আমি এখানে এসেই ভাবি কিছু একটা লিখব। কিন্তু ভাবতে ভাবতেই সময় শেষ হয়ে যায়। লেখারা আসেনা। আমিও আর কষ্ট করে খুঁজতে যাইনা। আজকেও ভাবছি কিছু লিখব কিন্তু পারছিনা। এই যে লিখতে পারছিনা আমি আজকে আমি সেটাই লিখে রাখব।
এই পর্যন্ত লিখে আমি জানালা দিয়ে বাহিরে তাকালাম। আজ অষ্টমি। দূর থেকে ঢাকের অস্পস্ট শব্দ ভেসে আসছে, বাতাসে পুঁজোর গন্ধ। ছোটবেলায় আমার প্রিয় গানের তালিকায় অন্তরা চৌধুরীর কিছু গান ছিল। তারমধ্যে একটা গান ছিল পুঁজো নিয়ে, “ও ও ও আয়রে ছুটে আয়, পুঁজোর গন্ধ এসেছে, ঢেম-কুরা-কুর, ঢেম-কুরা-কুর বাদ্য বেজেছে! তাতে শিউলি ফুটেছে, কালো ভোমড়া জুটেছে!” এই গানটা অনেক ছোটবেলায় শোনা। কত আর বয়স তখন এই ছয় বছর হবে খুব বেশী হলে। অথচ আমার স্পষ্ট মনে আছে সেই দিন গুলো।
নাহ এখন আর লিখতে ইচ্ছে করছেনা। তারচেয়ে বরং রোদের খেলা দেখি। সবুজ পাতায় সোনালি রোদের লুকোচুরি খেলাটা বেশ জমেছে।
১৫টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
বাহ্ – লিখতে পারেন না তাতেই এমন , লিখলে কী জানি কী হত ।
এমন লিখলেই হবে সোনালি রোদে চোখ রেখে ।
লীলাবতী
থ্যাংকস।আপনার মন্তব্য উত্সাহ যোগায়। ভাল থাকুন সবসময়।
জিসান শা ইকরাম
দিনলিপির মত লেখা , ছোট ছোট ভাবনা , যা খুসি লিখুন ।
কোন সমস্যা নেই।
ধরে নিন এই ব্লগ আপনার একটি রাফখাতা ।
লীলাবতী
ঠিকাছে যা খুশী তাই লিখব।
আদিব আদ্নান
এত অল্প বয়সের স্মৃতি সবার কিন্তু মনে থাকে না ।
লীলাবতী
আদিব আমার অনেক ছোটবেলার স্মৃতী মনে আছে। এমন কী আমার জীবনের প্রথম বন্ধুর নামটাও মনে আছে। অথচ নিকট অতীতের অনেক স্মৃতী আমি ইচ্ছে করেই ভুলে যাই।
জবরুল আলম সুমন
খুব অল্পতেই অনেক কিছু বলা হয়ে যায় তা আপনার এই লেখায় প্রমাণ করলেন… মিষ্টি রোদের আলো আপনার ঘরে খেলা করুক, শুভ কামনা রইলো সেই সাথে শারদীয় শুভেচ্ছা…
পেন্সিলে আঁকা পরী
ছাইরাছ হেলালের মন্তব্যটা দারুন লাগল।আমিও ছাইরাছ হেলালের কথাই বলি,
“বাহ্ – লিখতে পারেন না তাতেই এমন , লিখলে কী জানি কী হত ।
এমন লিখলেই হবে সোনালি রোদে চোখ রেখে ।”
শিশির কনা
মজা পাচ্ছি বেশ , কয়েকটি ছোট ছোট লেখা দেখে । এটিও তেমনি। শুরু হতেই শেষ 🙂 ঝরাপাতা – ২ এর অপেক্ষায় ।
লীলাবতী
সুমন, পরী, কনা থ্যাংকস আপনাদের মন্তব্যের জন্যে। পচা ব্লগে সবার মন্তব্যের জবাব আলাদা করে দিতে না পারার জন্যে আমি আন্তরের অন্তর্স্হল থেকে দুঃখ প্রকাশ কর্তেছি।
নীতেশ বড়ুয়া
এখন তো এমন করে আর লিখতেই চান না!!!! 🙁
লীলাবতী
সব সময় কি সব ধরনের লেখা সম্ভব?আমার পক্ষে সম্ভব না দাদা ভাই।
নীতেশ বড়ুয়া
🙁 সব সময় কোথায়! এখন তো একদমই হয় না 🙁
শুন্য শুন্যালয়
এইটা বাবুই এর লেখা? কোথায় গেলো সেই বাবুই? কে কেড়ে নিলো? অরিত্র?
এমন লেখা চাই ভত্তাবউ। মনটা ভিজে গেলো অই সবুজ পাতায় সোনালী রোদের খেলায়।
এই গানটা তো আমি শুনিনি ঢেম কুর কুর, তুমি গেয়ে শোনাবে আমাকে, মনে থাকে যেন।
সুরাইয়া পারভীন
লিখতে না পারলেও যে এতো সুন্দর লেখা যায়
আপনার লেখা না পড়লেও বোঝায় যেতো না
দারুণ লিখেছেন