
কোনো এক পরন্ত বিকেলে পরিচয়, সেও বেশিক্ষণ নয়,
বিদায়ের ক্ষণে বলেছিলো যদি চিঠি দেই আপত্তি নেইতো?
লিখতে ভালোলাগার প্রমত্ততায় বলেছিলো- চাইনা কোনো জবাব;
শুধু পত্রমিলতালির সুযোগটুকু চাই!
কিছুদিন শেষে আচমকা ডাকপিয়ন এসে হাজির!
একে একে চারখানা পত্র।
নদী-পাহাড় সমুদ্রের সেকি বর্নণা!
প্রতিটি চিঠি এক একটা গল্প :এক একটা জীবনের দৃশ্যত চিত্র।
এত সুন্দর করে কেউ লিখতে পারে?
আমার জানা ছিলোনা!
এত শব্দের বিন্যাসে পাল্টা
জবাবের কোনো ভাষা বা শব্দ ছিলো না জানা।
তবুও কিছু লিখার লোভ সংবরণ করা মুশকিল;
আমিও লিখে দিলাম চার লাইনের কিছু এলোমেলো শব্দ।
পত্র আসে একের পর এক
দুই বছর কেবলি শব্দের খেলায় শব্দ খুঁজেছি।
কখনো বঙ্কিম কখনো শরৎচন্দ্রের প্রিয় কোনো লাইন।
ইঠ-কাঠের শহর আর গ্রামের মেঠো পথের কতশত ছবি এঁকেছি শব্দের দৃশ্যে!
জানার অজান্তে মানুষ কে খুঁজিনি কোনদিন
একদিন সময়এলো, তাকে যেনো না জানালেই নয়-,
বলেছি মুঠোফোনে, -‘আগামী পরশু আমার বিয়ে
তোমাকে আসতে হবে’।
ওপাশ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি কিছুক্ষণ
– হ্যালো হ্যালো লাইনে আছো?
:হম
-কি হলো আসবে তো?
ওপাশ থেকে বলল,
:তুমি বিয়েটা ভেঙে দাও!
তার পর আর আমাদের কথা হয়নি ,দেখা হয়নি- হয়নি পত্রমিলতালি…
২৪টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
হায়রে পত্রমিতালি! চিঠি দেয়া নেয়ার বিষয়টি এজন্য ই বেশি ভালো লাগতো । আবেগ, শব্দের ভান্ডার, কাব্যের জাদু মিলে মিশে অনবদ্য অসাধারণ দলিল তৈরি হতো। কিন্তু বিয়ের কথা শুনে এভাবে যোগাযোগ বন্ধ করে দিল! খুব কষ্ট থেকেই এমনটা হয়। হঠাৎ অপ্রত্যাশিত এমন কথা শুনে কষ্ট পাওয়াটাই স্বাভাবিক। শুভ কামনা রইলো
শিরিন হক
সম্পূর্ণ কাল্পনিক লিখাটা। অনেক গল্পে শেষ দৃশ্য এমনই হয়।
ধন্যবাদ আপু
বন্যা লিপি
মনে পরে গেলো আমার পত্রমিতার কথা।তবু মনে রাখা গুলো এখনো সাজানো রয়ে গেছে মেহগনি কাঠের আলমারির একেকটা তাকে। সেই যে, নীল রঙা খাম আর গোলাপীকাগজের পৃষ্ঠায় শব্দের নকশা!
স্মৃতীময় লেখা।
তোমাকে ভালবাসা।
শিরিন হক
কিছু গুচ্ছ গুচ্ছ সুখ কিছু আবেগকে উপস্হাপন করতে চেয়েছি মাত্র।
তোমার যে আমার লিখা পড়ে মনে পড়ে গেলো শুনে ভালো লাগছে মিতা
রেজওয়ানা কবির
পত্রমিতালি ব্যাপারটি আসলেই সুন্দর। এইটা দিয়ে প্রেম করাও আরেক আনন্দের।ভালো লাগল।
শিরিন হক
ধন্যবাদ।
ফয়জুল মহী
উৎকর্ষ চিন্তায় মহনীয় প্রকাশ।
শিরিন হক
কৃতজ্ঞতা
খাদিজাতুল কুবরা
চিঠির আবেগের আদান প্রদান আর কিছুতে হতে পারে না।
খুব সুন্দর লিখেছেন আপু।
শিরিন হক
ধন্যবাদ প্রিয়
রোকসানা খন্দকার রুকু।
অসাধারণ একটি বিষয়।
সত্যিই চিঠির জামানাটাই রোমান্চকর! প্রেমের চিঠি হলে তো কথাই নেই।লুকিয়ে রাখা,লুকিয়ে পড়া,গন্ধ শুকে দেখা কত আবেগময় ব্যাপার থাকে।এখন আর নেই।
আমার এখনও অনেক চিঠি আছে। পড়লে নিজেকে তরুনীই লাগে।দিনটা ভালই কাটে।
ধন্যবাদ আপুনি।
শুভ কামনা।
শিরিন হক
ধন্যবাদ আপু
আলমগীর সরকার লিটন
বেশ অনুভূতির স্পর্শ ছুঁয়া কবি আপু
অনেক শুভেচ্ছা রইল—————–
শিরিন হক
কৃতজ্ঞতা
সুপায়ন বড়ুয়া
ভালোই তো হলো।
পত্রমিতালীর সোনালী যুগের
কথা পড়ে গেল মনে।
কখন আসবে প্রিয়ার চিঠি
দিন কেটেছি গুনে।
শুভ কামনা আপু।
শিরিন হক
শভেচ্ছা
শামীম চৌধুরী
ডিজিটালের ভীড়ে ডাকপিয়ন বা ডাকহরকরা এখন শুধুই অতীত। এক সময় অপেক্ষায় থাকতাম কখন ডাকপিয়ন আসবে চিঠির থলে নিয়ে। পত্রমিতালীর উত্তর নিয়ে। আর এখন পত্রমিতালী শুধুই নানান ধরনের এ্যাপসে। ভাল লাগলো লেখাটি।
শিরিন হক
ধন্যবাদ আপনাকে
তৌহিদ
ফেসবুকের আগে পত্রমিতালীর প্রতিটি শব্দে কত কত আবেগ জড়িয়ে থাকতো সে সুবাস এখন আর নেই। এখন বিয়েও হয় ডিজিটাল মাধ্যমে আবার প্রেম হয়ে তা ভেঙেও যায় এই অনলাইনেই।
চমৎকার লিখেছেন আপু।
শিরিন হক
পত্রমিতালি যে কেবল প্রেম তা কিন্তুু নয় বন্ধুত্র একটি সুস্দর সম্পর্কে একে অপরের কাছে মনের ভাব প্রকাশ করা
হয়তো কার ভেতরে প্রমের সৃষ্টি হয় কারো হয় না
ডিজিটাল যুগে বন্ধুত্ আর পত্রমিতালি দুটোই একদম আলাদা।
ধন্যবাদ আপনাকে
তৌহিদ
আবেগ শুধু প্রেমে নয় বন্ধুত্বেও থাকে এবং তা সবচেয়ে বেশি।
সৌবর্ণ বাঁধন
খুব সুন্দর ও গোছানো ভাষার ঝংকার।
শিরিন হক
ধন্যবাদ আপনাকে
আরজু মুক্তা
এক নিঃশ্বাসে পড়ে স্মৃতিকাতর হলাম।
দারুণ লিখা