
গত কয়েকদিন আগে সোনেলা ব্লগের সম্মানিত ব্লগার মনির হোসেন মমি দাদার একটা ফোনকল পেলাম। মনির দাদা আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘দাদা, আপনার অফিস থেকে কদম রসূল দরগাহ কতদূর?’ আমি বললাম, ‘বেশি দূর তো নয় দাদা। কিন্তু কেন?’ মনির দাদা বললেন, ‘আপনাকে নিয়ে শুক্রবার নবীগঞ্জ কদম রসূল দরগাহ দেখতে যাবো। আপনি ঠিক দুপুরের পরপর রেডি হয়ে থাকবেন।আমি ঠিক সময়মতো আপনাদের চৌধুরীবাড়িতে চলে আসবো।’ আমি বললাম, ‘ঠিক আছে দাদা, তা-ই হোক।’ অবশেষে তা-ই হয়েছে। ব্লগার মনির দাদা এসেও ছিলেন। গিয়েছিলাম শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব পাড় নবীগঞ্জ কদম রসূল দরগাহ পরিদর্শনে।
দিনটি ছিল ৪ অক্টোবর, ২০১৯’ শুক্রবার। আমি দুপুরের খাওয়াদাওয়া সেরে আর ঘুমালাম না। মোবাইলটা চার্জে রেখে অপেক্ষায় থাকলাম, মনির দাদার কলের জন্য। কিন্তু মনির দাদার ফোনকল আর আসছে না। আমি নিজেই দুপুর ২টায় মনির দাদাকে কল দিলাম। মনির দাদা কল রিসিভড করে বললেন, ‘আমি আসছি, আপনি রেডি থাকুন!’ নিশ্চিত হলাম, তিনি কথা কাজে মিল রেখেছেন। তাই আমি তাড়াতাড়ি করে চৌধুরীবাড়ি গিয়ে রাস্তার একপাশে দাঁড়িয়ে থাকলাম। অল্প সময়ের মধ্যেই মনির দাদা আমার সামনে এসে হাজির!
তারপর দুইজনে মিলে গোদনাইল চৌধুরীবাড়ি থেকে একটা ব্যাটারিচালিত রিকশায় হাজীগঞ্জ ঘুদারা ঘাটের উদ্দেশে রওনা হলাম। যাওয়ার পথে হাজীগঞ্জ কেল্লা। হাজীগঞ্জ কেল্লায় কিছুক্ষণ ঘুরাফেরা করে হাজীগঞ্জ গুদারা ঘাট গেলাম। খেয়ানৌকা চড়ে শীতলক্ষ্যা নদী পাড় হয়ে গেলাম কদম রসূল দরগাহ শরিফে। যেখানে যুগ যুগ ধরে রক্ষিত আছে ইসলাম ধর্মের সর্বশেষ মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর পায়ের ছাপযুক্ত একটি কালো পাথর।
কদম রসূল দরগাহ শরিফের মূল প্রবেশ পথ ও উপরে ওঠার সিঁড়ি।
তবে আমি কদম রসূল দারগাহ শরিফে এবারই প্রথম যাইনি, এর আগেও অনেকবার গিয়েছি। একসময় আমাদের বাসস্থানই ছিল নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানাধীন লক্ষ্মণখোলা আদর্শ কটন মিলস্ অভ্যন্তরে। তাই কোনোএক সময় কদম রসূল দরগাহ শরিফের বাৎসরিক উরস উপলক্ষে যেই মেলা বসতো, সেই মেলায় যেতাম।পাথরটি ছুঁইয়ে প্রণাম করতাম। পাথর ঘেমে যেই জল বের হয়, সেই জলও মুখে নিতাম। আর এবারের যাওয়াটা মনে হয় আমার শেষ যাওয়া। কারণ, জীবনের অবশিষ্ট সময়ে এই পবিত্র দরগাহ শরিফে আর কখনো যেতে পারবো কিনা সন্দেহ! তাই আজকে কদম রসূল দরগাহ নিয়ে নিজের জানামত কিছু লিখে সবার মাঝে শেয়ার করতে চাই। আশা করি সবাই সাথে থাকবেন।
কদম রসূল দরগাহ নিয়ে কিছু শোনা কথা:
কারো কারো মতে এই পবিত্র দরগাহ’টি গায়েবি উঠেছিল। একদিন রাতভোর হতে-না-হতেই মজমপুর (বর্তমান কদম রসূল) গ্রামের মানুষ এই দরগাহ শরিফটি দেখতে পায়। তাই অনেকের ধারণা এটি আল্লাহতাওলা’র অশেষ মেহেরবানিতে মাটির নিচ থেকে উঠেছিল বলেই, এই পবিত্র কদম রসূল দরগাহ শরিফটি আশপাশের কিছু জায়গা নিয়ে টিলাকৃতি হয়ে আছে। যেহেতু এটি মাটি ফুঁড়ে উপরে উঠেছিলো। আর এই কারণেই পদচিহ্ন ছাপযুক্ত পবিত্র পাথরটি ঘিরেই এলাকাটার নাম হয় নবীগঞ্জ। যেহেতু এটি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর পায়ের ছাপযুক্ত একটি পাথর, তাই। আর স্থানে এই পবিত্র পাথরটি পাওয়া গিয়েছিল, সেই স্থানটির নাম কদম রসূল (পূর্বের নাম মজমপুর)। যেই স্থানে এই পবিত্র পদচিহ্ন ছাপযুক্ত পাথরটি বর্তমানেও রক্ষিত আছে, এটিই কদম রসূল দরগাহ বা কদম রসূল দরগাহ শরিফ নামে সবার কাছে পরিচিত।
আবার অনেকের মুখে শুনেছি অন্যরকম এক গল্প। গল্পটি হলো এইরকম:
মজমপুর (বর্তমান কদম রসূল) গ্রামে একজন দরিদ্র লোক ছিলেন। একরাতে লোকটিকে স্বপ্নে আদেশ করলেন, ‘টিলার উপরে যাও! সেখানে একটি প্রস্তর খণ্ড দেখতে পাবে! এটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব তোমাকে দেওয়া হলো। তুমি প্রস্তর খণ্ডটি যেখানে পাবে, সেখানে সেই জায়গায়ই রক্ষণাবেক্ষণ করা সহ প্রস্তর খণ্ডটি সেবাযত্ন করতে থাকো। এতে তোমার মঙ্গল হবে।’
এরপর লোকটি খুব ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে টিলার উপরে গেল। টিলার উপরে উঠে ঠিকই একটি প্রস্তর খণ্ড দেখতে পায়। পূর্বের সূর্যের আলোতে তখন প্রস্তর খণ্ডটি ঝিলমিল করছিল। লোকটি সামনে গিয়ে প্রস্তর খণ্ডটিতে পদচিহ্নের ছাপ দেখতে পেয়ে, প্রস্তর খণ্ডটি সালাম করে বুকে নিয়ে সেখানেই বসে পড়লো। এই খবর ছড়িয়ে পড়তে শুরু করলো গ্রাম ছেড়ে শহরে।
একসময় সেখানকার স্থানীয় মানুষ সেই জায়গায় একটি টিনের চালযুক্ত ঘর তৈরি করে, সবাই সপ্তাহের নির্দিষ্ট একটি সময়ে সেখানে জিকিরের সাথে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করতেন এবং বছরের নির্দিষ্ট একটা সময়ে এই পবিত্র দরগাহ শরিফে বাৎসরিক উরস করতে শুরু করেন। এরপর কদম রসূল দরগাহ শরিফের উরশ-এর কথা পৌঁছে যায় নবাব সিরাজউদ্দৌলা’র কানে। তখন তিনি একটা জটিল রোগে ভুগতে ছিলেন। তিনি তাঁর রোগমুক্তির জন্য এই পবিত্র কদম রসূল দরগাহ শরিফে মানত করলেন। এর কিছুদিন পরই নবাব সিরাজউদ্দৌলা’র সেই কঠিন রোগ নিরাময় হয়ে যায়।
এরিমধ্যে দরগাহ থেকে পদচিহ্নের ছাপযুক্ত পাথরটি চুরি হয়ে যায়। চোরে চুরি করে আর সারতে না পেরে একদিন এই পবিত্র পদচিহ্ন ছাপযুক্ত পাথরটি নিকটস্থ শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দিয়ে কোনরকম দায়মুক্ত হয়। পাথরটি থেকে যায় শীতলক্ষ্যা নদীগর্ভেই।
এদিকে নবাব সিরাজউদ্দৌলা’র রোগ নিরাময় হওয়াতে তিনি মনস্থির করলেন, একসময় তিনি এই পবিত্র কদম রসূল দরগাহ জিয়ারত করবেন। একসময় তিনি লোকজন নিয়ে এই পবিত্র দরগাহ শরিফের উদ্দেশে রওনা হলেন। সাথে ছিল নবাবকে বহন করার বিশালাকৃতির এক হাতি। যেই হাতি চড়ে তিনি এখানে সেখানে পরিদর্শনে যেতেন। সেই হাতি চড়েই আসলেন বর্তমান হাজীগঞ্জ গুদারা ঘাটের সামনে শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে।
এরপর তিনি শীতলক্ষ্যা নদী পাড় হলেন নৌকা চড়ে। আর তাকে বহন করা হাতিটি নদী পাড় হলো সাঁতরে। হাতিটি শীতলক্ষ্যা নদী সাঁতরে পাড় হয়ে যখন কদম রসূল দরগাহ বরাবর নদীর পাড়ে উঠেছিল, তখন সবাই দেখে হাতির গলার লোহার চেইন’র শেষাংশ সোনালি রং হয়ে ঝিলমিল করছে। নবাব সিরাজউদ্দৌলা তখন পবিত্র দরগাহ শরিফে গিয়ে জানতে পারে পদচিহ্ন ছাপযুক্ত পাথরটি কিছুদিন আগে কে-বা-কারা চুরি করে নিয়ে গেছে। পবিত্র পাথরটি চুরি হয়েছে শুনে নবাব সিরাজউদ্দৌলা তখন আশাহত হয়ে পরেন। সেই মুহূর্তেই হাতির গলার চেইন’র শেষাংশ সোনালি রং হয়ে যাওয়ার খবরটা নবাব সিরাজউদ্দৌলা’র কানে আসে।
তখন নবাব সিরাজউদ্দৌলা কয়েকজন ডুবুরিকে খবর পাঠায়। ডুবুরিরা এসে হাতি যেই জায়গা দিয়ে নদীর পাড়ে উঠেছিল, সেই জায়গায় তল্লাশি করে পাথরটি খুঁজে পেয়ে নবাব সিরাজউদ্দৌলা’র হাতে দেয়। নবাব সিরাজউদ্দৌলা পবিত্র পাথরটাকে সালাম করে দরগাহ’র খাদেমের কাছে বুঝিয়ে দেয়। এরপর নবাব সিরাজউদ্দৌলা ঢাকায় অবস্থিত আহসান মঞ্জিলের অনুরূপ কদম রসূল দরগাহ শরিফটি নির্মাণ করে দেন। তাই ঢাকার ইসলাম পুরের বর্তমান আহসান মঞ্জিলের সামনের আকৃতি যেরকম, নবীগঞ্জ কদম রসূল দরগাহ শরিফের সানের আকৃতিও একইরকম দেখা যায়।
কদম রসূল দরগাহ শরিফের ভেতর থাকা খাদেমদের কবর।
ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায় এরকম:
আগেই বলে রাখা ভালো, কদম রসুল বলতে বোঝায় মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর পায়ের ছাপযুক্ত একটি পাথর। ইসলাম ধর্মাবলম্বী অনেকের বিশ্বাস মহানবী হযরত মোহাম্মদ(সাঃ) হেঁটে যাওয়ার সময় প্রস্তর খন্ডের উপর পায়ের ছাপ থেকে যেতো। এই পদচিহ্ন ছাপযুক্ত প্রস্তর খণ্ড মক্কা থেকে অনেকেই নিয়ে যেতো পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে। এধরনের প্রস্তর খন্ড ঘিরে পশ্চিমে জেরুজালেম হতে পূর্বে চট্টগ্রাম পর্যন্ত গড়ে উঠেছে সৌধ, দরগাহ। এরকম একটি সৌধ বা দরগাহ হলো নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানাধীন বর্তমান নবীগঞ্জ ‘কদম রসুল’ দরগাহ। যা এখন পবিত্র কদম রসূল দরগাহ শরিফ নামে সারাদেশে পরিচিত। এই দরগাহ শরিফটি ভূমি থেকে ৩০ ফুট উঁচুতে একটি টিলার উপর স্থাপিত।
সবাইকে দেখার জন্য নিজের মোবাইল থেকে রেকর্ড করা কদম রসূল দরগাহ শরিফের একটি ভিডিও ইউটিউব থেকে এখানে দেখানো হলো।
বেশকিছু ইতিহাসবিদদের মতে:
এই কদম রসুল দরগাহ পাঁচ’শ বছরের পুরানো আধ্যত্মিক এবং অলৌকিক ঘটনাবলির প্রাণকেন্দ্র। প্রচলিত আছে যে, মুহাম্মদ (সাঃ) মিরাজের রাত্রে বোরাকে উঠার পূর্বে পাথরে তার পায়ের কিছু ছাপ অঙ্কিত হয়। পরবর্তীতে সাহাবিগণ পদ চিহ্নিত পাথরগুলো সংরক্ষণ করেন বলে অনেকে দাবি করেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত পাথরটি বর্তমানে জেরুজালেমে সংরক্ষিত আছে। এছাড়া ইস্তাম্বুল, কায়রো এবং দামেস্কে অনুরূপ পাথর সংরক্ষিত আছে। এছাড়াও সমগ্র ভারতবর্ষে কদম রসুলের সংখ্যা ১৪টি। এরমধ্যে বাংলাদেশের চট্টগ্রামে দুইটি, নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে পূর্বের মজমপুর বর্তমান কদম রসূল গ্রামে একটি। যা এখন ইতিহাস খ্যাত এ দরগাহ শরীফ কদম রসূল দরগাহ।
আরেক মতে, ৯৮৬ হিজরি ১৫৮০ খ্রিস্টাব্দে সম্রাট আকবরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণাকারী আফগান নেতা মাসুম খান কাবুলি পদচিহ্ন সংবলিত এ পাথরটি একজন আরব বণিকের কাছ থেকে কিনেছিলেন। ঈসা খাঁর সাথে এই রাজার সখ্যতা ছিল। পরে মাসুম খান বন্দরের নবীগঞ্জ এলাকাতে বিশাল জায়গা নিয়ে ৩০ থেকে ৪০ ফুট উঁচু মাটির টিলা তৈরি করে একটি পদচিহ্ন স্থাপন করেন। এর পর থেকেই প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদের (সাঃ) কদম মোবারক (পদচিহ্ন) সংবলিত এই কালো পাথরকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে ইতিহাস খ্যাত এ দরগাহ শরীফ কদম রসূল দরগাহ।
কীভাবে এই পবিত্র দরগাহে আসবেন?:
প্রথমে ঢাকা থেকে গুলিস্তানের বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেট অথবা একটু দক্ষিণে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে উঠার পথে বন্ধন, আনন্দ, উৎসব বাসের টিকেট কাউন্টার রয়েছে। টিকেট সংগ্রহ করার পর বাসে চড়ে ৪০ মিনিটেই সরাসরি চলে আসতে পারবেন নারায়ণগঞ্জ (টার্মিনাল) বন্দর গুদারা ঘাট অথবা চিটাগং রোড থেকে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা পরিবহনে চড়ে সরাসরি চলে আসুন হাজীগঞ্জ গুদারা ঘাট। তারপর খেয়ানৌকা চড়ে শীতলক্ষ্যা নদী পাড় হয়ে হাতের একটু ডানে গেলেই কদম রসূল দরগাহ শরিফ চোখের সামনে দেখতে পাবেন। আর যদি নারায়ণগঞ্জ টার্মিনাল বন্দর গুদারা ঘাট হয়ে যেতে চান, তবে শীতলক্ষ্যা নদী পাড় হয়ে অটোয় চড়ে চলে যাবেন নবীগঞ্জের কদম রসূল দরগায়।
লেখক নিতাই বাবু।
আংশিক তথ্য সংগ্রহ বিভিন্ন অনলাইন সাইট।
৪৩টি মন্তব্য
চাটিগাঁ থেকে বাহার
জানলাম অনেককিছু।
চট্টগ্রামের দুটি কোথায় জানেন দাদা?
নিতাই বাবু
বাংলাদেশে নবীগঞ্জ এর কদম রসুল (নারায়ণগঞ্জ জেলা) এবং চট্টগ্রামে কদম মোবারক (রসুল নগর) এবং বাগিচা হাট মসজিদ, বিখ্যাত।
এরকম আরও রয়েছে, মিশরের কায়রো, তুরস্কের ইস্তান্বুলে এবং সিরিয়ার দামেস্কে। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে বেশ কয়েকটি কদম রসুল রয়েছে। যেমন, দিল্লি ও বাহরাইচ (উত্তর প্রদেশ), আহমদাবাদ (গুজরাট), কটক (উড়িষ্যা) এবং পশ্চিম বাংলার গৌড় ও মুর্শিদাবাদ প্রভৃতি অঞ্চলে।
রাফি আরাফাত
জানতে পেরে ভালো লাগলো। এমন পোস্ট আরও চাই। ধন্যবাদ
নিতাই বাবু
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
মাছুম হাবিবী
যদি কখনো নারায়ণগঞ্জ আসি তবে কদম রসূল মাজারটি জিয়ারত করবো ইনশাআল্লাহ্। কিছু ইতিহাসিক তথ্য পেয়ে ভালো লাগলো।
নিতাই বাবু
অবশ্যই আসবে দাদা। প্রয়োজন সম্মানিত ব্লগার মনির দাদাকে সাথে নিয়ে সোজা আমার এখানে চলে আসবেন। তারপর সবাই মিলে একসাথেই রওনা হবো, পবিত্র কদম রসূল দরগাহ শরিফের উদ্দেশে।
মনির হোসেন মমি
অয়েলকাম মাছুম ভাইয়া।
মোঃ মজিবর রহমান
জানলাম দাদা। ঘুরা হইন তেমন। সময় সল্পতায়।
অনেক ধন্যবাদ লেখা থ্বকে প্রথম জানলাম কদম রসুল মাজার আওম্পর্কে।
নিতাই বাবু
একদিন সময় করে আমার এখানে আসলে কদম রসূল দরগাহ শরিফ-সহ বন্দর এলাকায় কিছুক্ষণ সময় ঘুরতে পারতাম। যদি ইচ্ছে থাকে, তো মনির দাদাকে আগে জানাবেন। ধন্যবাদ দাদা।
আরজু মুক্তা
কদম রসুল সম্পর্কে এই প্রথম জানলাম। ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ
নিতাই বাবু
একদিন সময় করে আসুন! শীতলক্ষ্যা নদীর পাড় ঘুরে দেখে যান।
নাজমুল আহসান
ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোর প্রতি আমার একধরনের টান সবসময়ই ছিল। কিন্তু তথাকথিত এইসব দরগা-ফরগায় যাই না বিরক্তিতে। এক কিসিমের মূর্খের অতিরিক্ত মাতামাতি, ধর্মের নামে ভণ্ডামি, গাঁজার আসর – এসব সহ্য হয় না।
বেশিরভাগ (প্রায় শতভাগ) দরগা-মাজার গড়ে ওঠে মিথ্যা আর চাতুর্যের উপরে। একটা ভবন মাটি ফুঁড়ে গজিয়ে ওঠা যেমন সম্ভব নয়, তেমনি মুহাম্মাদ (সাঃ) পাথরে পা রাখলে সেখানে ছাপ পড়ত -এটাও অবান্তর কথা। এগুলো মূলত ভণ্ডামি-ব্যবসার অংশ। যতো বেশি বুজরুকী তথ্য আর গালগল্প যোগ করা যাবে, মজমা ততোই জমবে।
সিরাজউদ্দৌলার ঘটনাটাই দেখুন। আহসান মঞ্জিলের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে ১৮৫৯ সালে। আর সিরাজ মারা গেছেন ১৭৫৭ সালে, আহসান মঞ্জিলের জন্মের ১০২ বছর আগে। তাহলে সিরাজ কীভাবে আহসান মঞ্জিলের অনুরূপ করে এই দরগা নির্মাণ করলেন?
যুগে যুগে এরকম কিছু স্বার্থান্বেষী, ধান্দাবাজ ছিল। এরা সাধারণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি করে ব্যবসা ফেঁদে বসত। এটা শুধু ইসলাম ধর্মে না, সব ধর্মেই আছে।
যা-ই হোক, আপনি লেখার জন্যে অনেক শ্রম দিয়েছেন। ধন্যবাদ দাদা।
নিতাই বাবু
দাদা, আপনি আমার ব্যক্তিগত মতামতে পৌঁছেছেন বলে আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সেইসাথে কিছু কথা এখানে বলতে চাই।
দাদা, প্রথাগত অনেক মুসলিমরা এটি স্বীকার করেন না। তাছাড়া বিভিন্ন জায়গায় সংরক্ষিত পদ চিহ্ন গুলি বিভিন্ন আকারের। যেখানে একজন মানুষের পায়ের ছাপ একই হওয়ার কথা। কিন্তু একটার সাথে অন্যটির মিল নেই। এতে কী বোঝা যায়?
তারপরও অনেকের কদম রসুলকে হযরত মুহাম্মদের পায়ের ছাপ হিসাবে দাবী করা হলেও মূল ইসলাম ধর্মে এর কোন স্বীকৃতি কিন্তু নেই। এই কারণে ইসলাম ধর্মের উৎপত্তিস্থল মধ্যপ্রাচ্যে এ ধরনের কোন নিদর্শন সংরক্ষিত হয়নি এবং ধর্মীয় ভাবেও চর্চিত হয়না। আরও জানতে উইকিপিডিয়া-সহ বাংলাপিডিয়া অথবা গুগলে সার্চ করুন!
এরকম একটি কদম রসূল প্রস্তর খণ্ড এখানে দেখানো হলো।
পরিশেষে এর বেশিকিছু আমি অধম আর বলতে চাই না। যা উপস্থাপন করেছি, তা ছোটবেলা থেকে শোনা কথা আর বর্তমান কদম রসূল দরগাহ বিষয়ে তথ্য অনলাইন সাইটগুলো থেকে।
ধন্যবাদ দাদা।
মনির হোসেন মমি
সব বিশ্বাসের উপর চলে এ ছাড়া আর কিছুই নয়।
নিতাই বাবু
ঠিক বলেছেন, মনির দাদা।
রেহানা বীথি
ভীষণ ভালো লাগলো দাদা। এত সুন্দর করে লিখলেন যেন চোখের সামনে দেখতে পেলাম সবকিছু। আর ভিডিওতে একট্ গান শুনলাম মনে হলো। গানটি কি ওখানেই কেউ গাইছিল? বড় আপ্লুত হই এমন গান শুনলে।
নিতাই বাবু
পড়েছেন জেনে আমি ধন্য হলাম। আমার পোস্ট খানাও সার্থক হলো। ভিডিওতে গানের শব্দ মনে হয় সেখানকারই।
ধন্যবাদের সাথে শুভকামনা থাকলো।
ছাইরাছ হেলাল
বিস্তারিত জানলাম,
পুরোপুরি যাচাই করে নেয়া সত্যি কঠিন।
আমাদের এমন প্রতিটি স্থাপনা নিয়ে নানা মিথ চালু আছে।
পরিশ্রমের জন্য ধন্যবাদ।
নিতাই বাবু
[ছবি মুছে ফেলা হয়েছে]
যেটিকে যুগযুগ ধরে আমরা সম্মানের সাথে পবিত্র কদম রসূল বলে আসছি। আর যেই প্রস্তর খণ্ড ঘিরে কথিত আছে নানা কথা। বর্তমানে ইতিহাসের পাতায় পাতায়ও আছে বিস্তর।
মনির হোসেন মমি
মনে মনে আমিও ভাবছিলাম বা অপেক্ষা করছিলাম দাদায় সোনেলায় সেই ভ্রমণে এমন একটি পোষ্ট দেবেন।দিলেনও তাই একেবারে ঐতিহাসিক সব তথ্য নিয়ে। অনেক শ্রম দিয়েছেন দাদা কৃতজ্ঞ আমরা।
এখন বিষয় হল বিশ্বের সব ধর্মই বিশ্বাসের উপর সৃষ্টি হয়েছে তাই ধর্মের ভেতর বাহিরে তথ্যগত সমস্যা থাকে যা বিশ্লেষণ করলে নাস্তিক হতে হবে।আর সে জন্যে একই ধর্মে এতো বিবেদ আমরা লক্ষ্য করি। যাই হোক লেখাটা খুব সুন্দর হয়েছে। ভিডিওতে দেখছি আমিও আছি। আবারো ধন্যবাদ জানিয়ে দাদার এ পোষ্টের জন্য স্পেশাল ভালবাসা রইল।
নিতাই বাবু
[ছবি মুছে ফেলা হয়েছে]
মনির দাদা, আমি কিন্তু আশায় ছিলাম আপনি লিখবেন। কিন্তু না। তা থাক! আমিই লিখালাম! ব্লগে পোস্ট করেও আপনার সুন্দর একটা মন্তব্যের আশা অপেক্ষা করতে লাগলাম। যা পেলাম এখন। তাই আপনাকে একগুচ্ছ গোলাপের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
মনির হোসেন মমি
হুম দাদা বেশ কয়দিন যাবৎ বেশ টেনসনে আছি।কোন কিছুই আর ভাল লাগে না।তাই মন যখন একটু ভাল থাকে তখন ব্লগে আসি। কিছু মনে করবেন না। ভাল থাকবেন দাদা।
নিতাই বাবু
আমিও মাঝে মাঝে খুব ব্যস্ত হয়ে পড়ি দাদা। তবুও ব্লগ সাইট ছাড়তে পারি না। তবে ফেসবুক ছেড়ে দিয়েছি।
সুরাইয়া পারভিন
আমি বিস্মিত আপনার এতো সুন্দর লেখাটা পড়ে। এই প্রথম কদম রাসূল দরগাহ শরিফ সম্পর্কে জানলাম।
চমৎকার লিখেছেন দাদা
নিতাই বাবু
[ছবি মুছে ফেলা হয়েছে]
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য আমার পক্ষ থেকে একগুচ্ছ গোলাপের শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন!
সঞ্জয় মালাকার
দাদা অনেক কিছু জানলাম, তবে কখনো যাওয়া হয়নি শুধু নাম শুনেছি, আজ আপনা পোস্টে না-দেখার আক্ষেপ পুরো হলো, ধন্যবাদ দাদা শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা নিবেন।
নিতাই বাবু
[ছবি মুছে ফেলা হয়েছে]
নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব পাড়ে যেই প্রস্তর খণ্ডটির জন্য দরগাহ শরিফ যুগযুগ ধরে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সেটি কদম রসূল দরগাহ। আর সেখানে রক্ষিত আছে এই পবিত্র পদচিহ্ন ছাপযুক্ত পাথরটি।
সঞ্জয় মালাকার
ধন্যবাদ শ্রদ্ধে দাদা, যদি কখনো রাসূলের কৃপা হয়ে অবশ্যই যাবো।
সাবিনা ইয়াসমিন
ঐতিহাসিক স্থান গুলোর প্রতি মানুষের ঝোঁক বেশি থাকে। তাই নানা রকম গল্প দিয়ে স্থানগুলোকে আরো আকর্ষণীয় করার চেষ্টা করা হয়। আর এই গল্পকথা গুলো ধর্মীয় স্থান, ইতিহাস নিয়েই বেশি তৈরি হয়, যার কোনো ভিত্তি থাকে না। যার যেমন খুশি, সে সেভাবেই গল্প ছড়িয়ে দেন। এইসব কারনেই লাল সালু উপন্যাস টি বিখ্যাত হয়েছিলো।
আপনার শ্রমশক্তি দেখে খুবই অবাক আর ভালো লেগেছে। একটি পোস্টে কত সময়, তথ্য আর নিষ্ঠা দিতে দিলে, পোস্টটি সুন্দর পড়ার উপযোগী হয় তাই শিখলাম আপনার কাছ থেকে। অনেক ধন্যবাদ দাদা।
শুভ কামনা 🌹🌹
নিতাই বাবু
ঠিক বলেছেন দিদি। আমাদের দেশে একটা ভবঘুরে পাগলের কবরকে কেন্দ্র করেও মাজার গড়ে উঠে। আমরা মাজার বিশ্বাসী হতে পেরেছি ঠিক, কিন্তু মানুষ বিশ্বাসী হতে পারিনি।
মন্তব্যের জন্য অজস্র ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এস.জেড বাবু
মাজার দরগাহর প্রতি অনাগ্রহ আছে,
প্রতিটি মাজার বা দরগার নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন রকম রটনা প্রসিদ্ধ থাকে। যেসব অধিক প্রচারণার ভিত্তিগুলি “মাজার বা দরগাহ এর মূল ইতিহাস (যদি থাকে) বিকৃত করে দেয়।
অতঃপর বিভিন্ন টাইপের লোকজন এবং নেশা- এই কারণগুলো মাজার থেকে দুরেই রেখেছে আমাকে।
বিষদ বর্ণনা এমন ভাবে উপস্থাপিত যেন নিজের চোখেই দেখলাম।
সুন্দর লিখেছেন দাদা।
নিতাই বাবু
আমিও দাদা এতে বিশ্বাসী নই। তবুও সামাজিকতা রক্ষা করতে গিয়ে মাঝে মাঝে নানাখানে নানান জায়গায় যেতে হয়, যাইও।
[ছবি মুছে ফেলা হয়েছে]
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ! শ্রদ্ধেয় দাদা।
সাখিয়ারা আক্তার তন্নী
আমার লিখার উপস্থাপন খুব ভালো লেগেছে,
সে ঘটনা যাই হোক।
নিতাই বাবু
[ছবি মুছে ফেলা হয়েছে]
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ! শ্রদ্ধেয় দিদি।
কামাল উদ্দিন
ধন্যবাদ নিতাই দাদা, একবার ওখানে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিলো।
নিতাই বাবু
[ছবি মুছে ফেলা হয়েছে]
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ! শ্রদ্ধেয় দাদা।
কামাল উদ্দিন
[ছবি মুছে ফেলা হয়েছে]
নিতাই বাবু
[ছবি মুছে ফেলা হয়েছে]
ঠিক আপনাকেও দাদা।
জিসান শা ইকরাম
মনির ভাইর সেদিনকার ওখানে যাবার ব্যাপারে আমার ব্যক্তিগত একটি তথ্য সংগ্রহের বিষয় ছিল, যা মনির ভাই আপনাকে জানিয়েছিলেন কিনা জানিনা। তবে যে উদ্দেশ্যে মনির ভাই ওখানে গিয়েছিলেন তা সফল হয়েছে। আমার মেঝ বোনের মেয়ের পাত্র সম্পর্কে খোঁজ নিতে বলেছিলাম মনির ভাইকে। বিয়ে হয়ে গিয়েছে 🙂 আপনার পোস্টের মাধ্যমে মনির ভাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
কদম রসুল সম্পর্কে জানার ইচ্ছে ছিল অনেক কিছু, জানলাম আপনার পোস্টের মাধ্যমে।
ইতিহাস বিভিন্ন রকম হয়ে যায় এই সব পুণ্যস্থান সম্পর্কে। তবে আমার যা ব্যক্তিগত মত, তা প্রকাশ করলে নাস্তিক ট্যাগ খেয়ে যেতে পারি আমি, তাই সে কথা না বলাই ভালো।
তবে হিন্দু ধর্মে এই উপমহাদেশে শিব লিংগ যেভাবে জাগ্রত হয়েছে বিভিন্ন স্থানে, তার সাথে এই কদম রসুল জাগ্রত হবার মিল দেখতে পাই আমি।
আচ্ছা কদম রসুল বা শিব লিংগ আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, চীন, ইউরোপের দেশ সমূহ, কানাডায় জাগ্রত হলো না কেন? এই সমস্ত দেশ কি আল্লাহ্ বা ভগবান এর নেক নজরে নেই?
অনেক পরিশ্রমী লেখা। এই বছরের কোন এক সময় নারায়নগঞ্জ যাবো, তখন দেখে আসব এই কদম রসুল আপনাকে সহ 🙂
শুভ কামনা।
নিতাই বাবু
এককসময় আসবেন জেনে খুশি হলাম, শ্রদ্ধেয় দাদা। একসাথে আবার সেখানে যাবো, তাও একটস খুশির সংবাদ। ঠিক আছে, সেই আশায় থাকলাম। আর হ্যাঁ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, চীন, ইউরোপের দেশ সমূহে শিবলিঙ্গ নিয়ে আমার তেমন ধারণা নেই, দাদা। কারণ সেসব দেশে এই অধমের পদচারণা নেই, তাই। তবে আপনার এইরকম সুন্দর উপলব্ধিতে আমিও একমত পোষণকারী। আমাদের কিছু হিন্দুরা যেখানে একটি বটবৃক্ষ দেখে, সেখানেই ফুলতুলসি আর ঘৃতমধু ঢেলে পূজা দিতে শুরু করে। এটা একরকম ভ্রান্ত ধারণার বহিঃপ্রকাশ।
আপনার সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি, শ্রদ্ধেয় দাদা।
তৌহিদ
লেখাটি দেরীতে পড়লাম এর কারন হচ্ছে প্রচন্ড ব্যস্ত সময় যাচ্ছে দাদা। ব্লগে এত এত পোষ্ট যে সবার লেখায় মন্তব্য করার সময় পাচ্ছিনা।
এদেশে শুধু নয়, উপমহাদেশেই এই মাজার কেন্দ্রিক মুসলিমদের সংখ্যা অনেক।এসব নিয়ে কথা বলতে চাইনা। তবে রাসুল কতগুলি পাথরে পা রেখেছেন আর কতগুলো পাথরে তার ছাপ আছে সেটা সন্দেহের বিষয়। আমি শুধু একটি পাথরের কথাই জানি যেটি জেরুজালেমে সংরক্ষিত আছে। সে পাথরের উপর পা রেখে হযরত মুহাম্মদ সা. বোরাক নামক ঘোড়ায় উঠেছিলেন মেরাজ গমনের উদ্দেশ্য। যার কথা হাদিসেও এসেছে। কই সেখানেতো এরকম রমারমা মাজারকেন্দ্রিকতা নেই।
যাই হোক, আপনার লেখায় ঐতিহাসিক কিছু স্থান সম্পর্কে জানতে পারলাম এটাই পরম প্রাপ্তি।
ভালো থাকবেন ভাইন
নিতাই বাবু
সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি, শ্রদ্ধেয় তৌহিদ দাদা।
ইঞ্জা
কদম রসুল চট্টগ্রামেও আছে শুনেছি দাদা।