
এক.
অবশেষে যা ভাবলাম তাই হলো সত্যি। শ্রমজীবির কাফেলা দলে দলে ঢাকা ফিরছে পায়ে হেঁটে তাদের জীবন ও জীবিকার নিশ্চয়তার সন্ধানে। কারণ তারা জানত ৪টা এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি শেষে কাজে যোগ দিতে হবে। সরকার ছুটি বাড়ালেও বি জি এম এ নির্দেশনা মানে নি।
স্বাভাবিক ভাবেই নেতৃত্বে থাকা সভাপতির রুবানা হকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠল। ৮৩ সালে স্বৈরাচারের সহযোগী হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হয়ে ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের বিরুদ্ধে গেলেন লাশ লুকানো খেলে। স্বাভাবিক ভাবে তার ভূমিকা নতুন করে প্রশ্নবিদ্ধ হলো ।শ্রমিকদের মানব বোমা হিসেবে ব্যবহার করার জন্য। যা আজ সমগ্র জাতির জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচনা হচ্ছে।
শ্রমিকরা আবার স্বাভাবিক কারণ বাড়ি যাবে আপন জনের সাথে থাকার জন্য। কারণ তাদের যা আছে সবাই মিলে খাবে। আমরা শহুরে জনগন যেমন বিপদ দেখলে হুমড়ি খেয়ে পড়ি মজুদ করার জন্য আর রোজার ঈদে আগে যাই আর কোরবানি ঈদের পরে যাই আপন জনের সাথে ঈদ করার জন্য। ( অবশ্যই ব্যতিক্রম আছে )
দুই :
আমরা আজ ঘরে বসে বসে কাউন্ট ডাউন করছি কতজন করোনা রোগী আক্রান্ত হল আর মারা গেল দেখতে দেখতে আতঙ্কিত হচ্ছি কারন ডাক্তাররা চিকিৎসা করতে ভয় পাচ্ছে কারন PPE লাগবে আর দায়িত্ব নিয়ে কেউ কিছু বলতে ও পারছে না WHO প্রদত্ত প্রেসক্রিপশন ছাড়া। সমস্ত পেশাজীবিরা এগিয়ে আসছে ঝুঁকি আছে জানা সত্বেও সমস্ত পেশাজীবিরা তাদের দায়িত্ব জেনে শুনেই আসে। পরিছন্ন কর্মীরা যদি ভয়ে ময়লা কালেকশন না করত তাহলে ঢাকার বাসা বাড়ি গুলো এতদিনে গার্ভেজ স্টেশন হত।
পাশাপাশি ২৫০০ তরুন চিকিৎসক রেজিস্টার করে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। মাশরাফির নেতৃত্বে ডাক্তাররা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেবা দিচ্ছে। আর আজমত গ্রুপের ৫০০ জন শ্রমিক বিনাবেতনে ১ লাখ পিপিই বানাচ্ছে স্বেছায় আমাদের ডাক্তারদের জন্য। যেখানে বাকি ৪০০০ শ্রমিক ছুটিতে।
আসল সমস্যা হল রোগী ব্যবসা। আজ যদি প্রাইভেট হাসপাতালে করোনা রোগীর চিকিৎসা উন্মুক্ত থাকত তাহলে লাখ লাখ টাকায় ICU গুলো ভর্তি থাকত আর প্রতিদিন হাজার রোগী মারা যেত।
বিশ্বাস না হলে আসুন পরিসংখ্যান কি বলে।
বাংলাদেশে গড় মৃত্যু হার ৫.৪ প্রতি হাজারে। তাহলে ১৬ কোটি মানুষের দেশে প্রতিদিন মানুষ মরে গড়ে
১৬০০০০ x ৫.৪ /৩৬৫ = ২৩৬৭ জন।
এটা সত্যিই খুবই আশ্চর্যজনক ঘটনা যেন সব অসুখ অদৃশ্য হয়ে গেছে।
না কি করোনা ভাইরাস সব অসুখকে মেরে ফেলেছে?
না প্রশ্নটা হলো স্বাস্থ্যব্যবস্থার বাণিজ্যকরণের।
যেখানে কোনও অসুখই নেই সেখানেও ডাক্তাররা তাকে অসুস্থ বলে দেন। কর্পোরেট হাসপাতালের অবস্থা এই সময় আরও খারাপ। গভীর সংকটে পড়েছে তারা।
মামুলি সর্দিকাশিতেও যারা কয়েক হাজার এমনকি লাখ টাকার বিল বানানো কোনও ব্যাপার ছিলো না।
এখন সেখানে বেশির ভাগ বেড খালি পড়ে আছে।
আমি ডাক্তারদের সেবাকে ছোট করার চেষ্টা করছি না। কারন ডাক্তাররা বলছে আমরা প্রাইভেট হাসরাতালে চাকরী করি বা প্র্যাকটিস করছি। হাসপাতাল বা ক্লিনিক বন্ধ আমাদের উপর নির্ভর করেনা।
কোভিড 19 এ যারা সেবা করছেন তাদের আমি প্রণাম জানাই।
কিন্তু ভয়টা যেন একটু বেশিই দেখানো হয়ে গেছে।
এছাড়া লোকে এখন বাড়ির খাবার খাচ্ছে, হোটেলের খাবার নয়।
সেটার খুব ভালো ফল হচ্ছে।
যদি System নিজের মতো ঠিকঠাক কাজ করে আর লোকে পরিশ্রুত জল ও শুদ্ধ সাদা খাবার খায় তো তাতেই অর্ধেক অসুখ আপনাআপনি সেরে যায়
সুস্থ থাকাটা আমাদের জীবনশৈলীর অন্যতম অঙ্গ যেটা কেবল ডাক্তারের উপর নির্ভর করে না।
মহাত্মা গান্ধী ‘হিন্দু স্বরাজ’ এ লিখেছিলেন, ডাক্তাররা কখনোই চায়না লোকে সুস্থ থাকুক।
উকিলরা কখনওই চায়না নিজেদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি মিটে যাক।
তিন :
সবাই আজ আতঙ্কিত তাই সবাই ভাবছে আমরা চীনের মতো লক ডাউন করছি না কেনো।
আপনারাই বলুন বাংলাদেশে বাস করে কমুনিষ্ট চীনের কথা ভাবা যায় ?সেখানে ধর্ম কর্ম নিষিদ্ধ।
সরকার যা বলবে সেটাই হবে। আর আমাদের ভয়টা আরও বেশী। ১/১১ কুশীলবরা মুখে কলুপ এটেছে।
আর অপ্রিয় হলে ও সত্য হেফাজাতিরা এসেছিল ঢাকায় নামাজ পড়তে। পাকি মানসিকতার নেতৃত্ব উসকানি দিল ব্যাংক পাড়ায় আগুন দিতে। আর বিনারক্তপাতে যখন তাদের তাড়ানো হলে প্রচার হলো হাজার হাজার মুসল্লী হত্যা করে লাশ গুম করা হলো।
এটাই বাংলাদেশের আর এক পিট। এখানে সুযোগ সন্ধানীরা ওৎ পেতে থাকে আর মরিয়া প্রমান করতে হবে করোনা মরন ঘাতি। তার আগে কেউ বিশ্বাস করবে না।
সেদিন এক স্যারের স্টাটাস দেখলাম।
(পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল আর তলদেশে টানেল যদি হয় রাষ্ট্রের উন্নয়ন তবে আসেন আজকে গাউনের পরিবর্তে পদ্মা সেতু গাঁয়ে দেই, টেষ্ট কিট হিসেবে মেট্রোরেল ব্যবহার করি এবং চলেন সবাই মিলে টানেলে গিয়ে শুয়ে থাকি অন্ততঃ গ্লাভস মাস্ক আইসোলেশনের টেনশন থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
মনে মনে অনেক দূর চলে গিয়েছি
প্যারিস, সিঙ্গাপুর, লসএঞ্জেলস।
সংগৃহীত )
স্যার কি করছেন জিজ্ঞেস করেন চুলকানি আর উসকানি ছাড়া । তিনি পরোক্ষ ভাবে চিকিৎসক দের চিকিৎসা না দেয়ার ইন্দন দিচ্ছে। মনোবল ভেঙে দিচ্ছে।
আমেরিকা যেখানে হিমসিম খায়
তিনি পদ্মাসেতুর হিসাব চায়
উনার জ্বালা করোনা নয় , সেতু আর মেট্রোরেল।
কারন ওখানো কনসালটেনসি ছিল না যেরকম ভিসি বদলাতে আর ক্লাস বন্ধ রাখতে থাকে ছিল।
আজ স্যারের কথায় মনে পড়ে যায় সেই ছেলেবেলার কথা।
ছেলে যায় পুকুরে ডুবে
স্যারেরা মাকে গালি দেয়
ছেলেটা মরার আগে।
পরিশেষে বলি আজ সবাইকে নিয়ে বাঁচার জন্য স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে পাশাপাশি উসকানিতে ও পা দেয়া যাবে না। করোনার যেহেতু চিকিৎসা নেই তাই নিজের জীবন ও পরিজন নিয়ে করোনা প্রতিরোধ করতে হবে।
বাসায় থাকুন, নিজে বাঁচুন অন্যকে বাঁচতে দিন।
মনোবল হারানো যাবেনা। মনোবল হারালে রোগে শোকে আপনাকে গ্রাস করবে।
সবশেষে চায়নীজ বন্ধুর মতো বলি
১. লবন গরম জলে গারগল করো
২. আদা লেবু গরম জল/রঙ চা পান করো।
৩. বাসায় থাকো নিজে বাঁচো, অন্যকে বাঁচাও
করোনা তোমায় ছোবে না।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
৩৬টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
নিরাপত্তা মেনে প্রভুর সরণ আমাদের একমাত্র রক্ষা কবজ।
ওদের ফ্যা ফ্যা করতে দিন।
আপনিও ভাল থাকুন।
সুপায়ন বড়ুয়া
ঠিক বলেছেন ভাইজান।
স্বাস্থ্য বিধি মানার বিকল্প নাই।
বাসায় থাকি। নিজে বাঁচি। অন্যকে বাঁচাই।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
খুব ভালো লিখেছেন দাদা। যারা ফ্যা ফ্যা করার তারা সবকিছু তেই এমনটা করবে। নিজেরা গর্তে লুকিয়ে থাকে আর অন্যেরে উপদেশ দেয় এটা না ওটা করো। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা রইলো
সুপায়ন বড়ুয়া
ঠিক বলেছেন দিদি।
শকুনের দল ওৎ পেতে থাকে
লাশের ওপর খেলবে বলে।
আমরা ও বাঁচব আপন শক্তি বলে।
শুভ কামনা।
সুরাইয়া পারভীন
সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে সৃষ্টিকর্তার নিকট দয়া প্রার্থনায় এখন একমাত্র মুক্তির উপায়।
ওৎ পেতে থাকা সুযোগসন্ধানীদের কথা গা পা না ভাসানোই বুদ্ধিমত্তার কাজ।
চমৎকার লিখেছেন দাদা
সুপায়ন বড়ুয়া
ধন্যবাদ আপু। সহমত ১০০ ভাগ।
ষড়যন্ত্রের জাল ফেলছে শকুন
মানুষ হত্যার ফাঁদে।
আমরাই শুধু জিতব আবার
বাসায় থাকি আগে।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
কামাল উদ্দিন
আসলেই ভালো একটা বিষয় আপনার পোষ্ট থেকে পেলাম, সেটা হলো মানুষের রোগ শোক ইদানিং কমে গেছে। কারণ আমরা পরিচ্ছন্ন হতে কিছুটা হলেও শিখেছি……শুভ কামনা সব সময়।
সুপায়ন বড়ুয়া
ধন্যবাদ ভাইজান পড়ার জন্য।
ঠিক তাই। মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছে।
জান্ক ফুড বাদ দিয়ে বাসার ডাল ভাত খাচ্ছে।
কিছু রোগ এমনিতেই সেরে যায়।
রোগীর করপোরেট বানিজ্য করণ বন্ধ তাই।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
কামাল উদ্দিন
এভাবেই চলতে থাকুক আমাদের ভবিষ্যতের দিনকালগুলো
এস.জেড বাবু
চোখে দেখা বাস্তবতা
নিরেট ছবি তুলে ধরেছেন দাদা।
গভীরে ভাবতে পারেন আপনি- অভিনন্দন আর দোয়া।
সুপায়ন বড়ুয়া
ধন্যবাদ ভাইজান ডিটেইল পড়ার জন্য।
এটাই বাস্তবতা। এটাই আমার দেশ
নিত্য খেলা করে শকুনের বেশ।
সকল বাধা উপড়ে ফেলে
জিতব মোরা, জিতবে বাংলাদেশ।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
তৌহিদ
যারা চিলাফাল্লা করছে করতে দিন। বিজিএমইএর সভাপতিকে একাই আর দোষ দিয়ে লাভ নাই। এর পিছনের রাঘববোয়ালরা আড়ালেই থেকে গেলো।
স্বাস্থ্যবিধি মানতেই হবে এর বিকল্প নেই। এই দূর্যোগে যারা সেবা করছ্র তাদের শ্রদ্ধা জানাই। চিকিৎসায় বানিজ্য আসবে কেন এটাই প্রশ্ন।
তিন নম্বর লেখাটিতে উপকৃত হলাম সবাই। ভালো থাকবেন দাদা।
সুপায়ন বড়ুয়া
সহমত ভাইজান।
হয়তো তাই, রাঘব বোয়ালেরা আড়ালে থেকে গেল।
মানুষকে বিপদে ফেলে যারা চিকিৎসা মহৎ পেশা নিয়ে যারা বানিজ্য করে তাদের জন্য করুনা হয়
সুযোগ সন্ধানীরা ওৎ পেতে থাকে মানুষকে বিপদে ফেলে।
তাই স্বাস্থবিধি মেনে চলে নিজে বাঁচি অন্যকে বাঁচাই
তার কোন বিকল্প নাই।
ধন্যবাদ ভাইজান সাথে থাকার জন্য।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
তৌহিদ
আপনার জন্যেও শুভকামনা ভাই।
জিসান শা ইকরাম
গাজিপুর বা নারায়ণগঞ্জে ভাইরাস সক্রামণ গার্মেন্টেস কর্মীদের মাধ্যমে হলো কিনা তা ভবিষ্যতই বলবে।
প্রাইভেট হাসপাতালগুলো বন্ধ রয়েছে কারন কিছু এলিট ডাক্তারদের কারণে হাসপাতাল গুলো চলে, তারা বিভিন্ন অযুহাতে হাসপাতালে যাবেনা বলে হাসপাতাল বন্ধ। এরা ডাক্তার নামের কলঙ্ক। পাশাপাশি আমরা দেখি ভারতের ডাক্তারগন রেইনকোট গায়ে, মালয়েশিয়ায় পলিথিনের বড় ব্যাগ গায়ে দিয়ে ডাক্তারগন চিকিৎসা করছেন।
ডাক্তারদের চিকিৎসার বাঁধা দেয়ার জন্য একটি চক্র সক্রিয় আছে।
সমসাময়িক বিষয়ে খুব ভালো একটি পোষ্ট দেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভ কামনা।
সুপায়ন বড়ুয়া
আল্লাহ না করুক এই শ্রমজীবিদের যাতে এই অপবাদ
বইতে না হয়।
বরং আমার ভয় হয় তারা ঢাকা এসে আক্রান্ত হলো কিনা।
আর সব জায়গায় মধ্যসত্ত ভোগীরা ফায়দা লুটে।
ডাক্তারের মতো মহৎ পেশাটাকে আজ কিছু স্বার্থান্বেসী
মহল আজ কলঙ্ক লেপটে দিল।
স্যালুট জানাই যারা আজ মানুষ বাঁচানোর লড়াই করছে।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
ফয়জুল মহী
বেশ লেখা। ভালোবাসা ও শুভ কামনা আপনার জন্য।
সুপায়ন বড়ুয়া
ধনযবাদ।
আপনার জন্যও শুভ কামনা রইলো
সাথে থাকার জন্য।
হালিম নজরুল
১. লবন গরম জলে গারগল করো
২. আদা লেবু গরম জল/রঙ চা পান করো।
৩. বাসায় থাকো নিজে বাঁচো, অন্যকে বাঁচাও
——–ধন্যবাদ দাদা।
সুপায়ন বড়ুয়া
ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।
ভাল থাকবেন
শুভ কামনা রইলো
সাবিনা ইয়াসমিন
ঘরে বসে করোনা আক্রান্তদের কাউন্টডাউন করা ছাড়াও আমরা আরেকটি কাজ খুব ভালো ভাবেই করছি, তা হলো আতঙ্কিত মানুষদের অবারিত গুজব সরবরাহ। হাতে কাজ নেই, লেখার মতো কোনো বিষয় খুঁজে পাচ্ছে না কেউ কেউ, তাই অবসর কাটাতে এমন মোক্ষম সুযোগ হাত ছাড়া করার পক্ষে নয় রটনাকারীর দল।
ডাক্তারদের কথা আর কি বলবো! গোটা বিশ্বের ডাক্তারগণ যখন এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছেন, ডাক্তারি পেশাটির মহত্ব বাড়িয়ে দিচ্ছেন কয়েকগুণ উপরে, সেখানে আমাদের ডাক্তাররা প্রাণ ভয়ে লুকিয়ে পরছেন গর্তে ঢোকা ইঁদুরের মতো। পিপিই, নিরাপত্তা হ্যানত্যান যত অজুহাত দেখাচ্ছেন তাতে ডাক্তারদের পক্ষ থেকে আমরা দেশবাসী লজ্জিত হচ্ছি। করোনার পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ যদি বেসরকারি সংস্থার হাতে দেয়া হতো তাহলে আমাদের দেশ এই রোগীর সংখ্যা নির্নয়ে রেকর্ড করে ফেলতো এতদিনে। আর এই রোগীদের বেশিরভাগ স্থান হতো ভেন্টলেটরে।
প্রতিকী গল্পটা ভালো বলেছেন। আসলেই এমন হয়, সমস্যার সমাধান না খুঁজে আমরা দূর্ভোগকারীদেরই গালাগাল দিয়ে সমস্যা এড়িয়ে যাই।
ঘুরেফিরে আবার লাল চায়েই জীবনের আনন্দ খুঁজে নিয়েছি। আদা তেজপাতা সাথে অল্প চিনি, লাইফ ইজ টেস্টি হয়ে গেছে এই একমাসে।
সমসাময়িক পোস্টে আপনার উপস্থাপনা দুর্দান্ত। আপনার পজেটিভ ভাবনাময় লেখা গুলো আমাদেরকে আশাবাদী হতে সাহায্য করে। আরও লিখুন দাদা।
ভালো থাকুন, সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন।
শুভ কামনা 🌹🌹
সুপায়ন বড়ুয়া
ঠিক বলেছেন আপু,
অপেক্ষায় থাকি কখন আপনার বিশ্লেষন ধর্মী মন্তব্য আসবে পুরো লেখাটি পড়ে তখন লেখাটা সার্থক মনে হয়।
বাস্তবতা বড়ই নির্মম ও বেদনাদায়ক। আমরা সবকিছুকে জটিল করে ফেলি নেগেটিভ প্রচার করে।
আজ ডাক্তার ভয় পাচ্ছে চিকিৎসা করতে। মানুষ ভয় পাচ্ছে লাশ দাফন করতে। প্রিয়জন ভয় পাচ্ছে সেবা করতে।
বাংলাদেশের গড় মৃত্যু যেখানে ২২০০ জন। এখন বিনাচিকিৎসায় মৃত্যু হার ভবিসৎ বলবে।
মানুষ একটু সাবধান হলেই এই করোনা থেকে মুক্তি পেতে পারি। অথচ আমরা আতঙ্ক ছড়িয়ে জটিল করে ফেললাম।
ভাল থাকবেন সবসময়। শুভ কামনা।
প্রদীপ চক্রবর্তী
আপনার প্রতিটি লেখা বেশ ভাবনার।
সময়োপযোগী লেখনীর জন্য সাধুবাদ দাদা।
সবাই ভালো থাকুক।
সুপায়ন বড়ুয়া
ধন্যবাদ। আপনাদের জন্যই লিখেটা সার্থক মনে হয়। মানুষকে হতাশ করলেই দুর্বল হয়ে যায়। চিন্তা শক্তি লোপ পায়।
আমরা নেগেটিভ প্রচার করতে গিয়ে আজ ব্যাপারটা জটিল করে ফেলছি।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
সুরাইয়া নার্গিস
দাদা আপনার প্রত্যেকটা লেখা অনেক সুন্দর মূল্যবাদ ও গুরুত্বপূর্ণ।
সময় উপযোগী পোষ্টটা চমৎকার হয়েছে, সবাই সাবধানে থাকুন,নিরাপদ থাকুন।
শুভ কামনা রইল।
সুপায়ন বড়ুয়া
ধন্যবাদ আপু , সাথে থাকার জন্য।
মানুষকে হতাশ করলেই দুর্বল হয়ে যায়। চিন্তা শক্তি লোপ পায়।
আমরা নেগেটিভ প্রচার করতে গিয়ে আজ ব্যাপারটা জটিল করে ফেলছি। তাই পজেটিভ কিছু তুলে আনার চেষ্টা করি।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
ইঞ্জা
এখন গু+জব= গুজবে কান দিলেই বিপদ, মৃত্যু নিশ্চিত।
বেশ গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট দিলেন দাদা।
আপনাকে সক্সালুট
ইঞ্জা
স্যালুট★
সুপায়ন বড়ুয়া
সৌরভ গাঙ্গুলীর কাজ দাদা গিরি করা।
আমার কাজ অভয় খুঁজে নেয়া তাও আপনারা আছেন বলেই।
আমি আজও বলি মনোবল শক্ত রাখা।
আর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা।
করোনা জয় করবো
নতুন সূর্য উঠবেই।
আমি আছি প্রতীক্ষায়। শুভ কামনায়।
ইঞ্জা
অবশ্যই দাদা।
কামাল উদ্দিন
জানিনা আমাদের সময়টা ফিরবে কবে, এখন অজানা শংকা নিয়ে ঘর বন্ধি আছি, আপনার চায়নিজ বন্ধুর সব পরামর্শ মেনে চলা আমার দ্বারা সম্ভব হবে না। কারণ লেবুর হালি এখন ২০০ টাকা।
সুপায়ন বড়ুয়া
ও মাই গড, কোন জায়গায় ভাইজান ?
তাহলে সিভিট খাবেন আর কি।
সুদিনের প্রতীক্ষায় আছি।
নিজে বাঁচি অন্যদের বাঁচার সুযোগ করে দি।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
কামাল উদ্দিন
সিভিটে তো রাসায়নিক, ভাবছি কাঁচা মরিচ খাবো।
সুপায়ন বড়ুয়া
সেটা আরও ভাল।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দরকার।
শুভ কামনা।
মনির হোসেন মমি
চমৎকার পর্যবেক্ষণ মুলক পোষ্ট। সত্যিই তাই হবার কথা আমাদের টেস্ট এর সক্ষমতা বাড়ালে প্রকৃত আক্রান্ত বুঝা যেত।যেহেতু টেস্ট সহ প্রতিরোধে সর্বোত্র আমাদের ছল চাতুরী সে জন্য আমাদের মৃত্যু হাার বেশী হবে।
সুপায়ন বড়ুয়া
সুস্থ মানুষকে টেষ্ট করলে পাবে না।
আক্রান্ত % কম যারা করোনা রোগী ভাবছেন
আর বিনা চিকিৎসায় কজন মারা যাচ্ছে ভবিষৎ বলবে
আগে চিকিৎষা করে গড়ে দিনে ২৩৬৭ জন মারা যেত।
বিশ্বাস না হলে আসুন পরিসংখ্যান কি বলে।
বাংলাদেশে গড় মৃত্যু হার ৫.৪ প্রতি হাজারে। তাহলে ১৬ কোটি মানুষের দেশে প্রতিদিন মানুষ মরে গড়ে
১৬০০০০ x ৫.৪ /৩৬৫ = ২৩৬৭ জন।
ধন্যবাদ ভালো থাকবেন। শুভ কামনা।