
“Kubla Khan ” কবিতাটি কবি কোলরিজের বিখ্যাত রোমান্টিক কবিতার একটি। ১৭৯৭ সালে তিনি এটা লিখেন আর প্রকাশিত হয়েছিলো ১৮১৬ সালে। এর লিখিত কপিটি এখনও লন্ডনের ‘ব্রিটিশ মিউজিয়ামে’ সংরক্ষিত আছে।
১৭৯৭ সালের এক রাত্রিতে, কবির কোন কিছুতেই মন বসতে ছিলো না। তাঁর কষ্ট লাঘব করার জন্য একটু আফিম খেয়ে ঘুমিয়ে পরেন। এবং দ্রুত ঘুমিয়ে গেলেন। ঘুমিয়ে যাওয়ার আগে তিনি “Purchase Pilgrims ” নামে একটি গল্প পড়েছিলেন। যাতে কুবলা খান তাঁর নতুন প্রাসাদ তৈরির ঘোষণা দিয়েছিলেন। এটি নির্মিতি হবে সানডুতে। যা হবে, পৃথিবীর সুখকর প্রাসাদ। কুবলা খান ছিলেন ৫ম মোঘল সম্রাট। যিনি ১২৫০ থেকে ১২৯৪ পর্যন্ত রাজত্ব করেছিলেন। তিনি ইউয়ান রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন চীনে, ১২৭১ সালে। তিনি তলুই এর চতুর্থ সন্তান ছিলেন।
ঘুমানোর সময় কোলরিজ স্বপ্নে দেখেছিলেন, তিনি কবিতা লিখছেন। দুই ঘণ্টা পর যখন তিনি জাগলেন, তিনি কবিতা লিখা শুরু করলেন। ধরেই নিয়েছেন, কবিতাটি ২০০/৩০০ লাইন হবে। এমন সময়, পারলক নামক এক দর্জি তাঁর সাথে দেখা করতে আসে। দেখা করার পর, কবিতার বাকি অংশ আর লিখতে পারলেন না। কিন্তু যে চুয়ান্ন লাইন তিনি লিখলেন তা ইংরেজি সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করে গেছে ; সমালোচকদের সমালোচনাকে সামনে রেখে।
এর প্রধান বিষয়বস্তু হচ্ছে কল্পনা, মানুষ, প্রাকৃতিক বিশ্ব এবং সময়। এই কবিতায় বাগানের বর্ণনা, সমুদ্র কিংবা নদী, সেই সাথে মানুষের চরিত্রের বিশ্লেষণাত্মক প্রয়োগ, প্রকৃতির প্রভাব সুন্দর করে তুলে ধরা হয়েছে। পাহাড়কে মানসিক যন্ত্রণা ও শক্তির সাথে তুলনা করেছেন। শহরের বিশৃঙ্খলাকে যুদ্ধের সাথে, অনিশ্চিত ভবিষ্যতকে মানুষের আত্মা ও জীবন সংগ্রামের সাথে তুলবা করেছেন।
এক কথায়, এটি কল্পনার রাজত্বে খেলা করা দারুণ এক রোমান্টিক কবিতার উদাহরণ। একটি তাল, লয় সমৃদ্ধ গান। এর প্রতিটি শব্দ গানের মতো আমাদের কর্ণকুহরে প্রবেশ করে মন রাঙিয়ে তোলে।
“Kubla Khan” কবিতাটি একটি সুপ্রসন্ন ঘুমের ফসল।
কবিতার কিছু লাইন:
In Xanadu did Kubla Khan
A stately pleasure dome decree
Where Aloud, the sacred river, run
Through caverns measureless to man
Down to a sunless sea.
Could I revive within me
Her symphony and song
And close your eyes with holy dread
For he on honey hath fed
And drunk the milk of Paradise.
★★ এই কবিতাটি আমার অনেক পছন্দের। আমার পক্ষে কোলরিজের কবিতা নিয়ে লিখা হচ্ছে, অন্ধের সমুদ্রে বালি কুড়ানোর মতো।
পাঠক ভালো লাগা থেকে কবিতাটি পড়বেন, এটাই আশা করি।
৩১টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
কুবলা খান পড়িনি। পড়ার আশা করছি। আপনি আপনার ভালো লাগা কিছু লাইন এখানে দিয়ে দিলে পড়ার আগ্রহ হয়তো বেড়ে যেত 🙂
আরজু মুক্তা
লাইন দেয়া হলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এস.জেড বাবু
পড়ার ইচ্ছে জেগে উঠলো,
এতো চমৎকার উপস্থাপন দেখার শেষে ইচ্ছে জাগাটাই স্বাভাবিক।
চমৎকার রিভিউ ।
অভিনন্দন।
আরজু মুক্তা
ধন্যবাদ, ভাই।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
পড়ে দেখবো। ভালো থাকুন শুভ সকাল
আরজু মুক্তা
ধন্যবাদ, আপা। ভালো থাকবেন।
সুপায়ন বড়ুয়া
কবিতাটি কই ? পাইনাতো খুঁজে ?
তুলে ধরেন তাই সোনেলার সাজে।
শুভ কামনা।
আরজু মুক্তা
সার্চ দেন গুগলে।
না হলে আছি আমি!
রাখলাম বলে।
রেহানা বীথি
কবিতাটি এখানে দিলে পাঠকের সুবিধা হতো। আপনার চমৎকার লেখাটি পড়ে পাঠকের মনেও যে সুর বেজে উঠেছে!
আরজু মুক্তা
আপা, কবিতাটি দিলাম।
শুভকামনা
ত্রিস্তান
পড়েছিলাম। এটা সত্যিই এক অনবদ্য সৃষ্টি।
আরজু মুক্তা
ধন্যবাদ, ভাই।
হালিম নজরুল
ভাল লেগেছে। তবে কবিতাটিসহ পেলে আরও ভাল লাগতো।
আরজু মুক্তা
কবিতার কিছু লাইন দেয়া হলো।
ধন্যবাদ ভাই।
ফয়জুল মহী
খুবই ভালো লাগলো।
আরজু মুক্তা
ধন্যবাদ ভাই
ছাইরাছ হেলাল
এত এত করে শুধুই বলে গেলান!
কবিতাটি দিন এখানে, পড়ার চেষ্টা করি।
আরজু মুক্তা
কবিতার কিছু লাইন দেয়া হলো।
সুরাইয়া পারভীন
কবিতা পড়ার ইচ্ছে রইলো।
চমৎকার উপস্থাপন করেছেন
আরজু মুক্তা
শুভকামনা আপু
নাজিয়া তাসনিম
কবিতাটি পড়তে ইচ্ছে করছে।
আরজু মুক্তা
তবে দেরি কেনো?
ভালো থাকবেন
কামাল উদ্দিন
কবিতাটির বাংলা তর্জমা এখানে দিলে পড়ে মজা পাইতাম আপু
আরজু মুক্তা
চেষ্টা করবো দেয়ার।
কামাল উদ্দিন
আপু আপনার পোষ্টের হেডিং মুছে গেলো কিভাবে?
মনির হোসেন মমি
খুব সুন্দর রিভিউ।
আরজু মুক্তা
ধন্যবাদ ভাই।
ভালো থাকবেন।
নীরা সাদীয়া
কলড্রিজের মত দশা আমারও হয়েছে অনেকবার। কুবলা খান প্রথম পড়েছিলাম ২য় বর্ষে। তখন মনে হয়েছিলো আমিও এমন কিছু লিখতে চাই… কিন্তু পারিনা। মনে করিয়ে দিলেন পুরানো সে দিনের কথা।
আরজু মুক্তা
আমিও অনেকদিন থেকে লিখতে লিখতে আজ লিখে ফেললাম।
ধন্যবাদ আপা
জিসান শা ইকরাম
কুবলা খান কবিতার রিভিউ ভালো হয়েছে। কবিতা সৃষ্টির প্রেক্ষাপট জানলাম। অনেক ধন্যবাদ এমন একটি পোস্ট দেয়ার জন্য।
শুভ কামনা।
আরজু মুক্তা
শুভকামনা🌹