
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪
আরবি হরফে লেখা বলেই ‘ কি করিলে কি হয় ? ‘ ,
‘ গুপ্ত কেশ নাশক ক্রীম ‘এর বিজ্ঞাপন মুলক লেখা রাস্তায় পরে থাকা কাগজকে অতি ভক্তিতে গদগদ হয়ে চুমু খেয়ে কাগজকে যত্ন করে রাখার মত ভক্তি আমার নেই।
অনেকের থাকতে পারে, যাঁদের আছে তাঁরা তাঁদের ভক্তি নিয়ে থাকুন।
আমি বাংলায় গান গাই।
ছাগলের মস্তিস্ক দিয়ে যে সব ছানুষ পরিচালিত হয়, তাদের কাছে এই লেখা মনে হবে পবিত্র কুরআন শরীফের অবমাননা।
#ছানুষ বাছাই প্রকল্পের তথ্য কেন্দ্র হতে প্রকাশিত বুলেটিন।
৪ অক্টোবর ২০১৪
ইসলাম আর নুরুল ইসলাম এক নয়। তেমনি ইসলাম এবং জামায়াত ইসলাম এক নয়।
নুরুল ইসলামে এবং জামায়াত ইসলামের সমালোচনাকে অনেকেই ইসলামের সমালোচনা ভেবে বসে।
এরাই আসল #ছানুষ
৪ অক্টোবর ৩০১৩
দাতের মধ্যে রোজ খনন করে ডেন্টিস্ট কি পায় বুঝিনা । আরো ১৫ দিন খনন কাজ চলবে। ডেন্টিস্ট কি দাতের মধ্যে কোন প্রত্নতাত্তিক নিদর্শন পাইছে
৪ অক্টোবর ২০১৫
টয়লেট থেকে বেড় হতেই পড়লাম ৫ বছরের পাকনা বুড়ি ইশরার খপ্পরে।
বুড়ি – বাথরুম হতে বেড় হয়ে সাবান দিয়ে হাত দুতে হয় জানো তুমি?
আমি – না তো ,জানিনা
বুড়ি – তোমাকে কেউ কিচ্ছু শিখায় নি?
আমি – না ,কিছুই শিখায়নি।
বুড়ি – ঐ যে বেসিনের পাশে সাবান।ভালো ভাবে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলো।
আমি – আচ্ছা আচ্ছা , এই যে ধুয়ে ফেললাম।
বুড়ি – এরপরে ভুলে যেও না আর।
আমি – না না ভুলবো না, সবাইকে জানিয়ে দেব এই কথা।
বুড়ি – আচ্ছা
কি যে দিনকাল আইলো,আজকাল সবাই আমারে শুধু শিখায়
৪ অক্টোবর ২০১৪
চলে গেলেন দুর্গা মা। ফিরবেন আবার এক বছর পরে।
ভালো থাকুন আগামী এক বছর মা, আপনি এবং আপনার অনুসারীগন।এবারেও সব পুজা মণ্ডপ ঘুরে দেখেছি, স্মৃতিতে ডুবে গিয়েছি স্কুল জীবনের বন্ধুদের সাথে।
স্কুল জীবনে আরতিতে নেচেছিও। সেই ঢোলের বাজনা ‘ ঢুম ঢুমাঢুম নাক্কা নাক্কা ‘ – এখনো যেন বহুদুর থেকে কানে ভেসে আসে। হিন্দু মুসলমান সবাই প্রসেসনে নেমেছি। আমাদের এলাকার মণ্ডপ, প্রতিমা, বাদ্য, লাইটিং, আরতি,প্রেসেসন যেন অন্যদের তুলনায় সেরা হয়, তার চেষ্টা করেছি সবাই। প্রসেসনের দিন মারামারিও করেছি, অন্য প্রসেশনের সাথে। জিততেই হবে সবকিছুতে।
পুজার প্রাসাদ যেন অমৃত ছিলো। পেট ভরে খেতাম ।
আবার ঈদে সবাই উৎসাহ নিয়ে হিন্দু মুসলমান বন্ধুরা মিলে রিক্সায় হই হল্লা করতাম। বিভিন্ন মুসলিম বন্ধুদের বাসায় যেতাম, পোলায় গোস্ত ফির্নি জর্দা খেতাম।
ঈদ এবং পুজা সার্বজনীন। পুজায় আনন্দ করায় যেমন আমার মুসলমানিত্ব চলে যায়নি, তেমনি ঈদে আনন্দ করায় কারো হিন্দুত্ব চলে যায়নি। আমাদের ধর্মীয় অনুভুতি, বিশ্বাস কচু পাতার পানি না, সামান্য টোকায় তা পরে যাবে।
১০টি মন্তব্য
তৌহিদ
ছানুষের সঙগাটি কিন্তু দারুণ। আমরা নিজেরাই ইসলামকে গুলিয়ে ফেলেছি। সব ইসলাম এক নয়,, তৌহিদুল ইসলাম, জামাতি ইসলাম কিংবা ধর্ম ইসলামকে বোঝার সাধ্য সবার নেই। যারা না বুঝেই গুলিয়ে ফেলে তারা ছাগু!!
ইশরারা এমনই হয়। তাদের পান্ডিত্যের কাছে আমরা কিছুই না। দারুণ মিষ্টি চেহারা!!
যার যার ধর্ম তার তার। ঈদ পুজো এসব ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান কারো ঠুনকো কথায় অধর্মে পরিণত হতে পারেনা। তবে ধর্মীয় আচার সঠিকভাবে পালন করা অবশ্য কর্তব্য।
শামীম চৌধুরী
যার যার ধর্ম সে সে পালন করার সমঅধিকার রাখেন। খুব ভালো লাগলো লেখাটি।
আহমেদ ফাহাদ রাকা
ধর্ম বানিজ্য তো এখন সবচেয়ে উপরে, হুজুর রা সুদ খায় না,সেটা হচ্ছে হাদিয়া, হুজুর বিয়া করা কি হালাল না হারাম?
হুজুর:হারাম
পাবলিক:তয় আম্নে করছেন যে?
হুজুর:ওডা জায়েজ আছে
আর ডেন্টিস্টের এই খোঁড়াখুঁড়ি তে আমার ৮ দাতেই রুট ক্যানেল করানো,এখন নাকি টুপি পড়তে হইবো,নাইলে টিকবে না,
আমার বাসায় এক হিন্দু স্যার ছিলেন কমল স্যার
যিনি আমাদের চেয়ে ইসলাম সম্পর্কে বেশি জানতেন
সব বই তিনি পড়েছেন, কোরআন, গীতা, বাইবেল, প্রায় সব ধর্মের চর্চা তিনি করেছেন,তার ইচ্ছা ইসলাম ধর্মে আসা, কিন্তু তার প্রশ্ন :কার হাত ধরে আমি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করবো????একটা খাঁটি মুসলমান তো আমি চোখে দেখিনা।
মনির হোসেন মমি
শেখার শেষ নাই বুড়ি তার বুঝিয়ে দিয়েছিল।অসংখ্য স্মৃতি এখন ভাবায়! আমরাতো এমন কখনোই ছিলাম না। হিনদু কি মুসলিম কিছুই ভাবতাম না। এখন কেন এতো ভাবায়?
চমৎকার লেখা
প্রদীপ চক্রবর্তী
আমার কাছে প্রতিটি ধর্ম সমান।
প্রত্যেকের রয়েছে সমধিকার।
আর আমাদের উচিত প্রত্যেক ধর্মকে সম্মান করা।
যার যার ধর্ম তার তার।
আর প্রত্যেক ধর্মের উচিত ধর্মীয়কাজ সঠিকভাবে পরিচালনা করা।
যথার্থ লেখা দাদা।
সুরাইয়া পারভিন
এই প্রথম ছানুষ সম্পর্কে জানলাম।সংজ্ঞাটা দারুণ লেগেছে
কি যুগ আইলো রে সবাই শুধু শিখায় হা হা হা
ইঞ্জা
ইশারা বড়ই পাকনা বুড়ী, ওতো শেখাবেই। 😀
ধর্ম যার যার, উৎসব সবার, এই হওয়া উচিত সবার জীবনে, পূজা মন্ডপে স্কুল জীবনে কত যে গেছি তার ইয়াত্তা নেই।
ছানুষ, এরা আসলেই আর মানুষ হবেনা ভাইজান।
ছাইরাছ হেলাল
শিখতে শিখতে শিক্ষার ঝুলি ভারী হতে হতে ছিড়ে পড়ার জোগার,
কিছুই শিখতে পারলাম না।
মোহাম্মদ দিদার
বেশ ভালো সংজ্ঞা দিলেন।
শিক্ষার কোনো শেষ নেই,
আরজু মুক্তা
ছোটবেলায় আমার এক হিন্দু বান্ধবি আর আমি এক থালায় খেতাম। তখন এতো বৈষম্য ছিলোনা। এখন, যতো আধুনিক যুগ ততো ধর্ম মত।