
আজ কয়েকদিন ধরেই একটু বেশি টেনশনে ছিলাম, প্রাণের সোনেলা ব্লগের মিলন মেলায় অংশগ্রহণ নিয়ে। সময় সময় ভাবতে হয়েছে, অংশগ্রহণ করতে পারবো-কী-পারবো না নিয়ে। কারণ, আজ কয়েকদিন ধরেই নিজের সহধর্মিণীর শারীরিক অবস্থা বেশি ভালো যাচ্ছিল না, তাই। সহধর্মিণীকে নিয়ে ডাক্তার হাসপাতাল দৌড়াদৌড়ি করতে করতে ২১শে ফেব্রুয়ারি গত হতে চললো। রাতেই ফোন করলো, সোনেলার প্রাণপ্রিয় ব্লগার শ্রদ্ধেয় মনির দাদা। বললাম, ‘দাদা, আমি মনে হয় সোনেলা ব্লগের মিলন মেলায় যেতে পারবো না। সহধর্মিণীর শারীরিক অবস্থা বেশি ভালো নয়!’ মনির দাদা বললেন, ‘ওহ্! বলেন কী! তো যাইহোক, আমি আপনাকে সকালে আবার ফোন করবো। যদি সম্ভব হয় তো, যাবেন।’ বললাম, ‘ঠিক আছে দাদা, আমি জানিয়ে দিবো।’
২১শে ফেব্রুয়ারির রাত পোহালো। ২২শে ফেব্রুয়ারির সূর্য উদিত হলো। সাতসকালেই সোনেলার প্রাণপ্রিয় ব্লগার সম্মানিত মনির দাদার ফোন! বললাম, ‘দাদা, আমি যেভাবেই হোক নিজেকে তৈরি করে নিয়ে আপনাকে ফোন দিচ্ছি।’ এই বলেই তাড়াতাড়ি করে অফিসের কাজ সেরে, আর অসুস্থ সহধর্মিণীর জন্য কিছু করণীয় কাজ সেরে মনির দাদাকে ফোন করে বললাম, ‘আমি রেডি হয়ে আসছি, আপনি তৈরি হোন।’ এরপর মনির দাদার ঘনিষ্ঠ বন্ধু শ্রদ্ধেয় মোস্তফা দাদা-সহ আসলাম ঢাকা পুরানা পল্টন। এখানেই থাকা “পিকিং গার্ডেন রেস্টুরেন্ট-এ হয়ে গেল আজকে কাঙ্ক্ষিত সোনেলা ব্লগের মিলনমেলা- ২০২০।
আমরা তিনজন পিকিং গার্ডেন রেস্টুরেন্টের সামনে যেতে-না-যেতেই আমাদের সামনে উপস্থিত হলো, সোনেলা ব্লগ সঞ্চালক সম্মানিত জিসান শা ইকরাম, সম্মানিত কবি ছাইরাছ হেলাল ও সম্মানিত লেখক সারোয়ার সাহেব। এরপর থেকে পালাক্রমে সোনেলা ব্লগের লেখক লেখিকারা আসতে শুরু করেন অনুষ্ঠানস্থল “পিকিং গার্ডেন রেস্টুরেন্টে। দুপুরের পরপর পিকিং গার্ডেন রেস্টুরেন্টের সভাকক্ষ কানায় কানায় ভরে যায়, সোনেলা ব্লগের সোনালী মানুষের আগমণে।
মিলন মেলায় উপস্থিত সকলের মাঝে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ছিল, সোনেলা ব্লগে অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া “পৌষসংক্রান্তি উৎসব” প্রতিযোগিতায় গল্প ও কবিতা লেখায় অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সম্মাননা স্বারক প্রদান করা সময়টাকে ঘিরে।
দুপুর দুইটার পর, মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠান শুরু হবার পর আমাদের প্রাণের সোনেলা ব্লগ সঞ্চালক সম্মানিত ইকরাম জিসান শা ইকরাম উপস্থিত সবার উদ্দেশ্যে স্বাগত ভাষণের মধ্যদিয়ে শুরু হয় ব্লগার পরিচিতি। তারপর শুরু হয় পৌষসংক্রান্তি উৎসবের গল্প কবিতা লেখা বিজয়ীদের সম্মাননা স্বারক প্রদানের পালা। পৌষসংক্রান্তি উৎসব আয়োজনে গল্পে প্রথম হয়েছি, আমি অধম নিতাই বাবু। দ্বিতীয় বিজয়ী হয়েছেন, সোনেলা ব্লগের প্রাণপ্রিয় লেখিকা সম্মানিতা রেহানা বীথি। তৃতীয় বিজয়ী হয়েছেন, ব্লগের তুখোড় লেখিকা সম্মানিতা শবনম মোস্তারী।
কবিতা লেখায় প্রথম বিজয়ী হয়েছেন, সোনেলার ব্লগার সম্মানিতা লেখিকা সুপর্না ফাল্গুনী। দ্বিতীয় বিজয়ী হয়েছেন, সোনেলার ব্লগের সম্মানিত লেখক অনন্য অর্নব। তৃতীয় বিজয়ী হয়েছেন, সোনেলা ব্লগের সম্মানিত লেখক এস জেড বাবু (অনুপস্থিত)। সন্মাননা স্বারক ক্রেস্ট বিতরণ করেন, ব্লগ সঞ্চালক সম্মানিত জিসান শা ইকরাম।
এরপর ব্লগ সঞ্চালক সম্মানিত জিসান শা ইকরাম সম্মাননা স্মারক ক্রেস্ট প্রধান করেন, সোনেলা গ্রুপের মাননীয় এডমিনগণকে। তাঁরা হলেন, যথাক্রমে– সম্মানিত লেখক এম. ইঞ্জা, সম্মানিত লেখক মনির হোসেন মমি, সম্মানিত কবি ছাইরাছ হেলাল। সোনেলা ব্লগের মিলন মেলায় অনুপস্থিত থাকা সম্মানিতা লেখিকা সাবিনা ইয়াসমিনের পক্ষ তাঁর সন্মাননা স্বারক ক্রেস্ট গ্রহণ করেন, সম্মানিত প্রবীণ লেখক সারওয়ার সাহেব।
আজকের মিলন মেলায় অনেকেই অনুপস্থিত ছিলেন। আজকের অনুষ্ঠানে যাঁরা অনুপস্থিত ছিলেন, সোনেলা ব্লগ কর্তৃপক্ষ তাঁদের সন্মাননা স্বারক ক্রেস্ট কুরিয়ার সার্ভিসের মাধমে পাঠিয়ে দিবে বলে আশ্বাস দেন। এরপর শুরু হয় খাওয়া- দাওয়ার পালা। খাওয়া-দাওয়া পর্ব।
খাওয়া দাওয়া শেষে সোনেলা ব্লগের মিলন মেলায় অংশ নেওয়া সবাই সবার সাথে কৌশল বিনিময় করে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করে একুশে গ্রন্থমেলার উদ্দেশে রওনা হয়।
এখানে সোনেলা ব্লগের অনুষ্ঠিতব্য মিলন মেলার কয়েকটি খণ্ড চিত্র দ্বারা তৈরি করা একটি ভিডিও দেখানো হলো–⇩
আজকের মিলন মেলায় যাঁরা উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের সকলের সাথে হাত মেলাতে পেরে আমি নিজেকে সত্যি ধন্য মনে করছি। আবার যাঁদের দেখা পাবার জন্য অধীর আগ্রহে ছিলাম, তাঁদের দেখা না পেয়ে ক্ষণিকের জন্যবকষ্টও পেয়েছি! যাঁদের দেখা না পেয়ে মনে কষ্ট পেয়েছি, তাঁরা হলেন, “শ্রদ্ধেয় সাবিনা ইয়াসমিন, শ্রদ্ধেয় তৌহিদ ইসলাম, শ্রদ্ধেয় কামাল উদ্দিন ও এস জেড বাবু।” এঁদের সাথে দেখা করার ইচ্ছে ছিল প্রচুর, কিন্তু না, দেখা আর হলো না, শুধু দুঃখই থেকে গেল! আশা করি আগামী বছর যদি সোনেলা ব্লগের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে হয়তো তাঁদের-সহ আরও অচেনা অনেকের সাথে দেখা হবে, কথাও হবে।
পরিশেষে বলতে চাই, সোনেলা ব্লগে লেখালেখির মাঝে আজকে এই সম্মাননা আমার জন্য ছিল বিশেষ প্রাপ্তি। যা একখণ্ড হিরার টুকরোর চেয়েও অনেক বেশি মূল্যবান। আমার এই সন্মাননা স্বারক সাতরাজার ধন হিসেবেই গন্য। সত্যি সোনেলা ব্লগ থেকে এই প্রাপ্তিতে আমি সোনেলার কাছে চির ঋণী হয়ে থাকলাম! সোনেলা ব্লগের জয় হোক। সোনেলা পরিবারে থাকা সকলের জয় হোক। সকলের জন্য শুভকামনায়, আমি নিতাই বাবু।
৩৭টি মন্তব্য
হালিম নজরুল
অভিনন্দন আপনাকে। সবার জন্য শুভকামনা রইল।
মোঃ মজিবর রহমান
ধন্য ধন্য বলি তোমারে
ধন্য ধন্য বলি সোনেলার সোনাদের।
ধন্য লেখক ও ব্লগার। আপনাদের সকলের উপস্থিতি সোনেলার মিলন মেলা পরিপুর্ন।
নিতাই বাবু
মুজিবর দাদা, আপনি আমার হয়ে আমার পোস্টের মন্তব্যগুলোর রিপ্লাই দিয়ে দেন। বর্তমানে আমার মন-মানসিকতা ভালো নেই! খুবই টেনশনে আছি। পরে একসময় ফোনে কথা হবে।
মোঃ মজিবর রহমান
চেস্টা করব দাদা। কিন্তু আপনার আমার লেখার বা চিন্তা মিল করা খুব কঠিন হবে।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
দাদা খুব ভালো লাগলো। সোনেলা কর্তৃপক্ষ , মডারেটর গণ, লেখক-লেখিকা সবার জন্য শুভ কামনা রইলো। সত্যিই দিনটি খুব আনন্দের ছিলো। দাদা আপনার ও বৌদির জন্য শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো
মোঃ মজিবর রহমান
দাদা খুব আবেগি ও বাস্তব ধর্মি লেখা য় পারদর্শী। আমি দাদা একজন ভক্ত।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ঠিক বলেছেন ভাইয়া। খুবই সাদাসিধা নিতাই দা। ধন্যবাদ
মাছুম হাবিবী
অনেক অনেক অভিনন্দন নিতাই দাদা
আপনি সহ প্রিয় সোনেলা ব্লগের সবাইকে অভিনন্দনও শুভ কামনা।
মোঃ মজিবর রহমান
আপনাকেই অনেক ধন্যবাদ মাসুম দাদা।
ছাইরাছ হেলাল
অনেক অনেক দিন পর প্রিয় প্রিয় সবাই কে কাছে পেয়ে সত্যি
ভালো লাগল, অনেক নূতনদের সাথে।
নিতাই বাবু
আপনাদের সাথে দেখা করতে পেরে আমি খুবই খুশি হয়েছি, শ্রদ্ধেয় ছাইরাছ দাদা। দাদা, সন্মাননা প্রদানের সময় যে ছবিগুলো তুলেছিলেন, সেই ছবিগুলো দরকার ছিল। কিন্তু কী করে পাবো, তা ভাবছি!
ভালো থাকবেন শ্রদ্ধেয় দাদা। আমার প্রাণপ্রিয় সহধর্মিণীর অবস্থা বেশি ভালো নেই! আশীর্বাদ প্রার্থী!
জিসান শা ইকরাম
ছবি পেয়ে যাবেন দাদা, ছবি ক্যামেরায়
কম্পিউটারে নিয়ে সবাইকে পাঠিয়ে দেব।
একটু অপেক্ষা করুন।
ছাইরাছ হেলাল
আল্লাহ তাকে অবশ্যই সেফা দান করবেন।
ইঞ্জা
প্রথমেই জানাই প্রানঢালা অভিনন্দন গল্পে প্রথম বিজয়ী সম্মাননা প্রাপ্তির জন্য, অসাধারণ একটি দিন কাটালাম দাদা, খুব ভালো লাগলো আপনাদের সাথে কিছু সময় থাকতে পেরে।
সাবিনা ইয়াসমিন
সুন্দর বর্ননা আর ভিডিও ক্লিপে সবার প্রানবন্ত উপস্থাপনা দেখে বেশ ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন সবাইকে। নতুন আর প্রবীণদের সমন্বয়ে অনুষ্ঠানটি খুব উপভোগ্য ছিলো, উপলব্ধি করতে পারছি। সবার জন্য অনেক শুভ কামনা রইলো। সবাইকে নিয়ে, সবার হাত ধরে সোনেলা এগিয়ে যাবে আগামীর পথে।
ভালো থাকুন সবাই 🌹🌹
নাসির সারওয়ার
আপনার সন্মাননা স্বারক ক্রেস্টটা নিজ হাতে দিয়ে আসবো।
রেহানা বীথি
সোনেলার সবার মাঝে খানিকটা সুন্দর সময় কেটেছে। বৌদির শারীরিক সুস্থতা কামনা করছি দাদা।
নাসির সারওয়ার
ভালো লাগা কিছু সময়। ভালো থাকুক সোনেলা পরিবার।
নোটঃ সাবিনা ইয়াসমিনের সন্মাননা স্বারক ক্রেস্টটা নিজ হাতে দিয়ে আসবো।
মোঃ মজিবর রহমান
আমি যেন বাদ না যায়। হই যদি শুক্রবার। আমি আছি সঙ্গে।
সুপায়ন বড়ুয়া
প্রানবন্ত এই মিলনমেলায়
প্রানচ্ছোল সবার উপস্হিতি
সবার হৃদ্যতা প্রমান করে
সোনালে পরিবারের অগ্রযাত্রা
অব্যাহত থাকবে।
বৌদির সুস্হতা কামনা করি
শুভ কামনা।
মোঃ মজিবর রহমান
সবাইকে ধন্যবাদ বৌদির সুস্থতা কামনা করার জন্য।
প্রদীপ চক্রবর্তী
প্রাণবন্ত মিলনমেলা।
একসাথে এতো গুণীজন খুবি ভালো লাগছে।
সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
এগিয়ে চলুক সম্মুখে প্রাণ প্রিয় সোনেলা।
মোঃ মজিবর রহমান
সোনেলার ভালবাসায় আপ্লুত সবাই।
আতা স্বপন
বাহ ! নিতাই দা যেখানে যায় সেখানেই ফাটিয়ে দেয় একেবারে। ধন্যবাদ দাদা।
মোঃ মজিবর রহমান
ঠিক আতা ভাই। দাদার তুলনা দাদাই। খুব ফুটিয়ে লিখতে পারে।
জিসান শা ইকরাম
আপনার মত গুনীজন পেয়ে সোনেলা ধন্য দাদা।
সোনেলার ভালোবাসার টানে ছুটে এসেছেন, অসুস্থ বৌদিকে বাসায় রেখে। প্রার্থনা করি বৌদির দ্রুত সুস্থতার।
সোনেলার সোনালী মানুষদের পেয়ে সোনেলার মিলনমেলা গতকাল ঝলমল করছিল।
শুভ কামনা দাদা।
মোঃ মজিবর রহমান
দাদা খুবই আন্তরিক। দাদাকে কাছ থেকে বেশি না দেখলেও যা পেয়েছি তা অনেক আর কাছাকাছি হতে ইচ্ছে করে। জিসান ভাই। কিন্তু পেরে উঠিনা।
কামাল উদ্দিন
কয়েক দিন যাবৎ আমিও যেতে পারবো কি পারবোনা এমন দোটানায় ভুগেছিলাম। কিন্তু দুদিন আগেই নিশ্চিৎ হয়ে গিয়েছিলাম যে আমার যাওা হচ্ছে না। আপনাদের প্রতি রইল আন্তরিক শ্রদ্ধা।
মোঃ মজিবর রহমান
ঘর হতে দুই পা দূরে তবুও যেতে পারিনাই। খুব কস্ট ও বেদনাদায়ক। কামাল ভাই।
কামাল উদ্দিন
আহেন আমরা গলাগলি ধইরা কান্দি মজিবর ভাই 😀
ইসিয়াক
সবাইকে একসাথে দেখে ও লেখাটি পড়ে খুব ভালো লাগলো।
মনির হোসেন মমি
আজকের মিলন মেলায় যাঁরা উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের সকলের সাথে হাত মেলাতে পেরে আমি নিজেকে সত্যি ধন্য মনে করছি। আবার যাঁদের দেখা পাবার জন্য অধীর আগ্রহে ছিলাম, তাঁদের দেখা না পেয়ে ক্ষণিকের জন্যবকষ্টও পেয়েছি! যাঁদের দেখা না পেয়ে মনে কষ্ট পেয়েছি, তাঁরা হলেন, “শ্রদ্ধেয় সাবিনা ইয়াসমিন, শ্রদ্ধেয় তৌহিদ ইসলাম, শ্রদ্ধেয় কামাল উদ্দিন ও এস জেড বাবু।” এঁদের সাথে দেখা করার ইচ্ছে ছিল প্রচুর, কিন্তু না, দেখা আর হলো না, শুধু দুঃখই থেকে গেল! আশা করি আগামী বছর যদি সোনেলা ব্লগের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে হয়তো তাঁদের-সহ আরও অচেনা অনেকের সাথে দেখা হবে, কথাও হবে।
দাদা নো টেনসন ব্লগ টিম আপনার এ আফসোস অদেখা প্রিয়দের কাছে পৌছে দিবে।আগামীতে নিশ্চয় তারা থাকবেন।যদি আপনার এ লেখাটা তারা পড়ে থাকেন তবে তারা বুঝতে পারবেন-আপনি কতটা প্রতিকুলতা পেরিয়ে কতটা শুধু সোনেলাকে ভালবেসে নিজ সহধর্মীনির অসুস্থতার কথা ফেলে দিয়ে সোনেলার মিলন মেলায় এসে সময় দিয়েছেন।কী বলব কৃতজ্ঞাও কম হয়ে যায়।আপনার এমন বিরল ভালবাসা সোনেলা কর্তৃপক্ষ চিরদিন মনে রাখবে।
নিতাই বাবু
সুন্দর গঠনমুলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, শ্রদ্ধেয় মনির দাদা। আমিও মনে-প্রাণে সোনেলাকে মনের মনিকোঠায় রেখে দিয়েছি। যতদিন লেখালেখির মাঝে থাকি, আর যা-ই লিখি; সোনেলায়-ই লিখবো, দাদা। আর আপনাদের সকলের আশীর্বাদে আমার সহধর্মিণীর শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে অনেক ভালো। আজকে কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা আছে। তারপর ফিরতি ঔষধ। আশা করি ভালো হয়ে যাবে।
কামাল উদ্দিন
উপস্থিত থাকতে না পেরে আমিও খুবই দুঃখ পেয়েছি মনে, কিন্তু কি আর করা সমস্যা তো সমস্যাই।
তৌহিদ
আপনার সুন্দর লেখনীতে সোনেলার মিলনমেলা সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম দাদা। আসলে নিজে উপস্থিত থাকতে না পেরে খুব খারাপ লেগেছে। যারা বিজয়ী হয়েছেন ক্রেস্ট পেয়েছেন তাদের সবাইকে অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা।
ব্লগ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মিলনমেলা সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য। আপনাকেও ধন্যবাদ সুন্দর করে পোস্ট দেয়ার জন্য।
ভালো থাকবেন দাদা।
নিতাই বাবু
সোনেলা ব্লগের মিলনমেলায় আপনাকে না পেয়ে আমি সত্যি খুবই কষ্ট পেয়েছি, শ্রদ্ধেয় তৌহিদ দাদা। অনুষ্ঠান আরম্ভ হবার আগে থেকে আপনার সুন্দর একটা ছবি আমি আমার মনের মনিকোঠায় লুকিয়ে রেখেছিল। আর বারবার এদিক-ওদিক তাকাচ্ছিলাম! কিন্তু না, আপনি আর আসলেন না; দেখাও আর হলো না। নিরাশ মনে ফিরতে হলো। সেই ছবিটা এখানে দেখুন!
নিতাই বাবু
সহধর্মিণীর অসুস্থতার জন্য এই পোস্টে মন্তব্যকারীদের মন্তব্যের উত্তর যথারীতি দিতে পারিনি বলে আমি সবার কাছে করজোড়ে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আশা করি বিষয়টি সবাই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
সবাইকে মিলনমেলার শুভেচ্ছা অভিনন্দন।