁজা তুলো নয়, অস্থির মেঘ নয়
এবার থেকে স্পষ্টাক্ষরে ডাকনামেই ডাকবো তোমায়..
মহারাজ, আমি এই লেখার তর্জমার আশেপাশেও নেই। যা ইচ্চে হলো লিখে দিলাম 🙂
আপনি আবার এটার শানে নুযূল জিজ্ঞেস করে আমার মগজ ধোলাইয়ের চেষ্টা করবেন না প্লিজ।
ছাইরাছ হেলাল
কঠিন কঠিন ভাব নেবেন আবার জিজ্ঞেস করতেও দেবেন না, এ কেমন কথা!!
শরতের সাথে খুব ভাব জমেছে বুঝতে পারছি। গলায় রক্ত তুলে হায়দরি হাঁক হেঁকেই দেখুন না,
চিড়ে ভেজে কী না , না চিরে চ্যাপ্টা হয়!!
ভাল থাকুন।
খাদিজাতুল কুবরা
কবিতা পড়ে যদি ভাবনার রাজ্যে হারিয়ে যেতে না পারি তবে পড়বো কেন?
সেক্ষেত্রে আপনি সফল।
এমন একটি লাইন আজও লিখতে পারিনি।
তবে পড়তে পারছি সেই বা কম কি?
পেজ খুলে আপনার কবিতা দেখলে আমি খুশি হই। কয়েক বার পড়ি এবং আমার মতো করে অনুভব করি।
বিপত্তি বাধে তখন যখন লেখকের অনুভব ধরার চেষ্টা করি।
তাতেও একধরনের তৃপ্তি আছে কবিতা ভালোবাসি বলেই। কিছুক্ষণ পরাবাস্তবে বিচরণ করার সুখ।
ছাইরাছ হেলাল
এ এমন কোন লেখা নয়, ভাব প্রকাশের নামান্তর মাত্র।
স্বচ্ছ চোখে সোনা সোনা দিগন্তে চোখ পাতুন, জহুরি হয়ে মুক্তো তুলুন।
সোনেলাকে শুধু সাথে রাখুন।
ভাল থাকুন লিখে এবং নিয়মিত লিখে।
আমার লেখার কথা বাদ দিয়ে/রেখে বলছি। ………
লেখা হলো আয়না, যত বেশি নিবিড় ভাবে নিঃশঙ্ক চিত্তে লেখার সামনে নিজেকে উপস্থিত করতে পারবেন
লেখা আপনার কাছে তেমন হয়েই ধরা দেবে।
লেখক কে পাওয়া যায় না প্রায়, তার দরকার পরে না। পাঠক ই লেখক। লেখাটিকে পাঠক ধারণ করে।
আসলে বুঝিয়ে বলতে পারলাম না, মনে হয়। রুমি কোট করতে চাচ্ছি না, সে অন্য আলাপ।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
পড়ে ফেলুন পৃথিবীর তাবৎ কবিতা ভাল মন্দের বিচারে না যেয়ে।