
করোনা নামে আর কোন কিছু লিখব না ভাবছিলাম।
কারণ মতের অমিল হলে মানুষ যে কত জঘন্য ভাবে আক্রমণ করতে পারে বন্ধু তালিকা থেকে যাদের সাথে এক টেবিলে নাওয়া খাওয়া হত কত স্বপ্ন বুনতাম। তাদের একটি সংঘবদ্ধ গ্রুপ একসাথে আক্রমন করে। তারা চিহ্নিত গ্রুপ তাদের কারনে “মহারানী চোর “ কবিতাটি এক সময় প্রত্যাহার করেছি ফেইস বুক থেকে। এবার কিন্তু প্রত্যাহার করিনি। সে বিষয়টা পরে আসছি। কিন্তু দু:খটা অন্য জায়গায় আমরা যারা সেকুলার বা স্বাধীন মতের বিশ্বাষ করি তারা কিন্তু পাশে ছিল না বরং একটা নিরপেক্ষতার নামে সেই পক্ষ নিল। যাক বিষয়টা পরে আসছি।
আজ লিখার সাহস পেলাম এইজন্য গতকাল করোনা জয়ীদের লাইভ প্রোগ্রাম দেখলাম। ATN News র সাংবাদিক যার কারনে পুরো অফিস লকডাউন ছিল। তিনি সুস্থ হলেন বলেন মনোবল না হারাতে। করোনা কিছুই করতে পারবেনা যদি অন্য জটিল রোগ না থাকে। তার স্ত্রী শুরু থেকে হসপিটালে থেকে সেবা দিয়ে গেছেন তিনি করেনা পজেটিভ হয় নি। সাথে সাথে ডাক্তাররা করতালি দিয়ে একযোগে ২১ জন রোগীকে সুস্থ করে রিলিজ দিয়েছেন।
বাংলাদেশে প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর পর্যন্ত ৫৯ তম দিনে দেশে মোট শনাক্ত এগারো হাজার ছাড়িয়েছে। আজ মারা গেছেন ১ জন সহ ১৮৩ জন।
সুস্থ আজ ১৯৩ সহ ১৪০০ জন
এবার আসুন আমরা করোনাভাইরাস থেকে একটু অন্য একটি রোগের খোঁজ খবর নিয়ে আসি। যক্ষ্মা এর সঙ্গে আমরা কমবেশি সবাই পরিচিত। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন-সিডিসি বলছে, আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি, কাশি থেকে যক্ষ্মার জীবাণু ছড়ায়। এছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তি কথা বললে কিংবা গান গাইলেও এ ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে পড়তে পারে।
জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির তথ্য অনুযায়ী দেশে প্রতিদিন যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হন গড়ে ৯৭৮ জন এবং মারা যান ১২৯ জন। এ হিসেবে গত ৫৮ দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৫ হাজারের কিছু কম বা বেশি মানুষ, আর মারা গেছেন হয়তো সাড়ে ছয় ৬৫০০ মানুষ।
আর পুরো বিশ্বে ২০১৮ সালে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় এক কোটি মানুষ। মারা গেছেন প্রায় ১৫ লাখ। আপনারা অবশ্যই জানেন, যক্ষ্মা চিকিৎসায় ভালো হয়। বাংলাদেশ সরকার বিনামূল্যে এর চিকিৎসা দিয়ে থাকে।
যক্ষ্মার মত একটি মরণব্যধি মোকাবিলা করে আমরা টিকে আছি, তাহলে কেন করোনাভাইরাসে আমাদের ভয়? কারন শুরু থেকে মিডিয়া আর ফেইস বুক নামক এটম বোমা। প্রতিদিন হসপিটালের ছবি আর মৃত্যু সংখ্যা আর অমানবিক ছবি পোস্ট করে মানুষকে আতঙ্কিত করে তোলে। ফলে ডাক্তার ছিল না মানুষের পাশে। রোগীরা মিথ্যা তথ্য দিয়ে ডাক্তারদের আক্রান্ত করলো।
সময়ের সাহসী সন্তানেরা ঘরে বসে থাকে না বলে সবাই এগিয়ে আসছে।
ডাক্তার পুলিস সেনা ছাত্র রাজনৈতিক দল, সেচ্ছাসেবী সবাই বিপদগ্রস্থ মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।
1. পাশাপাশি বসে নেই ওৎ পেতে থাকা দেশ রক্ষার নামে শান্তিকমিটির দোষররা। যারা আমার মা বোনকে পাক সেনার হাতে তুলে দিয়েছিল।
2. গনস্বাস্থ্য সংস্থা সরকারের সহযোগীতায় রেপিড কীট বানালেন যদিও তারা পরিবর্তন করে নিয়ন কানুন তোয়াক্কা না করে পরীক্ষা করতে না দিয়ে উন্মুক্ত করে দাঁতের মাজনের মতো পরীক্ষা করার জন্য আহ্বান জানান সবাইকে। শিবিরের সাবেক সভাপতিকে পাশে নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে জনগনের মনোবল ভাঙার রাজনীতি করা শুরু করলেন।
3. আমার অপরাধ মানুষের জীবন নিয়ে রাজনীতি না করার অনুরোধ জানানো। যাক অবশেষে তারা রাজী হলেন ৩য় পক্ষের মাধ্যমে টেষ্ট করার জন্য। আমি সাফল্য কামনা করি। যদিও এখনো পর্যন্ত তারা পরীক্ষার জন্য সেম্পল হস্তান্তর করেনি কিন্তু ২য় বারের মতো সংবাদ সম্মেলনে এলেন মান্না গং দের নিয়ে।
4. একি কায়দায় এই অসময়ে বিদ্যানন্দের বিরুদ্ধে তারা উঠে পড়ে লাগলেন । যারা ১ টাকার বিনিময়ে দুস্থদের খাবার দেন।
যাক সরকার একটি কঠিন সিদ্ধান্ত নিলেন। যুদ্ধে নানা কৌশল থাকতে পারে। কোন রাস্ট্র বা দেশ অনির্দিষ্ট কালের জন্য লকডাউন থাকতে পারে না। আস্তে আস্তে লকডাউন শিথিল করা শুরু করলেন।
কারন দুর্ভিক্ষে মানুষের মৃত্যু থেকে দেশ ও জাতি যাতে রক্ষা পায়।
নারায়ন গঞ্জের পুলিস অফিসার সেদিন মিডিয়ায় জানালেন সেখানে ছোট বড় ৩০০০ মতো শিল্প প্রতিষ্টান ছিল। সেখানে ১৩০ টির মতো জরুরী সাপ্লাই চেইনের প্রতিষ্টান খোলা ছিল। আমরা যারা লকডাউনে গৃহবন্দী আছি তাদের জন্য।
এখন আসুন লকডাউন কতদিন চলবে। ২০২১ র আগে ভ্যাকসিন আসবে না ১৬ কোটি মানুষের ভ্যাকসিন দিতে কতদিন লাগবে ? ততদিন কি লকডাউন চলতে পারবে? না কি সম্ভব ? আর তাই এই করোনা নিয়েই চলতে হবে বেঁচে থাকতে হবে
এদেশ ইউরোপ আমেরিকার মতো ঠান্ডা দেশ নয়। যারা মদ আর চুমা দেয়া সভ্যতার একটি অংশ। ফাস্ট ফুড খেয়ে যারা অভ্যস্ত। তারা BCG টীকা দেয় নাই।
তারা আক্রান্ত হবেই মারা ও যাবে।
এখন করোনা নিয়ে বাঁচতে হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। বাড়াতে হলে কি করা উচিত।
1. ব্যায়াম করতে হবে ৩০ মিনিট
2. মানসিক প্রশান্তি থাকতে হবে
3. পর্যাপ্ত ঘুম।
4. শরীরে রোদ লাগানো।
বাদ দিতে হবে।
1. A/C , ফাস্ট ফুড, মিষ্টি , লবন নিয়ন্ত্রন করতে হবে।
গ্রহণ করতে হবে।
1. প্রচুর পানি, গরম জলে গারগল, কুষুম গরম পানি, লেবু , টক জাতীয় ফল।
সবশেষে বলি ক্ষুদ্র ব্যবসাহীদের ঈদ সামগ্রী বিক্রয় করার জন্য দোকান পাট খুলবে। এটা একটা কঠিন সিদ্ধান্ত। মানুষ প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনবেন। সাবধান যাতে সাবেটাজ বা বুমেরাং না হয়।
সবশেষে বলি।
1. যারা এদেশ স্বাধীন হবেনা ভবিষ্যৎ বাণী করেছিলেন।
2. ৯৮ সালে ২ কোটি মানুষ মরবে বলেছিল
তাদের পরামর্শ নিলে দেশ স্বাধীন হত না আর ২ কোটি লোক ও বাঁচতো না। আশা করি করোনা যুদ্ধে ও আমরা জয়ী হব।
হংকং এর বন্ধুদের মতো বলি অফিস বাসা থেকে কাজ করতে বলার পরও ওরা সাব ওয়েতে করে অফিস করে যায়। বলে আমরা সার্স মোকাবেলা করেছি। করোনা আমাদের কিছুই করতে পারবে না।
তাই আমাদের ও করোনা মোকাবেলা করে বাঁচতে হবে। আমরা রোদে পোড়া ঝরে ভিজা মানুষ। গৃহবন্দী থেকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে পঙ্গু হয়ে মরার ছেয়ে যুদ্ধ করে বাঁচবো। তাই বলি।
এখন করোনা কাল সাধু তুমি সাবধান !
৩৬টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা। সাবধানে থেকেই কাজ চালিয়ে যেতে হবে কারন ইউরোপ এর মতো আমাদেরকে বসিয়ে খাবার দিতে সরকার পারবেনা। পেটের ক্ষুধা ই বড় কষ্ট। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা রইলো
সুপায়ন বড়ুয়া
ঠিক তাই দিদি। ভ্যাকসিন আসতে ১ বছর লাগবে দিতে লাগবে আর ও ১ বছর। দুই বছর মানুষ গৃহবন্দী থাকবে না। জীবিকার তাড়নায় মানুষ মাটে নামবে। তাই করোনা জয় করেই নামতে হবে।
ধন্যবাদ। শুভ কামনা। ভাল থাকবেন।
ছাইরাছ হেলাল
এত ধৈর্য নিয়ে কেমনে লিখলেন সেটাই ভাবি।
ক্রান্তি কাল আমরা উৎরে যাবই, ক্ষয় ক্ষতি মেনে নিয়েই।
কতটা কম ক্ষতিতে রক্ষা পাই তার জন্য সাবধানতা দরকার।
সুপায়ন বড়ুয়া
সহমত ভাইজান।
পারি না তবু না লিখতে হয় দু:খে কষ্টে। জানি কেউ ধৈর্য ধরে পড়বে না।
তবু ও লিখি মিথ উপর না থেকে। করোনাকে সাথে নিয়ে কিভাবে বাঁচা যায় সেভাবে বাঁচতে।
ধন্যবাদ। শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার লেখা অবশ্যই পড়ি/পড়বো, পড়েছি যেমন আগেও।
অনেক কষ্ট নিয়ে লিখেছেন তা বোঝা যায়, লড়াই করেই আমরা টিকে থাকবো,
সব অপ শক্তির বিরুদ্ধে।
কে বলে আপনি লিখতে পারেন না!! এর থেকে আর বেশি পারতে হবে না।
সুপায়ন বড়ুয়া
ভাইজান ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
বড় লেখা অনেকে পড়ে না। আমি পড়ি কারন যিনি লিখেন কষ্ট করেন আমরা যদি না পড়ি অবিচার হবে।
আজ অনেক কঠিক সময়। বহুমুখী যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে। একদিকে জীবন আর জীবিকার লড়াই। অন্যদিকে অপশক্তির বিরুদ্ধে মানষিক দৃঢ়তার।
এই লড়াইয়ের জিতার বিকল্প নাই।
প্রদীপ চক্রবর্তী
আমাদের ও করোনা মোকাবেলা করে বাঁচতে হবে। আমরা রোদে পোড়া ঝরে ভিজা মানুষ। গৃহবন্দী থেকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে পঙ্গু হয়ে মরার ছেয়ে যুদ্ধ করে বাঁচবো।
এছাড়া আমাদের আর উপায় নেই দাদা।
শুভকামনা অনেক।
সুপায়ন বড়ুয়া
সহমত। এ ছাড়া বিকল্প নাই।
গৃহবন্দী থাকলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে
রোগে শোকে ভুগে মরতে হবে।
শুভ কামনা।
ইঞ্জা
দাদা, সত্য কথার মূল্য নেই এই দেশে, করোনাকালে যারা দোষী তারাই বেশি চোখ রাঙ্গাচ্ছে।
লেখাটি প্রতিটি অংশের গুরুত্ব অনুভব করে আশা করছি ব্লগ কতৃপক্ষ পোস্টটিকে স্টিকি করবেন।
সুপায়ন বড়ুয়া
ধন্যবাদ ভাইজান। আপনাকে ব্লগে দেখেই
বুঝলাম এই বুঝি ভাইয়ের মন্তব্য আসলো।
বিশেষ কৃতার্থ, বড় লেখা ধৈর্য ধরে পড়ে মুল্যায়ন করার জন্য।
আজ অনেক কঠিক সময়। বহুমুখী যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে। একদিকে জীবন আর জীবিকার লড়াই। অন্যদিকে অপশক্তির বিরুদ্ধে মানষিক দৃঢ়তার।
এই লড়াইয়ের জিতার বিকল্প নাই।
শুভ কামনা। ভাইজান।
ইঞ্জা
ধন্যবাদ দাদা, বড় ভাই বলে লজ্জা দেবেন না, বন্ধু হতে পারি আমরা। 😉
হাঁ দাদা, এই যুদ্ধটা সেয়না সেয়ানাতেই হচ্ছে, মানুষিক ভাবে দূর্বলরা এইখানে হেরে যাবে, ঠিকই বলেছেন যুদ্ধ জয়ে দৃঢ় মনোবল রাখতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই।
সুপায়ন বড়ুয়া
ঠিক তাই ভাইজান।
বাঙালীরা সহজে হারে না
এক শ্রেনীর সুবিধাভোগী মনোবল ভাঙতে চায়।
আমরা করোনা জয় করবই।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
কামাল উদ্দিন
মানসিক প্রশান্তি কোথায় পাবো দাদা, এখন তো খালি মানসিক অশান্তিই সর্বত্র।
সুপায়ন বড়ুয়া
করোনা আতঙ্কে হাত পা গুটাইয়া থাকলে
মানষিক শান্তি আসবে না।
করোনাকে নিয়ে বাঁচতে হবে মনোবল শক্ত রেখে
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
ফয়জুল মহী
আপনার লেখা তথ্যমূলক ও উৎসাহদায়ক
সুপায়ন বড়ুয়া
এটাই নিয়ে বাঁচার স্বপ্ন দেখি।
গৃহবন্দী থেকে রোগে শোকে মরার চেয়ে
প্রতিরোধ ই উত্তম।
তৌহিদ
দাদা, যাই কিছু হোক করোনা যেন এদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস না করে। এখন নিজের ইমিউন ক্ষমতা বাড়ানোই আসল কাজ। স্বার্থপরেরা অনেক কথাই বলে আদতে সত্যেরই জয় হয়।
ইশ্বর এ পৃথিবীকে মানুষের বসবাসের জন্য বানিয়েছেন, তিনিই একে বাঁচাবেন। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে কেবলমাত্র।
চমৎকার বিশ্লেষণধর্মী লেখার জন্য ধন্যবাদ।
সুপায়ন বড়ুয়া
সহমত ভাইজান, সাংবাদিক পত্নী যদি
করোনা রোগী স্বামীর সেবা করে করোনা মুক্ত থাকতে পারে মনোবল চাঙা আর ইমিউন ক্ষমতা বাড়িয়ে।
তাইলে করোনা আতঙ্কে ঘরে বন্দী থেকে রোগে শোকে মরার চেয়ে করোনাকে জয় করেই বাঁচতে হবে।
শুভ কামনা। ভাল থাকবেন নিরন্তর।
নিতাই বাবু
সঠিক উপদেশ! আমি এরমধ্যেই শতভাগ বিশ্বাসী। আমি এখনো সকাল থেকে রাত ৮/৯ টা পর্যন্ত বাইরে থাকি। তবে অফিসের কাজে। আমার কাজ, হাঁটাচলা। আমি প্রতিদিন হাঁটাহাঁটি না করতে পারলেই, আমার দমবন্ধ হয়ে আসে। এরপরও আমি এখনো সুস্থ আছি। তবে চিন্তার মধ্যে দিন কাটাতে হয়, আমার সহধর্মিণীকে নিয়ে। তিনি প্রতিদিন টিভির পর্দায় খবরাখবর শুনে শুনে যখন কাহিল হয়ে পড়ছিল, ঠিক তখনই আমি ঘরের টিভির একটা ইলেকট্রিক তার ছিড়ে রেখেছি। তাতে আর টিভি চলে না, চলে না, চলে না রে–টিভি চলে না।
এখন কিছুদিন যাবত তিনি সহধর্মিণী খুবই ভালো অবস্থাতে আছে। আশা করি ভালোই থাকবে।
শুভকামনা থাকলো শ্রদ্ধেয় দাদা।
সুপায়ন বড়ুয়া
ঠিক কাজটিই করেছেন।
টিভির খবর দেখতে দেখতে মানুষ ইমিউনিটি হারিয়ে অসুস্থ হচ্ছে। তিনি ভাল আছে জেনে ভালই লাগছে
শুভ কামনা।
সুরাইয়া পারভীন
এই বিপর্যয়কে কাটিয়ে উঠতে পারবো আমরা ইনশাআল্লাহ। এর জন্য আমাদের যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এই আর কি। জয় আমাদের আসবেই আসবে। সেই সব মানুষ থেকে দূরে থাকুন দাদা যারা আপনার ভালোটা নিতে পারে না । আপনি লিখবেন আমাদের জন্য। আমরা পড়ছি পড়বো
ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সাবধানে থাকবেন সবসময়
সুপায়ন বড়ুয়া
সহমত আপু।
আপনার সহমর্মিতা আর উপদেশ
খুব ভালো লাগলো যা প্রেরণার উৎষ।
আমরা করোনা জয় করবোই।
শুভ কামনা। ভাল থাকবেন নিরন্তর।
জিসান শা ইকরাম
এই বিপর্যয়কে কাটিয়ে উঠতেই হবে আমাদের।
কিভাবে করোনা ভাইরাস ছড়ায় তা আমরা মোটামুটি সবাই জানি। এসব মেনে চললে আশাকরি সংক্রামন কম হবে লক ডাউন তুলে দিলেও।
সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ভালো একটি লেখা পোস্ট করার জন্য ধন্যবাদ।
শুভ কামনা।
সুপায়ন বড়ুয়া
সহমত ভাইজান।
করোনা আতঙ্কে গৃহবন্দী থেকে নানা রোগে
আক্রান্ত হওয়ার চেয়ে করোনার যুদ্ধে জয়ী হয়ে
বাঁচতে হবে।
ভাল থাকবেন ভাইজান। শুভ কামনা নিরন্তর।
মাছুম হাবিবী
সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন দাদা। তবে আপনার লেখার সাথে কিছু কথা না বললে নয়, বিশ্ব সংস্থার মতে যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি তারা করোনা ঝুঁকিতে কম। তবে তাদের কথার উপর একটা কথা বলতেই হয়, যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হয় তাহলে নিয়মমাফিক শরীর চর্চা করতে হবে তার সাথে নিজের পরিশ্রমের কাজগুলো করতে হবে। কিন্তু আমরা তো তা থেকে বিরত হয়ে লকডাউনে বসে আছি। আচ্ছা বাংলাদেশের মত একটি দেশে যদি টানা ৩ মাস লকডাউন থাকে তাহলে কি দেশের অবস্থা খারাপ হবেনা? এসব বিষয় নিয়ে লিখলেই লেখা বাড়ে। আমার মত লকডাউন চালু রাখতে হলে জনগণের খাবার ঘরে ঘরে পৌছিয়ে দিতে হবে। আগে খাবার তারপর লকডাউন অন্যতায় লকডাউন মানিনা।।
সুপায়ন বড়ুয়া
সহমত।
লকডাউন একটা সাময়িক পদক্ষেপ। এটা সারাদেশ ব্যাপী অনিদিষ্ট কাল ধরে চলতে পারেনা।
এইজন্যই আস্তে আস্তে কাজে ফিরতে হবে নাহলে গৃহবন্দী থেকে রোগে শোকে ধুঁকে মরতে হবে।
শুভ কামনা।
শিরিন হক
কিছু বলবার নাই আমার। মনে সংশয় আর ভয় নিয়ে কাটছে দিন
সুপায়ন বড়ুয়া
সেটাই আপু ঘরে থাকতে থাকতে বাইরে লোক দেখলেই ভয় লাগে। দোকান থেকে বাসায় আসলে অসুস্থ মনে হয়।
খাঁচার পাকি ছাড়লে ও বের হয় না এইরকম হলে
ঘরে থেকে অসুস্থ হয়ে মরতে হবে।
ভাল থাকবেন।
সাবিনা ইয়াসমিন
ক্রমাগত লকডাউনে এক শ্রেণীর মানুষ বাসায় থেকে-খেয়ে হাপিয়ে উঠছে শুধুমাত্র বাইরে যেতে পারছে না বলে। আবার অন্যদিকে কিছু মানুষদের অশ্রুসিক্ত চোখে কাছ থেকে দেখতে হচ্ছে ক্ষুধার্ত পরিবার পরিজনের মুখ। তারাও এখন রোগ-ভাইরাসের ভয়ে ঘরে থাকতে চাইছে না। আমাদের মৌলিক চাহিদার প্রথম জিনিসটাই হলো খাদ্য। খাদ্যের চাহিদা না থাকতো তাহলে পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষের মাঝে কাজ করার স্পৃহা থাকতো কিনা, এ ব্যাপারে সন্দেহ আছে। আমি মনে করি, দূর্যোগের সময় লকডাউন সীমিত সময়ের জন্য চলে, কিন্তু আমাদের দেশের মতো স্বল্প আয়ের দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য লকডাউন চালু রাখা কিছুটা অযৌক্তিক।
বিত্তশালীরা চাইবে লকডাউন আরও একযুগ থাকুক। ছিন্নবিত্তদেরও সমস্যা নেই, তারা দ্বারে দ্বারে ঘুরে চেয়ে নিয়ে খেয়ে-পড়ে বাঁচবে। কিন্তু যারা মধ্যমে আছেন তাদের কথা কেন কেউ ভাবছে না! যে দেশে ত্রানের চাল চুরি হয়ে যায়, যেখানে একটা মাস্ক নিতে গেলে চারজনের সাথে ছবি তুলতে হয়, সেখানে একজন আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন ব্যাক্তি কিভাবে মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় বস্তু হাত পেতে নিবে? তারা চাইবে রোগ-শোকের সাথে লড়াই করে হলেও আত্মসম্মান বজায় রেখে বাঁচতে।
শুধু করোনা বা লকডাউন নিয়ে নয়, কিছু মানুষের কাজই হলো পজিটিভের বিপরীতে চিন্তা করা, এবং নিজের চিন্তা অপরের উপর চাপিয়ে রাখা। রাষ্ট্র পরিচালনা থেকে শুরু করে রাজনীতি, ধর্ম, ব্যাবসা, শিক্ষা, চিকিৎসা, সম্পর্ক, বন্ধুত্ব সব জায়গায় এসব মানুষের দেখা পাওয়া যায়। তখনই বোঝা যায় কে কতটুকু যুক্তিসম্মত চিন্তা করার যোগ্যতা রাখেন।
আপনার লেখাগুলো সব সময়েই মানুষকে আশাবাদী হতে সাহায্য করে। আরও লিখুন দাদা।
শুভ কামনা 🌹🌹
সুপায়ন বড়ুয়া
সহমত আপু ,
লকডাউন একটা সাময়িক পদক্ষেপ। এটা সারাদেশ ব্যাপী অনিদিষ্ট কাল ধরে চলতে পারেনা।
এইজন্যই আস্তে আস্তে কাজে ফিরতে হবে নাহলে গৃহবন্দী থেকে রোগে শোকে ধুঁকে মরতে হবে।
ঘরে থাকতে থাকতে বাইরে লোক দেখলেই এখন ভয় লাগে। দোকান থেকে বাসায় আসলে অসুস্থ মনে হয়।
খাঁচার পাকি ছাড়লে যেমন বের হতে চায় না ঠিক আমাদের অবস্থা তাই দাঁড়িয়েছে। না হয় ঘরে থেকে অসুস্থ হয়ে মরতে হবে।
আমরা যক্ষা জয় করে বেঁচে আছি করোনা ও জয় করে বেঁচে থাকবো।
ভাল থাকবেন।শুভ কামনা।
হালিম নজরুল
সাধুরা তো সাবধানই দাদা।
এখন চোররা সাবধান হইলেই ওকে।
সুপায়ন বড়ুয়া
চোরের কাজ চুরি করা সাবধানে করেও পার পায়না
এটা মোবাইলের যুগ তাই ধরা খেয়ে আম ছালা দুইটাই যায়।
আর সুবিধাভোগীরা ঘোলা জলে মাছ ধরবার চায়।
তাই সাধু সাবধান।
শুভ কামনা।
শামীম চৌধুরী
খুব সুন্দর লিখেছেন দাদা। এক সাধু সাবধান হবে হাজার সাধু পয়দা হবে।
সুপায়ন বড়ুয়া
ধন্যবাদ ভাইজান।
সাধু পয়দা হলে ভাল
ভন্ড সাধু না হলে হলো।
শুভ কামনা। ভাল থাকবেন।
সঞ্জয় মালাকার
খুব সুন্দর লিখেছেন দাদা,
সুপায়ন বড়ুয়া
ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।
শুভ কামনা।