
মানুষ যখন জন্মায় তখন স্বপ্ন নিয়ে জন্মায়। জন্মের শুরুতে শিশুটি চোখ খুলে অবাক হয় এ আবার কোন জগৎ! বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্বপ্নের ডালপালাগুলোর বিস্তৃত লাভ করতে থাকে। কারো স্বপ্ন থাকে অর্থের মোহে বিনিময়ে নিজেকে গড়া, কেউ বা স্বপ্ন দেখে দুনিয়াবী লোভ লালসাকে দূরে রেখে সুন্দর পৃথিবীর মানুষকে ভালবেসে, মানুষের মাঝে বেঁচে থাকা একান্তই মানুষ হিসাবে। আর এই স্বার্থান্বেষী পৃথিবীতে মানুষকে মানুষ হিসাবে বেঁচে থাকতে হলে সাহিত্যাঙ্গনে থাকা চাই তার নিবির আন্তরিকতা কারণ একমাত্র সাহিত্যের জ্ঞানই পারে মানব মনের বিরূপ অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে যদি সে সাহিত্যকে মনে প্রাণে ধারণ করতে পারেন।
সাহিত্য জগতে বেঁচে থাকা দুজন মানুষ-দুজন সাহিত্যিক গড়ার কারিগর জিসান এবং ছাইরাছ হেলাল। সাথে সব সময় সঙ্গ দিয়ে তাদের উৎসাহ দেয়ার বন্ধুটি নাসির সারোয়ার। তাদের মহানুভবতায় একটি অলাভজনক (আনপ্রোফিটেবল) অনলাইন সাইট সোনেলা ব্লগটিকে নিজেদের অর্থে, সময়, শারিরীক-মানষিক পরিশ্রম দিয়ে একটানা বাংলা ব্লগ দুনিয়ায় জনপ্রিয়তার শীর্ষে রেখে অষ্টম বছরে পদার্পণ করালেন। সে জন্য নিঃসন্দেহে তারা প্রশংসার দাবীদার এবং আমরা ব্লগাররা তাদের প্রতি বিশেষ ভাবে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
এই আটটি বছরে বলা যায় এই ব্লগটি চালিয়ে রাখতে সাদা মনের এ দুজন মানুষ এর আর্থিক ভাবে গচ্চা যাওয়া ছাড়া তেমন কোন লাভবানই তারা হননি। তবে একেবারেই যে লাভবান হননি তা কিন্তু নয়, তা হল তাদের যে স্বপ্ন ছিলো; যে স্বপ্নে বিভোর হয়ে এতোটা পথ এগিয়ে এসেছেন তা হল আত্মতৃপ্তি আর সাহিত্যের সিঁড়ি বেয়ে মানুষের মনে সাদা মনের মানুষ হয়ে আজীবন বেচে থাকার তীব্র আকাঙ্ক্ষা। তাদের এ মহানুভবতায় এ ব্লগ হতে লেখক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন দেশের বেশ কয়েকজন লেখক-এখানেই তাদের স্বার্থকতা এখানেই তাদের স্বপ্ন দেখার চরম সফলতা।
আমরা সবাই জানি অনলাইনে হাজারো সাইটের ভীরে একটি ব্লগ সাইটকে জমিয়ে রাখতে হলে ব্লগ এডমিনদের অনেক বেশী পরিশ্রমী হতে হয়। সেই হিসাবে ব্লগ এডমিনদের নিরলস পরিশ্রমে ব্লগারদের মাঝে একের পর এক যোগাযোগ রক্ষা সর্বোপরি ভার্চুয়াল জগতের গণ্ডি পেরিয়ে বাস্তবিক পরিমণ্ডলে আড্ডা বা মিলন মেলার আয়োজন করে যাচ্ছেন যা একটি ব্লগকে গতিশীল করে রাখে। এবার ২০২০ সালেও এর ব্যাতিক্রম হয়নি ব্লগারদের আড্ডা হয়ে গেল এক আত্মার বন্ধনের মধ্য দিয়ে।
এবারের আড্ডাটি ছিলো পুরনো ব্লগারদের চেয়ে নতুন ব্লগারদের বেশ সমাগম-ছিলো এবার ২০২০ সালের বই মেলায় প্রকাশিত বইয়ের লেখক লেখিকাগন, যা নিঃসন্দেহে সোনেলার জন্য গর্বের বিষয়। প্রতিবারের মত এবারেও আমি ছিলাম বেশ এক্সাইটেড-কবে, কখন, মিলন মেলায় অংশগ্রহন করতে পারব এই ভাবনায় ছিলাম সর্বক্ষণ চিন্তিত। ভাগ্যের দেবতা শেষ পর্যন্ত আদৌ সুপ্রসন্ন হবে কীনা ইত্যাদি নিয়ে ভাবনায় পড়ে ডাক খোঁজ শুরু করে দিলাম, মেলার দিনক্ষণ নির্ধারিত হওয়ার আগ থেকেই।
যদি লক্ষ্য থাকে অটুট, উদ্দেশ্য থাকে সৎ তবে যে কোন লক্ষ্যেই পৌঁছানো সম্ভব। আড্ডায় যোগ দিতে নিতাই বাবুই তার প্রমাণ। সোনেলাকে কতটুকু ভালবাসলে, আপন ভাবলে নিজ সহধর্মিনীর চরম অসুস্থতাকে ফেলে রেখেও অবশেষে মিলন মেলায় অংশগ্রহন করলেন। সোনেলায় যারা ভাসমান ভালবাসায় আছেন তাদের জন্য নিতাই বাবু অনুকরণীয়ও হতে পারে বৈকি।
আমি, নিতাই বাবু এবং বন্ধু মোস্তফাকে নিয়ে আড্ডাস্হল ঢাকার পুরানা পল্টন পিংকিং গার্ডেন রেস্টুরেন্টে ঠিক বারোটায় পৌঁছে গেলাম। কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখা হল কাঙ্ক্ষিত শ্রদ্ধেয় বড় ভাই তুল্য জিসান-হেলাল ভাইজানদের সাথে। অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে আরো দুইদিন আগেই তাদের ঢাকায় আসা। উঠেছেন এক হোটেলে।হোটেলে কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলে চলে এলাম অনুষ্ঠানের মুল মঞ্চে। এরই মাঝে দেখা হল জয়পুরহাট হতে আসা সোনেলার ব্লগার সূরাইয়া পারভীনের সাথে। তিনিও ঢাকায় এসেছেন কয়েকদিন আগেই প্রথমতঃ মিলন মেলায় অংশগ্রহন করে প্রিয় মানুষদের সাথে সাক্ষাৎ করা এবং শেষ বিকেলের রোদ্দুরে”নামে এবারের বই মেলায় প্রকাশিত বইকে সঙ্গ দেয়া।
কিছুক্ষণের মধ্যে একে একে ব্লগাররা আসতে শুরু করলেন। ছোট পরিসরে ছিমছাম পরিপাটি রুমটি মুহূর্তেই ভরে গেল। গেল।সোনেলা ব্লগের মিলন মেলার অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত করতে চমৎকার একটি স্থান বেছে নিয়েছিলেন ব্লগ কর্তৃপক্ষ।অনুষ্ঠানের প্রতিটি ছবিতেই একটি সোনালী আভা লক্ষ্য করা যায়৴এ যেন সোনেলার জাতীয় রঙ।আর যতটুকু জানা যায়৴হল রুমটির এমন সোনালী আভার রঙয়ের পরিবেশের কারণেই নাকি হল রুমটিকে অনুষ্ঠানের জন্য নির্ধারিত করা হয়েছিল।
অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন যথাক্রমে মহারাজ ছাইরাছ হেলাল এবং মোঃ জিসান শাহ ইকরাম। উপস্থিত ব্লগারদের পরিচয় পর্ব দিয়ে শুরু করলেন সোনেলা ব্লগ ২০২০ এর মিলন মেলার অনুষ্ঠান। এরপর ব্লগের আয়োজিত পৌষ সংক্রান্তি লেখা উৎসব প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ এবং সেরা বিচারক ও এডমিনদের সন্মাননা করা হয় ক্রেস্ট উপহারের মধ্য দিয়ে । সবশেষে খাবার দাবারের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়। এমন একটি সফল অনুষ্ঠান উপহার দেয়ায় ব্লগ কর্তৃপক্ষকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনুষ্ঠান শুরু….
সম্ভবত ব্লগার সাহিত্যিক রেহানা বীথির প্রথম পরিচয় দিয়ে শুরু করেন তার সংক্ষিপ্ত পরিচয় পর্ব।সোনেলা ব্লগের মিলন মেলায় এই প্রথম বীথি আপু এসেছেন চাপাই নবাব গঞ্জ হতে সঙ্গে এসেছিলেন তার হাসব্যান্ড আমার/আমাদের দুলাভাই এবং তার আদুরে দুই কন্যাও এসেছিলেন তবে মিলন মেলায় নয় তারা ছিলো বই মেলায় তারই প্রকাশিত বই “আলো আসে ওখানে” এর স্টলে। তারা মিলন মেলায় আসলে ব্লগ কর্তৃপক্ষ আরো খুশি হতেন। রেহানা বীথি আমাদের সবার প্রিয় ব্লগার পেশায় একজন এডভোকেট হলেও লেখালেখির হাতও তার পাকা তাইতো এবারে পৌষ সংক্রান্ত লেখা প্রতিযোগীতায় গদ্যে গল্পে প্রবন্ধে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন।
এর পর যূথী আপুর পরিচয় পর্ব। জাকিয়া জেসমিন যূথী আমাদের সবার প্রিয়। তার প্রথম পরিচয় তিনি সোনেলা একজন শুভাকাঙ্ক্ষি এবং পুরনো ব্লগার। এ ছাড়াও তিনি একজন সূলেখিকা সাহিত্যমনা। প্রকাশিত হয়েছে তার বেশ কয়টি বই।বেশ ভাল ছবিও আঁকেন। এ ছাড়াও ম্যাক্স লার্ন ইট নামে রয়েছে তার একটি ফ্রিলেন্সি সহ বিভিন্ন ডিজাইন কোর্সের একটি সংস্থা। আমাদের সোনেলার অনেকেই তার ছাত্র (ছবিতে বাম হতে তিন নাম্বারে যূথীআপু)
এরপর সূপর্ণা ফাল্গুনী। নামেই ফাগুনের আগুন কাজেও পারদর্শী। ব্লগে আসা বেশী দিন হয়নি এর মধ্যে তিনি জয় করে নিয়েছেন ব্লগের সেরা মন্তব্যকারী সহ পৌষ সংক্রান্ত উৎসবের কবিতা প্রতিযোগীতায়ও প্রথম হলেন তিনি। তার এ সাফল্যে আমরা আনন্দিত এবং মিষ্টি সূলভ হাসিতে পুরো হলরুম ছিলো আনন্দিত। ব্লগে নিবন্ধিত হওয়ার পর হতেই ব্লগের এমন কোন পোষ্ট বাদ যায়না যে পোস্টে তার কোন মন্তব্য পাওয়া যায় না। গল্পে গদ্যে প্রবন্ধে নিরলস ভাবে তিনি মন্তব্য করেই যাচ্ছেন। এমন ব্লগার পাওয়া যে কোন ব্লগের ভাগ্যের ব্যাপার তাই তার প্রতি আমাদের রইল প্রাণ ভরা ভালবাসা আর কৃতজ্ঞতা।
সূরাইয়া পারভীন ঃ জয়পুরহাট হাট হতে আসা ব্লগার সূরাইয়া পারভীন সাহিত্যের একজন নিবেদিত প্রাণ। জীবনে যতই ঝড় আসুক সাহিত্যকে তিনি মনে প্রাণে ধরে রেখে সাহিত্যের সিঁড়ি বেয়ে এক এক করে বেয়ে চলছেন সাহিত্যে তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে। সোনেলায় আসার বয়স তারও তেমন সময় অতিবাহিত হয়নি বলা যায় সোনেলায় অনেকটাই নতুন। কিন্তু নতুন হলেও সোনেলায় তার বিচরণ ইতিমধ্যেই পুরাতনদের কাতারে চলে এসেছেন। সোনেলায় এ মিলন মেলায় তার আসার অন্যতম কারণগুলোর মধ্যে একটি হল৴ফেবুকে একটি ছবির মানুষটিকে দেখতে৴পরিচয় জানতে অথচ সেই মানুষটি ছিলো সোনেলায় তার অতি নিকটতমদের একজন তা জেনে তিনি অবাক হলেন।সাহিত্যিক ব্লগার সূরাইয়া পারভীন এর প্রকাশিত উপন্যাস “শেষ বিকেলের রোদ্দুর” এর সাফল্য কামনা করছি।
বন্যা লিপি ঃ বরিশালের মেয়ে হলেও ঢাকায় তার বসবাস । মহান মুক্তিযুদ্ধে অপরিসীম ত্যাগ রয়েছে তার পরিবারের যা আমরা সোনেলায় পোষ্ট হতে জানতে পেরেছি। সোনেলায় তার শুরুটা পুরনো হলেও নিয়মিত হলেন বেশ ক’বছর হল।এর মধ্যে মন্তব্যে সোনেলা ব্লগারদের অনেক আপণ হয়ে গেছেন। তার সাহিত্যিক পরিধি লেখনি সবার মনে ঠায় করে নেয়। এবারের মিলন মেলায় তাকে পুরস্কৃত করা হয় ব্লগে সাহিত্য বিষয়ক বিভিন্ন প্রতিযোগীতার সেরা বিচারক হিসাবে। সরলতায় পূর্ণ মনের বোনটির ব্লগ কর্তৃপক্ষের নিকট সহজ সরল জিজ্ঞাসা ছিলো৴ তিনি কেন একাই এই পুরষ্কার পাবেন! আরোতো বিচারক ছিলেন তারা কেন পাননি অর্থাৎ তিনি দল বদ্ধ ঐক্যতায় বিশ্বাসী৴ পছন্দ করেন তার এ সাফল্যের ভাগিদার সংশ্লিষ্ট সবার অথচ সরল বোনটির তখনো মাথায় আসেনি “সেরা” কিন্তু একজনই হয়। সঞ্চালক জিসান ভাইজান তাকে সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে দিলেন এবং বাড়তি তার আরেকটি পরিচয় করিয়ে দিলেন ৴তিনি হলেন সঞ্চালক আমাদের সবার প্রিয় জিসান ভাইজানের বড় ভাইয়ের মেয়ে বন্যালিপি।
লাগল খটকা পাখি বিষেজ্ঞ ফটোগ্রাফার ব্লগার শামীম আল চৌধুরীর মনে লাগল খটকা। জিসান ভাইকে সরাসরিই জিজ্ঞাসা করলেন।
-ভাইয়া তাহলেতো একটি সমস্যায় পড়ে গেলাম আমরা।
-কী সমস্যা?
-চিন্তা সমস্যা।এতোদিন তো বন্যালিপিকে আপু বলেই ডাকতাম আর ভাইয়া ডাকি আপনাকে, এখনতো পরিচয় পেলাম ত’ কী ভাবে কী হবে ?
-অনলাইনে আমরা সবায় ভাইবোন এ সহজ হিসাবটাই মনে রাখবেন। মানে নির্বাচনে ছেলে বাপের মার্কা নিয়ে মিছিলে যেমনি কয় আমার ভাই তোমার ভাই ঠিক তেমনটিই ভেবে নিবেন।
তাদের কথপোকথনে উপস্থিত সবার মাঝে আনন্দের হাসি বয়ে গেল।
আমার একটা স্বভাব আছে। মঞ্চে উঠে বক্তৃতায় তেমন কিছুই বলতে পারি না। উপস্থিত দর্শকদের দেখলে মনের সব কথাগুলো কোথায় যেন হারিয়ে যায়। তাই পোস্টে বলে মনকে একটু সান্তনা দিলাম, বক্তৃতা আমিও দিতে জানি তবে মাঠে নয় কলমের খোঁচায়।
উপস্থিত ব্লগার কেউ কোথাও যাবেন না। একটু বিরতিতে যাচ্ছি(গলাটা ভেজাতে চা পানে) আবারো আসছি দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে খুব দ্রুত, ততক্ষণে শুভ ব্লগিং। আজকে অনুষ্ঠানের বাকী অংশ সহ থাকবে পুরনো মিলন মেলার স্মৃতিতে সাঁতরানোর কত কিচ্ছা কাহিনী।কোথ্থাও যাবেন না।
৩৯টি মন্তব্য
রেহানা বীথি
সত্যিই, পুরো রুম জুড়ে সোনালী রঙের খেলায় আমার মতো বিচ্ছিরি দেখতে মানুষকেও অতটা বিচ্ছিরি লাগছে না। দারুণ লিখেছেন মমি ভাই। আড্ডা চলুক। আবার আসবো ফিরে আমিও।
মনির হোসেন মমি
হুম সাহিত্যের সোনেলী রঙে রঙ্গীন হউক আরো সোনেলার ব্লগারগন। অসংখ্য ধন্যবাদ ।আসুন আবার ফিরে বার বার সোনেলার এই উঠোনে।
ইঞ্জা
সুন্দর ধারাবর্ণনা চলছে, মুগ্ধ হয়ে পড়ছি, স্মৃতি গুলো হাতড়ে চলছি, ভাবছি, আহা কেন মুহূর্তটি শেষ হয়ে গেলো, বাকিটুকুর অপেক্ষায় রইলাম ভাই।
মনির হোসেন মমি
বাকী কয় পর্বে শেষ হয় জানি না তবে ২০২০ এর পুরো অনুষ্ঠনটি আগামী পর্বেই শেষ করব।ধন্যবাদ ভাইজান।
ইঞ্জা
আবার কবে দেবেন জানতে চাই?
মনির হোসেন মমি
দুএকদিনের মধ্যেই।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। এতো সুন্দর করে বর্ণনা করার জন্য। এতো সুন্দর করে কমপ্লিমেন্ট এর আগে পাইনি। ব্লগের সবার আন্তরিকতা ও ইকরাম দাদা ভাইয়ের কারণেই আমিও আপনাদের আপন করে নিয়েছি। সোনেলা আমার অনুপ্রেরণা, ভালোবাসা হয়ে রবে হৃদয়ের মনিকোঠায়। ভালো থাকুন আরো সুন্দর সুন্দর লেখা, মন্তব্য চাই আপনার কাছ থেকে। শুভ কামনা রইলো
মনির হোসেন মমি
আনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।এ ভাবেই পাশেই থাকবেন।
সাবিনা ইয়াসমিন
মিলনমেলার ধারাবাহিক বর্ণনা ও আরও ছবি দেখার অপেক্ষায় রইলাম, আড্ডা চলুক।
শুভ কামনা 🌹🌹
মনির হোসেন মমি
হুম অবশ্যই সব ছবিই দিব তবে বড় আফার ছবিটা এডিট করে দিব কীনা তাই ভাবছি।
নিতাই বাবু
ইশ! আমার মনের কথা বলে ফেলেছেন, দাদা। আপনার মতো আমিও কিন্তু ঠিক তা-ই! তার উপর আবার যদি হয় নিজের সহধর্মিণীর অসুস্থতা। তাহলে তো আর মুখ দিয়ে কথাই বেরুবে না নিশ্চয়! সেদিন মিলনমেলায় আমার অবস্থাও কিন্তু তা-ই হয়েছিল।
যাক সেকথা। বর্তমানে আমার সহধর্মিণী আপনাদের আশীর্বাদের আগের চেয়ে অনেকটা ভালো আছে। আশা করি আর দু-এক দিনের মধ্যে পুরোপুরিভাবে সুস্থ হয়ে উঠবে। সকলের আশীর্বাদ প্রার্থী।
পরিশেষে প্রিয় সোনেলার কাছে ঋণী থেকে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদের শুভেচ্ছা অভিনন্দন জানাচ্ছি। সোনেলার জয় হোক।
মনির হোসেন মমি
জ্বি দাদা।অসংখ্য ধন্যবাদ।
বন্যা লিপি
মমি ভাই, আপনার ধারাবর্ননায় আমি মুগ্ধ।
আমার তো আপনার পোস্ট পড়ে খটকাটা লাগলো। আমার প্রশ্নটা ছিলো অন্যরকম।এখানে উপস্থাপিত হয়েছে আরেকরকম করে।
আমার প্রশ্ন ছিলো– বিচারক প্যানেলের সদস্যদের পরিচয় গোপন রাখার কথা ছিলো।অথচ এখানে ক্রেস্ট প্রদানের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হলো আসলে বিচারক কারা ছিলেন?এখানে ভেদ খুলে দেয়া হলো একজন বিচারকের নাম।তাহলে বাকি বিচারকদের নাম কেন উন্মোচিত হবে না?………
তখনই বুঝে গিয়েছিলাম। আমার লেখার মতোই আমার মুখের কথাও কঠিন হয়ে গেছে😊 তাই বুঝতে পারেন নি কেউ।আমিও কথা না বাড়িয়ে চুপ হয়ে গেলাম।
আর যে বিষয়টা খটকা লেগেছে পাখি ভাইয়ের, তার সমাধানও ইঞ্জা ভাই কিন্তু দিয়ে দিয়েছেন আগেই……”জগতের ভাতিজি”😊😊
চলুক আপনার ধারাবাহিক মিলনমেলার ধারাবর্ননা।
শুভ কামনা।
মনির হোসেন মমি
পুরষ্কারটা দেয়া হয়েছিল সেরা বিচারক হিসাবে তাই হয়তো অন্য বিচারকদের নাম এখানে আসেনি।বুঝতে পেরেছি জগতের ভাতিজি।ধন্যবাদ।
কামাল উদ্দিন
আমার বাড়ির পাশই আরশি নগর…….
ব্যর্থ আমি চরম 🙁
মনির হোসেন মমি
ব্যার্থ নয় আফসোস ।দেখা হবে একদিন অবশ্যই।ধন্যবাদ প্রিয়।
কামাল উদ্দিন
হুমম, দেখা তো হতেই হবে।
জিসান শা ইকরাম
অত্যন্ত সুনিপুন এবং সাবলিল ভাবে অনুষ্ঠানের চমৎকার বর্ননা দিলেন মনির ভাই।
সোনেলা ব্লগ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য অবশ্যই সফল হয়েছে। নতুন লেখক তৈরি হয়েছে অনেক, যারা সোনেলায় প্রথম লিখেছেন, আর পাঠকদের প্রতিক্রিয়ায় আত্মবিশ্বাস পেয়ে দিন দিন তাদের লেখার মান উন্নত করেছেন।
অবশ্য কিছু বেইমানও আমরা দেখেছি যারা সোনেলায় প্রথম লিখে ধীরে ধীরে হাত পাকিয়েছেন, বই প্রকাশ করেছেন, সেই সমস্ত অকৃতজ্ঞদের নাম আর এখানে লিখলাম না।
এবারের মিলনমেলাটি ছিল আমাদের কাছে একটি চ্যালেঞ্জ। আমরা এই চ্যালেঞ্জ সফল ভাবেই অতিক্রম করেছি, আপনাদের সহযোগিতায়।
পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম ।
শুভ কামনা, শুভ ব্লগিং।
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা ভাইজান।
সুপায়ন বড়ুয়া
মিলন মেলা পর্ব ১ দিয়ে করলেন যেহেতু শুরু
তাহলে আরও বর্ণিল লেখার আশায় থাকলাম।
শুভ কামনা।
মনির হোসেন মমি
অবশ্যই দাদা।আপনার সাথে দেখা হয়ে খুব ভাল লাগল।
আরজু মুক্তা
শুভ ব্লগিং।
শুভকামনা।
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ আপু।সামনে ইনশাল্লাহ দেখা হবে।
শাহিন বিন রফিক
আশারাখি কোন একদিন দেখা হবে আপনাদের সবার সাথে বিশেষ করে আপনার পরিচয় করে দেওয়া দুইজন স্বপ্নবাজ মানুষের সাথে।
এগিয়ে যাক সোনেলা ব্লগ, ছড়িয়ে দিক সারা বিশ্বে বাংলা ভাষা, বাংলা সাহিত্য।
মনির হোসেন মমি
অবশ্যই ভাইয়া সামনে আশা করছি দেখা হবে।ধন্যবাদ।
প্রদীপ চক্রবর্তী
বাহ্
এতো সুন্দর পরিপাটি ভাবে উপস্থাপন।
অনবদ্য লাগলো দাদা।
এ প্রোগামে আসার জন্য আমার অনেক ইচ্ছে ছিলো।
যেহেতু সবার সব স্বপ্ন পূরণ হয় না।
কপাল খারাপ ছিলো।
তবে সোনেলায় কতটুকু ভালো লিখতে পেরেছি এবং কতজন আমার লেখার প্রতি আকৃষ্ট হয়েছেন তা জানিনা। এ সোনেলা ব্লগে এসে আপনাদের ভালোবাসা আর আন্তরিকতা পেয়ে নিজের ক্ষুদ্র জ্ঞান নিয়ে একটা ছোটখাটো উপন্যাস লিখেছি। আর এটা একমাত্র সম্ভব হয়েছে আপনাদের অনুপ্রেরণায়।
স্বল্প সময়ে সোনেলা আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে কিন্তুু আমি আজও অব্ধি তার প্রাপ্যটুকু দিতে পারি নি।
তাই আমি চির ঋণী।
আগামীতে কতটুকু লিখবো কি লিখবো না তা জানি না তবে সোনেলায় থাকবো মৃত্যুের আগপর্যন্ত আজ কথা দিলাম।
আমি সবার কাছে উচ্চস্বরে বলি এ উপন্যাসের সকল অবদান সোনেলার।
সকলের কাছে একটাই চাওয়া এ সোনেলা ব্লগে প্রদীপ যেন কোনদিন বেইমান এবং অকৃতজ্ঞ না হয়।
.
শুভকামনা রইলো সোনেলা।
শুভকামনা শ্রদ্ধেয় ব্লগারগণ।
.
!!!
মনির হোসেন মমি
হুম।দোয়া করছি আপনার লেখা যেন আরো বেড়ে যায়। অবশ্যই সোনেলা পরিবার আপনার পাশে থাকবে সবসময়।ধন্যবাদ।
হালিম নজরুল
ভাল লাগল। সকলের জন্য শুভকামনা রইল।
মনির হোসেন মমি
অসংখ্য ধন্যবাদ হালিম ভাইয়া।আপনাকে পেয়ে আমরাও খুব খুশি হয়েছি।
নিতাই বাবু
মনির দাদা, আপনার সন্মাননা স্বারক ক্রেস্ট হাতে পাবার ছবিটি এখানে দেখুন!
মনির হোসেন মমি
অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
নাসির সারওয়ার
যারা আসতে পারেননি, তারা এই লেখার মাঝে চোখ বুঝে সব দেখে নিতে পারেন।
শুভেচ্ছা রইলো সুন্দর উপস্থাপনার জন্য।
মনির হোসেন মমি
অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় কবি ।
ছাইরাছ হেলাল
এক কথায় দারুণ উপস্থাপন।
আপনাদের সবার ঐকান্তিক আন্তরিকতার ফলেই এমন সুন্দর করে সব কিছু সু-সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে।
তাই সবটুকু কৃতিত্ব আপনাদের সবার।
ভাল থেকে সাথে থাকুন এ কামনা -ই করি।
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ ভাইজান।
তৌহিদ
আপনার সুন্দর লেখনীতে সোনেলার মিলনমেলা সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম ভাই। আসলে নিজে উপস্থিত থাকতে না পেরে খুব খারাপ লেগেছে। যারা বিজয়ী হয়েছেন ক্রেস্ট পেয়েছেন তাদের সবাইকে অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা।
ব্লগ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মিলনমেলা সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য। আপনাকেও ধন্যবাদ সুন্দর করে পোস্ট দেয়ার জন্য।
ভালো থাকবেন ভাই।
মনির হোসেন মমি
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আলমগীর সরকার লিটন
আপনাদের সাথে যোগ হতে পেরে খুবি আনন্দ লাগছে
বেশ কিছু চেনামুখ দেখে আর ভাল লাগচ্ছে—-
মনির হোসেন মমি
অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় কবি।আপনাকে এ ব্লগে পেয়েও আমরা অনেক খুশি।ব্লগিং করুন নিজের মনে করে।