
অনি হঠাৎ খেয়াল করলো এতোক্ষণ সে একাই কথা বলছে। রূপা একটাও কথা বলেনি।রূপার নিস্তব্ধ নিরবতা ভেঙ্গে দিয়ে অনি বলে উঠলো
-কী রে রূপা, এমন নিশ্চুপ কেন?
-অ্যাঁ
-হতচকিয়ে গেলে মনে হলো!
অনির এমন প্রশ্নবানে সত্যিই হতচকিত হয়ে উঠলো রূপা। য়ে়়়়
-না,কিছু না।
-কিছু না তো চুপ করে আছো কেন? আমি শুধু একাই বকবক করছি।
রূপা ভাবলো যাক এতোক্ষণে অন্তত এটা বুঝতে পেরেছে যে সে বকবক করছে।
-আমি শুনছি। আপনি বলুন
-শুধু শুনলেই হবে? কিছু বলো
-আপনি তো বলছেনই। আর তাছাড়া দু’জনেই যদি বক্তা হবো তবে শ্রোতা হবে কে?
রূপার কন্ঠস্বর কেমন যেনো! মিহি কিন্তু প্রচণ্ড কর্কশ। অনি হেসে উঠলো
-হা হা হা…। এটা কিন্তু বেশ বললে।
দিন রাত্রির সন্ধিক্ষণে নিয়ন বাতির আলো পড়লে অদ্ভুত এক মায়াবী মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি হয়। মধ্যরাতে নভস্তলে উদ্ভাসিত হিমাংশুর রুপোলি আভা তমসাচ্ছন্ন ধরিত্রীর বুকে পড়লে যেমন হয়। একপাশে আলো অন্যপাশে ছায়া। আবরণহীন অন্তরীক্ষের নিচে চমৎকার এক আবছায়া মুহূর্ত শিহরণ জাগায়, ছুঁয়ে যায় রূপার তনু মন। আগে হলে এই মুহূর্তটা বেশ উপভোগ করতো রূপা ।
আজও ঠিক সেই একই পরিবেশ, একই মুহূর্ত। কিন্তু আজ এই মুহূর্ত উপভোগ্য নয়, কিছুতেই উপভোগ করতে পারছে না রূপা বরং প্রচণ্ড বিরক্তবোধ করছে। অনির সঙ্গ নাকি তার বকবকানি কোনটাতে এতো বিরক্ত লাগছে রূপার? হয়তো দুটোই! এমন এক বিরক্তিকর বিমর্ষ সন্ধ্যা যে আসতে পারে রূপার জীবনে তা রূপা কস্মিনকালেও ভাবেনি। রূপা ভাবেনি বলে যে এমন ঘটনা ঘটবে তা তো নয়। মানুষের জীবনে ঘটনার অন্ত নেই। কার জীবনে কখন যে কি ঘটে কে বলতে পারে?
২৮টি মন্তব্য
বন্যা লিপি
প্রথম হাজিরা।
পড়ে নেই আগে।
সুরাইয়া পারভীন
প্রথম হাজিরা দেবার জন্য কৃতজ্ঞতা অশেষ আপু
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ঘটনা যে কি ঘটছে বোঝা যাচ্ছে না। অপেক্ষায় রইলাম। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন
সুরাইয়া পারভীন
আসলে গল্পটা ওলটপালট হয়ে গেছিল।
এবার হয়তো বোঝা যাবে লেখক কি বলতে চাইছে
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন দিদি
ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সবসময়
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ধন্যবাদ আপনাকে। এগিয়ে যান আপন গতিতে। শুভ কামনা রইলো
ছাইরাছ হেলাল
আপনি যা বলতে চান তা কিন্তু পাঠক বুঝতে পারছে/পারবে না (আমি না)।
প্লটটি ভাল করে সাজিয়ে পরের পর্ব দিন।
সরাসরি বলি, জোর করে শব্দ বসালে কিন্তু লেখার তাল/ছন্দ বিঘ্নিত হওয়া সম্ভব (অনেক ক্ষেত্রে)।
ধীরে ধীরে এগুতে হবে।
লিখতে থাকুন দ্বিধা এড়িয়ে।
সুরাইয়া পারভীন
ভাইয়া এবার দেখুন তো বোঝা যায় কি না?
সাজানো টা ওলটপালট হয়ে গেছিল।
হয়তো একদিন শব্দের সঠিক প্রয়োগ শিখে যাবো। নতূন কিছু শব্দ শিখেছি তাই দিয়ে গল্পটা লিখতে চেষ্টা করছি।
এখন তো মনে হচ্ছে এ আমার কম্য নয়।
ছাইরাছ হেলাল
ধীরে ধীরে, মন খারাপের কিচ্ছু নেই, একটু ধৈর্য লাগবে।
সোনেলা আপনার সাথে আছে।
লেখা চালু রাখুন মনের আনন্দে, সকল বেদনা উজিয়ে।
সুরাইয়া পারভীন
এইটা বাদ
আবার ২পর্ব আপলোড দিয়েছি ভাইয়া।
সুপায়ন বড়ুয়া
কর্কশ কন্ঠে জবাব গুলো
বড়ই বিরক্তিকর হয়।
কি আর করা তবু মেনে নিতে হয়
অনির বউ রুপা বলে কথা।
ভাল লাগলো। শুভ কামনা।
সুরাইয়া পারভীন
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন দাদা
রেহানা বীথি
অপেক্ষায়…
সুরাইয়া পারভীন
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন আপু 😍
নীরা সাদীয়া
লেখনী দারুন। অনেক সময় কাঙ্ক্ষিত মানুষের সঙ্গটাও বিরক্ত লাগে।
সুরাইয়া পারভীন
একদম সঠিক বলেছেন আপু
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন
ফয়জুল মহী
অনুপম, অতুলনীয় লেখা।
সুরাইয়া পারভীন
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন ভাইয়া
প্রদীপ চক্রবর্তী
গল্পটা একটু উল্টেপাল্টে হয়ে গেলো না কি?
পরের পর্বের অপেক্ষায় দিদি।
সুরাইয়া পারভীন
এইটা আপাতত বাদ
২পর্ব আবার দিয়েছি
জিসান শা ইকরাম
রুপা ঠিকই বলছে- দুজন কথা বললে স্রোতা হবে কে?
পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
শুভ কামনা।
সুরাইয়া পারভীন
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন ভাইয়া
এস.জেড বাবু
সত্যিই তো
কার জীবনে কখন কি ঘটাবে, কে বলতে পারে !
সব সন্ধ্যা সুখের পরশ নিয়ে আসে না-
চমৎকার লিখেছেন এই পর্ব-
সুরাইয়া পারভীন
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন ভাইয়া
হালিম নজরুল
রূপারা স্রোতা দুজনই বলুক, কোন স্রোতা না থাক, আমি পাঠক থাকলাম।
সুরাইয়া পারভীন
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন ভাইয়া
ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সবসময়
তৌহিদ
ঠিকইতো, দুজন একসাথে বললে শুনবে কে?
লেখায় এত তাড়াহুড়া কেন?
সুরাইয়া পারভীন
ভেবেছিলাম কিছুটা খেয়ালে রপা অনি কথা বলবে আর কিছুটা লেখক বলবে ।সেটা করতে গিয়েই ঘটে ঘ হয়ে গেছে।
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন ভাইয়া
ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সবসময়
তৌহিদ
ব্যাপার না, লিখুন আপু। শুভকামনা সবসময়।