জন্মের দিনে দিয়েছিল আজি তোমারে পরমমূল্য
রূপসত্তায় এলে যবে সাজি সূর্যতারার তুল্য।
দূর আকাশের পথে যে আলোক এসেছে ধরার বক্ষে
নিমিষে নিমিষে চুমি তব চোখ তোমারে বেঁধেছে সখ্যে।
দূর যুগ হতে আসে কত বাণী কালের পথের যাত্রী,
সে মহাবাণীরে লয় সম্মানি তোমার দিবসরাত্রি।
সম্মুখ গেছে অসীমের পানে জীবযাত্রার পন্থ,
সেথা চল তুমি —বলো, কেবা জানে এ রহস্যের অন্ত।।
যদি হায়, জীবনপূরণ নাই হল মম তব অকৃপণ করে,
মন তবু জানে জানে ——
চকিত ক্ষণিক আলোছায়া তব আলিপন আঁকিয়া যায়
ভাবনার প্রাঙ্গণে।।
বৈশাখে শীর্ণ নদী ভরা স্রোতের দান না পায় যদি
তবু সংকুচিত তীরে তীরে
ক্ষীণ ধারায় পলাতক পরশখানি দিয়ে যায় ——
পিয়াসি লয় তাহা ভাব্য মানি।।
মম ভীরু বাসনার অঞ্জলিতে
যতটুকু পাই রয় উচ্ছলিতে।
দিবসের দৈন্যের সঞ্চয় যত
যত্নে ধরে রাখি,
সে যে রজনীর স্বপ্নের আয়োজন।।
সুরলোকে নৃত্যের উৎসবে
যদি ক্ষণকালতরে
ক্লান্ত উর্বশীর
তাল ভঙ্গ হয়,
দেবরাজ করেনা মার্জনা।
মানবের সভাঙ্গনে
সেখানেও আছে জেগে স্বর্গের বিচার।
তাই মোর কাব্যকলা রয়েছে কুন্ঠিত
তাপতপ্ত দিনান্তের অবসাদে—
কী জানি শৈথিল্য যদি ঘটে তার পদক্ষেপতালে।
কর্তব্যসংসারের দিকে পিঠ ফিরিয়ে বসে আছি;
রক্তে জোয়ার আসবে বলে মনে হচ্ছে যেন।
শারদা পদার্পণ করেছেন পাহাড়ের শিখরে,
পায়ের তলায় মেঘপুঞ্জ কেশর ফুলিয়ে স্তব্ধ আছে।
মাথার কিরীটে সোনার রৌদ্র বিচ্ছুরিত।
কেদারায় বসে আছি সমস্ত দিন,
মনের দিকপ্রান্তে ক্ষণে ক্ষণে শুনি বীণাপাণির বীণার গুঞ্জরণ।
তারই একটুখানি নমুনা পাঠাই।।
১৫টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর কবিতা বুঝতে পারছি ।
কিন্তু কবিতার নাম কি এতগুলো ?
নাকি চারটি ভিন্ন ভিন্ন কবিতা ?
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ।
খসড়া
পরমমূল্য। একটি পূর্বপাঠ জয়শ্রী পত্রিকার ১৩৪১ বৈশাখ সংখ্যা হইতে উদ্ধৃত হইল—–
এখানে মনে হয় যেন নামটা জন্মদিন হলে মনে হয় ভাল হত। এ আমার মোটা মাথার বুদ্ধি।
লীলাবতী
চারটি কবিতার মাঝে কি কোণ যোগসূত্র আছে ভাইয়া ?
খসড়া
হ্যা প্রতিটি কবিতাই তার মৃত্যু শয্যায় লেখা। এই কবিতাগুলির সাথে সাথে কবির অন্যান্য কবিতার মিল আছে। যেমন যক্ষ কবিতার সাথে মিল আছে উদবৃত্ত কবিতার।
আদিব আদ্নান
এটি আগে পড়েছি বলে মনে করতে পারছি না ।
এখন পড়তে পারলাম , ভালই হল ।
অনেকদিন পর লিখলেন ।
খসড়া
জন্মদিনে, রোগশয্যায় আরোগ্য রচনার কালক্রম রক্ষা করে জন্মদিনের কাব্যের কবিতা।
ধন্যবাদ।
নীলকন্ঠ জয়
চারটি কবিতার যোগসূত্র কি ভাইয়া?
ভালো লেগেছে। শুভেচ্ছা। -{@
খসড়া
চারটি কবিতাই তার রোগশয্যায় লেখা এবং তার মৃত্যুর পর প্রকাশিত।
স্বপ্ন
ভালো লাগলো । এই প্রথম পড়লাম । ধন্যবাদ ।
খসড়া
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
মা মাটি দেশ
প্রথম পড়লাম ভাল লাগল।
খসড়া
পরমমূল্য। একটি পূর্বপাঠ জয়শ্রী পত্রিকার ১৩৪১ বৈশাখ সংখ্যা হইতে উদ্ধৃত হইল—–
এখানে মনে হয় যেন নামটা জন্মদিন হলে মনে হয় ভাল হত। এ আমার মোটা মাথার বুদ্ধি।
খসড়া
পড়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই। কবিতাগুলি খুব দুষ্প্রাপ। ভাল থাকুন।
প্রিন্স মাহমুদ
আগে পরিনি । ধন্যবাদ
খসড়া
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।